কোন এক শহরের এক কর্মজীবী তরুণী ক্যাথরিন. চাকরিস্থল থেকে বাসা বেশ কিছুটা দূরে হয়. পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করতে হয় তাকে. একদিন কাজের চাপে অফিস থেকে বেরোতে বেশ দেরি হয়ে গেল. তিনি বাসায় যাওয়ার জন্য একটা বাসে চড়েন. আর তার বাসায় শেষ স্টপেজের ঠিক আগে. বেশ অনেকটা পথ. তাই সিটে গায়ে এলিয়ে দিলেন তিনি. চোখটাও হয়তো লেগে এসেছিল ক্লান্তিতে. যখন চোখ খুললেন দেখলেন বাসে তিনি একাই যাত্রী আর একটা ছেলে ড্রাইভারের পাশে দাঁড়ানো । তিনি ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন বাস কি আর সামনে যাবে না? ড্রাইভার জানালেন যাবে । তাকে নিশ্চিন্তে বসতে বললেন সেই অল্পবয়স্ক ড্রাইভার কিন্তু সেই তরুণীর মনে হচ্ছিল কিছু একটা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে. অনেকটা ষষ্ঠ ইন্দ্রের মতো তাকে কেউ জানান দিল সামথিং ইজ ভেরি রড. তাই তিনি বাস থেকে নেমে যেতে চাইলেন. তখনই ড্রাইভার বাসের গতি বাড়িয়ে দিলেন. তরুণীর. আর বুঝতে বাকি রইল না কিছু. তার অল্প সময়ের মধ্যেই হয়তো নরক নেমে আসবে বাসের ভেতরে। তার সঙ্গে এমন কিছু ঘটবে যেটা তেমনি ভয়ঙ্করতম দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেন না। খবরের কাগজে পড়া চলন্ত বাসে অঘটনের ঘটনাগুলোর কথা তার মাথায় ঘুরছে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য তিনি শেষ চেষ্টাটা করলেন। ছুটে গেলেন বাসের দরজার দিকে। সে ছেলেটা তাকে বাধা দিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করলো কিন্তু প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া সেই তরুণীর ওপর তখন হয়তো অন্যরকম কোনো শক্তি ভর করেছিল. সর্বশক্তি দিয়ে অন্ধের মতো হাত চালালেন তিনি. তাকে কতটুকু আঘাত করলেন, নিজে কতটা ব্যথা পেলেন? তিনি জানেন না শুধু জানেন তার রণ মূর্তি দেখে ড্রাইভার বাসটা স্লো করে দিয়েছিল আর চলন্ত অবস্থায় দরজা খুলে লাফ দিয়েছিলেন তিনি রাস্তায় পড়ে পা মুচকে গিয়েছিল তার । হাতে পায়ের বেশ কিছু জায়গা গিয়েছিল চোটে। পুলিশি রিপোর্ট করার পর সেই বাস চালক এবং ছেলেটাকে গ্রেফতার করে পুলিশ. কি ভাবছেন? এটা কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা? হতে পারে. তবে বাংলাদেশ সহ ইন্ডিয়া বা উপমহাদেশে এমনকি পশ্চিমা বিশ্বেও এমন ঘটনার নজির খুঁজে পাবেন আপনি অনেক.
সে যাত্রায় ভয়াবহ এক পরিণতি থেকে নিজের সাহসে রক্ষা পেয়েছিলেন সেই নারী. কিন্তু এর চেয়েও বড় ঝামেলা শুরু হলো কয়েকদিন পর থেকে. রাতে ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন তিনি. বেশিরভাগ দুঃস্বপ্নেই নিজেকে একটা বাসের ভেতর একা অবস্থায় আবিষ্কার করতে তিনি। বাসের ড্রাইভার এবং কিছু মানুষ মিলে তার ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালাচ্ছে. একটা সময় এই দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে তিনি ঘুমানো বন্ধ করে দিলেন. চাকরিটাও করতে পারলেন না. কারণ সারাক্ষণ একটা ভয়ের মধ্যে থাকতেন সেই তরুণী. কাজে মন বসাতে পারতেন না কোনভাবেই. শেষমেষ এই মানসিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছিল তাকে. ভেবে দেখুন সেই তরুণী কিন্তু অঘটনের শিকার হননি. বরং রক্ষা পেয়েছিলেন উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করে।
তবুও তাকে একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন যেতে হয়েছে. তার কাছে মনে হতো পৃথিবীটা তার জন্য ভীষণ অনিরাপদ একটা জায়গা. সবাই তার ক্ষতি করতে চাইছে. দীর্ঘদিন তিনি গণপরিবহনে চলতে পারতেন না. বাসে ওঠার কথা ভাবলেও তাঁর ভীষণ ভয় লাগতো। নাটক বা সিনেমায় যৌন নিপীড়নের কোনো দৃশ্য দেখলেই আঁতকে উঠতেন তিনি. তাছাড়া আত্মীয় স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে সেই রাতের স্মৃতিচারণেও আগ্রহী হতেন না. বরং এড়িয়ে যেতে চাইতেন. সবমিলিয়ে প্রচন্ডভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি. সাইকিয়াট্রিস্ট সেই তরুণীকে জানিয়েছিলেন যে সমস্যায় তিনি ভুগছেন তাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় পোস্ট টোম্যাটিক স্ট্রেস্ ডিসঅর্ডার।
সেই সমস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এই ডিসঅর্ডার দেখা যায় যারা নিজের জীবনে কোনো অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন। সেটা হতে পারে কোন খুন হতে পারে বাস অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে কারো মৃত্যু বা কোন ধরনের অত্যাচার অথবা নিপীড়নের দৃশ্য। এই ঘটনাগুলো কিছু মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং তাদের রোজকার জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে । রোগী মানসিক অবসাদ অথবা প্যানিক অ্যাটাক এর মত অন্যান্য মানসিক বিকারের সঙ্গে এই অবস্থা উপলব্ধি করতে পারেন. সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় এই ডিসঅর্ডার আত্মহত্যার প্রবৃত্তিকেও জাগিয়ে তুলতে পারে. শুধুমাত্র এই স্ট্রেস বা চাপ নিতে না পেরে মানুষ নিজেকে শেষ করে ফেলার মত অবস্থায় চলে যেতে পারে. ট্রমার সময় ব্যক্তি এক ধরনের অসহায়ত্ত অনুভব করতে থাকেন. পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার মূলত এক ধরনের এনজাইটি বা দুশ্চিন্তা জনিত ডিসঅর্ডার. যেখানে ভুক্তভোগী ব্যক্তিটি তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে কোনভাবেই ভুলতে পারেন না. বরং সময়ের সাথে সাথে সেটি আরো গাঢ় হয়ে তার মনের মধ্যে চেপে বসে. বাংলাদেশে এই সমস্যার প্রকট. কারণ সে শুধু মেয়েরাই না. ছেলেরাও শৈশবে নানান হ্যারাসমেন্টের মাঝ দিয়ে যায়. যার বেশিরভাগই পারিবারিক আত্মীয়র মাধ্যমে ঘটে.
শিক্ষকদের দ্বারা বিভিন্ন নিপীড়নের কথাও আসে পত্রিকায়. খারাপ বিষয় হলো এমনকি সিনেমার কোন দৃশ্য দেখেও ছোট বাচ্চাদের মাঝে এমন ট্রমা ঘটতে পারে. এই জন্য সিনেমার রেটিং থাকে যে কত বছর বয়সের উপযোগী. কিন্তু আমাদের দেশে সিনেপ্লেক্স গুলোয় তার সীগিটাও মানা হয় না. বাবা মা কিছু না বুঝেই বাচ্চাকে নিয়ে যায় সিনেমা দেখতে. ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ. এই মানসিক সমস্যাটির কথা প্রথমবার ভালোভাবে জনসম্মুখে আসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর. রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধের শেষে মার্কিন সেনারা যখন দেশে ফিরে আসে তখন তাদের একটা বড় অংশ নানা ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করে. এই লোকগুলো ভিয়েতনামি জনগণের ওপর প্রচন্ড নির্যাতন করেছিল. ভিয়েতনামের মুক্তিবাহিনীও একটা সময় সেসবের পাল্টা জবাব দিয়েছে. রক্ত, মৃত্যু, ধ্বংস যজ্ঞের বিভীষিকাকে খুব কাছ থেকে দেখেছে এই সেনারা। নিজেদের অজস্র সহকর্মী আর বন্ধুকে হারিয়েছে যুদ্ধে. আর সেখান থেকেই এসব সমস্যার উদ্ভব. এই সেনারা আনমনেই যুদ্ধের দিনগুলোতে ফিরে যেত. নিউ ইয়র্কের শান্ত পরিবেশে বসেও তাদের মনে হতো. তারা বুঝি ভিয়েতনামের কোন খালে বা জঙ্গলে লুকিয়ে আছে। এই বুঝি তাদের ওপর অ্যাম্বুস করা হবে এই বুঝি পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে হারাতে হবে কোনো সঙ্গীকে ।আশির দশকের ন্যাশনাল ভিয়েতনাম ভেটেরাল রি এডজাস্টমেন্ট নামের এক জরিপে দেখা যায় প্রায় পঁচিশ শতাংশ মার্কিন সৈন্য পোস্টম্যাটিক প্রেস ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হয়ে ছিলেন। যুদ্ধের ভুক্তভোগী হওয়া ভিয়েতনামের নারীদের মধ্যেও এই জরিপ চালানো হয়েছিল. সেই নানীদের মধ্যে এই সমস্যায় আক্রান্তের অনুপাত ছিল পুরুষদের দ্বিগুণ. অর্থাৎ শতকরা পঞ্চাশ জন নারী পোস্টম্যাটিক ডিসঅর্ডারের শিকার ছিলেন.
এই মানসিক সমস্যাটিকে তখন সেলসপ বা ব্যাটেল ফ্যাটিক নামেও ডাকা হতো. পোস্ট টোমাটিক ডিসঅর্ডার নামটি পরে দেওয়া হয়েছে. ইরাক যুদ্ধ বা আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন সেনাদের মধ্যেও এই মানসিক সমস্যাটি দেখা যায় অনেক প্রবলভাবে. আমেরিকায় সুইসাইড রেড মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এই যুদ্ধগুলোর পরে. ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেসের মনোবিদদের মতে এই ট্রমায় আক্রান্ত ব্যক্তির অন্তত এক থেকে দেড় মাস যাবত তার মধ্যে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়. সেই ঘটনাটি তার মনোজগতে বারবার হানা দেয় একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সে বারবার যেতে থাকে. যখন flashback এর মতো স্মৃতিগুলো ফিরে ফিরে আসে তখন তার অতিরিক্ত ঘাম হয়, বুক থরফর করে , গা গলানো ভাব হয়. তীব্র আতঙ্কে তার দুনিয়া হয়ে পড়ে স্থবির, সৃষ্টি হয় প্যানিক অ্যাটাক।
অনিদ্রায় ভোগা ইনসমনিয়াতে আক্রান্ত হওয়া এগুলো পোস্ট ট্রম্যাটিক ডিসঅর্ডারের স্বাভাবিক লক্ষণ । পোষ্টমেটিক ডিসঅর্ডারের আর একটি বিশেষ লক্ষণ হচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তিটি তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিশেষ সেই ঘটনাটি নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা করতে চায় না । তিনি ভয় পান । যদি সেসব মনে করার চেষ্টা করেন তাহলে স্মৃতিগুলো আবার ফিরে আসবে তার মাথায়। জোর করে নিজেকে তিনি বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করেন যে তার সাথে আসলে কিছু ঘটেই নি. যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে যে মানুষগুলোর সামনে ঘটেছে তাদেরকে তিনি এড়িয়ে চলেন. এতে হিতে বিপরীত হয়. তাছাড়া সেই ট্রমা এক্সপিরিয়েন্স করার পর ভুক্তভুগিদেরকে এক ধরনের অনুভূতি শুন্যতা গ্রাস করে. তারা অনেক বেশি নির্লিপ্ত হয়ে পড়েন. একটা শঙ্কার মধ্যে তাঁরা জীবন যাপন করেন. সবকিছুতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের চেষ্টা থাকে তাদের মধ্যে. এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা সেই দুর্ঘটনার জন্য নিজেদেরকে দায়ী করে। ভাবেন তাদের ভুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আর যদি সেই ঘটনায় তিনি ভিক্টিম না হয় সাক্ষী হন তাহলে তিনি এই ভেবে নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন না যে চাইলে হয়তো তিনি ভিক্টিমকে সাহায্য করতে পারতেন কিন্তু করেননি। এই অপরাধবোধ তাকে কুরে কুরে খায়. তাছাড়া এটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর ভিকটিমের কর্মদক্ষতা মারাত্মক হারে কমে যায়. কাজের সমস্ত উদ্দীপনা হারিয়ে যায়. খাওয়া দাওয়া হয়ে পড়ে অনিয়মিত. মনোবিদরা জানিয়েছেন বোলিং বা উত্যক্ত করা থেকেও এই পোষ্ট ট্রম্যাটিক স্টেসের উদ্ভব ঘটতে পারে। ধরা যাক. শারীরিকভাবে স্বাস্থ্য মানে একটা ছেলে বা মেয়েকে তার সহকর্মীরা ক্রমাগত মোটু, মোটকা এরকম বিভিন্ন নাম ধরে উত্তপ্ত করে. তারা হয়তো শুধু মজার উদ্দেশ্যেই এমন নামে ডাকে তাকে. ভিক্টিমের মনে কিন্তু সেটাকে এক ধরনের মানসিক নির্যাতন হিসেবেই গ্রহণ করে. দিনের পর দিন এই নির্যাতনের শিকার হতে হতে এটি তার কাছে একটা ট্রমায় পরিণত হয়.
কিভাবে পোষ্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার মুক্তি পাওয়া যেতে পারে ?
পৃথিবীতে প্রতি তিন জন মানুষের মধ্যে একজনের লাইফ হিস্ট্রি ঘাটলেই দেখা যাবে. তিনি কোন না কোন ধরনের বড় রকম ট্রমার মধ্যে দিয়ে গেছেন বা কোন দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিলেন. এদের সবাই যে post traumatic stress disorder এ ভোগেন এমনটা নয়. যারা ভোগেন তাদের একটা বড় অংশই নিজে থেকে survive করে ফেলেন. কিন্তু অনেকেই সেটা পারেন না. এই জন্য দরকার ভালো কোনো সাইকিয়ারিস্টের শরণাপন্ন হওয়া. Professional counselling এর মাধ্যমে post traumatic stress disorder থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই সহজ. মনোবিদরা এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য কগনেটিভ থেরাপি এবং এক্সপোজার থেরাপি সাজেস্ট করে থাকেন। কগনেটিভ থেরাপি মূলত ভিকটিমের মন থেকে দুর্ঘটনা জনিত নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা গুলোকে পরিবর্তন করে।
এক্সপোজার থেরাপির কাজ হচ্ছে ভিকটিমকে দুঃস্বপ্ন ও অতি কল্পনা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করা. এর বাইরে গিয়ে ভুক্তভুগীর মানসিক অবস্থা পর্যালোচনা করে আই মুভমেন্ট টি সেন্টিজেশন এন্ড রিপ্রসেসিং থেরাপিও সাজেস্ট করে থাকেন কিছু মনোবিদ। এই থেরাপি গুলো একাকি বা দলবদ্ধ দুই ভাবেই নেয়া যায় । এছাড়া অ্যান্টি ডিপ্রেশন মেডিসিন ও পোষ্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডারের চিকিৎসায় ভালো কাজ দেয়। ভিকটিমকে ভালোমতো ঘুমোতে সাহায্য করে ওই ঔষধ গুলো। মনোবিদরা যে শুধু ভিক্টিমের সাথেই কথা বলেন এমনটা নয় । এক পা একাধিক সেশন তারা করেন ভিক্টিমের পরিবারের সদস্যদের সাথেও । কারণ রয়েল কলেজ অফ সাইকিয়ারিস্টের মনোবিদদের মতে পোষ্টমেটিক ডিসঅর্ডারের একজন ভুক্তভোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মনোবিদের ভূমিকা যতখানি তার প্রায় সমান ভূমিকা পরিবারের সদস্যদের। পরিবারের সদস্যদের আচরণে ভিক্টিম যেন নিজেকে মানসিক রোগী ভেবে না বসেন. খেয়াল রাখতে হবে এই ব্যাপারটিতেও. মানুষরা যেন ধাক্কা সামলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে আবার ফিরতে পারে. সেই পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার সবচেয়ে বড় দায়িত্বটা পরিবার আর সমাজেরই আজকের ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন