ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক ফর পোস্ট প্রায়োরিটি বা সংক্ষেপে আইপিডিএফ অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক উদ্যোগ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পলিটিক্যাল ইকোনমিক বাজারে এই ধারণাটা খুব জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে ।
জাপানে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক নামে নতুন এই অর্থনৈতিক উয্যোগের ঘোষণার সময় জো বাইডেন খুব জোরে স্বরেই বললেন আমরা এর মাধ্যমে একুশ শতকের অর্থনীতির নতুন ধারা রচনা করতে যাচ্ছি । প্রশ্ন হচ্ছে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক বিষয়টা কি? আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া প্রয়োজন এটা খুব নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় এই অর্থনৈতিক উদ্যোগের কর্ণধার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র । তাই পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের ইন্ডো প্যাসিফিক অঞ্চল এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বুঝতে হবে.
প্রথমত বোঝা দরকার বৈশিক রাজনীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবটা কি? যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে সুপার পাওয়ার হিসেবে দেখতে চায়. মার্কিনীরা সবসময় চেষ্টা করে তার চেয়ে শক্তিশালী দেশের উত্থান যেন না হয়. তাই যুক্তরাষ্ট্র নিজে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি সারা বিশ্বে তার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক আধিপত্য বজায় রাখতে চায়।
দ্বিতীয়ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার । তারা সবসময় বৈশ্বিক সম্পদ এবং বিশ্ববাজারে তাদের সর্বোচ্চ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চায়. ফলে সেই লক্ষ্যে মিত্র শক্তি দেশগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে. আর এই অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিযোগী দেশগুলোর জন্য বাণিজ্য বাধার সৃষ্টি করে. প্রয়োজন হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতেও পিছপা হয় না. যা শেষ পর্যন্ত সামরিক হস্তক্ষেপ পর্যন্ত গড়াতে পারে.
তৃতীয়ত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার মিত্রদের পারস্পরিক বোঝাপড়া. যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের মাধ্যমে সারা বিশ্বে তার আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা চালায়. আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে মিত্ররাষ্ট্রগুলো তাদের স্বার্থ হাসিল করে.
চতুর্থত আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে সেই অঞ্চলটি হয়ে উঠেছে ভুয়ো রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু. বার্লিন অবরোধ, ইজরাইলের উত্থান, কোরিয়া যুদ্ধ, কিউবার মিসাইল সংকট, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ. গত দুই দশকে আরব বসন্ত ও মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার দিকে তাকালে সেটাই বোঝা যায়. অর্থাৎ আন্তর্জাতিক রাজনীতির মোড় কোন দিকে যাবে সেটা মূলত নির্ভর করেছে এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরে. গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আমরা একটি এক মেরু বিশ্ব বা ইউনিপোলার ওয়ার্ল্ড অর্ডার দেখতে পেয়েছি । যেখানে যুক্তরাষ্ট্রই ছিল একক পরা শক্তি. একুশ শতকের তৃতীয় দশকে এসে পৃথিবীর আর এক ধরণের বিশ্ব ব্যবস্থার সামনে দাঁড়িয়ে আছে. যেখানে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া ইত্যাদি রাষ্ট্র পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে.
এতো কিছুদিন আগে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড অর্ডারকে কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে. যাই হোক এই অনেকগুলো রাষ্ট্র যখন বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালায় তখন তাকে বলে বহুমেরু বিশ্ব ব্যবস্থা. একুশ শতকে চীনের বিকাশমান সামরিক অর্থনৈতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আকাশ, স্থল, সমুদ্রসীমার আধিপত্য ইত্যাদি তাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে উপস্থাপন করেছে. ইতিমধ্যেই চীনের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই এই অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিক ভিশন, ওয়ার্ড , বিল প্যাক ওয়ার্কস এর মতো প্রকল্প হাতে নিয়েছে । এইবার আসি ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল বলতে কি বোঝায় ? সাথে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্কটাই বা কি ? এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই অঞ্চলকে যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল বলে ডেকে থাকে. যা মূলত দূর প্রাচ্য, দক্ষিন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও অশুনিয়া মহাদেশ নিয়ে গঠিত বিস্তৃত অঞ্চলকে পৌঁছায়. জিব্রালটার প্রণালী হয়ে ভূমধ্যসাগর সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে লোহিত সাগর তারপর বঙ্গোপসাগর ও মালাক্কা প্রণালী হয়ে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রোড এই অঞ্চল জুড়েই বিস্তৃত ।বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ বাণিজ্য হয় এই রুটটি দিয়ে । কয়েক বছর পর সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুই তৃতীয়াংশই হবে এই অঞ্চলে।
এখন এক কথায় এই ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে শক্তিশালী এবং নিরবিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র করতে গৃহীত একটি অর্থনৈতিক উদ্যোগকেই বলা ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক । ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক হচ্ছে এই অঞ্চলে চায়নার পরিকল্পনার বিকল্প পন্থা । যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকসুলিভান মনে করেন এটি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার মিত্রদের সম্পর্ককে আরো জোরালো করে তুলবে যা তাদের সমন্বিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও প্রাথমিকভাবে বারোটি রাষ্ট্র এর অন্তর্ভুক্ত যার মধ্যে আছে কোওয়ার্ড ভুক্ত রাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং জাপান. তাছাড়া আশিয়ান ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম. সাথে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং নিউজিল্যান্ড. ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও করোনা মহামারী এবং রাশিয়ার ইউক্রেনে সেনা হস্তক্ষেপ এই অর্থনৈতিক উদ্যোগ ত্বরান্বিত করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে. করোনার সময় দেখা গিয়েছে কিভাবে মহামারী সারা বিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থা বা সাপ্লাই চেইনকে ভেঙে দিয়েছে. ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল. পণ্যবাহী জাহাজ তাদের পণ্য সরবরাহে দেরি করছিল. সারা বিশ্বে মুদ্রার স্মৃতি বেড়ে গিয়েছে. এই সাথে রাশিয়ার ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ তখন দেখা যায় বিশ্ববাজারে খাদ্য এবং জ্বালানির দাম কি নাটকীয় হারে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার প্রয়াস হিসাবে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক কে গুরুত্বের সাথে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের এমন কর্মযজ্ঞ নতুন কিছু নয় কিন্তু দুহাজার ষোলো সালে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্যকে বহাল রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও তেরোটি রাষ্ট্র নিয়ে ট্রান্সপেসিফিক পার্টনারশিপ টিপিপি নামে একটি বহুজাতিক বাণিজ্য চুক্তি করেছিল ওবামা প্রশাসন. কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়.
এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে টেরিফ এবং নন টেরিফ ব্যারিয়ার গুলোকে প্রশমিত করা যার ফলে স্বাক্ষরকৃত রাষ্ট্রগুলো খুব সহজে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে পারতো। বিষয়টি খুব অদ্ভুত হলেও সত্যি ট্রান্সপেসিফিক পার্টনারশিপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করার পর চায়না এই বাণিজ্যচুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চেয়েছিল. যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করার পর এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি. যার ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ. যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র, বাণিজ্য যুদ্ধে টিকে থাকার লক্ষ্যে যতটা সম্ভব চীন নির্ভরতা কমাতে চায় তাই যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করবে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলগুলোতে তাদের বিকল্প বাজার তৈরি করতে. ভারতের সাথে চীনের তিব্বত ও লাদাখ দ্বন্দ্বে নিজেকে শক্ত অবস্থানে রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ভারতেরও দরকার.
চারটি লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্কের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে.
যেখানে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্বাধীন এবং অনুকূল অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে. যা তাদের জাতীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ।
তা ছাড়া ডিজিটাল ইকোনমিক সেক্টরে ই কমার্স প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরা কিভাবে লাভবান হতে পারে সেদিকেও রাখা হয়েছে বিশেষ নজর । করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে আমরা দেখেছি কিভাবে সারা পৃথিবীর সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল । যার ফলে দেখা দেয় মুদ্রার স্ফীতি ও জ্বালানি সংকট. তাই সমুদ্র বন্দরগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি, মুক্ত শক্তিশালী বাণিজ্য রুট গড়ে তোলা এই ইনিশিয়েটিভের প্রধান লক্ষ্য. নবায়ন যোগ্য শক্তির ব্যবহার, কার্বন নিরসন , কলকারখানার কার্বন ডাই অক্সাইডের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়েও ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্কে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এই অঞ্চলে সুস্থ অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা নিশ্চিত অর্থনৈতিক সুশাসন বিনষ্টকারী যেকোনো শক্তির বিপক্ষে সব সময় সোচ্চার থাকবে এই ফ্রেম ওয়ার্ক। সেক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং ট্যাক্স বা কি অর্থনৈতিক তথ্যের অবৈধ হস্তান্তর তারা শক্ত হাতে দমন করবে. ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক সম্পর্কে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও এর সমালোচনাও কিন্তু হচ্ছে প্রচুর. যেমন একটি দেশ যখন কোন ইকোনমিক ব্লকে যোগ দেয় তখন সে শুল্ক মুক্ত বাণিজ্য প্রবেশাধিকার অথবা কোন ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা ছাড়া ব্যবসা করতে চায়. ইন্দো প্যাসিফিকে এমন বাজার সুবিধা বা টেরিফ মুক্ত বাণিজ্য করার কোনো সুযোগই নেই দেশগুলোর জন্য. তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া জাপান বাদে এই অর্থনৈতিক উদ্যোগ বাকি দেশগুলোর জন্য কোন ধরনের উইন উইন সিচুয়েশন নয়। এই ধরনের অর্থনৈতিক উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার জন্য একটি দেশের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন আইন এবং নীতিমালাকে পরিবর্তন করতে হয়। বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এই ইনিশিয়েটিভ সফল হওয়ার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। এই ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি দুনিয়া নানা ধরনের বাধ্যবাধকতা ও বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে এক ধরনের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইবে। এই ফ্রেম ওয়ার্ক ডিজিটাল ইকোনমিক স্বচ্ছতা, পরিবেশগত সুরক্ষা, দুর্নীতি, প্রতিরোধের যে স্ট্যান্ডার্ড বা মান যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারণ করেছে তা অন্তর্ভুক্ত অনেক ছোট দেশের জন্য পূরণ করা প্রায় অসম্ভব. তাছাড়া বাইডেন প্রশাসন কেমন অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সহায়তা প্রদান করবে সহযোগী দেশগুলোর জন্য এখনো কিন্তু তা পরিষ্কার নয়. এমনকি ইউএস কংগ্রেস আইপিএফ এর দায়িত্ব নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে. বাইরের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় না থাকলে এই ইনিশিয়েটিভ কতদূর এগিয়ে যাবে সেটাও ভাবার বিষয়. আমরা দেখেছি ডোনাল্ড ট্রাম্প কিভাবে টিপিপি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছিল এর আগে. Indopesific economic framework চিনের বাণিজ্যিক আধিপত্য মোকাবিলার কতটুকু ভূমিকা পালন করতে পারে সেটা সময়ই বলে দেবে. তবে দক্ষিন এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এই বাণিজ্য যুদ্ধ বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র দেশগুলোর উপর কেমন প্রভাব ফেলবে সেটা বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে. এটা নিয়ে কথা হবে অন্য একদিন.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন