সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ডিপ্রেশন কি ? এটা কত প্রকার ? বাইপোলার ডিসঅর্ডার কি ?

আজকাল খুব কমন একটা শব্দ ডিপ্রেশন. যার বাংলা অবসাদ । ডিপ্রেশনের সাথে সাথে পরিচিত হয়ে উঠছি আমরা মুড সুইং শব্দটার সাথেও । এই জেনারেশনের কারো সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিপ্রেশনে না ভোগাটাই যেন বিরাট অপমানজনক। সবাই কেন যেন অস্থির হয়ে আছে বোঝাতে যে সে ডিপ্রেশনে ভুগছে । কখনো গানের লিরিক্স আবার কখনো বিখ্যাত লেখকের কোটেশন সবকিছুতেই ডিপ্রেশন ।

সাইকিয়াট্রিতে এই ডিপ্রেশন হল এক ধরনের মুড ডিসঅর্ডার । যেটা একমুখী অবসর বা ইউনিফুলার ডিপ্রেশন । কিন্তু সম্প্রতি আর এক ধরণের অবসাদ বিজ্ঞানীদের মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। যেটাকে বলা হচ্ছে বাই পোলার ডিপ্রেশন । বাই পোলার অর্থাৎ দ্বিমুখী । একে ম্যানিক ডিপ্রেশনে বলা হয়। এখনো পর্যন্ত মনোবিজ্ঞানীরা বাই পোলার ডিসঅর্ডারের কারণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারেন নি। এর ওপর প্রচুর গবেষণা চলছে। জানলে অবাক হবেন যে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই সাত মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছে । কিন্তু আসলে কি ঘটে? বাইপোলার ডিসঅর্ডারে? চলুন কথা বলি বাই পোলার ডিসঅর্ডার নিয়ে আজ কথা বলা যাক।  


বাইপোলার ডিসঅর্ডার কাকে বলে? খুব সংক্ষেপে বলা যায় বাইপোলার ডিসঅর্ডার একটি মানসিক অবস্থা। যেখানে কোনো ব্যক্তির দুটো পর্যায়ে থাকে যেগুলো পালা করে ঘুরে ঘুরে আসে। একটি হলো ডিপ্রেশন আর অন্যটি হল ম্যানিক্স স্টিচ। এখন বিশদ বর্ণনায় যাবার আগে চলুন দেখি ইউনিপোলার বা একমুখে ডিপ্রেশনে কি কি ঘটে।একটা স্বাভাবিক মানুষের আচরণ কেমন হবে? স্বাভাবিক মানুষেরও মুডসুই হতে পারে। যেমন চাকরি চলে গেলে বা সম্পর্কে গন্ডগোল লাগলে ক্ষনিকের জন্য ডিপ্রেশনে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটা কিছুদিন পরে বেশিরভাগ মানুষই কাটিয়ে ওঠে।


প্রশ্ন হল ছোটখাটো মন খারাপকে কি depression বলা যায়? উত্তর? না। কোন কারণ ছাড়াই depretion এ ভোগা মানুষেরা অনুভূতির সকল দরজা জানালা বন্ধ করে রাখেন। তাই যারা আসলেই ডিপ্রেশনে ভুগছেন তারা সোশ্যাল মিডিয়া তো দূরের কথা। নিজের খুব কাছের মানুষের কাছেও ডিপ্রেশনের কথা লুকিয়ে রাখেন। তাদের বেশিরভাগেরই থাকে না ভালো বা খারাপ লাগার অনুভূতি। নিজের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় এদের মাঝে। ফলে অনেক সময় বেছে নেয় খুবই ব্যস্ত জীবন। অতিরিক্ত ধূমপান নিজেকে অথবা অন্যকে আঘাত করা ইত্যাদি আচরণ দেখা যায়। ক্ষুধা চলে যায়, ঘুম হয় অতিরিক্ত বেশি, না হয় একেবারেই ঘুম. সৃজনশীল কাছ থেকে দূরে দূরে থাকে এরা। চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আনতে চায় না সহজে এবং সবচেয়ে বড় যেটা ঘটে তা হল সবটুকু জুড়ে শুধু নিজের জগৎ নিয়েই থাকে। 


ইউনিফলার ডিপ্রেশনের সময়টা যথেষ্ট দীর্ঘ হয় সাধারণত। ক্ষণিকের জন্য এরা অনেকদিন পর পর কিছুক্ষণের জন্য আনন্দিত হলেও তা টিকে থাকে না। সাধারণত আবার ডিপ্রেশনে চলে আসে ওই সময়টা কেটে গেলেই। তবে ইউনিফুলার ডিপ্রেশন সিক্রিয়াট্রিকের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব হতে পারে। দেখা যাচ্ছে ডিপ্রেশন শব্দের অর্থ অতটা ছোটও নয় যতটা এই শব্দের বুঝে বা না বুঝেই ব্যবহার হয়। 

এখন চলুন দেখি বাই পোলার বা ম্যানিক ডিসঅর্ডারে কি কি ঘটে ? আগেই বলেছি বাই পোলার ডিসোডারে দুটো মেরু বিন্দু থাকে যা চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে আসে। এই দুটো পর্যায়ের একটা হল স্বাভাবিক ডিপ্রেশন পর্যায়. এই সময় একটু আগেই বলা সবগুলো লক্ষণের সাথে সাথে আত্মহত্যার প্রবণতাও চলে আসতে পারে। আর একটা একদম উল্টো অবসাদের প্রচণ্ড ফুর্তি চলে আসে মনে ।খাওয়া দাওয়া খুব বেড়ে যায়। চলে আসে বিভিন্ন রাজ্যের প্লট এই করবো সেই করবো ।যেই মানুষটা এতদিন পরে পরে ঘুমাতো বা ঘুম না আসার জন্যে কষ্ট পেতো তার এই অবস্থায় ঘুমের প্রায় কোনো প্রয়োজনই হয় না। একেবারে তোলপাড় করে দেয় চারিদিক। কিন্তু এই দুই চক্র যে দিনে দিনে রাতারাতি ঘটে তা কিন্তু নয় । Extreme low থেকে mood extreme high হতে কয়েকদিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যায় ।আরও একটা ব্যাপার ঘটে manick stage এ। নিজের সামর্থের বাইরে গিয়ে দান টান করা, নিজেকে আধ্যাত্মিক level এর কিছু মনে করা হতে থাকে এই সময়। যেমন ঈশ্বরের কাজে দুনিয়ায় আসা বা অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ইত্যাদি। অনেক টাফ ডিসিশনও অতি সহজে এবং ভুল ভাবে নিয়ে ফেলা অস্বাভাবিক কিছু নয় ।আর কিছুদিন পর যখন এই স্টেজ কেটে গিয়ে আবার ডিপ্রেশন ফিরে আসে তখন সবকিছুর জন্য শুরু হয় চূড়ান্ত অনুশোচনা। Extreme mode এ অনর্গল কথা বলার প্রবণতাও দেখা যায়। বাইপোলার ডিসঅর্ডার কত ভাবে আসতে পারে ? 

মনোবিজ্ঞানীদের মতে বাইপোলার ডিসঅর্ডার তিন প্রকার__ লেভেল ওয়ান, টু এবং সাইকোথেমিয়া. লেভেল ওয়ানে এক্সট্রিম লো পর্যায়ে আসে যা অন্তত দুই সপ্তাহ জুড়ে থাকে। এরপরে আসে এক্সট্রিম হাই যে অন্তত এক সপ্তাহ থাকে। এমনকি এই সময় হস্পিটালাইজড করতেও হতে পারে। আবার অনেকের এই ম্যানেজ স্টেজ তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত চলতে পারে। এক্ষেত্রে সে মানুষ বুঝতেই পারে না যে তার মাঝে হুটহাট পরিবর্তন করছে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডায়াগনসিসের প্রয়োজনই হয় না। লেভেল টু তে লেভেল ওয়ানের মতোই এক্সট্রিমলো ন্যূনতম দুই সপ্তাহ টিকে থাকে। এরপর এক্সট্রিম হাই না হয়ে একটু কম ম্যানিকেপিসোডে থাকে সাধারণত। 

লেভেল টু তেও হাই এপিসোড দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত চলতে পারে। সাইকোথেমেয়ার রিসোর্ডারে এক্সট্রিমলো বা এক্সট্রিম হাই এপিসোড থাকে না। থাকে একটু কম লোক বা হাই এপিসোড। এই সাইকেলের এক একটা অন্তত দুই বছরের হয়। বাইখোলার ডিসঅর্ডারের একদম সঠিক কারণ এখনো বিজ্ঞানীরা জানেন না। প্রচুর গবেষণা চলছে। কিন্তু শুধু ঝুঁকির কারণগুলোই এখনো পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মস্তিষ্কের গঠনগত কারণকে এই অবস্থার সৃষ্টির জন্য দায়ী করা হয়। যদি রোগীর বাবা মার বাইপোলার ডিসঅর্ডার থাকে তাদের সন্তানদেরও এই রোগ হবার উচ্চ সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও খুব বেশি মানসিক চাপ, মানসিক আঘাত নেশায় আক্রান্ত অথবা শারীরিক কোনো অসুস্থতাও বাইপোলার ডিসঅর্ডারের কারণ হতে পারে। এই রোগ, যদিও রোগ বলা এখনই ঠিক কিনা তা আমরা জানি না। নির্ণয় করা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ চিকিৎসকদের জন্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাইপোলার পেশেন্টকে নিজেকেই বুঝতে হয় যে তার বাইপোলার হয়েছে। আর সেই বুঝে সতর্ক থাকতে হয়। 

যদি এটাকে আমরা রোগ বলি তাহলে বলা যায় এখনো পর্যন্ত সুনিশ্চিত কোনো চিকিৎসা নেই। বাই পোলারে আক্রান্ত ব্যক্তির সঠিকভাবে পরিচর্যাই হতে পারে একমাত্র উপায়। অনেক সময় ডাক্তাররা অ্যান্টি ডিপ্রেশন, মেডিসিন সাজেস্ট করেন, সাথে মোড স্টেবিলাইজার। তবে সেটা condition এর ওপর depend করবে। কারণ এর বিশাল side effect আছে. ফলাফল হতে পারে হিতে বিপরীত। এই জন্য depression এ চিকিৎসকের পরামর্শ বাদে কখনোই মেডিসিন নিয়ে উচিত নয়। কারণ এটি ম্যানিক স্টেজ ফিগার করে ওভার ম্যানিক ঘটাতে পারে। সুতরাং হেলাফেলা করার কোন উপায় নেই।  


 

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

লুসিড ড্রিম কাকে বলে ? লুসিড ড্রিম কিভাবে দেখতে হয় ?

 স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভেবেছেন কখনো? নিশ্চয়ই ভাবছেন জেগে জেগে দিবাস্বপ্ন দেখার কথা বলছি না তো? কিন্তু না, রীতিমতো ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নও নিয়ন্ত্রণের কথাই বলছি, আপনার ইচ্ছামত স্বপ্ন দেখবেন। ইচ্ছা মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন। আর পছন্দ না হলে অর্থাৎ দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলে সেটার গতিপথ পাল্টে দেবেন একেবারে নিমেষে। আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় এটা খুবই সম্ভব একে বলা হয় লুসিভ ড্রিম। লুসিড ড্রিমিং এর সাথে আপনারা অনেকেই হয়তো পরিচিত আছেন। অনেকে পরিচিত থাকলেও হয়তো এটা কেন হচ্ছে বা কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে এসবেরই উত্তর মিলবে আজকের এই লিখাতে।   লুসিড ড্রিম অর্থ কি? সহজ বাংলায় অনুবাদ করতে গেলে বলা যায় লুসিড অর্থ পরিষ্কার. অর্থাৎ স্পষ্ট আর dream মানে তো আমরা সবাই জানি যে স্বপ্ন। লুসিড ডিম হলো সেই স্বপ্ন যে আমাদের স্পষ্ট ভাবে মনে থাকে এবং স্বপ্ন চলাকালীন সময়েও আমরা এ উপলব্ধি করতে পারি যে এটি বাস্তব নয় বরং এটি স্বপ্ন কিন্তু শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থ দিয়ে লুসিড ড্রিম ব্যাখ্যা করলে ভুল হবে একটু অন্যভাবে বলা যাক ।  মনে করুন স্বপ্নে আপনি কি পাহাড়ের উপর থেকে দ্রুত গ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্টকহোম সিন্ড্রম কি ? স্টকহোম সিন্ড্রম কেন হয় ?

ধরুন আপনাকে কেউ অপহরণ করল. আটকে রাখল অজানা কোন জায়গায়. কিংবা জিম্মি করল কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য. হয়তো আপনাকে মেরে ফেলাটাই অপহরণকারীদের লক্ষ্য. পুলিশ আপনার খোঁজ পাচ্ছে না. এদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় অস্থির হয়ে আছে আপনার স্বজনরা. এক পা দুই সপ্তাহ পার হয়ে হয়তো আপনাকে উদ্ধার করা হল. এই কয়েকটা দিন আপনি সূর্যের আলো দেখেননি. বন্দি অবস্থায় এক একটা ঘন্টাকেই আপনার কাছে মনে হয়েছে এক একটা মাসের মতো লম্বা. মুক্তির পর অপহরণকারীদের প্রতি কেমন অনুভূতি কাজ করবে আপনার? হাতের কাছে পেলেই তাদেরকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে তাই না? কিন্তু সেটা না করে বাড়ি ফেরার পর আপনি যদি সেই অপহরণকারীদের প্রশংসা শুরু করেন? তাহলে লোকজন আপনার দিকে কুঁচকে তাকাবে বৈকি? আপনি যদি অপরাধের তদন্তে পুলিশকে ঠিকমতো সাহায্য না করেন, আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই কিন্তু স্বাভাবিক. তার চেয়েও অবাক করার মতো ব্যাপার. কখন ঘটবে জানেন? যখন আদালতে গিয়ে আপনি বলবেন. আপনাকে যারা অপহরণ করেছিল তাদের প্রতি আসলে আপনার কোন অভিযোগ নেই. আপনি তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করতে চান. কি ভাবছেন? এমন পাগলামি আপনি কেন করবেন? পাগলামি বলুন আর যাই বলুন. ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান কি ?

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান দু হাজার বারো সালের চৌঠা জানুয়ারি। ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট ফোর চ্যান ডট কম নামের ওয়েবসাইটের বুলেটিন বোর্ডে ছবি সহ একটি ম্যাসেজ পোস্ট করা হয়. ওয়েবসাইটের নীতিমালা অনুযায়ী ছবি প্রকাশকারীর নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়. অজ্ঞাত পোস্ট করি সেই ছবিতে ব্যবহারকারীদের চিত্রের মাঝেই লুকানো একটি বার্তা উন্মোচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানান. সেই মেসেজটিতে লেখা ছিল হ্যালো আমরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের খুঁজছি তাদের খোঁজার জন্য আমরা একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি । এই ছবিতে একটা মেসেজ লুকানো আছে এটাকে খুঁজে বের করো । এটাই তোমাদের আমাদের কাছে নিয়ে আসবে. আমরা সেসব স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিকে দেখার অপেক্ষায় আছি যারা এটি সম্পূর্ণ করতে পারবে. Good luck । আর নিচে ছিল একটি কোড থ্রি থ্রি জিরো ওয়ান. পুরো ইন্টারনেট দুনিয়া তোলপাড় হয়ে গেল যেন হঠাৎ করে. পৃথিবীর সেরা হ্যাকার এবং কোড সমাধানকারীরা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা প্রমানের জন্য এই পরীক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়লো আর এই রহস্যময় ধাঁধার নাম দেওয়া হলো সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান।  সিকাডা অর্থ মত বা ঘুগরি পোকা. ছবি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মাঝেই গ...

সারোগেসি কি ?

সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করা নিয়ে এখনো বহু বিতর্ক আছে. শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই এই পদ্ধতি নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই.  এটার আইনি প্রক্রিয়াও জটিল। কারণ এটি একেক রাষ্ট্রে. শারোগেসি আইন একেক রকম. নারী মা হবেন প্রাকৃতিক নিয়ম সমাজ এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত. কিন্তু কোন কারণে মা হবার ক্ষমতা না থাকলে তাকে পরিবার ও আশপাশ থেকে যে পরিমাণ কটু কথা শুনতে হয় তা সাধারণ মানুষের ধারণারও বাইরে.   সরোগেসি বিষয়টি কি? চিকিৎসা শাস্ত্রের অগ্রগতি এমন মায়েদের সামনে এনেছে যারা গর্ভ ভাড়া দিয়ে নিজে বাঁচেন অন্যদের মাতৃ সুখ দেন । একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলা হয়.সারোগেসির এই  পদ্ধতি বেশ দীর্ঘকালীন. আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়. কিন্তু এখানেও জটিলতা. কেন? সে বিষয়ে পরে আসছি. বাংলাদেশ সহ বহু দেশই এই সারোগেসি একরকম ভাবে নিষিদ্ধ. সুতরাং বিষয় টি  সংবেদনশীল. এমনকি বেশিরভাগ ধর্মেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা. চলুন কথা বলি সারোগেসি মাদার সম্পর্কে। আইভিএফ বা টেস্ট টি...

কিভাবে লিমিটলেস হওয়া যায় ? লিমিটলেস আসলে কিভাবে কাজ করে ?

এনজিটিপিল,  এটা এমন এক পিল যা আপনাকে করবে আল্ট্রা ফোকাসড. দেবে দুর্দান্ত মোটিভেশন. বের করে আনবে আপনার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা. আপনি হয়ে উঠবেন আনস্টপল. বাস্তবতা পাবে প্রতিটি স্বপ্ন. কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এমন কোন পিলের অস্তিত্ব নেই. ফলাফল আপনি আটকে আছেন একটি খাদে. সারাক্ষণ ক্লান্তি নিয়ে হয়ে উঠছেন আনপ্রোডাক্টিভ. নষ্ট হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি. সময় গড়িয়ে যায়. ঋতুর পরিবর্তন ঘটে. কিন্তু আপনি ডুবে থাকেন এক হতাশায় যাতে আপনি দিন দিন পিছিয়ে পরছেন. আপনি যা যা এতদিন অর্জন করবেন ভেবেছিলেন তা কিছুই আপনি অর্জন করতে পারেননি । নিজেকে সান্তনা দিচ্ছেন আগামীকাল হবে ভিন্ন। কিন্তু তা কখনোই হয়ে ওঠে না এখন যদি আপনাকে বলি কোনো জাদুকরী পিলের সাহায্যে নয় বাস্তবিক লিমিটলেস হয়ে ওঠা সম্ভব।  একদম প্রমাণিত পদ্ধতিতে যা একেবারে ফ্রিতে ব্যবহার করা সম্ভব.  তো আছেন তো শেষ পর্যন্ত ?  Limit less হওয়ার যাত্রায় ।  স্টেপ ওয়ান : এনার্জি--  মাত্র কয়েক মাস আগে আমি নিজেও আপনার মতো কর্মশক্তিহীন অনুভব করতাম. সামান্য কাজেই আসতো অবসন্নতা, গেয়ে ধরতো ক্লান্তি একদিন হঠাৎ টের পেলাম আমি নিজেই নিজের energy নি...

পেগাসাস স্পাইওয়ার কি ?

গত কিছুদিন ধরেই বিশ্ব রাজনীতি এবং প্রযুক্তি জগৎ এই দুই জায়গাতেই আলোচনার বিষয়বস্তু একটাই। সেটা হচ্ছে পেগাসাস স্পাইওয়ার. বিশ্বজুড়ে নানান দেশের মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আইনজীবী ও রাজনীতিকদের ফোনের নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ইজরায়েলের বেসরকারি কোম্পানি nso গ্রুপের তৈরি করা এই সফটওয়্যার নিয়ে এখন তুমুল তরজা চলছে দুনিয়া জুড়ে । চলুন কথা বলি দুনিয়া ওলট পালট করে দেওয়া স্পাইওয়ার সম্পর্কে । পেগাসাস মূলত একটি নজরদারি বিষয়ক সফটওয়্যার । ইজরাইলের সংস্থা এনএসও ই সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যা দিয়ে যে কারো মোবাইলে আড়ি পাতা যায়. এটা কিন্তু সাধারণ কোন নজরদারি নয়. আগে ফোনে আড়ি পেতে শুধু দুই প্রান্তের কথাবার্তা শোনা যেত. আর সফটওয়্যারের মাধ্যমে গোটা ফোনটারই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হ্যাকাররা. ফোনের কথাবার্তা WhatsApp এর চ্যাট, ছবি, ফোনে কি কি তথ্য আছে সবই জানা যায়. আরো ভয়ানক ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল যিনি ব্যবহার করছেন তিনি জানতেই পারেন না যে তার ফোন হ্যাক করা হয়েছে. সমস্ত তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কাছে. কিন্তু কারো ফোনে পেগাসাস software install করতে হলে তো সেই ফোনটাকে...

রেট রেস কি ?

      আপনি ঠিক কখন ইঁদুর দৌড়ে যোগ দিয়েছেন এটা হিসাব করা কঠিন. কিন্তু নিশ্চিত থাকুন আপনি এই দৌড়ে আছেন. ক্লাস eight এ পড়ার সময়ের কথা মনে আছে? সামনে বৃত্তি পরীক্ষা পাটিগণিত বীজগণিতের অংক প্যাঁচ লাগাচ্ছে বিজ্ঞানের জটিল সব সূত্র ভোরে ওঠে প্রাইভেট টিউটরের বাসায় ছোটা রাত জেগে পড়াশোনা. বয়সের তুলনায় অনেক বেশি কর্ম ব্যস্ত একটা সময় নিশ্চয়ই কাটিয়েছেন তখন? আমরা সবাই কাটিয়েছি. সেই সময় নিশ্চয়ই অভিভাবক বলেছে এই তো আর কটা দিন. বৃত্তি পরীক্ষা শেষ হলেই জীবন শান্তি আর শান্তি. জীবনের নানা এপিসোডে আপনি এই কথাগুলো শুনেছেন অনেকবার অনেকের মুখে. এসএসসি পরীক্ষাটা দাও, কলেজে উঠলেই তো স্বাধীনতা. একবার ভার্সেটিতে উঠতে পারলেই জীবন হবে আনন্দে ভরপুর. একবার জব লাইফে ঢোকো. নিজের টাকায় আয়েশ করার মজাই অন্যরকম. শুনেছেন না এসব?  বয়স ঘড়ির ত্রিশের প্রান্তে দাঁড়িয়ে হিসেবগুলো মেলাতে পারেন কি? কি মনে হয়? এই এপিসোডগুলোর কোনোটা পার হবার সময় জীবন খানিকটা হলেও সহজ হয়েছে? সুন্দর হয়েছে? হয়নি, হবেও না, মিথ্যা একটা মরীচিকার আশায় আমরা ছুটেছি ঠিকই আমাদের ছোটানো হয়েছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি ছুটত...

ডাচ ডিজিজ কি ? অর্থনীতি কিভাবে রোগে ভুগতে পারে ?

সো হোয়াট দ্য হেল দিস ডাচ ডিজিজ? ডাচ ডিজিজ শব্দটা শুনলে আপনার স্বাভাবিক ভাবেই মনে হবে এটা কোন রোগের নাম । হ্যাঁ এটা একটা রোগ. তবে মানুষের নয়. কোন প্রাণীরও নয়. তাহলে? এটা মূলত অর্থনীতির একটা সিন্ড্রোম. কিন্তু অর্থনীতির টার্মের সঙ্গে ডিজিজ কথাটা যুক্ত হল কেন? ডাচ বা নেদারল্যান্ড দেশটারই বা কি ভূমিকা এতে?  না এটা বুঝতে আপনাকে অর্থনীতির ছাত্র হতে হবে না ।কিন্তু বিষয়টা বেশ মজার দু হাজার সতেরো সালে বুকিং ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ডাচ ডিজিজ এন্ড ইকোনমিক ইলনেস ইজি টু ক্যাচ ডিফিকাল্ট টু কিওর শিরোনামের আর্টিকেলের শুরুতেই বলা হয়ে ছিল- what a persistantly low oil price, dose to oil richan prises like what a long cold winter dust to people একথার তাৎপর্য কি?  সহজ বাংলায় বুঝিয়ে বলা যায় যদি বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে তেলের দাম কমতে থাকে তখন তেল সমৃদ্ধ তেলের ওপর ভাবে নির্ভরশীল দেশগুলোর অর্থনীতি নানান সমস্যায় ভুগতে পারে. এখানে তেল একটা রূপক মাত্র. তেলের জায়গায় চাল, ডাল, লবণ, চিনি যেকোনো কিছুই হতে পারে. হতে পারে কোন শিল্প যেমন টেক্সটাইল গার্মেন্টস বা ইনফরমেশন টেকনোলজিও. মূল বিষয়টা হচ্ছে...