সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মার্ফির সূত্র কি ? এটি কিভাবে কাজ করে ?

  অফিসে যেতে আপনার যেদিন বেশি দেরি হয়ে যাবে দেখা যাবে সেদিনই দেখবেন আপনি দরজা লক করবার সময় চাবি খুঁজে পাচ্ছেন না । তারপর অনেকটা পথ চলে আসার পরে খেয়াল হবে যে তাড়াহুড়োয় মোবাইল ফোন বা প্রয়োজনীয় ফাইল বাসাতেই ভুলে এসেছেন এবং সচারাচল ফাঁকা থাকে এমন রাস্তাতেও সেদিন রাজ্যের জ্যাম লেগে আছে। অর্থাৎ যেভাবে যেটা হওয়ার কথা কিছুতেই সেভাবে সেটা হচ্ছে না.  কিন্তু এমন ঘটনা তো আমাদের জীবনে হর হামেশাই ঘটে. তবে এরও যে কোন ব্যাখ্যা থাকতে পারে তা কি আপনার কখনো মনে হয়েছে? না হয়ে থাকলে মার্ফির সূত্রে আপনাকে স্বাগত. চলুন কথা বলি মার্ফি সাহেবের সূত্র নিয়ে. মারফি সূত্রে বলে যে ইফ এনিথিং ক্যান গো রং ইট উইল. অর্থাৎ কোন কিছু ভুল হওয়ার থাকলে তা অবশ্যই ভুল হবে। ধরুন আপনি কোন একটি কাজ করতে যাচ্ছেন এবং এতে কোন রকম ভুল হবার সমূহ সম্ভাবনা খুবই কম. কিন্তু কাজটি করার পর দেখা গেল যে আপনি ভুল করে ফেলেছেন. অথবা লেখালেখির খুব ভালো অভ্যাস থাকা সত্ত্বেও দেখা যাবে যে কেবল দরখাস্ত বা চিঠি লিখবার সময় আপনার ঘন ঘন বানান ভুল হচ্ছে. তখন আপনি আপন মনেই বলে উঠলেন শুধু কি আমার সাথেই এমনটা হতে হয়?  অথচ অন্যান্য ...

মারিয়ানা ট্রেঞ্চ কি ?

গুটঘুটে অন্ধকার, কনকনে ঠান্ডা আর জলের চাপ হলো আট টন। অর্থাৎ প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে প্রায় পনেরো হাজার সাতশো পঞ্চাশ পাউন্ড। অবাক করা বিষয় হলো এখানেও প্রাণের অভাব নেই। এখানকার বাসিন্দারা সংখ্যায় যেমন অনেক তেমনি বৈচিত্রেও কম নয়। কোনটি দেখতে অতীব বীভৎস আবার কোনটি বিষ্ময় জাগায় । অথচ এই গভীরতম বিন্দুর রহস্য এখনো অনেকটাই ভেদ করা সম্ভব হয়নি। পৃথিবীর গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেন্স।  এতটাই গভীর যে আপনি যদি মারিয়ানা ট্রেন্সের নিচে আস্ত মাউন্ট এভারেস্ট স্থাপন করেন তবুও মাউন্ট এভারেস্টের শিখর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাত হাজার ফুট নিচে থাকবে। মারিয়ানা ট্রেন্সের সম্পর্কে আজও পুরোটা জানা সম্ভব হয়নি বলেই পৃথিবীর মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ও বিস্ময়কর স্থান এটি।  বহু মিথ আছে একে ঘিরে। যার বেশিরভাগই অপমানি।.   মারিয়ানা আইল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গোয়া। এখানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খুবই শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটি। মারিয়ানার আর একটি দ্বীপ তিনিয়ন। উনিশশো পঁয়তাল্লিশ সালে এখান থেকেই জাপানে বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ষোলশো আটষট্টি সালে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে দ্বীপপুঞ্জে কলোনি স্থাপ...

লুসিড ড্রিম কাকে বলে ? লুসিড ড্রিম কিভাবে দেখতে হয় ?

 স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভেবেছেন কখনো? নিশ্চয়ই ভাবছেন জেগে জেগে দিবাস্বপ্ন দেখার কথা বলছি না তো? কিন্তু না, রীতিমতো ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নও নিয়ন্ত্রণের কথাই বলছি, আপনার ইচ্ছামত স্বপ্ন দেখবেন। ইচ্ছা মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন। আর পছন্দ না হলে অর্থাৎ দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলে সেটার গতিপথ পাল্টে দেবেন একেবারে নিমেষে। আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় এটা খুবই সম্ভব একে বলা হয় লুসিভ ড্রিম। লুসিড ড্রিমিং এর সাথে আপনারা অনেকেই হয়তো পরিচিত আছেন। অনেকে পরিচিত থাকলেও হয়তো এটা কেন হচ্ছে বা কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে এসবেরই উত্তর মিলবে আজকের এই লিখাতে।   লুসিড ড্রিম অর্থ কি? সহজ বাংলায় অনুবাদ করতে গেলে বলা যায় লুসিড অর্থ পরিষ্কার. অর্থাৎ স্পষ্ট আর dream মানে তো আমরা সবাই জানি যে স্বপ্ন। লুসিড ডিম হলো সেই স্বপ্ন যে আমাদের স্পষ্ট ভাবে মনে থাকে এবং স্বপ্ন চলাকালীন সময়েও আমরা এ উপলব্ধি করতে পারি যে এটি বাস্তব নয় বরং এটি স্বপ্ন কিন্তু শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থ দিয়ে লুসিড ড্রিম ব্যাখ্যা করলে ভুল হবে একটু অন্যভাবে বলা যাক ।  মনে করুন স্বপ্নে আপনি কি পাহাড়ের উপর থেকে দ্রুত গ...

ডেভিল স্প্রেড বা শয়তানের নিঃশ্বাস কি ? এটা কতটা ভয়ানক ড্রাগ ?

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার গল্পের কথা কেনা না জানে। ইঁদুর নিয়ে কি সংকটেই না ছিল হ্যামিলানবাসী। পরের কাহিনী নিশ্চয়ই মনে আছে? না আমরা আজকে বাঁশিয়ালার গল্প বলবো না। কিন্তু সেই গল্প অনায়াসেই সত্য হয়ে যেতে পারে আমার ভাবনার সাথে । আসলে ঘটছে ও তাই আজকাল অহরহ। আর এজন্য প্রয়োজন কেবলমাত্র এক চিমটি  স্কোপোলামিন ।   কি এই  স্কোপোলামিন ? বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ড্রাগস কি ? অনেকেই হয়তো বলবেন কোকেন বা ক্রিস্টাল ম্যাথের কথা । কিন্তু না বিশ্বের সবচাইতে ভয়ঙ্কর ড্রাগস ও  স্কোপোলামিন যা পরিচিত ডেভিল স্প্রেড বা শয়তানের নিঃশ্বাস নামে।  এর শুধুমাত্র এক চিমটি পরিমাণ পাউডার পারে আপনাকে নিজের ওপরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন করে দিতে। ধরুন আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এমন সময় একজন লোক এসে আপনাকে এক টুকরো কাগজ দেখিয়ে কোন একটা ঠিকানার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। এবং আপনি সাথে সাথেই আপনার চিন্তা শক্তি হারিয়ে ফেললেন। হারিয়ে ফেলেন স্ব-ইচ্ছায় নড়াচড়া করার শক্তি টুকু। কিভাবে সম্ভব? বুড়া চেরো নামে এক গাছের ফুলের বীজ থেকে স্কোপিং ড্রাগ বা ডেভিল স্প্রেড তৈরি হয়। এই গাছকেও বলা হয় ডেভ...

ডিপ্রেশন কি ? এটা কত প্রকার ? বাইপোলার ডিসঅর্ডার কি ?

আজকাল খুব কমন একটা শব্দ ডিপ্রেশন. যার বাংলা অবসাদ । ডিপ্রেশনের সাথে সাথে পরিচিত হয়ে উঠছি আমরা মুড সুইং শব্দটার সাথেও । এই জেনারেশনের কারো সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিপ্রেশনে না ভোগাটাই যেন বিরাট অপমানজনক। সবাই কেন যেন অস্থির হয়ে আছে বোঝাতে যে সে ডিপ্রেশনে ভুগছে । কখনো গানের লিরিক্স আবার কখনো বিখ্যাত লেখকের কোটেশন সবকিছুতেই ডিপ্রেশন । সাইকিয়াট্রিতে এই ডিপ্রেশন হল এক ধরনের মুড ডিসঅর্ডার । যেটা একমুখী অবসর বা ইউনিফুলার ডিপ্রেশন । কিন্তু সম্প্রতি আর এক ধরণের অবসাদ বিজ্ঞানীদের মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। যেটাকে বলা হচ্ছে বাই পোলার ডিপ্রেশন । বাই পোলার অর্থাৎ দ্বিমুখী । একে ম্যানিক ডিপ্রেশনে বলা হয়। এখনো পর্যন্ত মনোবিজ্ঞানীরা বাই পোলার ডিসঅর্ডারের কারণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারেন নি। এর ওপর প্রচুর গবেষণা চলছে। জানলে অবাক হবেন যে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই সাত মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছে । কিন্তু আসলে কি ঘটে? বাইপোলার ডিসঅর্ডারে? চলুন কথা বলি বাই পোলার ডিসঅর্ডার নিয়ে আজ কথা বলা যাক।   বাইপোলার ডিসঅর্ডার কাকে বলে? খুব সংক্ষেপে বলা যায় বাইপোলার ডিসঅর্ডার একটি মানসিক অবস্থা। যে...

দেযা ভু এফেক্ট কি ?

আচ্ছা এমনটা হয়েছে যে একদম নতুন কোনো জায়গায় প্রবল বৃষ্টিতে একটা ছাউনিতে আপনি আশ্রয় নিয়েছেন অথবা ধরুন কোথাও ট্যুরে গিয়ে আপনি আয়েশ করে বসে চা হাতে নিয়ে বই পড়ছেন । হঠাৎ আপনার মনে হলো এই জায়গায় আপনি আগেও ঠিক একইভাবে আটকে ছিলেন বৃষ্টিতে বা একই জায়গায় বসে চা হাতে বই পড়ছিলেন । অথচ বাস্তবে আপনি আগে কখনো এমন কিছু করেছেন বলে কিছুতেই মনে পড়ছে না কিন্তু ঘটনাগুলো এতটাই পরিচিত যে আপনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন মনে করার জন্য। হ্যাঁ এটাই দেযা ভু এফেক্ট ।  দেযা ভু এফেক্ট আমাদের সবার সাথেই কম বেশি হরহামেশাই ঘটে থাকে । ফরাসি এই শব্দের প্রথম প্রবর্তন করেন দার্শনিক এমএল বোরাক । যার অর্থ ইতিপূর্বে ঘটে গিয়েছে । এটি এমন একটি অনুভূতি যা থেকে মনে হতে পারে বর্তমানে ঘটতে থাকা কোন ঘটনা এর আগেও একই ভাবে অতীতে ঘটেছে। গবেষকদের মতে মোট জনসংখ্যার প্রায় সত্তর শতাংশের সাথে দেযা ভু এফেক্ট নিয়মিত ঘটে। অন্যান্য বয়সের তুলনায় পনেরো থেকে পঁচিশ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে সবচেয়ে বেশি। না, এটি কোন রোগ নয় । একদম সুস্থ মানুষের সাথেও নিয়মিত এমন অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে যারা অনেক বেশি ভ্রমণ করেন...