সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

চীন কে ঠেকাতে আমেরিকার মহা পরিকল্পনা ? ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক কি ?

  ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক ফর পোস্ট প্রায়োরিটি বা সংক্ষেপে আইপিডিএফ অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক উদ্যোগ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পলিটিক্যাল ইকোনমিক বাজারে এই ধারণাটা খুব জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে ।


 জাপানে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক নামে নতুন এই অর্থনৈতিক উয্যোগের ঘোষণার সময় জো বাইডেন খুব জোরে স্বরেই বললেন আমরা এর মাধ্যমে একুশ শতকের অর্থনীতির নতুন ধারা রচনা করতে যাচ্ছি ।  প্রশ্ন হচ্ছে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক  বিষয়টা কি?  আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া প্রয়োজন এটা খুব নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় এই অর্থনৈতিক উদ্যোগের কর্ণধার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র । তাই পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের ইন্ডো প্যাসিফিক অঞ্চল এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বুঝতে হবে. 



প্রথমত বোঝা দরকার বৈশিক রাজনীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবটা কি? যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে সুপার পাওয়ার হিসেবে দেখতে চায়.  মার্কিনীরা সবসময় চেষ্টা করে তার চেয়ে শক্তিশালী দেশের উত্থান যেন না হয়. তাই যুক্তরাষ্ট্র নিজে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি সারা বিশ্বে তার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক আধিপত্য বজায় রাখতে চায়। 




 দ্বিতীয়ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার । তারা সবসময় বৈশ্বিক সম্পদ এবং বিশ্ববাজারে তাদের সর্বোচ্চ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চায়. ফলে সেই লক্ষ্যে মিত্র শক্তি দেশগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে. আর এই অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিযোগী দেশগুলোর জন্য বাণিজ্য বাধার সৃষ্টি করে. প্রয়োজন হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতেও পিছপা হয় না. যা শেষ পর্যন্ত সামরিক হস্তক্ষেপ পর্যন্ত গড়াতে পারে. 


তৃতীয়ত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার মিত্রদের পারস্পরিক বোঝাপড়া. যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের মাধ্যমে সারা বিশ্বে তার আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা চালায়. আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে মিত্ররাষ্ট্রগুলো তাদের স্বার্থ হাসিল করে.


 চতুর্থত আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে সেই অঞ্চলটি হয়ে উঠেছে ভুয়ো রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু. বার্লিন অবরোধ, ইজরাইলের উত্থান, কোরিয়া যুদ্ধ, কিউবার মিসাইল সংকট, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ. গত দুই দশকে আরব বসন্ত ও মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার দিকে তাকালে সেটাই বোঝা যায়. অর্থাৎ আন্তর্জাতিক রাজনীতির মোড় কোন দিকে যাবে সেটা মূলত নির্ভর করেছে এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরে. গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আমরা একটি এক মেরু বিশ্ব বা ইউনিপোলার ওয়ার্ল্ড অর্ডার দেখতে পেয়েছি । যেখানে যুক্তরাষ্ট্রই ছিল একক পরা শক্তি. একুশ শতকের তৃতীয় দশকে এসে পৃথিবীর আর এক ধরণের বিশ্ব ব্যবস্থার সামনে দাঁড়িয়ে আছে. যেখানে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া ইত্যাদি রাষ্ট্র পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে.


 এতো কিছুদিন আগে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড অর্ডারকে কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে. যাই হোক এই অনেকগুলো রাষ্ট্র যখন বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালায় তখন তাকে বলে বহুমেরু বিশ্ব ব্যবস্থা. একুশ শতকে চীনের বিকাশমান সামরিক অর্থনৈতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আকাশ, স্থল, সমুদ্রসীমার আধিপত্য ইত্যাদি তাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে উপস্থাপন করেছে. ইতিমধ্যেই চীনের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই এই অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিক ভিশন, ওয়ার্ড , বিল প্যাক ওয়ার্কস এর মতো প্রকল্প হাতে নিয়েছে । এইবার আসি ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল বলতে কি বোঝায় ? সাথে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্কটাই বা কি ?  এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই অঞ্চলকে যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল বলে ডেকে থাকে. যা মূলত দূর প্রাচ্য, দক্ষিন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও অশুনিয়া মহাদেশ নিয়ে গঠিত বিস্তৃত অঞ্চলকে পৌঁছায়. জিব্রালটার প্রণালী হয়ে ভূমধ্যসাগর সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে লোহিত সাগর তারপর বঙ্গোপসাগর ও মালাক্কা প্রণালী হয়ে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রোড এই অঞ্চল জুড়েই বিস্তৃত ।বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ বাণিজ্য হয় এই রুটটি দিয়ে । কয়েক বছর পর সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুই তৃতীয়াংশই হবে এই অঞ্চলে।


 এখন এক কথায় এই ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে শক্তিশালী এবং নিরবিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র করতে গৃহীত একটি অর্থনৈতিক উদ্যোগকেই বলা ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক । ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক  হচ্ছে এই অঞ্চলে চায়নার পরিকল্পনার বিকল্প পন্থা । যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকসুলিভান মনে করেন এটি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার মিত্রদের সম্পর্ককে আরো জোরালো করে তুলবে যা তাদের সমন্বিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও প্রাথমিকভাবে বারোটি রাষ্ট্র এর অন্তর্ভুক্ত যার মধ্যে আছে কোওয়ার্ড ভুক্ত রাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং জাপান. তাছাড়া আশিয়ান ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন, সিঙ্গাপুর,  থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম. সাথে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং নিউজিল্যান্ড. ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও করোনা মহামারী এবং রাশিয়ার ইউক্রেনে   সেনা হস্তক্ষেপ এই অর্থনৈতিক উদ্যোগ ত্বরান্বিত করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে. করোনার সময় দেখা গিয়েছে কিভাবে মহামারী সারা বিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থা বা সাপ্লাই চেইনকে ভেঙে দিয়েছে. ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল. পণ্যবাহী জাহাজ তাদের পণ্য সরবরাহে দেরি করছিল. সারা বিশ্বে মুদ্রার স্মৃতি বেড়ে গিয়েছে. এই সাথে রাশিয়ার ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ তখন দেখা যায়  বিশ্ববাজারে খাদ্য এবং জ্বালানির দাম কি নাটকীয় হারে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার প্রয়াস হিসাবে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক কে গুরুত্বের সাথে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা।  এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের এমন কর্মযজ্ঞ নতুন কিছু নয় কিন্তু দুহাজার ষোলো সালে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্যকে বহাল রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও তেরোটি রাষ্ট্র নিয়ে ট্রান্সপেসিফিক পার্টনারশিপ টিপিপি নামে একটি বহুজাতিক বাণিজ্য চুক্তি করেছিল ওবামা প্রশাসন. কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়. 



 এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে টেরিফ এবং নন টেরিফ ব্যারিয়ার গুলোকে প্রশমিত করা যার ফলে স্বাক্ষরকৃত রাষ্ট্রগুলো খুব সহজে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে পারতো।  বিষয়টি খুব অদ্ভুত হলেও সত্যি ট্রান্সপেসিফিক পার্টনারশিপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করার পর চায়না এই বাণিজ্যচুক্তিতে  স্বাক্ষর করতে চেয়েছিল. যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করার পর এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি. যার ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ. যেহেতু  যুক্তরাষ্ট্র, বাণিজ্য যুদ্ধে টিকে থাকার লক্ষ্যে যতটা সম্ভব চীন নির্ভরতা কমাতে চায় তাই যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করবে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলগুলোতে তাদের বিকল্প বাজার তৈরি করতে. ভারতের সাথে চীনের তিব্বত ও লাদাখ দ্বন্দ্বে নিজেকে শক্ত অবস্থানে রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ভারতেরও দরকার.



 চারটি লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্কের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে.  


 যেখানে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্বাধীন এবং অনুকূল অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে. যা তাদের জাতীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ।



 তা ছাড়া ডিজিটাল ইকোনমিক সেক্টরে ই কমার্স প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীরা কিভাবে লাভবান হতে পারে সেদিকেও রাখা হয়েছে বিশেষ নজর । করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন সংকটের প্রেক্ষাপটে আমরা দেখেছি কিভাবে সারা পৃথিবীর সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল । যার ফলে দেখা দেয় মুদ্রার স্ফীতি ও জ্বালানি সংকট. তাই সমুদ্র বন্দরগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি, মুক্ত শক্তিশালী বাণিজ্য রুট গড়ে তোলা এই ইনিশিয়েটিভের প্রধান লক্ষ্য. নবায়ন যোগ্য শক্তির ব্যবহার, কার্বন নিরসন , কলকারখানার কার্বন ডাই অক্সাইডের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়েও ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্কে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।  এই অঞ্চলে সুস্থ অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা নিশ্চিত অর্থনৈতিক সুশাসন বিনষ্টকারী যেকোনো শক্তির বিপক্ষে সব সময় সোচ্চার থাকবে এই ফ্রেম ওয়ার্ক। সেক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং ট্যাক্স বা কি অর্থনৈতিক তথ্যের অবৈধ হস্তান্তর তারা শক্ত হাতে দমন করবে. ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক  সম্পর্কে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও এর সমালোচনাও কিন্তু হচ্ছে প্রচুর. যেমন একটি দেশ যখন কোন ইকোনমিক ব্লকে যোগ দেয় তখন সে শুল্ক মুক্ত বাণিজ্য প্রবেশাধিকার অথবা কোন ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা ছাড়া ব্যবসা করতে চায়. ইন্দো প্যাসিফিকে এমন বাজার সুবিধা বা টেরিফ মুক্ত বাণিজ্য করার কোনো সুযোগই নেই দেশগুলোর জন্য. তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া জাপান বাদে এই অর্থনৈতিক উদ্যোগ বাকি দেশগুলোর জন্য কোন ধরনের উইন উইন সিচুয়েশন নয়। এই ধরনের অর্থনৈতিক উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার জন্য একটি দেশের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন আইন এবং নীতিমালাকে পরিবর্তন করতে হয়।  বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এই ইনিশিয়েটিভ সফল হওয়ার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। এই ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি দুনিয়া নানা ধরনের বাধ্যবাধকতা ও বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে এক ধরনের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইবে। এই ফ্রেম ওয়ার্ক  ডিজিটাল ইকোনমিক স্বচ্ছতা, পরিবেশগত সুরক্ষা, দুর্নীতি, প্রতিরোধের যে স্ট্যান্ডার্ড বা মান যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারণ করেছে তা অন্তর্ভুক্ত অনেক ছোট দেশের জন্য পূরণ করা প্রায় অসম্ভব. তাছাড়া বাইডেন প্রশাসন কেমন অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সহায়তা প্রদান করবে সহযোগী দেশগুলোর জন্য এখনো কিন্তু তা পরিষ্কার নয়. এমনকি ইউএস কংগ্রেস আইপিএফ এর দায়িত্ব নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে. বাইরের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় না থাকলে এই ইনিশিয়েটিভ কতদূর এগিয়ে যাবে সেটাও ভাবার বিষয়. আমরা দেখেছি ডোনাল্ড ট্রাম্প কিভাবে টিপিপি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছিল এর আগে. Indopesific economic framework চিনের বাণিজ্যিক আধিপত্য মোকাবিলার কতটুকু ভূমিকা পালন করতে পারে সেটা সময়ই বলে দেবে. তবে দক্ষিন এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এই বাণিজ্য যুদ্ধ বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র দেশগুলোর উপর কেমন প্রভাব ফেলবে সেটা বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে. এটা নিয়ে কথা হবে অন্য একদিন.



 

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

মানসিকতার কয় টা দিক ? Personalities theory কী ?

     আপনি মানুষের সামনে খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নিল. আহ মানুষটা কি ভিল দরিয়া? মানুষটা খুব মিশুক. এক্সট্রোভার্ট।   কিন্তু আপনি আসলে ভেতরে ভেতরে উপলব্ধি করেন মানুষ আপনাকে যা ভাবে তা আপনি নন মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন।  কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয় । আপনি আসলে নিজের ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন নিজস্ব সার্কেলে । কিন্তু এমন কিন্তু এমনটা কেন? কিছু মানুষের ভেতরে দৈত সত্তা খুব বেশি কাজ করে. মনের ভেতর আর বাইরের উপস্থাপনার একটা দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে. মানুষ আপনাকে যতটা introvert ভাবে মনে করে. কি ভাব? আপনি তেমন নাও হতে পারেন । আপনিও জোৎস্ই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে এক্সপ্রেস করতে পারেন । এই যে দইতো একটা বৈচিত্র নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে এটাকে তাহলে কি বলা যাবে? এই ধরণের মানুষগুলো আসলে এক্সট্রোভার্ট  আবার পুরোপুরি ইন্ট্রোভার্ট ও না ।  তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকে. এই মানুষগুলোকে বলা হয় হ্যান্ডবিভার. মজার ব্যাপার হল প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে এক্সট্রোভার্টরা সেলস কমিউনিকেশানে খুব ভালো হয়. কিন্তু গবেষণায়...

এরিয়া ফিফটি one কি ?

এরিয়া ফিফটি ওয়ান  এটা এক অচেনা জগৎ. এখানে না আছে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক, না আছে কোনো সুইট সাইন. নেই পিচ ছাড়া রাস্তা বা প্রাণের খুব একটা স্পন্দন। এমনকি বাইরের বিশ্বের সংস্কৃতি এবং সমাজের সামান্যতম বিস্তরণও নেই এখানে। এই নিরীহ নির্মম গোপন রহস্য আসলে কি তা জানার সুযোগ হয়েছে বলা চলে খুবই কম । কখনো কখনো বলা হয় এটা এলিয়ান গবেষণাগার. ইউএফও বা আন আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্স নিয়েও নাকি প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে. অনেকে ধারণা করেন যে একবারই স্থানে ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না. বাইরের মানুষের কাছে একটা মিথ হয়ে রয়ে গেছে এই অঞ্চল. অন্তত এখনো পর্যন্ত. বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও সবচেয়ে রহস্যময় এলাকা এটি. নাম এরিয়া ফিফটি ওয়ান. শুরু থেকেই গোপনীয়তার দুর্ভেদ্য চাদরে মোড়ানো বলে এরিয়া ফিফটি ওয়ান নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে দিনকে দিন । জমাট বাঁধা এই রহস্য থেকেই কালক্রমে জন্ম নিয়েছে বেশ কিছু কন্সপিরেসি থিওরি ।  আমেরিকার নেভা স্টেটের দক্ষিণে লাস ভেগাস থেকে একশো পঞ্চাশ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পাহাড় গেরা মরুভূমির মধ্যে ঊনত্রিশ লক্ষ একর জায়গা জুড়ে আছে কুখ্যাত এবং বিদ্রুপজনক...

শিক্ষা শ্রম কি ? কিভাবে বের হতে পারা যায় এই অসুস্থ জগৎ থেকে ?

     এইতো কয়েকদিন আগের কথা. বিশ্বসেরা all rounder সাকিব আল হাসান সাংবাদিক উৎপল সুটের কাছে একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন. পঞ্চপাণ্ডব  সহ আরো কিছু বিষয় সোজাসাপ্টা মন্তব্যের কারণে সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বেশ বিতর্ক হলো কিন্তু ক্রিকেট ও আলোচনা বা বিতর্কিত আলাপের বাইরেও সাকিব সেই সাক্ষাৎকারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছিলেন যেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হয়নি । পরিবার আমেরিকাতেই স্থায়ী হবে এমন আভাস দিয়ে সাকিব বলেছিলেন বাংলাদেশে থাকার সময় স্কুলে যাওয়ার আগে আমার বড় মেয়ে অ্যালাইনা ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন কাঁদতো. অথচ আমেরিকায় এক ডাক দেওয়ার আগেই নিজে উঠে চোখ বন্ধ করে নিজে ব্রাশ করে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে যায়. এর থেকে ভালো আমার জন্য আর কি হতে পারে?  সাকিব কেন নিজেকে একমাত্র পাণ্ডব বলে দাবি করেছেন সাকিবের বক্তব্যে অন্যান্য সিনিয়র প্লেয়ারদের অসম্মান করা হয়েছে কিনা এসবের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কিন্তু এই কয়েকটা লাইনে লুকিয়ে আছে । স্কুল জায়গাটা কেন পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সের একটা বাচ্চা মেয়ের কাছে বিভীষিকার নাম হয়ে উঠবে.  এই গল্পটা শুধু এলাইনার নয়. এ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্কিল না সার্টিফিকেট? সার্টিফিকেটের দিন কি তাহলে শেষ হয়ে এল ? দেশে এত বেকার কেন ?

  একদিকে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে. অন্যদিকে চাকরিদাতারা বলছেন যোগ্য লোকের অভাব. আসলে বিষয়টা কি?  বেকার সমস্যা. বিশাল জনগোষ্ঠী, দেশ, বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুতর একটা সমস্যা. সমস্যাটা আরো গুরুতর যখন এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যাই বেশি. বিআইডিএস এর এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বেকারত্বের হার চৌত্রিশ শতাংশ এবং স্নাতক পর্যায়ে এই হার সাইত্রিশ শতাংশ যুক্ত রাজ্যের প্রভাবশালী সময় কিনা ইকোনমিস্টের কলামেও বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশের সাতচল্লিশ শতাংশ স্নাতকই বেকার. অর্থাৎ প্রতিবছর যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সহ উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সারে তিন লাখ মানুষও বের হয় তবে তাদের প্রায় অর্ধেকই থেকে যাবে কর্মহীন।   কেন এত এত বিএসসি, এমএসসি, বিবিএ, এমবিএ, বিএ, এমএস সার্টিফিকেটধারী উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণী দিন শেষে বেকার থেকে যাচ্ছে হ্যাঁ এটা সত্য যে চাকরি প্রত্যাশীদের বিপরীতে যথেষ্ট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই. কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষিতদের অনেকেই যখন বেকার তখন প্...

দেযা ভু এফেক্ট কি ?

আচ্ছা এমনটা হয়েছে যে একদম নতুন কোনো জায়গায় প্রবল বৃষ্টিতে একটা ছাউনিতে আপনি আশ্রয় নিয়েছেন অথবা ধরুন কোথাও ট্যুরে গিয়ে আপনি আয়েশ করে বসে চা হাতে নিয়ে বই পড়ছেন । হঠাৎ আপনার মনে হলো এই জায়গায় আপনি আগেও ঠিক একইভাবে আটকে ছিলেন বৃষ্টিতে বা একই জায়গায় বসে চা হাতে বই পড়ছিলেন । অথচ বাস্তবে আপনি আগে কখনো এমন কিছু করেছেন বলে কিছুতেই মনে পড়ছে না কিন্তু ঘটনাগুলো এতটাই পরিচিত যে আপনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন মনে করার জন্য। হ্যাঁ এটাই দেযা ভু এফেক্ট ।  দেযা ভু এফেক্ট আমাদের সবার সাথেই কম বেশি হরহামেশাই ঘটে থাকে । ফরাসি এই শব্দের প্রথম প্রবর্তন করেন দার্শনিক এমএল বোরাক । যার অর্থ ইতিপূর্বে ঘটে গিয়েছে । এটি এমন একটি অনুভূতি যা থেকে মনে হতে পারে বর্তমানে ঘটতে থাকা কোন ঘটনা এর আগেও একই ভাবে অতীতে ঘটেছে। গবেষকদের মতে মোট জনসংখ্যার প্রায় সত্তর শতাংশের সাথে দেযা ভু এফেক্ট নিয়মিত ঘটে। অন্যান্য বয়সের তুলনায় পনেরো থেকে পঁচিশ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে সবচেয়ে বেশি। না, এটি কোন রোগ নয় । একদম সুস্থ মানুষের সাথেও নিয়মিত এমন অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে যারা অনেক বেশি ভ্রমণ করেন...

চীন কিভাবে সুপার পাওয়ার হয়ে উঠল ? চীন কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতির জায়ান্ট হল ?

   সালটা উনিশশো আটানব্বই. বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সদস্য পদের জন্য আবেদন করে চীন।  তাদের জন্য বিষয়টা ঠিক এতটা সহজ ছিল না।  কারণ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ তখন চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়. এর অবশ্য কারণও ছিল. চীনা কোম্পানিগুলো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের রিপ্লিকা ছাড়া আর কিছুই নয় বা নকলপূর্ণ বানায় এই বদনামে ছেয়ে গেছে তখন চারিদিক. চীন সরকার এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয় না.  সেই সময় চীনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেই দেশগুলোর রাগ ভাঙিয়েছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিটন কিন্তু ক্লিটন যদি জানতেন বছর বিশেকের মধ্যেই বৈশিক অর্থনীতিতে তার দেশকে পেছনে ফেলে সুপার জায়ান্ট হবার দূরে এগিয়ে যাবে চীন। এই কাজটা হয়তো তিনি করতেন না কখনো. সেই সময় আমেরিকার অর্থনীতি ছিল নয় ট্রিলিয়ন ডলারের. আর চীনের অর্থনীতির মূল্যবান ছিল মাত্র এক ট্রিলিয়ন ডলার. নয় গুণ পিছিয়ে থাকা একটা দেশের সঙ্গে কোন প্রতিযোগিতাই নেই. এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন ক্লিটন। কিন্তু সেটা যে কত বড় ভুল ধারণা ছিল. সেটা এখন আমেরিকানরা জানে হাড়ে হাড়ে. ছোট্ট একটা ডেটা দিয়ে শুরু করা যাক. দু হাজার বিশ সা...

বাংলাদেশ কি তবে শ্রীলংকা হতে যাচ্ছে ? বাংলাদেশ কি তাহলে দেউলিয়া হবার পথে ?

শ্রীলংকার সরকার অবশেষে জানিয়ে দিয়েছে বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা তাদের নেই অর্থাৎ নিজেদের দেউলিয়া হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হলো দেশটি । এটা অবশ্য বোঝাই যাচ্ছিলো গত কয়েকদিনের প্রেক্ষাপট দেখে ধারণা করা যাচ্ছিলো দেউলিয়া ঘোষণা করা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই শ্রীলংকার সামনে । তবে শ্রীলঙ্কার এই দুরাবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেকেই বেশ চিন্তিত। বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত হওয়াটা শ্রীলংকার আজকের অবস্থার একটা বড়ো কারণ। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে বাংলাদেশকেও প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিতে হচ্ছে. এখানে দুর্নীতি আছে আছে মুদ্রাস্ফীতি , জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে. আর তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক আছে. আজ থেকে কয়েক বছর পর বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মতো হবে না তো? তার আগে আমরা ব্যাখ্যা করবো শ্রীলঙ্কার বর্তমান দুরাবস্থার কারণগুলো নিয়ে. জটিল কোনো রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক আলোচনা নয়. খুব সাদামাটা ভাবে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করবো পুরো বিষয়টি. তাহলে শুরু করা যাক.  শ্রীলঙ্কায় গত কিছুদিন ধরেই জ্বালানি তেলের সংকট চলছে দারুণভাবে. রান্নার গ্যাসের অভাব. ভ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...