সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পুতিনের উত্থান পতনের গল্প । কেজিবির এজেন্ট থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেণ্ট হয়ে যাওয়ার গল্প ।

স্কুলে পড়ার সময় সহপাঠীর সাথে একবার তার ঝগড়া হয়েছিল. ছেলেটা তক্কে তক্কে ছিল. পরদিন স্কুল ছুটির পরেই বাঘে বেয়ে শায়েস্তা করবে প্রতিপক্ষকে. কিন্তু যার সাথে তার ঝগড়া সে আরো বড় মাস্টার প্ল্যান করে রেখেছিল. নিজের কয়েক বন্ধুকে ডেকে এনে বেদম পিটিয়েছিলো ছেলেটাকে. এই ছেলেটা যার গল্প আমরা আজ বলবো সেই ছোট্ট বয়সেই দারুণ দুটো শিক্ষা পেয়েছিলো. এক হচ্ছে প্রতিপক্ষকে কখনো বোকা ভাবতে নেই. তারা সবসময় তোমার চেয়ে এক কদম এগিয়ে থাকার চেষ্টা করবে. কাজেই তুমি চেষ্টা করো দুই কদম সামনে থাকার. আর দ্বিতীয় শিক্ষাটা হচ্ছে--  এই লড়াই যদি অনিবার্য হয় তাহলে অবশ্যই প্রথম আঘাতটা তোমাকেই করতে হবে । নইলে খাইল হয়ে যেতে হবে কোন এক দুর্বল মুহূর্তে । সেই ছেলেটার নাম ছিল ব্লাদিমির পুতিন।


 হ্যাঁ রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে যাকে অভিহিত করলে খুব বেশি মানুষ দ্বিমত পোষণ করবে না বলে মনে হয়. নিম্ন মধ্যবিত্ত এক পরিবার থেকে উঠে এসে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন ব্লাদিমির পুতিন। পুরো জার্নিতে তার মাথার উপর মেন্টর বা রাজনৈতিক গুরু টাইপের কেউই ছিল না. তিনি লড়েছেন. লড়তে লড়তে শিখেছেন. আর সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ওপরের সিঁড়ি ভেঙেছেন. তিনি আঘাত পেয়েছেন. পরাজিত হয়েছেন. ধ্বংসস্তূপে বসে পরিকল্পনা করেছেন বিজয়ের. নিজের স্বভাব বিরুদ্ধ আচরণ করে বছরের পর বছর পশ্চিমা আধিপত্যর বিপরীতে নীরব থেকেছেন. একদিন মরণ কামড় দেবেন বলে. নিজ দেশে গণমাধ্যমের অধিকার কুখিগত করা থেকে ক্রিমিনা দখল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিকার রাখা থেকে শুরু করে ইউক্রেন আক্রমণ বা রাশিয়ার নিউ জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হউয়া. সবকিছু মিলিয়ে ব্লাদিমির পুতিন নামের এই মানুষটা আসলে অনেক বেশি বর্ণময় এক চরিত্র।  রহস্যমানব বললেও ভুল হবে না তাকে. জন্ম উনিশশো বাহান্ন সালে. রাশিয়ার লেলিন রাজ শহরে এখন যে জায়গাটাকে সবাই সেন পিটাস বার্গ নামে চেনে. শৈশবটা খুব বেশি আনন্দময় ছিল না. তাকে লড়তে হয়েছে অভাবের সঙ্গে. 

পুতিন যেই সময়টাতে বেড়ে উঠেছেন রাশিয়ায় তখন কেজিবি এজেন্টদের প্রচন্ড সম্মানের চোখে দেখা হত। তারা দেশের জন্য পরিচয় গোপন করে কাজ করেন প্রাণের ঝুঁকি নেন অকাতরে । এক একজন এজেন্ট তখন জাতীয় বীর । আরো অজস্র শিশুর মতো পুতিনেরও স্বপ্ন ছিল তিনি বড় হয়ে কে জিবিতে যোগ দেবেন । কিন্তু কে জি বি তে যোগ দিতে হলে হয় সেনাবাহিনীর সদস্য হতে হবে। নইলে আইন শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী থাকতে হবে. পুতিন দ্বিতীয় রাস্তাটা বেছে নিলেন. রোমাঞ্চকর এক জীবনের প্রত্যাশায় পুতিন যোগ দিলেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হিসেবে. উনিশশো পঁচাশি সালে রাশিয়া থেকে তাকে বদলি করা হয় পূর্ব জার্মানিতে. স্নায়ু যুদ্ধের অস্থির সময়টা তিনি তৎকালীন পূর্ব জার্মানিতে কেজিবির গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করছিলেন. জার্মানির ড্রেস ড্রেনে তিনি উনিশশো পঁচাশি থেকে উনিশশো-নব্বই পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন. চোখের সামনে কমিউনিস্ট ভাবধারার রাষ্ট্র, পূর্ব জার্মানিকে ভেঙে পশ্চিম জার্মানির স্বার্থে একাত্ম হয়ে যেতে দেখেছেন তিনি. বার্লিন দেয়াল যেদিন ভেঙে পড়লো সেদিন পুতিনের মতো কষ্ট খুব কম মানুষই পেয়ে ছিলেন.


 তার চেয়ে কষ্ট তিনি পেয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পরে. যেটাকে তিনি উল্লেখ করেছেন বিংশ শতাব্দীতে ঘটার সবচেয়ে অনভিপ্রেত এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা হিসেবে. সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গন পুতিন আজও মেনে নিতে পারেন নি . হয়তো মনে মনে সেদিন শপথ করেছিলেন যেভাবেই হোক একদিন সোভিয়েত ইউনিয়নকে আবার এক করবেন তিনি। মাথা তুলে দাঁড়াবেন ইউরোপ এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে. সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য আঙুল বাঁকা করতেও দ্বিধা করবেন না. আর তাইতো? গোয়েন্দার চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে নামবেন বলে মনস্থির করলেন. তখনও তিনি লেনিন গড়াদেই থাকেন. তবে পাখির চোখ মস্কোতেই থাকলো। কারণ রাজধানীতে যেতে না পারলে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে কখনোই যাওয়া হবে না।  উনিশশো ছিয়ানব্বই সালে মস্কোতে চলে এলেন পুতিন। সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন. বরিস সিএসসিন তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট. উনিশশো সাতানব্বই সালে পুতিনের ডাক পড়ল ক্রীমলিনে.

প্রেসিডেন্টের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হল তাকে. এর মাঝে সময়টাও লেলিন গ্রাদের  মেয়র আনাতুলির ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন পুতিন।  তার পরামর্শ হিসেবে কার্য করেছেন বছর দুয়েক. তবে সময়ের পাকে সবচাকের পতন ঘটলেও প্রতি নিজের অবস্থান ঠিকই ধরে রাখতে পেরেছিলেন. ক্রেমলিনে আসার পরে বরিস সিএসসিনের  সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা হলো পুতিনের. বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুতিন এর সঙ্গে পরামর্শ করে নিতেন তিনি. আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং আইন শাস্ত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকায় প্রতিদিনও তাকে বেশ ভালোই সাহায্য করতে পারতেন. ধীরে ধীরে এই বরিস সিএসসিনের ডান হাত হয়ে উঠলেন ব্লাদিমির পুতিন।. রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলে থাকেন তখনই বরিস সিএসসিন নামে মাত্র প্রেসিডেন্ট ছিলেন. দেশ আসলে চালাতেন পুতিন নিজেই. উনিশশো নিরানব্বই সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন বরিস সিএসসিন । এভাবেই রাজনীতির ময়দানে আবির্ভাব হলো কেজিবি এজেন্ট পুতিনের. তবে চমকের আরো বাকি ছিল তখনও. সে বছরই প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বরিস সিএসসিন ।. দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন পুতিনকে. রাশিয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি হয়ে উঠলেন পুতিন. পরের বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জিতলেন. এবার আর ভারপ্রাপ্ত নয়. নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবেই দেশ শাসন শুরু করলেন তিনি. 



গত তেইশ বছর ধরে রাশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন পুতিন. সুস্থ থাকলে আরো আট থেকে বারো বছর যে তিনি থাকছেনই এটা প্রায় নিশ্চিত. এই তেইশ বছরে পুতিন রাশিয়ার পুরনো ঐতিহ্য আর শক্তিমত্তা ফিরিয়ে আনার মিশনে প্রায় শতভাগ সফল বলা চলে.সোভিয়েত ইউনিয়নের মিলিত শক্তি যতটা ছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার প্রভাব এখন তার চেয়ে কম নয় মোটেও. অনেকেই তাকে ডাকেন রাশিয়ার নতুন জার বা শাসক হিসেবে. লেলিন বা স্ট্যালিনের মতো কিংবদন্তি নেতাদের পাশাপাশি উচ্চারিত হয় পুতিনের নামটাও. রাশিয়ায় টানা দুবারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারে না কেউই. আর এই সাংবিধানিক বাধ্যবতকতার কারণেই দু হাজার আট সালে দীনেদ্রি মেদ্রেদেবের হাতে প্রেসিডেন্টশিপ ছেড়ে দিয়ে পুতিন হলেন প্রধানমন্ত্রী. কিন্তু আসলে মেদ্রেদেবের নতুন প্রেসিডেন্ট ছিলেন. সব ক্ষমতা ছিল পুতিনের হাতেই. দু হাজার বারো সালে পুতিন আবার ফিরলেন প্রেসিডেন্ট পদে সাথে তেষট্টি পার্সেন্ট ভোট. সংবিধান সংশোধন করে এই পদে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করলেন অনেকটা. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো. 



নেতা হিসাবে পুতিন বেশ উচ্চাবিলাসী. দুহাজার এক এ হাপাতে  থাকা রাশিয়ান অর্থনীতিকে দু হাজার সাত সালে তিনি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতির জায়গায় নিয়ে গেছেন. তার ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক বছরের মধ্যেই GDP র প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছিল সত্তর শতাংশ. তেল এবং গ্যাস রপ্তানি বেড়েছিল অনেকটা. আর রাশিয়াতে বিদেশি বিনিয়োগও এসেছে. তথ্য প্রযুক্তিতে রাশিয়ার সোনালী সময় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রচুর উদ্যোগ নিয়েছেন পুঁতিন। আর তাছাড়া অস্ত্র বিক্রিতেও রাশিয় একদম উপরের কাতারে উঠে এসেছে. সামরিক শক্তিও বেড়েছে অনেকটাই দেশটির. আস্ত একটা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে ফেলেছেন তিনি. কোনরকম ঝুট ঝামেলা ছাড়াই. দু হাজার চোদ্দ সালে রাশিয়ায় পুতিনের জনপ্রিয়তা ছিল পঁচাশি শতাংশ. রাশিয়ার ইতিহাসে আর কোনো president নিজের শাসন আমলে এত বেশি জনপ্রিয় কোনো দিনই ছিলেন না. তবে তার বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ আছে ।  


একক ভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন তিনি. এটা তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ. রাশিয়ায় তার জনপ্রিয়তাও কমেছে ঠিক এই কারণে. বিরোধীদের ওপর দমন, পীড়ন করেন তিনি. আর তার ঘনিষ্ঠ লোকজনকে বসান উঁচু পদে. বিশেষ সুবিধা দেন. এসব অভিযোগও প্রায়শই ওঠে. 


পানামা পেপারসে তার স্বজন এবং বন্ধুদের দুর্নীতির খবরও প্রকাশিত হয় কিছুদিন আগে. তার বান্ধবীর শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায় বিশ্বের আনাচে কানাচে।  ফোর্ব্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল রাশিয়ায় যেসব ধর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ব্যবসায়ীরা পুতিনের বিরোধী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে শাস্তি দিয়ে তাদের সম্পত্তি জব্দ করেছেন তিনি নিজেই। পুতিন নাকি ব্যবসায়ীদের অফার দিতেন। তুমি আমাকে তোমার সম্পদের অর্ধেক দিয়ে দাও. বাকি অর্ধেক রক্ষার দায়িত্ব আমার. আর যদি তা না করো তবে সব সম্পত্তি আমার. আর তুমি থাকবে জেলে. পুতিনের অবৈধ সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো ফোর্বর্সের সাংবাদিক পল, ক্লিপনিক অফ কে গুলি করে খুন করা হয়েছিল মস্কোর রাস্তায়.


 অভিযোগের আঙুল পুতিনের দিকে. কারণ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কোন অগ্রগতি হয়নি. ক্ষমতায় আরোহন করা থেকে আজ পর্যন্ত পুতিনের শাসনকাল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে. তিনি বরাবরই ধীরে চলো নীতিতে এগিয়েছেন শক্তি সঞ্চয় করেছেন আর অস্ত্রের পরিবর্তে মাথা দিয়ে লড়েছেন । শুরুর সময়টাই তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছেন। তাদের সমর্থন দিয়েছেন সমর্থন আদায়ও করে নিয়েছেন । পুতিন আগে ঘর গুছিয়েছেন যখন নিশ্চিত হয়েছেন যে রাশিয়ায় তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনো শক্তি নেই । তখন তিনি মনোযোগ দিয়েছেন বাইরে । প্রিমিয়ার দখল হোক কিংবা সিরিয়ায় বাসারাল আসাদকে সমর্থন দিয়ে পুরো পরিস্থিতিটা নেটো জোটের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অথবা ভোর রাতে ইউক্রেন আক্রমণ করে সবাইকে হতভম্ব করে দেওয়া।  পুতিন সব সময়ই masters রোগ সব চাল দিয়েছেন. বাজিমাত করে ধরাশায়ী করেছেন প্রতিপক্ষকে. দুম করে কাউকে কিছু ইঙ্গিত না দিয়ে ক্রিমিয়ার দখল করে তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন. সেই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছেন. রাশিয়া এখন যা খুশি করতে পারে কারো ধার ধারে না. তারই ধারাবাহিকতায় আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাদের ঘোষণা করা দিনে ইউক্রেনে আক্রমণ করেননি  পুতিন।  . বরং সেই গোয়েন্দার প্রতিবেদন নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছেন. সবাই যখন ভেবেছে ইউক্রেন আক্রমণের ভূত পুতিনের মাথা থেকে নেমেছে. তখনই এই হামলা চালিয়েছেন তাও আবার ভোরবেলায় যখন অর্ধেক দুনিয়া ঘুমে আর সেনাদের সিডিউল বদলের সময় । সকালে ঘুম থেকে উঠে পশ্চিমাবিশ্ব অবাক হয়ে দেখেছে পুদিনের মাস্টার স্ট্রোক । পুতিন চাইলে এক সপ্তাহে ইউক্রেনকে কব্জা করাটা কোন ব্যাপারই ছিল না. কিন্তু তাঁর মাথায় অন্য কোন প্ল্যান নিশ্চয়ই আছে. তিনি ইউক্রেনকে নিয়ে ঠিক সেভাবেই খেলছেন. খাঁচায় বন্দি ইঁদুরকে নিয়ে যেভাবে বিড়াল খেলে বেড়ায়. দু হাজার ষোল সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো অর্বাচীন নেতাজি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলেন. তার পেছনে অনেকে পুতিনের ভূমিকা দেখেন.


 তিনি চাননি বিশ্ব নেতা তার বিপরীতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শক্ত পোক্ত কেউ থাকুক. নির্বাচনের ঠিক আগে আগে হিলারের ইমেল স্ক্যান্ডাল ফাঁস করার পেছনে রাশিয়ার হাত ছিল. এটা তো খোদ CIA গোয়েন্দারাই অভিযোগ করেছেন. সব মানুষের মধ্যেই ভালো মন্দের মিশেলে দ্বৈত একটা সত্তা বাস করে । পুতিন কোনো ফেরেস্তা নন তিনি মানুষ তিনি ভুল করেন অন্যায় করেন তার সিদ্ধান্তের বলি হতে হয় শত শত নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিয়ে । সিরিয়াতে বাসার আল আসাদকে সাহায্য করেছেন পুতিন। সেখানে বাসারের সেনাদের হাতে নিহত হাজার হাজার নিরীহ মানুষের অসহায় মৃত্যুর দায় থেকে তিনি মুক্তি পাবেন না. ইউক্রেনও নিরীহ মানুষ মরছে. আবারও রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে পুতিনের হাত. তবে সবকিছু একপাশে রেখে এটা বলতে কোনো সমস্যা নেই যে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি এবং ধুরন্ধর রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পুতিনের প্রতিপক্ষ এখন কেবল পুতির নিজেই. সময় এখন পুতিনের. সেটা বললেও ভুল হবে না একটুও.   

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

লুসিড ড্রিম কাকে বলে ? লুসিড ড্রিম কিভাবে দেখতে হয় ?

 স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভেবেছেন কখনো? নিশ্চয়ই ভাবছেন জেগে জেগে দিবাস্বপ্ন দেখার কথা বলছি না তো? কিন্তু না, রীতিমতো ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নও নিয়ন্ত্রণের কথাই বলছি, আপনার ইচ্ছামত স্বপ্ন দেখবেন। ইচ্ছা মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন। আর পছন্দ না হলে অর্থাৎ দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলে সেটার গতিপথ পাল্টে দেবেন একেবারে নিমেষে। আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় এটা খুবই সম্ভব একে বলা হয় লুসিভ ড্রিম। লুসিড ড্রিমিং এর সাথে আপনারা অনেকেই হয়তো পরিচিত আছেন। অনেকে পরিচিত থাকলেও হয়তো এটা কেন হচ্ছে বা কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে এসবেরই উত্তর মিলবে আজকের এই লিখাতে।   লুসিড ড্রিম অর্থ কি? সহজ বাংলায় অনুবাদ করতে গেলে বলা যায় লুসিড অর্থ পরিষ্কার. অর্থাৎ স্পষ্ট আর dream মানে তো আমরা সবাই জানি যে স্বপ্ন। লুসিড ডিম হলো সেই স্বপ্ন যে আমাদের স্পষ্ট ভাবে মনে থাকে এবং স্বপ্ন চলাকালীন সময়েও আমরা এ উপলব্ধি করতে পারি যে এটি বাস্তব নয় বরং এটি স্বপ্ন কিন্তু শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থ দিয়ে লুসিড ড্রিম ব্যাখ্যা করলে ভুল হবে একটু অন্যভাবে বলা যাক ।  মনে করুন স্বপ্নে আপনি কি পাহাড়ের উপর থেকে দ্রুত গ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্টকহোম সিন্ড্রম কি ? স্টকহোম সিন্ড্রম কেন হয় ?

ধরুন আপনাকে কেউ অপহরণ করল. আটকে রাখল অজানা কোন জায়গায়. কিংবা জিম্মি করল কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য. হয়তো আপনাকে মেরে ফেলাটাই অপহরণকারীদের লক্ষ্য. পুলিশ আপনার খোঁজ পাচ্ছে না. এদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় অস্থির হয়ে আছে আপনার স্বজনরা. এক পা দুই সপ্তাহ পার হয়ে হয়তো আপনাকে উদ্ধার করা হল. এই কয়েকটা দিন আপনি সূর্যের আলো দেখেননি. বন্দি অবস্থায় এক একটা ঘন্টাকেই আপনার কাছে মনে হয়েছে এক একটা মাসের মতো লম্বা. মুক্তির পর অপহরণকারীদের প্রতি কেমন অনুভূতি কাজ করবে আপনার? হাতের কাছে পেলেই তাদেরকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে তাই না? কিন্তু সেটা না করে বাড়ি ফেরার পর আপনি যদি সেই অপহরণকারীদের প্রশংসা শুরু করেন? তাহলে লোকজন আপনার দিকে কুঁচকে তাকাবে বৈকি? আপনি যদি অপরাধের তদন্তে পুলিশকে ঠিকমতো সাহায্য না করেন, আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই কিন্তু স্বাভাবিক. তার চেয়েও অবাক করার মতো ব্যাপার. কখন ঘটবে জানেন? যখন আদালতে গিয়ে আপনি বলবেন. আপনাকে যারা অপহরণ করেছিল তাদের প্রতি আসলে আপনার কোন অভিযোগ নেই. আপনি তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করতে চান. কি ভাবছেন? এমন পাগলামি আপনি কেন করবেন? পাগলামি বলুন আর যাই বলুন. ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান কি ?

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান দু হাজার বারো সালের চৌঠা জানুয়ারি। ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট ফোর চ্যান ডট কম নামের ওয়েবসাইটের বুলেটিন বোর্ডে ছবি সহ একটি ম্যাসেজ পোস্ট করা হয়. ওয়েবসাইটের নীতিমালা অনুযায়ী ছবি প্রকাশকারীর নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়. অজ্ঞাত পোস্ট করি সেই ছবিতে ব্যবহারকারীদের চিত্রের মাঝেই লুকানো একটি বার্তা উন্মোচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানান. সেই মেসেজটিতে লেখা ছিল হ্যালো আমরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের খুঁজছি তাদের খোঁজার জন্য আমরা একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি । এই ছবিতে একটা মেসেজ লুকানো আছে এটাকে খুঁজে বের করো । এটাই তোমাদের আমাদের কাছে নিয়ে আসবে. আমরা সেসব স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিকে দেখার অপেক্ষায় আছি যারা এটি সম্পূর্ণ করতে পারবে. Good luck । আর নিচে ছিল একটি কোড থ্রি থ্রি জিরো ওয়ান. পুরো ইন্টারনেট দুনিয়া তোলপাড় হয়ে গেল যেন হঠাৎ করে. পৃথিবীর সেরা হ্যাকার এবং কোড সমাধানকারীরা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা প্রমানের জন্য এই পরীক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়লো আর এই রহস্যময় ধাঁধার নাম দেওয়া হলো সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান।  সিকাডা অর্থ মত বা ঘুগরি পোকা. ছবি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মাঝেই গ...

সারোগেসি কি ?

সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করা নিয়ে এখনো বহু বিতর্ক আছে. শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই এই পদ্ধতি নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই.  এটার আইনি প্রক্রিয়াও জটিল। কারণ এটি একেক রাষ্ট্রে. শারোগেসি আইন একেক রকম. নারী মা হবেন প্রাকৃতিক নিয়ম সমাজ এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত. কিন্তু কোন কারণে মা হবার ক্ষমতা না থাকলে তাকে পরিবার ও আশপাশ থেকে যে পরিমাণ কটু কথা শুনতে হয় তা সাধারণ মানুষের ধারণারও বাইরে.   সরোগেসি বিষয়টি কি? চিকিৎসা শাস্ত্রের অগ্রগতি এমন মায়েদের সামনে এনেছে যারা গর্ভ ভাড়া দিয়ে নিজে বাঁচেন অন্যদের মাতৃ সুখ দেন । একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলা হয়.সারোগেসির এই  পদ্ধতি বেশ দীর্ঘকালীন. আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়. কিন্তু এখানেও জটিলতা. কেন? সে বিষয়ে পরে আসছি. বাংলাদেশ সহ বহু দেশই এই সারোগেসি একরকম ভাবে নিষিদ্ধ. সুতরাং বিষয় টি  সংবেদনশীল. এমনকি বেশিরভাগ ধর্মেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা. চলুন কথা বলি সারোগেসি মাদার সম্পর্কে। আইভিএফ বা টেস্ট টি...

কিভাবে লিমিটলেস হওয়া যায় ? লিমিটলেস আসলে কিভাবে কাজ করে ?

এনজিটিপিল,  এটা এমন এক পিল যা আপনাকে করবে আল্ট্রা ফোকাসড. দেবে দুর্দান্ত মোটিভেশন. বের করে আনবে আপনার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা. আপনি হয়ে উঠবেন আনস্টপল. বাস্তবতা পাবে প্রতিটি স্বপ্ন. কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এমন কোন পিলের অস্তিত্ব নেই. ফলাফল আপনি আটকে আছেন একটি খাদে. সারাক্ষণ ক্লান্তি নিয়ে হয়ে উঠছেন আনপ্রোডাক্টিভ. নষ্ট হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি. সময় গড়িয়ে যায়. ঋতুর পরিবর্তন ঘটে. কিন্তু আপনি ডুবে থাকেন এক হতাশায় যাতে আপনি দিন দিন পিছিয়ে পরছেন. আপনি যা যা এতদিন অর্জন করবেন ভেবেছিলেন তা কিছুই আপনি অর্জন করতে পারেননি । নিজেকে সান্তনা দিচ্ছেন আগামীকাল হবে ভিন্ন। কিন্তু তা কখনোই হয়ে ওঠে না এখন যদি আপনাকে বলি কোনো জাদুকরী পিলের সাহায্যে নয় বাস্তবিক লিমিটলেস হয়ে ওঠা সম্ভব।  একদম প্রমাণিত পদ্ধতিতে যা একেবারে ফ্রিতে ব্যবহার করা সম্ভব.  তো আছেন তো শেষ পর্যন্ত ?  Limit less হওয়ার যাত্রায় ।  স্টেপ ওয়ান : এনার্জি--  মাত্র কয়েক মাস আগে আমি নিজেও আপনার মতো কর্মশক্তিহীন অনুভব করতাম. সামান্য কাজেই আসতো অবসন্নতা, গেয়ে ধরতো ক্লান্তি একদিন হঠাৎ টের পেলাম আমি নিজেই নিজের energy নি...

পেগাসাস স্পাইওয়ার কি ?

গত কিছুদিন ধরেই বিশ্ব রাজনীতি এবং প্রযুক্তি জগৎ এই দুই জায়গাতেই আলোচনার বিষয়বস্তু একটাই। সেটা হচ্ছে পেগাসাস স্পাইওয়ার. বিশ্বজুড়ে নানান দেশের মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আইনজীবী ও রাজনীতিকদের ফোনের নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ইজরায়েলের বেসরকারি কোম্পানি nso গ্রুপের তৈরি করা এই সফটওয়্যার নিয়ে এখন তুমুল তরজা চলছে দুনিয়া জুড়ে । চলুন কথা বলি দুনিয়া ওলট পালট করে দেওয়া স্পাইওয়ার সম্পর্কে । পেগাসাস মূলত একটি নজরদারি বিষয়ক সফটওয়্যার । ইজরাইলের সংস্থা এনএসও ই সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যা দিয়ে যে কারো মোবাইলে আড়ি পাতা যায়. এটা কিন্তু সাধারণ কোন নজরদারি নয়. আগে ফোনে আড়ি পেতে শুধু দুই প্রান্তের কথাবার্তা শোনা যেত. আর সফটওয়্যারের মাধ্যমে গোটা ফোনটারই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হ্যাকাররা. ফোনের কথাবার্তা WhatsApp এর চ্যাট, ছবি, ফোনে কি কি তথ্য আছে সবই জানা যায়. আরো ভয়ানক ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল যিনি ব্যবহার করছেন তিনি জানতেই পারেন না যে তার ফোন হ্যাক করা হয়েছে. সমস্ত তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কাছে. কিন্তু কারো ফোনে পেগাসাস software install করতে হলে তো সেই ফোনটাকে...

রেট রেস কি ?

      আপনি ঠিক কখন ইঁদুর দৌড়ে যোগ দিয়েছেন এটা হিসাব করা কঠিন. কিন্তু নিশ্চিত থাকুন আপনি এই দৌড়ে আছেন. ক্লাস eight এ পড়ার সময়ের কথা মনে আছে? সামনে বৃত্তি পরীক্ষা পাটিগণিত বীজগণিতের অংক প্যাঁচ লাগাচ্ছে বিজ্ঞানের জটিল সব সূত্র ভোরে ওঠে প্রাইভেট টিউটরের বাসায় ছোটা রাত জেগে পড়াশোনা. বয়সের তুলনায় অনেক বেশি কর্ম ব্যস্ত একটা সময় নিশ্চয়ই কাটিয়েছেন তখন? আমরা সবাই কাটিয়েছি. সেই সময় নিশ্চয়ই অভিভাবক বলেছে এই তো আর কটা দিন. বৃত্তি পরীক্ষা শেষ হলেই জীবন শান্তি আর শান্তি. জীবনের নানা এপিসোডে আপনি এই কথাগুলো শুনেছেন অনেকবার অনেকের মুখে. এসএসসি পরীক্ষাটা দাও, কলেজে উঠলেই তো স্বাধীনতা. একবার ভার্সেটিতে উঠতে পারলেই জীবন হবে আনন্দে ভরপুর. একবার জব লাইফে ঢোকো. নিজের টাকায় আয়েশ করার মজাই অন্যরকম. শুনেছেন না এসব?  বয়স ঘড়ির ত্রিশের প্রান্তে দাঁড়িয়ে হিসেবগুলো মেলাতে পারেন কি? কি মনে হয়? এই এপিসোডগুলোর কোনোটা পার হবার সময় জীবন খানিকটা হলেও সহজ হয়েছে? সুন্দর হয়েছে? হয়নি, হবেও না, মিথ্যা একটা মরীচিকার আশায় আমরা ছুটেছি ঠিকই আমাদের ছোটানো হয়েছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি ছুটত...

ডাচ ডিজিজ কি ? অর্থনীতি কিভাবে রোগে ভুগতে পারে ?

সো হোয়াট দ্য হেল দিস ডাচ ডিজিজ? ডাচ ডিজিজ শব্দটা শুনলে আপনার স্বাভাবিক ভাবেই মনে হবে এটা কোন রোগের নাম । হ্যাঁ এটা একটা রোগ. তবে মানুষের নয়. কোন প্রাণীরও নয়. তাহলে? এটা মূলত অর্থনীতির একটা সিন্ড্রোম. কিন্তু অর্থনীতির টার্মের সঙ্গে ডিজিজ কথাটা যুক্ত হল কেন? ডাচ বা নেদারল্যান্ড দেশটারই বা কি ভূমিকা এতে?  না এটা বুঝতে আপনাকে অর্থনীতির ছাত্র হতে হবে না ।কিন্তু বিষয়টা বেশ মজার দু হাজার সতেরো সালে বুকিং ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ডাচ ডিজিজ এন্ড ইকোনমিক ইলনেস ইজি টু ক্যাচ ডিফিকাল্ট টু কিওর শিরোনামের আর্টিকেলের শুরুতেই বলা হয়ে ছিল- what a persistantly low oil price, dose to oil richan prises like what a long cold winter dust to people একথার তাৎপর্য কি?  সহজ বাংলায় বুঝিয়ে বলা যায় যদি বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে তেলের দাম কমতে থাকে তখন তেল সমৃদ্ধ তেলের ওপর ভাবে নির্ভরশীল দেশগুলোর অর্থনীতি নানান সমস্যায় ভুগতে পারে. এখানে তেল একটা রূপক মাত্র. তেলের জায়গায় চাল, ডাল, লবণ, চিনি যেকোনো কিছুই হতে পারে. হতে পারে কোন শিল্প যেমন টেক্সটাইল গার্মেন্টস বা ইনফরমেশন টেকনোলজিও. মূল বিষয়টা হচ্ছে...