সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুদ্রাস্ফীতি কি ?

   মানুষের আয় না বাড়লেও জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে মানিয়ে নিতে না পারার অন্যতম কারণ হলো মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতিএবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে অর্থনীতির যে কয়েকটি বিষয়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িত. তার মধ্যে অন্যতম হলো খেলাপিঋণ. কোনো নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পণ্য বা সেবার দাম টাকার অংকে বেড়ে গেলে অর্থনীতির ভাষায় তাকে  মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়. সাধারণত মুদ্রাস্ফীতির ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়. ফলে কোনো একটি পণ্যের দাম আগে যদি হতো একশো টাকা. তাহলে মুদ্রাস্ফীতির পর তার দাম হবে একশো দশ টাকা. অথবা একশো টাকায় সেই পণ্য আগের চেয়ে অনেক কম পরিমাণে পাওয়া যাবে. এর ফলে অর্থনীতিতে পণ্যের আসল বিনিময় মূল্যও কমে যায়। আরো সহজ করে বলতে গেলে দেশের সর্বমোট যত সম্পদ আছে তার মূল্য ওই দেশের বর্তমান মোট মুদ্রামান বা মোট টাকার সমান.  মনে করুন বাংলাদেশে সর্বমোট একশো টাকা আছে. এবং দেশের মোট সম্পদ হলো দশটি আম. যেহেতু দেশের মোট সম্পদের মূল্য মোট মূল্যবানের সমান. সেহেতু এই দশটি আমের মূল্য একশো টাকা. তার মানে প্রতিটি আমের মূল্য দশ টাকা. এখন য...

শেয়ার মার্কেট কি ?

   শেয়রবাজার হলো এমন একটি বাজার ব্যবস্থা যেখানে বিভিন্ন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বিক্রি করে বিনিয়োগ বা পুঁজি সংগ্রহ করে. তাই একে পুঁজি বাজারও বলা হয়. কোনো দেশের শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট যখন চাঙ্গা থাকে তখন মনে করা হয় সেই দেশের অর্থনীতিও খুব ভালো অবস্থানে আছে. বর্তমান বিশ্বের বহু বিখ্যাত কোম্পানি তাদের শেয়ার জনসম্মুখে বেচাকেনা করে. কিন্তু অতীতে বিষয়গুলো এমন ছিল না. আগে সাধারণত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একজন ব্যক্তির মালিকানায় থাকতো. কিন্তু এককভাবে কোনো ব্যবসা দাঁড় করাতে প্রচুর সময় ও শ্রমের প্রয়োজন হয়. সে কারণে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে পুরোনো ধারা পাল্টাতে থাকে. কোম্পানির মালিকেরা লক্ষ্য করেন যে তারা যদি জনসাধারণকে তাদের ব্যবসায় অংশীদার করতে পারেন. তাহলে বেশ অল্প সময়ে ব্যবসায় উন্নতি করা যাবে.  আর সেখান থেকেই শেয়রবাজার ধারণা জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে. শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিনিয়োগ সংগ্রহের জন্য তাদের প্রাথমিক মূলধনকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে. এবং এসব এক একটি ভাগ জনগণের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়. এই প্রত্যেকটি অংশকে বলা হয় এ...

শিক্ষা শ্রম কি ? কিভাবে বের হতে পারা যায় এই অসুস্থ জগৎ থেকে ?

     এইতো কয়েকদিন আগের কথা. বিশ্বসেরা all rounder সাকিব আল হাসান সাংবাদিক উৎপল সুটের কাছে একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন. পঞ্চপাণ্ডব  সহ আরো কিছু বিষয় সোজাসাপ্টা মন্তব্যের কারণে সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বেশ বিতর্ক হলো কিন্তু ক্রিকেট ও আলোচনা বা বিতর্কিত আলাপের বাইরেও সাকিব সেই সাক্ষাৎকারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছিলেন যেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হয়নি । পরিবার আমেরিকাতেই স্থায়ী হবে এমন আভাস দিয়ে সাকিব বলেছিলেন বাংলাদেশে থাকার সময় স্কুলে যাওয়ার আগে আমার বড় মেয়ে অ্যালাইনা ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন কাঁদতো. অথচ আমেরিকায় এক ডাক দেওয়ার আগেই নিজে উঠে চোখ বন্ধ করে নিজে ব্রাশ করে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে যায়. এর থেকে ভালো আমার জন্য আর কি হতে পারে?  সাকিব কেন নিজেকে একমাত্র পাণ্ডব বলে দাবি করেছেন সাকিবের বক্তব্যে অন্যান্য সিনিয়র প্লেয়ারদের অসম্মান করা হয়েছে কিনা এসবের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কিন্তু এই কয়েকটা লাইনে লুকিয়ে আছে । স্কুল জায়গাটা কেন পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সের একটা বাচ্চা মেয়ের কাছে বিভীষিকার নাম হয়ে উঠবে.  এই গল্পটা শুধু এলাইনার নয়. এ...

মানসিকতার কয় টা দিক ? Personalities theory কী ?

     আপনি মানুষের সামনে খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নিল. আহ মানুষটা কি ভিল দরিয়া? মানুষটা খুব মিশুক. এক্সট্রোভার্ট।   কিন্তু আপনি আসলে ভেতরে ভেতরে উপলব্ধি করেন মানুষ আপনাকে যা ভাবে তা আপনি নন মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন।  কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয় । আপনি আসলে নিজের ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন নিজস্ব সার্কেলে । কিন্তু এমন কিন্তু এমনটা কেন? কিছু মানুষের ভেতরে দৈত সত্তা খুব বেশি কাজ করে. মনের ভেতর আর বাইরের উপস্থাপনার একটা দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে. মানুষ আপনাকে যতটা introvert ভাবে মনে করে. কি ভাব? আপনি তেমন নাও হতে পারেন । আপনিও জোৎস্ই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে এক্সপ্রেস করতে পারেন । এই যে দইতো একটা বৈচিত্র নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে এটাকে তাহলে কি বলা যাবে? এই ধরণের মানুষগুলো আসলে এক্সট্রোভার্ট  আবার পুরোপুরি ইন্ট্রোভার্ট ও না ।  তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকে. এই মানুষগুলোকে বলা হয় হ্যান্ডবিভার. মজার ব্যাপার হল প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে এক্সট্রোভার্টরা সেলস কমিউনিকেশানে খুব ভালো হয়. কিন্তু গবেষণায়...

বিটকয়েন কি ? বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে ?

   বেশ কিছুদিন হলো বাংলাদেশ সরকার থেকে ধরপাকড় চলছে বিটকয়েন মাইনারদের ওপর । আসলে সেখানে কি চলছে?  যত গভীরে পড়ালেখা করলাম বিটকয়েন নিয়ে তত বেশি আগ্রহ জন্মাতে থাকলো. যেমন ধরুন বিটকয়েনের সৃষ্টি এক ছদ্মবেশী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীদ্বারা যাদের মূল পরিচয় এখনো অজ্ঞাতই রয়ে গেছে. নিজেদের পরিচয় দেয় তাঁরা সাতোশি ন্যাকামোতো নামে. সাতোশি ন্যাকামোতো কে আড়ালে রেখেই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বিটকয়ন. কিন্তু সাতোশি ন্যাকামোতো মাত্র একটা অংশ এই অবিশ্বাস্য খেলার মাঠে. সত্যি বলতে এটা একটা হোয়াইট ওয়ার্ল্ড. কি চলছে সেখানে? তা আমাদের মাথায় ঢোকানো বেশ কষ্ট. আর এই জন্যই মনে হলো এটাই সঠিক সময়ে  দর্শকদের কাছে কিছুটা সহজ ভাষায় ক্রিপ্টোকারেন্সি ও বিটকয়েন কি কিভাবে কাজ করে বা ভবিষ্যতে কি হবে তা তুলে ধরার।    বিটকয়েন একটা গল্প. আমাদের প্রভাবিত করার গল্প. ইতিহাস ঘাতলে দেখা যায় আমরা মুদ্রা এবং অর্থ ব্যবস্থার যে রূপ আজকে দেখি. তা কিন্তু এমনটা ছিল না. একটা সময় ছিল. যখন মুদ্রার বদলে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। অর্থাৎ কোন বস্তুর বদলে অন্য বস্তু বিনিময...

চীন কিভাবে সুপার পাওয়ার হয়ে উঠল ? চীন কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতির জায়ান্ট হল ?

   সালটা উনিশশো আটানব্বই. বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সদস্য পদের জন্য আবেদন করে চীন।  তাদের জন্য বিষয়টা ঠিক এতটা সহজ ছিল না।  কারণ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ তখন চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়. এর অবশ্য কারণও ছিল. চীনা কোম্পানিগুলো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের রিপ্লিকা ছাড়া আর কিছুই নয় বা নকলপূর্ণ বানায় এই বদনামে ছেয়ে গেছে তখন চারিদিক. চীন সরকার এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয় না.  সেই সময় চীনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেই দেশগুলোর রাগ ভাঙিয়েছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিটন কিন্তু ক্লিটন যদি জানতেন বছর বিশেকের মধ্যেই বৈশিক অর্থনীতিতে তার দেশকে পেছনে ফেলে সুপার জায়ান্ট হবার দূরে এগিয়ে যাবে চীন। এই কাজটা হয়তো তিনি করতেন না কখনো. সেই সময় আমেরিকার অর্থনীতি ছিল নয় ট্রিলিয়ন ডলারের. আর চীনের অর্থনীতির মূল্যবান ছিল মাত্র এক ট্রিলিয়ন ডলার. নয় গুণ পিছিয়ে থাকা একটা দেশের সঙ্গে কোন প্রতিযোগিতাই নেই. এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন ক্লিটন। কিন্তু সেটা যে কত বড় ভুল ধারণা ছিল. সেটা এখন আমেরিকানরা জানে হাড়ে হাড়ে. ছোট্ট একটা ডেটা দিয়ে শুরু করা যাক. দু হাজার বিশ সা...

রেট রেস কি ?

      আপনি ঠিক কখন ইঁদুর দৌড়ে যোগ দিয়েছেন এটা হিসাব করা কঠিন. কিন্তু নিশ্চিত থাকুন আপনি এই দৌড়ে আছেন. ক্লাস eight এ পড়ার সময়ের কথা মনে আছে? সামনে বৃত্তি পরীক্ষা পাটিগণিত বীজগণিতের অংক প্যাঁচ লাগাচ্ছে বিজ্ঞানের জটিল সব সূত্র ভোরে ওঠে প্রাইভেট টিউটরের বাসায় ছোটা রাত জেগে পড়াশোনা. বয়সের তুলনায় অনেক বেশি কর্ম ব্যস্ত একটা সময় নিশ্চয়ই কাটিয়েছেন তখন? আমরা সবাই কাটিয়েছি. সেই সময় নিশ্চয়ই অভিভাবক বলেছে এই তো আর কটা দিন. বৃত্তি পরীক্ষা শেষ হলেই জীবন শান্তি আর শান্তি. জীবনের নানা এপিসোডে আপনি এই কথাগুলো শুনেছেন অনেকবার অনেকের মুখে. এসএসসি পরীক্ষাটা দাও, কলেজে উঠলেই তো স্বাধীনতা. একবার ভার্সেটিতে উঠতে পারলেই জীবন হবে আনন্দে ভরপুর. একবার জব লাইফে ঢোকো. নিজের টাকায় আয়েশ করার মজাই অন্যরকম. শুনেছেন না এসব?  বয়স ঘড়ির ত্রিশের প্রান্তে দাঁড়িয়ে হিসেবগুলো মেলাতে পারেন কি? কি মনে হয়? এই এপিসোডগুলোর কোনোটা পার হবার সময় জীবন খানিকটা হলেও সহজ হয়েছে? সুন্দর হয়েছে? হয়নি, হবেও না, মিথ্যা একটা মরীচিকার আশায় আমরা ছুটেছি ঠিকই আমাদের ছোটানো হয়েছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি ছুটত...