সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

স্টকহোম সিন্ড্রম কি ? স্টকহোম সিন্ড্রম কেন হয় ?

ধরুন আপনাকে কেউ অপহরণ করল. আটকে রাখল অজানা কোন জায়গায়. কিংবা জিম্মি করল কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য. হয়তো আপনাকে মেরে ফেলাটাই অপহরণকারীদের লক্ষ্য. পুলিশ আপনার খোঁজ পাচ্ছে না. এদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় অস্থির হয়ে আছে আপনার স্বজনরা. এক পা দুই সপ্তাহ পার হয়ে হয়তো আপনাকে উদ্ধার করা হল. এই কয়েকটা দিন আপনি সূর্যের আলো দেখেননি. বন্দি অবস্থায় এক একটা ঘন্টাকেই আপনার কাছে মনে হয়েছে এক একটা মাসের মতো লম্বা. মুক্তির পর অপহরণকারীদের প্রতি কেমন অনুভূতি কাজ করবে আপনার? হাতের কাছে পেলেই তাদেরকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে তাই না? কিন্তু সেটা না করে বাড়ি ফেরার পর আপনি যদি সেই অপহরণকারীদের প্রশংসা শুরু করেন?


তাহলে লোকজন আপনার দিকে কুঁচকে তাকাবে বৈকি? আপনি যদি অপরাধের তদন্তে পুলিশকে ঠিকমতো সাহায্য না করেন, আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই কিন্তু স্বাভাবিক. তার চেয়েও অবাক করার মতো ব্যাপার. কখন ঘটবে জানেন? যখন আদালতে গিয়ে আপনি বলবেন. আপনাকে যারা অপহরণ করেছিল তাদের প্রতি আসলে আপনার কোন অভিযোগ নেই. আপনি তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করতে চান. কি ভাবছেন? এমন পাগলামি আপনি কেন করবেন? পাগলামি বলুন আর যাই বলুন. পৃথিবীর বুকে অনেক মানুষ অজস্র বার এমন কীর্তির জন্ম দিয়েছে. যেখানে কোনো অপরাধের শিকার হয়েও অপরাধের প্রতি সীমাহীন দয়া অনুভব করেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি মনোবিজ্ঞান মানুষের এই বিরল মানসিক অবস্থার নাম দিয়েছে স্টক হোম সিন্ড্রম। এই নামকরণের ইতিহাস খুঁজতে গেলে আমাদেরকে প্রায় ঊনপঞ্চাশ বছর আগের একটা ঘটনায় ফিরে যেতে হবে. উনিশশো তিয়াত্তর সাল. সুইডেনের রাজধানী স্টক হোম. দিনটি ছিল তেইশে আগস্ট. সেই সময় স্টক হোমের সবচেয়ে ব্যস্ততম ব্যাঙ্ক ছিল ক্রেডিট ব্যাঙ্ক যেটি এখন নাম পরিবর্তন করে নডিয়া ব্যাংক হয়ে গেছে. সেই ব্যাংকে দলবল নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আক্রমণ করল জেন, এরিক, ঔলসন নামের কুখ্যাত এক ডাকাত দল । এই ডাকাতকে সুইডেনের পুলিশ অনেকদিন ধরেই খুঁজছিল। কর্ম চঞ্চল তখন শহর মানুষজন ব্যাংকে এসেছে যার যার লেনদেন করতে এরই মধ্যে এরিক এবং তার এক সহযোগী অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ল ব্যাংকে। সদর দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে । print এবং electronic মিডিয়ার সাংবাদিকদের হুড়োহুড়ি লেগে গেলো টিভি চ্যানেল গুলো শুরু করলো সরাসরি সম্প্রচার । ঘটনাটা মুহূর্তে টক অফ দা টাউনে পরিণত হয়ে গেল । আমেরিকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লো এই সংবাদ. জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হলো সুইডেনে. তখন ব্যাংকগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব বেশি শক্ত ছিল না. এ কারণে অস্ত্র নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়তে তেমন কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি এরিক কে. 


ব্যাংকের ভেতর কয়েকজনকে জিম্মি করার পর এরিক তার চাহিদার কথা জানালো বাইরে থাকা পুলিশ এবং সংবাদকর্মীদের. প্রথমত তার বন্ধু ক্লার্ক অলুপসনকে এনে দিতে হবে তার কাছে. যে কিনা নিজেও একজন ডাকাত ছিল. পাশাপাশি তাদেরকে তিন মিলিয়ন সুরিস প্রোনার দিতে হবে. বুলেট প্রুফ জ্যাকেট লাগবে, লাগবে অস্ত্র, হেলমেট এবং দ্রুত গতি সম্পন্ন গাড়ি এগুলো আজকের মধ্যে না পেলে সে জিম্মিদের মধ্য থেকে একজন একজন করে গুলি করে মারতে শুরু করবে. পুলিশের পক্ষে ডাকাতদের সব দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না. কারণ প্রথমত ডাকাতের কথাকে বিশ্বাস করা যায় না। নিজের চামড়া বাঁচাতে সে যে কাউকে মেরে ফেলতে পারে. তাছাড়া বাড়তি অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং গাড়ি তার হাতে তুলে দেওয়া মানে তাকে সেঁধে সেঁধে পালানোর পথ করে দেয়. এদিকের বন্ধু ক্লার্ককে এনে দেওয়া হল. দুই বন্ধু মিলে শলা পরামর্শ করতে থাকলো ব্যাংকের  ভেতরে বসে । আর বাইরে পুলিশ সব কষতে থাকলো কিভাবে ক্ষয়ক্ষতি না করে জীবিত অবস্থায় ডাকাতদের গ্রেফতার করা যায় সেটা নিয়ে । সেই ডাকাতের ঘটনা কতটা আলোড়ন তুলেছিল গোটা সুইডেনে সেটা বুঝতে পারবেন যখন জানবেন স্বয়ং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ইন্টারফেয়ার করেছিলেন এই কেসে. তিনি নিজে ফোনে কথা বলেছিলেন দুই ডাকাত এরিক এবং ক্লার্কের সাথে. ব্যাঙ্কের এক নারী অফিসার যে কিনা ডাকাতদের হাতে জিম্মি ছিল তার সাথেও কথা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর. এদিকে ডাকাতরা তাদের দাবি পূরণের জন্য চাপ দিয়েই যাচ্ছে. অন্যদিকে পুলিশ সময় নিচ্ছে। শ্বাসরুদ্ধকর একটা অবস্থা । এভাবেই কেটে গেলো ছয় ছয়টি দিন ।


 অবশেষে জিম্মি হবার একশো একত্রিশ ঘণ্টা পর আঠাশ অক্টোবর উদ্ধার করা হলো সবাইকে । আর কোনো উপায় না পেয়ে গ্যাস বোমা ছুঁড়ে পুলিশ সবাইকে অজ্ঞান করে ফেলে ছিল. তারপর কমান্ডোদের একটা দল ব্যাঙ্কের পেছন দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে. ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয় আর জিম্মিদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে. সবাই ভেবেছিল ডাকাতেরা গ্রেফতার হয়েছে ঝামেলা মিটে গেল । ঝামেলা হাসলে তখন কেবল শুরু হয়েছে. উদ্ধারের পর সাংবাদিকরা যখন জিম্মিদের সাক্ষাৎকার নিতে গেলেন তখন তারা অবাক হয়ে আবিষ্কার করলেন ডাকাতদের ব্যাপারে কোন ধরনের ঘৃণা বা ক্ষোভ নেই এই লোকগুলোর মধ্যে বরং অপহরণকারীদের প্রতি তাদের ছিল সমর্থন এবং সহানুভূতি। ক্রিশ্চান এনমার্ক নামের এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তা তো ডাকাতদের প্রশংসা করে এমনটাও বলেছিলেন যে রাতে তিনি যখন শীতে কাঁপছিলেন তখন এরিক নামের ডাকাতটি তার গায়ে নিজের উল জ্যাকেট ঝরিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ যখন ডাকাত দুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিল তখন জিম্মিরা তাদের সাথে হ্যান্ডশেক করে বিদায় দিয়েছিল. এমন দৃশ্য সিনেমাতেও দেখা যায় না. আরেক নারী জিম্মি পরে ডাকাতের একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান. ভাবা যায়. চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর মনোবিজ্ঞানীরা আক্রান্ত ব্যক্তির সার্বিক মনের অবস্থাকে বোঝাতে একে স্টক হোম সিন্ড্রম বলে আখ্যায়িত করেন । উনিশশো চুয়াত্তর সালে এটি অভিধানে সংযুক্ত হয় । অবশ্য অপহরণকারী বা অত্যাচারের প্রতি নির্যাতিতে এই ভালোবাসার এটিই কিন্তু প্রথম নিদর্শন নয় । এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে তখন এদিকে ক্যাপচার বন্ডিং সিন্ড্রম নামে ডাকতেন মনোবিদরা। 


সুইডেনের স্টক হোমে  কুখ্যাত সেই ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার পরই স্টকহোম সিন্ড্রম নামে এটি পৃথিবী জুড়ে পরিচিতি পায় । স্টকহোম সিন্ড্রমের সর্ব প্রথম লক্ষণ হচ্ছে অপহরণকারীর প্রতি সহাবস্থান সমর্থন কিংবা সহানুভূতি । একই সাথে পুলিশ বা অন্যান্য ব্যক্তি যারা ওই অপরাধীদের বিপক্ষে অবস্থান করছেন তাদের প্রতি একটা বিরুদ্ধ মনোভাব ভিক্টিমের মনে জেগে ওঠে । সে অপহরণকারীকে বন্ধু এবং পুলিশ এবং অন্যান্যদের শত্রু হিসেবে ভাবতে থাকে । এই মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা পণবন্দির মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে এবং এটি কয়েকদিন সপ্তাহ মাস এমনকি কয়েক বছর ধরে বন্দিত্ব বা নির্যাতনের পরেও বিকশিত হতে থাকে। ভয় আতঙ্ক বা ঘৃণার পরিবর্তে জিম্মি এক্ষেত্রে তার বন্দিকারীর প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শুরু করে. ধীরে ধীরে বন্দি জিম্মিকারের উদ্দেশ্যকে নিজের উদ্দেশ্য বলে ভাবতে শুরু করেন. তাদের কাজে সাহায্য পর্যন্ত করে থাকেন. স্টক হোম সিন্ড্রম নামটার জন্মের অনেক বছর আগের কথা. উনিশশো তেত্রিশ সালে মেরি ম্যাকউলোরি নামের পঁচিশ বছরের এক যুবতীকে চারজন লোক অপহরণ করে. মিরির বাবা ধর্নাঢ্য রাজনীতিবিদ হওয়ায় তার কাছে ষাট হাজার ডলার মুক্তিপণ দাবি করা হয় এবং দর কষাকষি করে ত্রিশ হাজার ডলার দেওয়ার পর তারা মেরিকে ছেড়ে দেয় পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে তিনজন কিডনাপার গ্রেপ্তার হয় এবং তাদের শাস্তিও হয় কিন্তু মেরি আদালতে দাঁড়িয়ে সেই কিডনাপারের পক্ষ নেয়।


 একই সাথে তাদের শাস্তি কমানোর জন্য অনুরোধ করেন বিচারকের কাছে. মেরির উকিল থেকে শুরু করে বিচারক পর্যন্ত সবাই হতভম্ব হয়ে যায়. পরবর্তী বছরগুলোতে মেরি রুটিন হয়ে গিয়েছিল জেলখানায় বন্দি ওই লোকগুলোকে দেখতে যাওয়া এবং তাদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া. জেলখানায় কেউই ভালো থাকে না. ওই বন্দিরাও ভালো ছিল না. কিন্তু তাদের এই ভালো না থাকা মেরি মানতে পারেননি. উনিশশো-চল্লিশ সালের একুশ জানুয়ারি মেরি আত্মহত্যা করেন. তার সুইসাইড নোটে লেখা ছিল. আমাকে যে চারজন অপহরণও করেছিল, সেই চারটা মানুষ ছাড়া পৃথিবীর প্রত্যেকে আমাকে বোকা এবং গর্ধব ভাবতো. ওই চারজনই শুধু আমাকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে সম্মান করেছিল. তাই ওদেরকে আমি ভালোবাসি. 



অপরাধের শিকার হবার পরেও কেন অপরাধের প্রতি এত ভালোবাসা জন্মায়।  এই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা কঠিন কারণ এই কেস এতটাই কম যে স্টাডি করার খুব বেশি সুযোগ এখনো মেন্টাল হেলথ অর্গানাইজেশনের পক্ষে সম্ভব হয়নি তারপরেও মনোবিদরা বলছেন পরিস্থিতির কারণে আবেগের পরিবর্তন এই সিনড্রোম তৈরী করে। যখন কেউ অপহৃত হন তখন তিনি মারাত্মক ভয় ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যান। স্বাভাবিকভাবেই এই সময় তার মনে মৃত্যু ভয়ের জন্ম হয় । একজন মানুষকে যখন জিম্মি করা হয় তখন অবচেতন মনে এসে ভেবে নেয় তার ওপর অকথ্য নির্যাতন করা হবে তাকে তীব্র যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং শেষমেষ মেরেও ফেলা হবে. এ সময় অপহরণকারী যদি কঠোর আচরণের পরিবর্তে জিম্মির প্রতি দয়াশীল কোন আচরণ করেন তাহলে একটা সৎ কাজ করে জিম্মির মনে. তাকে মহান ব্যক্তি । মানে অপহরণকারীকে মহান ব্যক্তি হিসেবে ভাবতে শুরু করেন জিম্মি. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অপহরণকারীরা কোন ধরনের সহিংস আচরণ না করে উল্টো বন্দীর সঙ্গে সৎভাব বজায় রাখেন. এসব ক্ষেত্রে বন্দীর সঙ্গে অপরাধীর অদ্ভুত এক মানসিক শান্তি ও বন্ধন সৃষ্টি হয়. অবশ্য মনোবিদদেরই একটা দল আবার স্টক হোম সিন্ড্রমের অস্তিত্বই বিশ্বাস করেন না । তাদের কাছে এগুলো সব ভাওতাবাজি। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হবার পরেও অত্যাচারীর প্রতি নির্যাতিতের মায়া কাজ করছে. গবেষকরা বলছেন এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটে যখন কাউকে অনেকদিন ধরে নির্যাতন করা হয় বা জিম্মি করে রাখা হয়. দীর্ঘ সময় একসঙ্গে থাকার কারণে অপরাধীর সঙ্গে জিম্মি ব্যক্তির একটি মানসিক সংযোগ তৈরি হয়ে যায়।


 অপরাধী ব্যক্তির খারাপ কাজগুলোকে লঘু করে দেখার একটা প্রবণতা জন্মে তার মধ্যে। আবার এই দীর্ঘ সময় ধরে উদ্ধার না পাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমনকি নিজের পরিবারের প্রতিও তার এক ধরনের ঘৃণা জন্মে ।। সে ভাবতে শুরু করে পুলিশ বা তার পরিবার আসলে তাকে উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করছে না. এ কারণেই তাকে এমন পরিস্থিতিতে বাঁচতে হচ্ছে. এখান থেকেও সে অপরাধীর দলেই ভিড়ে যায়.  স্টক হোম সিন্ড্রমের ঘটনাগুলো যে শুধু পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তেমনটা কিন্তু নয় । খোঁজ নিলে দেখবেন আপনার আশেপাশেই এই সিন্ড্রমে আক্রান্ত অনেকেই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে । কিছুটা ভিন্ন কেস হলেও বছরের পর বছর স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েও তার সংসার আগলে রাখা গৃহিণীদের স্টক হোম সিন্ড্রমের আক্রান্ত বলবেন না? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও কিন্তু কোনো রোগ নয়, স্রেফ মানুষের মানসিক অবস্থা বা প্রতিক্রিয়ার একটা বিশেষ রূপ মাত্র, তবে এই জটিল মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যারা যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই ভালো কোনো সাইক্রিয়াটিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত. কারণ দীর্ঘমেয়াদি এই মানসিক অবস্থা মানুষকে ভোগাবে নিশ্চিতভাবে. এখান থেকে উদ্ভব হতে পারে ডিপ্রেশন এবং অ্যানজাইটির মতো সমস্যা. 


থেরাপিতে সাইকোথেরাপিস্ট এবং সাইকোলজিস্ট টকম সিন্ড্রমের ভুক্তভুগীদের কপিং মেকানিজম সম্পর্কে অবহিত করেন কেসিস্ট্রি জেনে নিয়ে তার সাথে কি ঘটেছিল কেন ঘটেছিল সেই ঘটনার পেছনে কার দায় ছিল সেই ঘটনা ভুলে কি হবে জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এসব নিয়েই কাউন্সিল করেন তারা। এক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে পজিটিভ ইমোশন আনাটা কিন্তু খুব জরুরী। কারো মধ্যে স্টক হোম সিন্ড্রমের লক্ষণ দেখলে তাই তাকে কটূক্তি করা থেকে বিরত থাকুন। তার মানসিক অবস্থাটা আপনার বা আমার চেয়ে কিন্তু অনেক বেশি আলাদা। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়.   



মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

লুসিড ড্রিম কাকে বলে ? লুসিড ড্রিম কিভাবে দেখতে হয় ?

 স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভেবেছেন কখনো? নিশ্চয়ই ভাবছেন জেগে জেগে দিবাস্বপ্ন দেখার কথা বলছি না তো? কিন্তু না, রীতিমতো ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নও নিয়ন্ত্রণের কথাই বলছি, আপনার ইচ্ছামত স্বপ্ন দেখবেন। ইচ্ছা মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন। আর পছন্দ না হলে অর্থাৎ দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলে সেটার গতিপথ পাল্টে দেবেন একেবারে নিমেষে। আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় এটা খুবই সম্ভব একে বলা হয় লুসিভ ড্রিম। লুসিড ড্রিমিং এর সাথে আপনারা অনেকেই হয়তো পরিচিত আছেন। অনেকে পরিচিত থাকলেও হয়তো এটা কেন হচ্ছে বা কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে এসবেরই উত্তর মিলবে আজকের এই লিখাতে।   লুসিড ড্রিম অর্থ কি? সহজ বাংলায় অনুবাদ করতে গেলে বলা যায় লুসিড অর্থ পরিষ্কার. অর্থাৎ স্পষ্ট আর dream মানে তো আমরা সবাই জানি যে স্বপ্ন। লুসিড ডিম হলো সেই স্বপ্ন যে আমাদের স্পষ্ট ভাবে মনে থাকে এবং স্বপ্ন চলাকালীন সময়েও আমরা এ উপলব্ধি করতে পারি যে এটি বাস্তব নয় বরং এটি স্বপ্ন কিন্তু শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থ দিয়ে লুসিড ড্রিম ব্যাখ্যা করলে ভুল হবে একটু অন্যভাবে বলা যাক ।  মনে করুন স্বপ্নে আপনি কি পাহাড়ের উপর থেকে দ্রুত গ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান কি ?

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান দু হাজার বারো সালের চৌঠা জানুয়ারি। ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট ফোর চ্যান ডট কম নামের ওয়েবসাইটের বুলেটিন বোর্ডে ছবি সহ একটি ম্যাসেজ পোস্ট করা হয়. ওয়েবসাইটের নীতিমালা অনুযায়ী ছবি প্রকাশকারীর নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়. অজ্ঞাত পোস্ট করি সেই ছবিতে ব্যবহারকারীদের চিত্রের মাঝেই লুকানো একটি বার্তা উন্মোচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানান. সেই মেসেজটিতে লেখা ছিল হ্যালো আমরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের খুঁজছি তাদের খোঁজার জন্য আমরা একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি । এই ছবিতে একটা মেসেজ লুকানো আছে এটাকে খুঁজে বের করো । এটাই তোমাদের আমাদের কাছে নিয়ে আসবে. আমরা সেসব স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিকে দেখার অপেক্ষায় আছি যারা এটি সম্পূর্ণ করতে পারবে. Good luck । আর নিচে ছিল একটি কোড থ্রি থ্রি জিরো ওয়ান. পুরো ইন্টারনেট দুনিয়া তোলপাড় হয়ে গেল যেন হঠাৎ করে. পৃথিবীর সেরা হ্যাকার এবং কোড সমাধানকারীরা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা প্রমানের জন্য এই পরীক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়লো আর এই রহস্যময় ধাঁধার নাম দেওয়া হলো সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান।  সিকাডা অর্থ মত বা ঘুগরি পোকা. ছবি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মাঝেই গ...

সারোগেসি কি ?

সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করা নিয়ে এখনো বহু বিতর্ক আছে. শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই এই পদ্ধতি নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই.  এটার আইনি প্রক্রিয়াও জটিল। কারণ এটি একেক রাষ্ট্রে. শারোগেসি আইন একেক রকম. নারী মা হবেন প্রাকৃতিক নিয়ম সমাজ এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত. কিন্তু কোন কারণে মা হবার ক্ষমতা না থাকলে তাকে পরিবার ও আশপাশ থেকে যে পরিমাণ কটু কথা শুনতে হয় তা সাধারণ মানুষের ধারণারও বাইরে.   সরোগেসি বিষয়টি কি? চিকিৎসা শাস্ত্রের অগ্রগতি এমন মায়েদের সামনে এনেছে যারা গর্ভ ভাড়া দিয়ে নিজে বাঁচেন অন্যদের মাতৃ সুখ দেন । একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলা হয়.সারোগেসির এই  পদ্ধতি বেশ দীর্ঘকালীন. আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়. কিন্তু এখানেও জটিলতা. কেন? সে বিষয়ে পরে আসছি. বাংলাদেশ সহ বহু দেশই এই সারোগেসি একরকম ভাবে নিষিদ্ধ. সুতরাং বিষয় টি  সংবেদনশীল. এমনকি বেশিরভাগ ধর্মেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা. চলুন কথা বলি সারোগেসি মাদার সম্পর্কে। আইভিএফ বা টেস্ট টি...

কিভাবে লিমিটলেস হওয়া যায় ? লিমিটলেস আসলে কিভাবে কাজ করে ?

এনজিটিপিল,  এটা এমন এক পিল যা আপনাকে করবে আল্ট্রা ফোকাসড. দেবে দুর্দান্ত মোটিভেশন. বের করে আনবে আপনার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা. আপনি হয়ে উঠবেন আনস্টপল. বাস্তবতা পাবে প্রতিটি স্বপ্ন. কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এমন কোন পিলের অস্তিত্ব নেই. ফলাফল আপনি আটকে আছেন একটি খাদে. সারাক্ষণ ক্লান্তি নিয়ে হয়ে উঠছেন আনপ্রোডাক্টিভ. নষ্ট হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি. সময় গড়িয়ে যায়. ঋতুর পরিবর্তন ঘটে. কিন্তু আপনি ডুবে থাকেন এক হতাশায় যাতে আপনি দিন দিন পিছিয়ে পরছেন. আপনি যা যা এতদিন অর্জন করবেন ভেবেছিলেন তা কিছুই আপনি অর্জন করতে পারেননি । নিজেকে সান্তনা দিচ্ছেন আগামীকাল হবে ভিন্ন। কিন্তু তা কখনোই হয়ে ওঠে না এখন যদি আপনাকে বলি কোনো জাদুকরী পিলের সাহায্যে নয় বাস্তবিক লিমিটলেস হয়ে ওঠা সম্ভব।  একদম প্রমাণিত পদ্ধতিতে যা একেবারে ফ্রিতে ব্যবহার করা সম্ভব.  তো আছেন তো শেষ পর্যন্ত ?  Limit less হওয়ার যাত্রায় ।  স্টেপ ওয়ান : এনার্জি--  মাত্র কয়েক মাস আগে আমি নিজেও আপনার মতো কর্মশক্তিহীন অনুভব করতাম. সামান্য কাজেই আসতো অবসন্নতা, গেয়ে ধরতো ক্লান্তি একদিন হঠাৎ টের পেলাম আমি নিজেই নিজের energy নি...

পেগাসাস স্পাইওয়ার কি ?

গত কিছুদিন ধরেই বিশ্ব রাজনীতি এবং প্রযুক্তি জগৎ এই দুই জায়গাতেই আলোচনার বিষয়বস্তু একটাই। সেটা হচ্ছে পেগাসাস স্পাইওয়ার. বিশ্বজুড়ে নানান দেশের মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আইনজীবী ও রাজনীতিকদের ফোনের নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ইজরায়েলের বেসরকারি কোম্পানি nso গ্রুপের তৈরি করা এই সফটওয়্যার নিয়ে এখন তুমুল তরজা চলছে দুনিয়া জুড়ে । চলুন কথা বলি দুনিয়া ওলট পালট করে দেওয়া স্পাইওয়ার সম্পর্কে । পেগাসাস মূলত একটি নজরদারি বিষয়ক সফটওয়্যার । ইজরাইলের সংস্থা এনএসও ই সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যা দিয়ে যে কারো মোবাইলে আড়ি পাতা যায়. এটা কিন্তু সাধারণ কোন নজরদারি নয়. আগে ফোনে আড়ি পেতে শুধু দুই প্রান্তের কথাবার্তা শোনা যেত. আর সফটওয়্যারের মাধ্যমে গোটা ফোনটারই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হ্যাকাররা. ফোনের কথাবার্তা WhatsApp এর চ্যাট, ছবি, ফোনে কি কি তথ্য আছে সবই জানা যায়. আরো ভয়ানক ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল যিনি ব্যবহার করছেন তিনি জানতেই পারেন না যে তার ফোন হ্যাক করা হয়েছে. সমস্ত তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কাছে. কিন্তু কারো ফোনে পেগাসাস software install করতে হলে তো সেই ফোনটাকে...

রেট রেস কি ?

      আপনি ঠিক কখন ইঁদুর দৌড়ে যোগ দিয়েছেন এটা হিসাব করা কঠিন. কিন্তু নিশ্চিত থাকুন আপনি এই দৌড়ে আছেন. ক্লাস eight এ পড়ার সময়ের কথা মনে আছে? সামনে বৃত্তি পরীক্ষা পাটিগণিত বীজগণিতের অংক প্যাঁচ লাগাচ্ছে বিজ্ঞানের জটিল সব সূত্র ভোরে ওঠে প্রাইভেট টিউটরের বাসায় ছোটা রাত জেগে পড়াশোনা. বয়সের তুলনায় অনেক বেশি কর্ম ব্যস্ত একটা সময় নিশ্চয়ই কাটিয়েছেন তখন? আমরা সবাই কাটিয়েছি. সেই সময় নিশ্চয়ই অভিভাবক বলেছে এই তো আর কটা দিন. বৃত্তি পরীক্ষা শেষ হলেই জীবন শান্তি আর শান্তি. জীবনের নানা এপিসোডে আপনি এই কথাগুলো শুনেছেন অনেকবার অনেকের মুখে. এসএসসি পরীক্ষাটা দাও, কলেজে উঠলেই তো স্বাধীনতা. একবার ভার্সেটিতে উঠতে পারলেই জীবন হবে আনন্দে ভরপুর. একবার জব লাইফে ঢোকো. নিজের টাকায় আয়েশ করার মজাই অন্যরকম. শুনেছেন না এসব?  বয়স ঘড়ির ত্রিশের প্রান্তে দাঁড়িয়ে হিসেবগুলো মেলাতে পারেন কি? কি মনে হয়? এই এপিসোডগুলোর কোনোটা পার হবার সময় জীবন খানিকটা হলেও সহজ হয়েছে? সুন্দর হয়েছে? হয়নি, হবেও না, মিথ্যা একটা মরীচিকার আশায় আমরা ছুটেছি ঠিকই আমাদের ছোটানো হয়েছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি ছুটত...

ডাচ ডিজিজ কি ? অর্থনীতি কিভাবে রোগে ভুগতে পারে ?

সো হোয়াট দ্য হেল দিস ডাচ ডিজিজ? ডাচ ডিজিজ শব্দটা শুনলে আপনার স্বাভাবিক ভাবেই মনে হবে এটা কোন রোগের নাম । হ্যাঁ এটা একটা রোগ. তবে মানুষের নয়. কোন প্রাণীরও নয়. তাহলে? এটা মূলত অর্থনীতির একটা সিন্ড্রোম. কিন্তু অর্থনীতির টার্মের সঙ্গে ডিজিজ কথাটা যুক্ত হল কেন? ডাচ বা নেদারল্যান্ড দেশটারই বা কি ভূমিকা এতে?  না এটা বুঝতে আপনাকে অর্থনীতির ছাত্র হতে হবে না ।কিন্তু বিষয়টা বেশ মজার দু হাজার সতেরো সালে বুকিং ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ডাচ ডিজিজ এন্ড ইকোনমিক ইলনেস ইজি টু ক্যাচ ডিফিকাল্ট টু কিওর শিরোনামের আর্টিকেলের শুরুতেই বলা হয়ে ছিল- what a persistantly low oil price, dose to oil richan prises like what a long cold winter dust to people একথার তাৎপর্য কি?  সহজ বাংলায় বুঝিয়ে বলা যায় যদি বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে তেলের দাম কমতে থাকে তখন তেল সমৃদ্ধ তেলের ওপর ভাবে নির্ভরশীল দেশগুলোর অর্থনীতি নানান সমস্যায় ভুগতে পারে. এখানে তেল একটা রূপক মাত্র. তেলের জায়গায় চাল, ডাল, লবণ, চিনি যেকোনো কিছুই হতে পারে. হতে পারে কোন শিল্প যেমন টেক্সটাইল গার্মেন্টস বা ইনফরমেশন টেকনোলজিও. মূল বিষয়টা হচ্ছে...