সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাটারফ্লাই ইফেক্ট কি ?

 মিস্টার শেফাডের ড্রইং ক্লাস নেবার কথা ছিল দুপুর তিনটায় । কিন্তু হঠাৎ তার বাসা থেকে জরুরি ফোন আসে তার মেয়ে এম বাসায় চিজ কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছে। তিনি দ্রুত স্কুল ত্যাগ করেন তার বাড়ি গিয়ে দেখেন ভয়ঙ্কর অবস্থা. ছোটলেন তিনি মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে.  এদিকে মিস্টার শেফার্ডের ড্রয়িং ক্লাস না নেওয়ার কারণে জাস্টিনদের স্কুল ছুটি হয় এক ঘন্টা আগে।বাসায় ফিরে সে তার মার কাছে আবদার করে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। জাস্টিনের বাবা সেদিন বাসায়। তাই তারা ঠিক করে সিনেমা দেখতে যাবে। প্রাইভেট কারে তারা বাসা থেকে বের হয় । কিন্তু সিনেমার টিকিট কাটতে গিয়ে তারা টিকিট পায় না। ফলে জাস্টিন ও তার মা-বাবা ঠিক করে রেস্টুরেন্টে খেতে যাবে। রেস্টুরেন্টে খাবার শেষে বাসায় ফেরার সময় হঠাৎ তাদের কারের টায়ার পামচার করে দেয়। জাস্টিনের বাবা জায়গা ঠিক করাতে। জাস্টিন এবং তার মা বাসায় ফেরে উবারে। বাসে ফিরতে না ফিরতেই কল আসে, জাস্টিনর বাবা টায়ার ঠিক করিয়ে ফেরার সময় অ্যাক্সিডেন্ট করেছেন. তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে. জাস্টিন ও তার মা ছুটেন হাসপাতালের দিকে. এখানে থেমে একটি পেছনে ফিরি চলুন। ...

ম্যান্ডেলা ইফেক্ট কেনো হয়?

   আচ্ছা নিজের স্মৃতি শক্তির উপর কতটা বিশ্বাস আছে আপনার? আচ্ছা বাদ দিয়ে আপনার কথা. গণমানুষের স্মৃতিশক্তির উপর নিশ্চয়ই বিশ্বাস আছে অনেকটা. না না. ধর্মীয় কোন বিশ্বাস না. এই গ্রহে ঘটে যাওয়া এমন সব ঘটনা. যা সবাই জানে. তা কি রকম মিথ্যা? এক দশক আগেও পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ জানতো যে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীর নাম সিডনি. আসলে কি তাই? গত এক দশকে এই ধারণা মোটামুটি পরিবর্তন হয়ে মানুষ জেনেছে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীর নাম ক্যানভেরা. এখনো এই ভুল হরমামেশাই করে যাচ্ছে মানুষ. বিশ্বাস না হলে আশেপাশের কিছু মানুষকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারে. প্রশ্ন করতে পারেন ম্যান্ডেলার নাম কেন? এই ফ্ললস মেমোরি সিন্ড্রোমকে ম্যান্ডেল এফেক্ট নামকরণ করেছেন প্যারানরমাল কনসালটেন্ট ফীয়না ব্রুম তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে । দু হাজার দশ সালের এক আলোচনা সভায় উঠে আসে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা উনিশশো আশি সালে কারা জানে মারা যাওয়ার প্রসঙ্গ । অনেকেই সেদিন বলেছিল, টিভিতে এই নেতার শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা দেখার অভিজ্ঞতার কথা. ম্যান্ডেলার স্ত্রীর হৃদয় নিন্দারও ভাষণের কথা উল্লেখ করেছিলেন কেউ কেউ. এমনক...

আমরা কি মহাবিশ্বে একা ?

একটা কুকুর ! তারা দেখছে আকাশের নক্ষত্র. যেমন দেখছি আমরা. হয়তো শ্বাস নিচ্ছে অথবা নিচ্ছে না. সৃষ্টি করছে অথবা করছে না. কিন্তু এক টা প্রশ্ন ঠিকই আছে তাদের মাঝে. ঠিক আমাদেরই মতো. আমরা কি মহাবিশ্বে একা? যখন আমস্ট্রংরা চাঁদ থেকে ফিরে এসেছিল তখন তাদের কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছিল বেশ কিছুদিন । কেন ? কারণ যদি কোন ভাইরাস বা অন্য কোন জীবাণু চলে আসে তাদের মাধ্যমে চাঁদ থেকে অর্থাৎ খুব কাছের আমাদের এই উপগ্রহেও প্রাণের সম্ভাবনার কথা ভেবেছিলেন বিজ্ঞানীরা অদ্ভুত তাই না। চলুন যাই প্রাণের খোঁজে মহাবিশ্বে। পৃথিবী কি প্রাণের একমাত্র উৎস? বহু প্রাচীন এই প্রশ্ন. আমাদের এই গ্রহে যত বালুকোনা আছে তার চেয়েও দশ হাজার গুণ বেশি নক্ষত্র আছে শুধুমাত্র আমাদের মিল্কিওয়েতে. আরো স্পষ্ট করে বলা যায় এই সংখ্যা টেন টু দি পাওয়ার টোয়েন্টি টু থেকে টেন টু দি পাওয়ার twenty four বা আরো বেশি. যদি এর পাঁচ শতাংশ নক্ষত্র আমাদের সূর্যের মতো হয় তাহলে সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচশো billion billion নক্ষত্র. খুবই ভালো কথা. প্রতি পাঁচটি সূর্য সাদৃশ্য নক্ষত্রের একটিতেও যদি ধরি যে পানি ও প্রাণ সৃষ্টির রাসায়নিক উপাদান আছে. তাহলে সংখ্যা দাঁড়...

কেনো বাংলাদেশীরা ইন্ডিয়াকে ঘৃনা করে?

একাত্তর সালের ডিসেম্বর মাস মুক্তিযুদ্ধ চলছে। ভারত তখনও সরাসরি অংশগ্রহণ করেনি মুক্তিযুদ্ধে। বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে তাঁরা। প্রায় এক কোটি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে ভারতে। মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী সদর দপ্তর স্থাপিত হয়েছে কোলকাতায়। মুক্তি যোদ্ধারা ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ক্যাম্প করে সেখান থেকে আক্রমণ হানছে পাকিস্তানি সেনাদের উপর.  তেসরা ডিসেম্বর বিকেলে ভারতের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল শ্যাম টেলিফোন করলেন ভারতের ইস্টার্ন আর্মির চিফ অফ স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাক জ্যাকবের এর কাছে. মানিক সো জ্যাকব কে বললেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বলুন, পাকিস্তানি বিমান থেকে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের এয়ার ফিল্ড গুলোতে বোমা বর্ষণ করা হয়েছে. ইন্দিরা গান্ধী তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিলেন. পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করল ভারত। ছয় ডিসেম্বর প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। বাংলাদেশের বয়স পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়েছে. ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বয়সও হয়ে গেছে পঞ্চাশ বছর. কিন্তু গত পঞ্চাশ বছরে এদেশের অনেক মানুষের মধ্যে ভারত বির...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...