স্কুলে পড়ার সময় সহপাঠীর সাথে একবার তার ঝগড়া হয়েছিল. ছেলেটা তক্কে তক্কে ছিল. পরদিন স্কুল ছুটির পরেই বাঘে বেয়ে শায়েস্তা করবে প্রতিপক্ষকে. কিন্তু যার সাথে তার ঝগড়া সে আরো বড় মাস্টার প্ল্যান করে রেখেছিল. নিজের কয়েক বন্ধুকে ডেকে এনে বেদম পিটিয়েছিলো ছেলেটাকে. এই ছেলেটা যার গল্প আমরা আজ বলবো সেই ছোট্ট বয়সেই দারুণ দুটো শিক্ষা পেয়েছিলো. এক হচ্ছে প্রতিপক্ষকে কখনো বোকা ভাবতে নেই. তারা সবসময় তোমার চেয়ে এক কদম এগিয়ে থাকার চেষ্টা করবে. কাজেই তুমি চেষ্টা করো দুই কদম সামনে থাকার. আর দ্বিতীয় শিক্ষাটা হচ্ছে-- এই লড়াই যদি অনিবার্য হয় তাহলে অবশ্যই প্রথম আঘাতটা তোমাকেই করতে হবে । নইলে খাইল হয়ে যেতে হবে কোন এক দুর্বল মুহূর্তে । সেই ছেলেটার নাম ছিল ব্লাদিমির পুতিন।
হ্যাঁ রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে যাকে অভিহিত করলে খুব বেশি মানুষ দ্বিমত পোষণ করবে না বলে মনে হয়. নিম্ন মধ্যবিত্ত এক পরিবার থেকে উঠে এসে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন ব্লাদিমির পুতিন। পুরো জার্নিতে তার মাথার উপর মেন্টর বা রাজনৈতিক গুরু টাইপের কেউই ছিল না. তিনি লড়েছেন. লড়তে লড়তে শিখেছেন. আর সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ওপরের সিঁড়ি ভেঙেছেন. তিনি আঘাত পেয়েছেন. পরাজিত হয়েছেন. ধ্বংসস্তূপে বসে পরিকল্পনা করেছেন বিজয়ের. নিজের স্বভাব বিরুদ্ধ আচরণ করে বছরের পর বছর পশ্চিমা আধিপত্যর বিপরীতে নীরব থেকেছেন. একদিন মরণ কামড় দেবেন বলে. নিজ দেশে গণমাধ্যমের অধিকার কুখিগত করা থেকে ক্রিমিনা দখল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিকার রাখা থেকে শুরু করে ইউক্রেন আক্রমণ বা রাশিয়ার নিউ জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হউয়া. সবকিছু মিলিয়ে ব্লাদিমির পুতিন নামের এই মানুষটা আসলে অনেক বেশি বর্ণময় এক চরিত্র। রহস্যমানব বললেও ভুল হবে না তাকে. জন্ম উনিশশো বাহান্ন সালে. রাশিয়ার লেলিন রাজ শহরে এখন যে জায়গাটাকে সবাই সেন পিটাস বার্গ নামে চেনে. শৈশবটা খুব বেশি আনন্দময় ছিল না. তাকে লড়তে হয়েছে অভাবের সঙ্গে.
পুতিন যেই সময়টাতে বেড়ে উঠেছেন রাশিয়ায় তখন কেজিবি এজেন্টদের প্রচন্ড সম্মানের চোখে দেখা হত। তারা দেশের জন্য পরিচয় গোপন করে কাজ করেন প্রাণের ঝুঁকি নেন অকাতরে । এক একজন এজেন্ট তখন জাতীয় বীর । আরো অজস্র শিশুর মতো পুতিনেরও স্বপ্ন ছিল তিনি বড় হয়ে কে জিবিতে যোগ দেবেন । কিন্তু কে জি বি তে যোগ দিতে হলে হয় সেনাবাহিনীর সদস্য হতে হবে। নইলে আইন শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী থাকতে হবে. পুতিন দ্বিতীয় রাস্তাটা বেছে নিলেন. রোমাঞ্চকর এক জীবনের প্রত্যাশায় পুতিন যোগ দিলেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হিসেবে. উনিশশো পঁচাশি সালে রাশিয়া থেকে তাকে বদলি করা হয় পূর্ব জার্মানিতে. স্নায়ু যুদ্ধের অস্থির সময়টা তিনি তৎকালীন পূর্ব জার্মানিতে কেজিবির গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করছিলেন. জার্মানির ড্রেস ড্রেনে তিনি উনিশশো পঁচাশি থেকে উনিশশো-নব্বই পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন. চোখের সামনে কমিউনিস্ট ভাবধারার রাষ্ট্র, পূর্ব জার্মানিকে ভেঙে পশ্চিম জার্মানির স্বার্থে একাত্ম হয়ে যেতে দেখেছেন তিনি. বার্লিন দেয়াল যেদিন ভেঙে পড়লো সেদিন পুতিনের মতো কষ্ট খুব কম মানুষই পেয়ে ছিলেন.
তার চেয়ে কষ্ট তিনি পেয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পরে. যেটাকে তিনি উল্লেখ করেছেন বিংশ শতাব্দীতে ঘটার সবচেয়ে অনভিপ্রেত এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা হিসেবে. সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গন পুতিন আজও মেনে নিতে পারেন নি . হয়তো মনে মনে সেদিন শপথ করেছিলেন যেভাবেই হোক একদিন সোভিয়েত ইউনিয়নকে আবার এক করবেন তিনি। মাথা তুলে দাঁড়াবেন ইউরোপ এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে. সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য আঙুল বাঁকা করতেও দ্বিধা করবেন না. আর তাইতো? গোয়েন্দার চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে নামবেন বলে মনস্থির করলেন. তখনও তিনি লেনিন গড়াদেই থাকেন. তবে পাখির চোখ মস্কোতেই থাকলো। কারণ রাজধানীতে যেতে না পারলে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে কখনোই যাওয়া হবে না। উনিশশো ছিয়ানব্বই সালে মস্কোতে চলে এলেন পুতিন। সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন. বরিস সিএসসিন তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট. উনিশশো সাতানব্বই সালে পুতিনের ডাক পড়ল ক্রীমলিনে.
প্রেসিডেন্টের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হল তাকে. এর মাঝে সময়টাও লেলিন গ্রাদের মেয়র আনাতুলির ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন পুতিন। তার পরামর্শ হিসেবে কার্য করেছেন বছর দুয়েক. তবে সময়ের পাকে সবচাকের পতন ঘটলেও প্রতি নিজের অবস্থান ঠিকই ধরে রাখতে পেরেছিলেন. ক্রেমলিনে আসার পরে বরিস সিএসসিনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা হলো পুতিনের. বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুতিন এর সঙ্গে পরামর্শ করে নিতেন তিনি. আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং আইন শাস্ত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকায় প্রতিদিনও তাকে বেশ ভালোই সাহায্য করতে পারতেন. ধীরে ধীরে এই বরিস সিএসসিনের ডান হাত হয়ে উঠলেন ব্লাদিমির পুতিন।. রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলে থাকেন তখনই বরিস সিএসসিন নামে মাত্র প্রেসিডেন্ট ছিলেন. দেশ আসলে চালাতেন পুতিন নিজেই. উনিশশো নিরানব্বই সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন বরিস সিএসসিন । এভাবেই রাজনীতির ময়দানে আবির্ভাব হলো কেজিবি এজেন্ট পুতিনের. তবে চমকের আরো বাকি ছিল তখনও. সে বছরই প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বরিস সিএসসিন ।. দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন পুতিনকে. রাশিয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি হয়ে উঠলেন পুতিন. পরের বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জিতলেন. এবার আর ভারপ্রাপ্ত নয়. নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবেই দেশ শাসন শুরু করলেন তিনি.
গত তেইশ বছর ধরে রাশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন পুতিন. সুস্থ থাকলে আরো আট থেকে বারো বছর যে তিনি থাকছেনই এটা প্রায় নিশ্চিত. এই তেইশ বছরে পুতিন রাশিয়ার পুরনো ঐতিহ্য আর শক্তিমত্তা ফিরিয়ে আনার মিশনে প্রায় শতভাগ সফল বলা চলে.সোভিয়েত ইউনিয়নের মিলিত শক্তি যতটা ছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার প্রভাব এখন তার চেয়ে কম নয় মোটেও. অনেকেই তাকে ডাকেন রাশিয়ার নতুন জার বা শাসক হিসেবে. লেলিন বা স্ট্যালিনের মতো কিংবদন্তি নেতাদের পাশাপাশি উচ্চারিত হয় পুতিনের নামটাও. রাশিয়ায় টানা দুবারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারে না কেউই. আর এই সাংবিধানিক বাধ্যবতকতার কারণেই দু হাজার আট সালে দীনেদ্রি মেদ্রেদেবের হাতে প্রেসিডেন্টশিপ ছেড়ে দিয়ে পুতিন হলেন প্রধানমন্ত্রী. কিন্তু আসলে মেদ্রেদেবের নতুন প্রেসিডেন্ট ছিলেন. সব ক্ষমতা ছিল পুতিনের হাতেই. দু হাজার বারো সালে পুতিন আবার ফিরলেন প্রেসিডেন্ট পদে সাথে তেষট্টি পার্সেন্ট ভোট. সংবিধান সংশোধন করে এই পদে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করলেন অনেকটা. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো.
নেতা হিসাবে পুতিন বেশ উচ্চাবিলাসী. দুহাজার এক এ হাপাতে থাকা রাশিয়ান অর্থনীতিকে দু হাজার সাত সালে তিনি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতির জায়গায় নিয়ে গেছেন. তার ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক বছরের মধ্যেই GDP র প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছিল সত্তর শতাংশ. তেল এবং গ্যাস রপ্তানি বেড়েছিল অনেকটা. আর রাশিয়াতে বিদেশি বিনিয়োগও এসেছে. তথ্য প্রযুক্তিতে রাশিয়ার সোনালী সময় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রচুর উদ্যোগ নিয়েছেন পুঁতিন। আর তাছাড়া অস্ত্র বিক্রিতেও রাশিয় একদম উপরের কাতারে উঠে এসেছে. সামরিক শক্তিও বেড়েছে অনেকটাই দেশটির. আস্ত একটা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে ফেলেছেন তিনি. কোনরকম ঝুট ঝামেলা ছাড়াই. দু হাজার চোদ্দ সালে রাশিয়ায় পুতিনের জনপ্রিয়তা ছিল পঁচাশি শতাংশ. রাশিয়ার ইতিহাসে আর কোনো president নিজের শাসন আমলে এত বেশি জনপ্রিয় কোনো দিনই ছিলেন না. তবে তার বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ আছে ।
একক ভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন তিনি. এটা তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ. রাশিয়ায় তার জনপ্রিয়তাও কমেছে ঠিক এই কারণে. বিরোধীদের ওপর দমন, পীড়ন করেন তিনি. আর তার ঘনিষ্ঠ লোকজনকে বসান উঁচু পদে. বিশেষ সুবিধা দেন. এসব অভিযোগও প্রায়শই ওঠে.
পানামা পেপারসে তার স্বজন এবং বন্ধুদের দুর্নীতির খবরও প্রকাশিত হয় কিছুদিন আগে. তার বান্ধবীর শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায় বিশ্বের আনাচে কানাচে। ফোর্ব্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল রাশিয়ায় যেসব ধর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ব্যবসায়ীরা পুতিনের বিরোধী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে শাস্তি দিয়ে তাদের সম্পত্তি জব্দ করেছেন তিনি নিজেই। পুতিন নাকি ব্যবসায়ীদের অফার দিতেন। তুমি আমাকে তোমার সম্পদের অর্ধেক দিয়ে দাও. বাকি অর্ধেক রক্ষার দায়িত্ব আমার. আর যদি তা না করো তবে সব সম্পত্তি আমার. আর তুমি থাকবে জেলে. পুতিনের অবৈধ সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো ফোর্বর্সের সাংবাদিক পল, ক্লিপনিক অফ কে গুলি করে খুন করা হয়েছিল মস্কোর রাস্তায়.
অভিযোগের আঙুল পুতিনের দিকে. কারণ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কোন অগ্রগতি হয়নি. ক্ষমতায় আরোহন করা থেকে আজ পর্যন্ত পুতিনের শাসনকাল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে. তিনি বরাবরই ধীরে চলো নীতিতে এগিয়েছেন শক্তি সঞ্চয় করেছেন আর অস্ত্রের পরিবর্তে মাথা দিয়ে লড়েছেন । শুরুর সময়টাই তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছেন। তাদের সমর্থন দিয়েছেন সমর্থন আদায়ও করে নিয়েছেন । পুতিন আগে ঘর গুছিয়েছেন যখন নিশ্চিত হয়েছেন যে রাশিয়ায় তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনো শক্তি নেই । তখন তিনি মনোযোগ দিয়েছেন বাইরে । প্রিমিয়ার দখল হোক কিংবা সিরিয়ায় বাসারাল আসাদকে সমর্থন দিয়ে পুরো পরিস্থিতিটা নেটো জোটের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অথবা ভোর রাতে ইউক্রেন আক্রমণ করে সবাইকে হতভম্ব করে দেওয়া। পুতিন সব সময়ই masters রোগ সব চাল দিয়েছেন. বাজিমাত করে ধরাশায়ী করেছেন প্রতিপক্ষকে. দুম করে কাউকে কিছু ইঙ্গিত না দিয়ে ক্রিমিয়ার দখল করে তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন. সেই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছেন. রাশিয়া এখন যা খুশি করতে পারে কারো ধার ধারে না. তারই ধারাবাহিকতায় আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাদের ঘোষণা করা দিনে ইউক্রেনে আক্রমণ করেননি পুতিন। . বরং সেই গোয়েন্দার প্রতিবেদন নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছেন. সবাই যখন ভেবেছে ইউক্রেন আক্রমণের ভূত পুতিনের মাথা থেকে নেমেছে. তখনই এই হামলা চালিয়েছেন তাও আবার ভোরবেলায় যখন অর্ধেক দুনিয়া ঘুমে আর সেনাদের সিডিউল বদলের সময় । সকালে ঘুম থেকে উঠে পশ্চিমাবিশ্ব অবাক হয়ে দেখেছে পুদিনের মাস্টার স্ট্রোক । পুতিন চাইলে এক সপ্তাহে ইউক্রেনকে কব্জা করাটা কোন ব্যাপারই ছিল না. কিন্তু তাঁর মাথায় অন্য কোন প্ল্যান নিশ্চয়ই আছে. তিনি ইউক্রেনকে নিয়ে ঠিক সেভাবেই খেলছেন. খাঁচায় বন্দি ইঁদুরকে নিয়ে যেভাবে বিড়াল খেলে বেড়ায়. দু হাজার ষোল সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো অর্বাচীন নেতাজি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলেন. তার পেছনে অনেকে পুতিনের ভূমিকা দেখেন.
তিনি চাননি বিশ্ব নেতা তার বিপরীতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শক্ত পোক্ত কেউ থাকুক. নির্বাচনের ঠিক আগে আগে হিলারের ইমেল স্ক্যান্ডাল ফাঁস করার পেছনে রাশিয়ার হাত ছিল. এটা তো খোদ CIA গোয়েন্দারাই অভিযোগ করেছেন. সব মানুষের মধ্যেই ভালো মন্দের মিশেলে দ্বৈত একটা সত্তা বাস করে । পুতিন কোনো ফেরেস্তা নন তিনি মানুষ তিনি ভুল করেন অন্যায় করেন তার সিদ্ধান্তের বলি হতে হয় শত শত নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিয়ে । সিরিয়াতে বাসার আল আসাদকে সাহায্য করেছেন পুতিন। সেখানে বাসারের সেনাদের হাতে নিহত হাজার হাজার নিরীহ মানুষের অসহায় মৃত্যুর দায় থেকে তিনি মুক্তি পাবেন না. ইউক্রেনও নিরীহ মানুষ মরছে. আবারও রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে পুতিনের হাত. তবে সবকিছু একপাশে রেখে এটা বলতে কোনো সমস্যা নেই যে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি এবং ধুরন্ধর রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পুতিনের প্রতিপক্ষ এখন কেবল পুতির নিজেই. সময় এখন পুতিনের. সেটা বললেও ভুল হবে না একটুও.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন