ধরুন আপনাকে কেউ অপহরণ করল. আটকে রাখল অজানা কোন জায়গায়. কিংবা জিম্মি করল কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য. হয়তো আপনাকে মেরে ফেলাটাই অপহরণকারীদের লক্ষ্য. পুলিশ আপনার খোঁজ পাচ্ছে না. এদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় অস্থির হয়ে আছে আপনার স্বজনরা. এক পা দুই সপ্তাহ পার হয়ে হয়তো আপনাকে উদ্ধার করা হল. এই কয়েকটা দিন আপনি সূর্যের আলো দেখেননি. বন্দি অবস্থায় এক একটা ঘন্টাকেই আপনার কাছে মনে হয়েছে এক একটা মাসের মতো লম্বা. মুক্তির পর অপহরণকারীদের প্রতি কেমন অনুভূতি কাজ করবে আপনার? হাতের কাছে পেলেই তাদেরকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে তাই না? কিন্তু সেটা না করে বাড়ি ফেরার পর আপনি যদি সেই অপহরণকারীদের প্রশংসা শুরু করেন?
তাহলে লোকজন আপনার দিকে কুঁচকে তাকাবে বৈকি? আপনি যদি অপরাধের তদন্তে পুলিশকে ঠিকমতো সাহায্য না করেন, আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই কিন্তু স্বাভাবিক. তার চেয়েও অবাক করার মতো ব্যাপার. কখন ঘটবে জানেন? যখন আদালতে গিয়ে আপনি বলবেন. আপনাকে যারা অপহরণ করেছিল তাদের প্রতি আসলে আপনার কোন অভিযোগ নেই. আপনি তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করতে চান. কি ভাবছেন? এমন পাগলামি আপনি কেন করবেন? পাগলামি বলুন আর যাই বলুন. পৃথিবীর বুকে অনেক মানুষ অজস্র বার এমন কীর্তির জন্ম দিয়েছে. যেখানে কোনো অপরাধের শিকার হয়েও অপরাধের প্রতি সীমাহীন দয়া অনুভব করেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি মনোবিজ্ঞান মানুষের এই বিরল মানসিক অবস্থার নাম দিয়েছে স্টক হোম সিন্ড্রম। এই নামকরণের ইতিহাস খুঁজতে গেলে আমাদেরকে প্রায় ঊনপঞ্চাশ বছর আগের একটা ঘটনায় ফিরে যেতে হবে. উনিশশো তিয়াত্তর সাল. সুইডেনের রাজধানী স্টক হোম. দিনটি ছিল তেইশে আগস্ট. সেই সময় স্টক হোমের সবচেয়ে ব্যস্ততম ব্যাঙ্ক ছিল ক্রেডিট ব্যাঙ্ক যেটি এখন নাম পরিবর্তন করে নডিয়া ব্যাংক হয়ে গেছে. সেই ব্যাংকে দলবল নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আক্রমণ করল জেন, এরিক, ঔলসন নামের কুখ্যাত এক ডাকাত দল । এই ডাকাতকে সুইডেনের পুলিশ অনেকদিন ধরেই খুঁজছিল। কর্ম চঞ্চল তখন শহর মানুষজন ব্যাংকে এসেছে যার যার লেনদেন করতে এরই মধ্যে এরিক এবং তার এক সহযোগী অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ল ব্যাংকে। সদর দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে । print এবং electronic মিডিয়ার সাংবাদিকদের হুড়োহুড়ি লেগে গেলো টিভি চ্যানেল গুলো শুরু করলো সরাসরি সম্প্রচার । ঘটনাটা মুহূর্তে টক অফ দা টাউনে পরিণত হয়ে গেল । আমেরিকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লো এই সংবাদ. জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হলো সুইডেনে. তখন ব্যাংকগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব বেশি শক্ত ছিল না. এ কারণে অস্ত্র নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়তে তেমন কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি এরিক কে.
ব্যাংকের ভেতর কয়েকজনকে জিম্মি করার পর এরিক তার চাহিদার কথা জানালো বাইরে থাকা পুলিশ এবং সংবাদকর্মীদের. প্রথমত তার বন্ধু ক্লার্ক অলুপসনকে এনে দিতে হবে তার কাছে. যে কিনা নিজেও একজন ডাকাত ছিল. পাশাপাশি তাদেরকে তিন মিলিয়ন সুরিস প্রোনার দিতে হবে. বুলেট প্রুফ জ্যাকেট লাগবে, লাগবে অস্ত্র, হেলমেট এবং দ্রুত গতি সম্পন্ন গাড়ি এগুলো আজকের মধ্যে না পেলে সে জিম্মিদের মধ্য থেকে একজন একজন করে গুলি করে মারতে শুরু করবে. পুলিশের পক্ষে ডাকাতদের সব দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না. কারণ প্রথমত ডাকাতের কথাকে বিশ্বাস করা যায় না। নিজের চামড়া বাঁচাতে সে যে কাউকে মেরে ফেলতে পারে. তাছাড়া বাড়তি অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং গাড়ি তার হাতে তুলে দেওয়া মানে তাকে সেঁধে সেঁধে পালানোর পথ করে দেয়. এদিকের বন্ধু ক্লার্ককে এনে দেওয়া হল. দুই বন্ধু মিলে শলা পরামর্শ করতে থাকলো ব্যাংকের ভেতরে বসে । আর বাইরে পুলিশ সব কষতে থাকলো কিভাবে ক্ষয়ক্ষতি না করে জীবিত অবস্থায় ডাকাতদের গ্রেফতার করা যায় সেটা নিয়ে । সেই ডাকাতের ঘটনা কতটা আলোড়ন তুলেছিল গোটা সুইডেনে সেটা বুঝতে পারবেন যখন জানবেন স্বয়ং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ইন্টারফেয়ার করেছিলেন এই কেসে. তিনি নিজে ফোনে কথা বলেছিলেন দুই ডাকাত এরিক এবং ক্লার্কের সাথে. ব্যাঙ্কের এক নারী অফিসার যে কিনা ডাকাতদের হাতে জিম্মি ছিল তার সাথেও কথা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর. এদিকে ডাকাতরা তাদের দাবি পূরণের জন্য চাপ দিয়েই যাচ্ছে. অন্যদিকে পুলিশ সময় নিচ্ছে। শ্বাসরুদ্ধকর একটা অবস্থা । এভাবেই কেটে গেলো ছয় ছয়টি দিন ।
অবশেষে জিম্মি হবার একশো একত্রিশ ঘণ্টা পর আঠাশ অক্টোবর উদ্ধার করা হলো সবাইকে । আর কোনো উপায় না পেয়ে গ্যাস বোমা ছুঁড়ে পুলিশ সবাইকে অজ্ঞান করে ফেলে ছিল. তারপর কমান্ডোদের একটা দল ব্যাঙ্কের পেছন দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে. ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয় আর জিম্মিদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে. সবাই ভেবেছিল ডাকাতেরা গ্রেফতার হয়েছে ঝামেলা মিটে গেল । ঝামেলা হাসলে তখন কেবল শুরু হয়েছে. উদ্ধারের পর সাংবাদিকরা যখন জিম্মিদের সাক্ষাৎকার নিতে গেলেন তখন তারা অবাক হয়ে আবিষ্কার করলেন ডাকাতদের ব্যাপারে কোন ধরনের ঘৃণা বা ক্ষোভ নেই এই লোকগুলোর মধ্যে বরং অপহরণকারীদের প্রতি তাদের ছিল সমর্থন এবং সহানুভূতি। ক্রিশ্চান এনমার্ক নামের এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তা তো ডাকাতদের প্রশংসা করে এমনটাও বলেছিলেন যে রাতে তিনি যখন শীতে কাঁপছিলেন তখন এরিক নামের ডাকাতটি তার গায়ে নিজের উল জ্যাকেট ঝরিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ যখন ডাকাত দুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিল তখন জিম্মিরা তাদের সাথে হ্যান্ডশেক করে বিদায় দিয়েছিল. এমন দৃশ্য সিনেমাতেও দেখা যায় না. আরেক নারী জিম্মি পরে ডাকাতের একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান. ভাবা যায়. চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর মনোবিজ্ঞানীরা আক্রান্ত ব্যক্তির সার্বিক মনের অবস্থাকে বোঝাতে একে স্টক হোম সিন্ড্রম বলে আখ্যায়িত করেন । উনিশশো চুয়াত্তর সালে এটি অভিধানে সংযুক্ত হয় । অবশ্য অপহরণকারী বা অত্যাচারের প্রতি নির্যাতিতে এই ভালোবাসার এটিই কিন্তু প্রথম নিদর্শন নয় । এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে তখন এদিকে ক্যাপচার বন্ডিং সিন্ড্রম নামে ডাকতেন মনোবিদরা।
সুইডেনের স্টক হোমে কুখ্যাত সেই ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার পরই স্টকহোম সিন্ড্রম নামে এটি পৃথিবী জুড়ে পরিচিতি পায় । স্টকহোম সিন্ড্রমের সর্ব প্রথম লক্ষণ হচ্ছে অপহরণকারীর প্রতি সহাবস্থান সমর্থন কিংবা সহানুভূতি । একই সাথে পুলিশ বা অন্যান্য ব্যক্তি যারা ওই অপরাধীদের বিপক্ষে অবস্থান করছেন তাদের প্রতি একটা বিরুদ্ধ মনোভাব ভিক্টিমের মনে জেগে ওঠে । সে অপহরণকারীকে বন্ধু এবং পুলিশ এবং অন্যান্যদের শত্রু হিসেবে ভাবতে থাকে । এই মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা পণবন্দির মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে এবং এটি কয়েকদিন সপ্তাহ মাস এমনকি কয়েক বছর ধরে বন্দিত্ব বা নির্যাতনের পরেও বিকশিত হতে থাকে। ভয় আতঙ্ক বা ঘৃণার পরিবর্তে জিম্মি এক্ষেত্রে তার বন্দিকারীর প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শুরু করে. ধীরে ধীরে বন্দি জিম্মিকারের উদ্দেশ্যকে নিজের উদ্দেশ্য বলে ভাবতে শুরু করেন. তাদের কাজে সাহায্য পর্যন্ত করে থাকেন. স্টক হোম সিন্ড্রম নামটার জন্মের অনেক বছর আগের কথা. উনিশশো তেত্রিশ সালে মেরি ম্যাকউলোরি নামের পঁচিশ বছরের এক যুবতীকে চারজন লোক অপহরণ করে. মিরির বাবা ধর্নাঢ্য রাজনীতিবিদ হওয়ায় তার কাছে ষাট হাজার ডলার মুক্তিপণ দাবি করা হয় এবং দর কষাকষি করে ত্রিশ হাজার ডলার দেওয়ার পর তারা মেরিকে ছেড়ে দেয় পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে তিনজন কিডনাপার গ্রেপ্তার হয় এবং তাদের শাস্তিও হয় কিন্তু মেরি আদালতে দাঁড়িয়ে সেই কিডনাপারের পক্ষ নেয়।
।
একই সাথে তাদের শাস্তি কমানোর জন্য অনুরোধ করেন বিচারকের কাছে. মেরির উকিল থেকে শুরু করে বিচারক পর্যন্ত সবাই হতভম্ব হয়ে যায়. পরবর্তী বছরগুলোতে মেরি রুটিন হয়ে গিয়েছিল জেলখানায় বন্দি ওই লোকগুলোকে দেখতে যাওয়া এবং তাদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া. জেলখানায় কেউই ভালো থাকে না. ওই বন্দিরাও ভালো ছিল না. কিন্তু তাদের এই ভালো না থাকা মেরি মানতে পারেননি. উনিশশো-চল্লিশ সালের একুশ জানুয়ারি মেরি আত্মহত্যা করেন. তার সুইসাইড নোটে লেখা ছিল. আমাকে যে চারজন অপহরণও করেছিল, সেই চারটা মানুষ ছাড়া পৃথিবীর প্রত্যেকে আমাকে বোকা এবং গর্ধব ভাবতো. ওই চারজনই শুধু আমাকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে সম্মান করেছিল. তাই ওদেরকে আমি ভালোবাসি.
অপরাধের শিকার হবার পরেও কেন অপরাধের প্রতি এত ভালোবাসা জন্মায়। এই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা কঠিন কারণ এই কেস এতটাই কম যে স্টাডি করার খুব বেশি সুযোগ এখনো মেন্টাল হেলথ অর্গানাইজেশনের পক্ষে সম্ভব হয়নি তারপরেও মনোবিদরা বলছেন পরিস্থিতির কারণে আবেগের পরিবর্তন এই সিনড্রোম তৈরী করে। যখন কেউ অপহৃত হন তখন তিনি মারাত্মক ভয় ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যান। স্বাভাবিকভাবেই এই সময় তার মনে মৃত্যু ভয়ের জন্ম হয় । একজন মানুষকে যখন জিম্মি করা হয় তখন অবচেতন মনে এসে ভেবে নেয় তার ওপর অকথ্য নির্যাতন করা হবে তাকে তীব্র যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং শেষমেষ মেরেও ফেলা হবে. এ সময় অপহরণকারী যদি কঠোর আচরণের পরিবর্তে জিম্মির প্রতি দয়াশীল কোন আচরণ করেন তাহলে একটা সৎ কাজ করে জিম্মির মনে. তাকে মহান ব্যক্তি । মানে অপহরণকারীকে মহান ব্যক্তি হিসেবে ভাবতে শুরু করেন জিম্মি. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অপহরণকারীরা কোন ধরনের সহিংস আচরণ না করে উল্টো বন্দীর সঙ্গে সৎভাব বজায় রাখেন. এসব ক্ষেত্রে বন্দীর সঙ্গে অপরাধীর অদ্ভুত এক মানসিক শান্তি ও বন্ধন সৃষ্টি হয়. অবশ্য মনোবিদদেরই একটা দল আবার স্টক হোম সিন্ড্রমের অস্তিত্বই বিশ্বাস করেন না । তাদের কাছে এগুলো সব ভাওতাবাজি। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হবার পরেও অত্যাচারীর প্রতি নির্যাতিতের মায়া কাজ করছে. গবেষকরা বলছেন এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটে যখন কাউকে অনেকদিন ধরে নির্যাতন করা হয় বা জিম্মি করে রাখা হয়. দীর্ঘ সময় একসঙ্গে থাকার কারণে অপরাধীর সঙ্গে জিম্মি ব্যক্তির একটি মানসিক সংযোগ তৈরি হয়ে যায়।
অপরাধী ব্যক্তির খারাপ কাজগুলোকে লঘু করে দেখার একটা প্রবণতা জন্মে তার মধ্যে। আবার এই দীর্ঘ সময় ধরে উদ্ধার না পাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমনকি নিজের পরিবারের প্রতিও তার এক ধরনের ঘৃণা জন্মে ।। সে ভাবতে শুরু করে পুলিশ বা তার পরিবার আসলে তাকে উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করছে না. এ কারণেই তাকে এমন পরিস্থিতিতে বাঁচতে হচ্ছে. এখান থেকেও সে অপরাধীর দলেই ভিড়ে যায়. স্টক হোম সিন্ড্রমের ঘটনাগুলো যে শুধু পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তেমনটা কিন্তু নয় । খোঁজ নিলে দেখবেন আপনার আশেপাশেই এই সিন্ড্রমে আক্রান্ত অনেকেই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে । কিছুটা ভিন্ন কেস হলেও বছরের পর বছর স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েও তার সংসার আগলে রাখা গৃহিণীদের স্টক হোম সিন্ড্রমের আক্রান্ত বলবেন না? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও কিন্তু কোনো রোগ নয়, স্রেফ মানুষের মানসিক অবস্থা বা প্রতিক্রিয়ার একটা বিশেষ রূপ মাত্র, তবে এই জটিল মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যারা যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই ভালো কোনো সাইক্রিয়াটিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত. কারণ দীর্ঘমেয়াদি এই মানসিক অবস্থা মানুষকে ভোগাবে নিশ্চিতভাবে. এখান থেকে উদ্ভব হতে পারে ডিপ্রেশন এবং অ্যানজাইটির মতো সমস্যা.
থেরাপিতে সাইকোথেরাপিস্ট এবং সাইকোলজিস্ট টকম সিন্ড্রমের ভুক্তভুগীদের কপিং মেকানিজম সম্পর্কে অবহিত করেন কেসিস্ট্রি জেনে নিয়ে তার সাথে কি ঘটেছিল কেন ঘটেছিল সেই ঘটনার পেছনে কার দায় ছিল সেই ঘটনা ভুলে কি হবে জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এসব নিয়েই কাউন্সিল করেন তারা। এক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে পজিটিভ ইমোশন আনাটা কিন্তু খুব জরুরী। কারো মধ্যে স্টক হোম সিন্ড্রমের লক্ষণ দেখলে তাই তাকে কটূক্তি করা থেকে বিরত থাকুন। তার মানসিক অবস্থাটা আপনার বা আমার চেয়ে কিন্তু অনেক বেশি আলাদা। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন