সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পোষ্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার কি ?

 কোন এক শহরের এক কর্মজীবী তরুণী ক্যাথরিন. চাকরিস্থল থেকে বাসা বেশ কিছুটা দূরে হয়. পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করতে হয় তাকে. একদিন কাজের চাপে অফিস থেকে বেরোতে বেশ দেরি হয়ে গেল. তিনি বাসায় যাওয়ার জন্য একটা বাসে চড়েন. আর তার বাসায় শেষ স্টপেজের ঠিক আগে. বেশ অনেকটা পথ. তাই সিটে গায়ে এলিয়ে দিলেন তিনি. চোখটাও হয়তো লেগে এসেছিল ক্লান্তিতে. যখন চোখ খুললেন দেখলেন বাসে তিনি একাই যাত্রী আর একটা ছেলে ড্রাইভারের পাশে দাঁড়ানো । তিনি ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন বাস কি আর সামনে যাবে না?  ড্রাইভার জানালেন যাবে । তাকে নিশ্চিন্তে বসতে বললেন সেই অল্পবয়স্ক ড্রাইভার কিন্তু সেই তরুণীর মনে হচ্ছিল কিছু একটা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে. অনেকটা ষষ্ঠ ইন্দ্রের মতো তাকে কেউ জানান দিল সামথিং ইজ ভেরি রড. তাই তিনি বাস থেকে নেমে যেতে চাইলেন. তখনই ড্রাইভার বাসের গতি বাড়িয়ে দিলেন. তরুণীর. আর বুঝতে বাকি রইল না কিছু. তার অল্প সময়ের মধ্যেই হয়তো নরক নেমে আসবে বাসের ভেতরে। তার সঙ্গে এমন কিছু ঘটবে যেটা তেমনি ভয়ঙ্করতম দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেন না। খবরের কাগজে পড়া চলন্ত বাসে অঘটনের ঘটনাগুলোর কথা তার মাথায় ...

পুতিনের উত্থান পতনের গল্প । কেজিবির এজেন্ট থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেণ্ট হয়ে যাওয়ার গল্প ।

স্কুলে পড়ার সময় সহপাঠীর সাথে একবার তার ঝগড়া হয়েছিল. ছেলেটা তক্কে তক্কে ছিল. পরদিন স্কুল ছুটির পরেই বাঘে বেয়ে শায়েস্তা করবে প্রতিপক্ষকে. কিন্তু যার সাথে তার ঝগড়া সে আরো বড় মাস্টার প্ল্যান করে রেখেছিল. নিজের কয়েক বন্ধুকে ডেকে এনে বেদম পিটিয়েছিলো ছেলেটাকে. এই ছেলেটা যার গল্প আমরা আজ বলবো সেই ছোট্ট বয়সেই দারুণ দুটো শিক্ষা পেয়েছিলো. এক হচ্ছে প্রতিপক্ষকে কখনো বোকা ভাবতে নেই. তারা সবসময় তোমার চেয়ে এক কদম এগিয়ে থাকার চেষ্টা করবে. কাজেই তুমি চেষ্টা করো দুই কদম সামনে থাকার. আর দ্বিতীয় শিক্ষাটা হচ্ছে--  এই লড়াই যদি অনিবার্য হয় তাহলে অবশ্যই প্রথম আঘাতটা তোমাকেই করতে হবে । নইলে খাইল হয়ে যেতে হবে কোন এক দুর্বল মুহূর্তে । সেই ছেলেটার নাম ছিল ব্লাদিমির পুতিন।  হ্যাঁ রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে যাকে অভিহিত করলে খুব বেশি মানুষ দ্বিমত পোষণ করবে না বলে মনে হয়. নিম্ন মধ্যবিত্ত এক পরিবার থেকে উঠে এসে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন ব্লাদিমির পুতিন। পুরো জার্নিতে তার মাথার উপর মেন্টর বা রাজনৈতিক গুরু টাইপের কেউই ছিল না. তিনি লড়েছেন. লড়তে লড়তে ...

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি ? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কতটা ভযঙ্কর হতে পারে আগামী দিনের জন্য ?

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বহুল চর্চিত এবং ব্যবহৃত একটি শব্দ. মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজে স্থাপন করা টেকনোলজিটাই হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স । এর মাধ্যমে কোন যন্ত্র নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের আওতাধীন কিছু কাজ নিজে থেকেই করতে পারে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।  টার্মিনেচার টাইপের কোনো সাইফাই সিনেমার গুরু বন্ধুর সংলাপ নয়।  A.I নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানীদের একজন স্টিফেন হকিং আমার ভয় হয় তারা সত্যিই হয়তো একদিন মানুষকে হটিয়ে নিয়ন্ত্রকের আসনে বসে যাবে। বেঁচে থাকতেই BBC কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এভাবেই সবাইকে সতর্ক করেছিলেন তিনি। হকিংসের এই ভয় এখনো ভবিষ্যতের বিষয় হলেও অমূলক নয় মোটেও যন্ত্রকে বুদ্ধিমান করে তার আশীর্বাদ অনেক আছে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে সেই যন্ত্রই পৃথিবীর দখল নিতে চলেছে কিনা স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে মানুষকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একদিন অপদার্থ তে পরিণত করবে কিনা সেই প্রশ্নটা উঠছে বারবার।  যুক্তরাষ্ট্রে...

বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেট কেন আফ্রিকার দেশগুলোর থেকেও খারাপ ?

প্রযুক্তির দীর্ঘ পথ চলায় উন্নত বিশ্ব এখন ফাইভ জির পথে. প্রযুক্তি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও সে পথে হাঁটছে. স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে ফাইভ জি যে চালু করতে চায় সরকার. স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু হাজার একুশ সালের প্রথম প্রান্তিকে ।  কেউ বলছেন four G কেউ বলছেন four point five G. কেউ বা আবার আগ বাড়িয়ে four point nine G বানিয়ে দিচ্ছেন. অর্থাৎ প্রায় five G. অথচ internet speed এর বেলায় লবডঙ্কা. নামে four G কাজের three GO নয়. এমন দশা বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরগুলোর ইন্টারনেট সার্ভিসে. ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা আমাদের দেশে available থাকলেও গ্রাহক হিসেবে যে স্পিড আমরা পাই সেটা বলতে গেলে লজ্জায় মুখ লুকাতে হবে.  গত জুন মাসে ইন্টারনেটের গতি মাপার আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওক্লা একটা জরিপ করেছিল. স্পিড টেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামের সেই জরিপ অনুযায়ী বিশ্বের একশো সাঁইত্রিশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান. একশো পঁয়ত্রিশ নম্বরে. বাংলাদেশের পেছনে আছে শুধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান এবং বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা ভেনিজু...

ডাটা ব্রকারের আদ্যাপ্রান্ত ? হোয়াটসঅ্যাপ কিভাবে ইনকাম করে ?

পকেট থেকে সো হোয়াট দ্য হেল ইজ দ্যা ডার্ক সাইড অফ সোশ্যাল মিডিয়া। প্রশ্নটা শুরু হয়েছে খুব সহজ ভাবে। কিন্তু উত্তর আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে এমন এক অন্ধকার জগতে যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এমন কিছু যা আপনাকে আমাকে প্রতিদিন প্রভাবিত  করছে এবং সবকিছু বোঝার জন্য আমাদের প্রয়োজন কিছু ঘটনায় আলোকপাত করা.  গত দেড় বছর প্যানডেমিকের সময় যখন মানুষ খেয়ে পড়ে বাঁচতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিল তখনও একজন মানুষের অর্থের পরিমাণ দু-হাজার-দুশো কোটি তে গিয়ে ঠেকেছে. বিশ্বে কেবল তিনজনই দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সম্পদের মালিক. তার মাঝে তিনিও একজন. নাম মার্ক জাকারবার্গ। সিইও অফ ফেসবুক. আর আপনি হয়তো দশটা পাঁচটা office করছেন, বাসে ঝুলে ঝুলে বাড়ি ফিরছেন অথবা কলেজের ডিগ্রি নিতে ব্যস্ত. আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স প্রায় শূন্যের কোঠায়, আপনার খরচ অস্বাভাবিক বেশি. আপনার মনে হচ্ছে অফিস থেকে আপনাকে সঠিক পারিশ্রমিক দেয় না. আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিশাল অঙ্কের বিল ডিউ হয়ে আছে. মাথায় দুনিয়ার চিন্তা, ঘর, সংসার, ভবিষ্যৎ, সন্তান. কিন্তু আপনার দুই আঙুল ব্যস্ত মোবাইল স্ক্রিন স্ক্রলিং এ.  ফেসবুক, ফে...