সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রাশিয়ান হ্যাকাররা এত ভয়ঙ্কর কেন ?

  হ্যাকিং ! 

খুব ছোট্ট একটা শব্দ কিন্তু এই তাৎপর্য এবং গুরুত্ব দুটোই অপরিসীম. একজন মানুষের জীবন ধ্বংস করার ক্ষমতা তো হ্যাকারদের আছেই. গোটা একটা জাতির অপরিসীম ক্ষতি সাধনা করা সম্ভব. শুধুমাত্র এই হ্যাকিংএর মাধ্যমে. বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনাটা কি উদাহরণ ধরতে পারেন. স্প্যাম মেল পাঠিয়ে সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি ছুটির সময়টাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশের কিছু ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিয়েছিল এই হ্যাকাররা. এর মধ্যে কিছু টাকা ফিরিয়ে আনা গেছে সত্যি কিন্তু বেশিরভাগেরই কোন হদিস পাওয়া যায় নি.


 সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমায় হ্যাকিং এর দৃশ্য দেখে আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ভার্সিটি থেকে ড্রপ আউট হওয়া ক্র্যাক হেডেট কিছুর দরুন দিনরাত কম্পিউটারের সামনে বসে এসব করে ফেলছে তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন । হ্যাঁ এরকম হ্যাকার যে নেই তা নয় । ইন্ডিপেন্ডেন্ট হ্যাকার সংখ্যাও পৃথিবীতে কম নয় । কিন্তু দুনিয়া জুড়ে হ্যাকিংকে যারা শিল্পে পরিণত করেছে যারা হ্যাকার হিসেবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে হয়ে উঠেছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম । তাদের বেশিরভাগের পেছনেই আছে রাষ্ট্রীয় মদত । আর পৃথিবীতে যেই দেশগুলো হ্যাকারদের পেছনে সরকারিভাবে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে তাদের মধ্যে সবার উপরে থাকবে রাশিয়া. আর তাই রাশিয়ান হ্যাকারদের সমীহ করে চলেন খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্টও. ছোট্ট একটা তথ্য জানাই আপনাদের. দু হাজার ষোলো সালে ভোটে জিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প. তিনি নির্বাচনে হারিয়েছিলেন হিলারি কে. প্রচারণা চলাকালে সেক্স স্টেপ, ইসলামবিদ্বেষ, অভিবাসী বিরোধ, ইত্যাদি নিয়ে যখন টানা সমালোচনার মুখে। মুখ থুবড়ে পড়েছিল ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারে ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি নতুন করে মাথাচাড়া দেয় জনমত জরিপের ট্রাম্পের পারদ আবার চলে গিয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ইমেল ব্যবহার করেছিলেন হিলারি। ত্রিশ হাজার মেইল ফাঁস করে দিয়েছিল একটি হ্যাকার টিম । 


মজার ব্যাপার হচ্ছে মেল গুলো ফাঁস হওয়ার মাস চারেক আগে ট্রাম রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা যেন হিলারির মেইল হ্যাক করেন । হিলারির রাজনৈতিক দল ডেমক্রেট  পার্টি অভিযোগ করেছিল রাশিয়ার সরকার হিলারির মেইল হ্যাক করেছে । রাশিয়া যদিও সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি তবে দিন শেষে হিলারির হাড়ের পেছনের কারণ খুঁজতে গেলে সেই মেলস স্ক্যান্ডালকে ওপরের দিকে রাখা হয় এখনো পর্যন্ত । দুহাজার একুশ সালের জুন মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটা বৈঠক হয়েছিল। আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বরাবরই আদায় কাঁচ কলায়।  ডেমোক্রেটির সঙ্গে সম্পর্ক আরো খারাপ। তবু দূরত্বের দেওয়াল ভেঙ্গে বাইডেন পুতিনকে কিছু প্রস্তাব দিয়ে ছিলেন। বলেছিলেন দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হলেও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সহিংসতার বাইরে রাখা হয়। অর্থাৎ রাশিয়া এবং আমেরিকা যদি যুদ্ধে জড়িয়েও পরে তাহলে যেন এক দেশের হ্যাকাররা অন্য দেশের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, শেয়ার বাজার বা ট্রাফিক এবং হেলথ সিস্টেমের ওপর আঘাত না  করে. এমন কিছু হলে আমেরিকা চুপ থাকবে না বলেও শীতল হুমকি দিয়েছিলেন বাইডেন. পুতিন অবশ্য বাইডেনের সেই অনুরোধ রাখেন নি. তাঁর হুমকিতেও পাত্তা দেন নি. কিন্তু গোটা আলোচনার একটা বিষয় পরিষ্কার. খোদ আমেরিকাও রাশিয়ার হ্যাকারদের তাণ্ডবে উদ্বিগ্ন. বাইডেন এবং পুতিনের সেই বৈঠকের এক মাস পরেই আমেরিকান সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে সেবাদানকারী কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়. এই সাপ্লাই চেইন হ্যাকিংটা ছিল মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বড় ধরনের সাইবার আক্রমনের ধারাবাহিকতা মাত্র.


 রেনসাম ওয়াইডটি আইটি সেবাদাতা কেসিয়া এবং এর ক্লায়েন্টদের আক্রমণ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল. প্রাথমিক লক্ষণগুলো ইঙ্গিত দেয় শত শত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ডেটা নয় ছয় করা হয়েছিল এই আক্রমণে. হ্যাকারদের এই আক্রমণগুলি কৌশলের দিক থেকে আলাদা ছিল. তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ মিল ছিল এদের প্রত্যেকের মধ্যে. প্রতিটি আক্রমণই উৎস খুঁজতে গেলে গিয়ে ঠেকে রাশিয়ায়. রাশিয়া ভিত্তিক সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেট আরইভিএল এই হামলার দায়ও স্বীকার করে. ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসার তথ্য পুনরুদ্ধার করতে হ্যাকাররা সাত কোটি ডলার দাবি করেছিল. গত বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় একটি জ্বালানি সরবরাহ লাইনে সাইবার হামলা করে রাশিয়ান হ্যাকাররা. দেশটির পূর্বাঞ্চলে সরবরাহকারী মোট জ্বালানি তেলের শতকরা পঁয়তাল্লিশ ভাগে এই প্রতিষ্ঠানের পাইপ লাইনের উপর নির্ভরশীল. তথ্য চুরি ঠেকাতে আমেরিকা তখন পূর্বভোকুলে যাওয়া জ্বালানির পঁয়তাল্লিশ শতাংশ সরবরাহকারী সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল দীর্ঘ লাইন বন্ধ রেখেছিল. কলোনিয়াল পাইপলাইনের কর্পোরেট কম্পিউটার নেটওয়ার্কের রেনসামওয়াইয়ের হামলা করে হ্যাকাররা. বিপুল পরিমান তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পর মুক্তিপণ না দেওয়া পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেসব তথ্য জিম্মি করে রাখে তারা. এ কারণেই গোটা সিস্টেম শাটডাউন করে রাখা হয়েছিল দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা যাবৎ. 


 ডার্ক সাইড নামের এক রুশ ভাষী হ্যাকার বাহিনী এই হ্যাকিং এর কাজটা করেছিল. বিবিসির গবেষণায় এই হ্যাকার দলটি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছিল তখন. এদের একটি ওয়েবসাইট আছে যেটি নাগাল সাধারণ লোকজন পাবেন না. ডার্কওয়েবে থাকা এই সাইট একেবারে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আদলে চালাচ্ছে ডার্ক সাইড.  কোনো প্রতিষ্ঠানে সাইবার আক্রমণ চালানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওয়েবসাইটে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় ডার্ক সাইট. পাশাপাশি আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের কাছে একটি ইনফরমেশন প্যাক পাঠিয়ে দেয় তারা. ওই প্যাকে একটি তালিকা থাকে যেখান থেকে জানা সম্ভব কোন কোন ধরনের ফাইল চুরি করে এনক্রিপ্ট করা হয়েছে. সেগুলোর কোন কোন সাইটে পোস্ট করা হয়েছে এবং মুক্তিপণ না দিলে সেগুলো ফাঁস করে দেওয়া হবে. ডার্কসাইট একেবারে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করে. এরা ডেটা চুরি করে এবং এনক্রিপ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় টুল তৈরি করছে. এদের সঙ্গে কেউ যোগ দিতে চাইলে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়. প্রশিক্ষণের সময় দরকারি টুল কিট দেওয়া হয় যার মধ্যে থাকে হ্যাকিং এর জন্য দরকারি সফটওয়্যার । হ্যাকিং এর শিকারকে পাঠানো ইমেইলের একটি নমুনা এবং হ্যাকিং আক্রমনের নিয়মকানুন. শর্ত থাকে যে সফল হ্যাকিং এর পর অর্জিত মুক্তিপণের একটি অংশ  ডার্ক সাইডকে দিতে হবে। গত বছরের জুলাই মাসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানি জেবিএস এর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সাইবার হামলা চালিয়েছিল একদল হ্যাকার।  ধারণা করা হয় রাশিয়া থেকে সেই হামলা চালানো হয়েছিল বিশ্বজুড়ে দেড় লাখের বেশি কর্মী জেবিএস এ কাজ করে।  আধুনিক মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রগুলোতে আইটি সিস্টেম একটি অপরিহার্য অংশ. সাইবার হামলার কারণে অস্ট্রেলিয়া কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে জেবিএস এর কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল. ফলে মাংসের সরবরাহে ঘাটতি হওয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে মাংসের দাম বেড়ে গিয়েছিল বেশ খানিকটা. বিষয়টা নিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল. পরে হ্যাকাররা সেই হ্যাক করা ওয়েবসাইট ফেরত দেয়. 

এছাড়াও গত বছরের মে মাসে আর এক রাশিয়ান হ্যাকিং সংস্থা নেপোলিয়াম মার্কিন কিছু সরকারী সংস্থা কিং ট্যাংক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোকে লক্ষ্য করে সাইবার হামলা চালানো হয়. আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তত এক চতুর্থাংশ, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, মানবিক সমস্যা এবং মানবাধিকার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, এমনকি নোবেলিয়ামের হ্যাকাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, ইউএসএ আইডির একটি প্রচারণা সংশ্লিষ্ট ইমেইল একাউন্টে ঢুকতে সক্ষম হয় এবং সেখান থেকে অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের ওপর ফিশিং আক্রমণ শুরু করে. ইরানের সাথে আমেরিকার শত্রুতার ইতিহাস কেনা জানে. সেই ইরানের হ্যাকারদের সাথে চুক্তি করে তাদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন আমেরিকান প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাতেন রাশিয়ান হ্যাকাররা. রাশিয়া ভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ তুল্লা, সমঝোতার মাধ্যমে ইরানি ও হ্যাকার গ্রুপে অয়েল রিগের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল বলে জানানো হয়েছিল আমেরিকা এবং ব্রিটেনের এক যৌথ গোয়েন্দার প্রতিবেদনে. তুল্লা ইরানিদের সিস্টেমগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ডাটা সংগ্রহ করতো এবং সেগুলো ব্যবহার করে হ্যাক করত. ব্রিটিশ গোয়েন্দা  সংস্থা জিএইচকিউ এর তথ্য মতে তুল্লা আঠেরো মাসে পঁয়ত্রিশটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালিয়েছিল ।এর মধ্যে বিশটি হামলায় তারা সফল হয়েছে । আর এই বিশটি হামলার মধ্যে আমেরিকা, চেক প্রজাতন্ত্র, মধ্যপ্রাচ্য এবং ব্রিটেনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে  বলে উল্লেখ করা হয়েছিল সেই রিপোর্টে ।

 রাশিয়ান হ্যাকাররা কেন আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশগুলোর কাছে আতংকের নাম সেটা তো বোঝা গেল. এবার আসা যাক রাশিয়ার সরকার কিভাবে এই হ্যাকারদের রাষ্ট্রীয় মদত দেয় সেই গল্পে. রাশিয়ার তেত্রিশ বছর বয়সী কম্পিউটার প্রোগ্রামার আলেকজান্ডার ভিয়ারিয়ারিয়া দিয়ে ঘটনাটা শুরু করা যাক. ভিয়ারিয়ারিয়া মনে করতেন সাইবার হামলা থেকে মানুষকে রক্ষা করাই ছিল তার কাজ. তবে তার এই ধারণার পরিবর্তন হয় যখন সরকার তাকে এর উল্টো কাজ অর্থাৎ সাইবার হামলা চালানোর অনুরোধ করে. দুহাজার-ষোলো সালে রাশিয়ায় সামরিক বাহিনীতে হঠাৎ তাকে যোগ দিতে বলা হয়. ভিআরিয়া এই প্রস্তাবে রাজি হননি আর এই কারণে যে তাকে বিপদে পড়তে হবে সেটাও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন. আর সে কারণে রাশিয়া ছেড়ে পালিয়ে ফিনল্যান্ডে চলে গিয়েছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে সেখানেই এখন তিনি বাস করছেন.


 রাশিয়ার ঠেকার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসের মস্কো প্রতিনিধি এন্ড্রো ইক্রেমার একটি নিবন্ধন লিখেছিলেন. সেখানে তিনি বলেছিলেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জেনারেলরা যুদ্ধকে পুনরায় সংজ্ঞাহিত করেছেন. নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী গোলাবারুদের প্রতিযোগিতার চেয়ে যুদ্ধ আরো বেশি কিছু. ক্রিমলিনের স্বার্থে তারা সাইবার যুদ্ধকে একটি কেন্দ্রীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন. আগামী দিনগুলোতে তেল নিয়ে যুদ্ধ হবে না. সীমারেখা নিয়েও যুদ্ধ হবার সুযোগ কম. যুদ্ধের কারণ হবে তথ্য. যার কাছে যত বেশি ইনফরমেশন সে তত বেশি ক্ষমতাবান.


 সেই তথ্যের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে দরকার প্রশিক্ষিত হ্যাকারদের সমন্বয় গড়া আর্মি. সেই কাজটাই করে চলেছে রাশিয়া. আমেরিকা জানে রাশিয়ার হ্যাকারদের সিরিয়াসলি না নিয়ে কোন উপায় নেই. যেভাবে রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বাধ্যতামূলকভাবে সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করতে হয়. তাদের মধ্যে যারা  ডেস্ক জব করতে চান তাদের সাধারণত সাইন্স রোডে মনোনীত করা হয়।  তৃণমূল থেকে হ্যাকিং এর প্রতিবাদ সেঁকে তুলে এনে রাশিয়া তাদের সেনাবাহিনীতে একটি হ্যাকিং ইউনিট গড়ে তুলেছে সেনাবাহিনীর বাইরেও সরকারের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী অনেক হ্যাকিং টিম তৈরি হয়েছে ।  যারা কিনা আরেকটা দেশের ইয়ার রাডার সিস্টেম থেকে রুট ট্রাফিক সিস্টেম এমনকি গ্যাস এবং তেল পরিবহন সিস্টেমও অকেজো করে দিতে পারে. তাদেরকে ভয় পেতেই হবে. রাশিয়ার পারমাণবিক বোমা ঠেকানোর উপায় হয়তো পেন্টাগনের জানা আছে. কিন্তু রাশিয়ার হ্যাকারদের তাণ্ডবের কাছে আমেরিকা এখনো পর্যন্ত অসহায়. 


সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সেই বাস্তবতাই তুলে ধরছে বারবার.   


 

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

লুসিড ড্রিম কাকে বলে ? লুসিড ড্রিম কিভাবে দেখতে হয় ?

 স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভেবেছেন কখনো? নিশ্চয়ই ভাবছেন জেগে জেগে দিবাস্বপ্ন দেখার কথা বলছি না তো? কিন্তু না, রীতিমতো ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নও নিয়ন্ত্রণের কথাই বলছি, আপনার ইচ্ছামত স্বপ্ন দেখবেন। ইচ্ছা মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন। আর পছন্দ না হলে অর্থাৎ দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলে সেটার গতিপথ পাল্টে দেবেন একেবারে নিমেষে। আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় এটা খুবই সম্ভব একে বলা হয় লুসিভ ড্রিম। লুসিড ড্রিমিং এর সাথে আপনারা অনেকেই হয়তো পরিচিত আছেন। অনেকে পরিচিত থাকলেও হয়তো এটা কেন হচ্ছে বা কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে এসবেরই উত্তর মিলবে আজকের এই লিখাতে।   লুসিড ড্রিম অর্থ কি? সহজ বাংলায় অনুবাদ করতে গেলে বলা যায় লুসিড অর্থ পরিষ্কার. অর্থাৎ স্পষ্ট আর dream মানে তো আমরা সবাই জানি যে স্বপ্ন। লুসিড ডিম হলো সেই স্বপ্ন যে আমাদের স্পষ্ট ভাবে মনে থাকে এবং স্বপ্ন চলাকালীন সময়েও আমরা এ উপলব্ধি করতে পারি যে এটি বাস্তব নয় বরং এটি স্বপ্ন কিন্তু শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থ দিয়ে লুসিড ড্রিম ব্যাখ্যা করলে ভুল হবে একটু অন্যভাবে বলা যাক ।  মনে করুন স্বপ্নে আপনি কি পাহাড়ের উপর থেকে দ্রুত গ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্টকহোম সিন্ড্রম কি ? স্টকহোম সিন্ড্রম কেন হয় ?

ধরুন আপনাকে কেউ অপহরণ করল. আটকে রাখল অজানা কোন জায়গায়. কিংবা জিম্মি করল কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য. হয়তো আপনাকে মেরে ফেলাটাই অপহরণকারীদের লক্ষ্য. পুলিশ আপনার খোঁজ পাচ্ছে না. এদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় অস্থির হয়ে আছে আপনার স্বজনরা. এক পা দুই সপ্তাহ পার হয়ে হয়তো আপনাকে উদ্ধার করা হল. এই কয়েকটা দিন আপনি সূর্যের আলো দেখেননি. বন্দি অবস্থায় এক একটা ঘন্টাকেই আপনার কাছে মনে হয়েছে এক একটা মাসের মতো লম্বা. মুক্তির পর অপহরণকারীদের প্রতি কেমন অনুভূতি কাজ করবে আপনার? হাতের কাছে পেলেই তাদেরকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে তাই না? কিন্তু সেটা না করে বাড়ি ফেরার পর আপনি যদি সেই অপহরণকারীদের প্রশংসা শুরু করেন? তাহলে লোকজন আপনার দিকে কুঁচকে তাকাবে বৈকি? আপনি যদি অপরাধের তদন্তে পুলিশকে ঠিকমতো সাহায্য না করেন, আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই কিন্তু স্বাভাবিক. তার চেয়েও অবাক করার মতো ব্যাপার. কখন ঘটবে জানেন? যখন আদালতে গিয়ে আপনি বলবেন. আপনাকে যারা অপহরণ করেছিল তাদের প্রতি আসলে আপনার কোন অভিযোগ নেই. আপনি তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করতে চান. কি ভাবছেন? এমন পাগলামি আপনি কেন করবেন? পাগলামি বলুন আর যাই বলুন. ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান কি ?

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান দু হাজার বারো সালের চৌঠা জানুয়ারি। ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট ফোর চ্যান ডট কম নামের ওয়েবসাইটের বুলেটিন বোর্ডে ছবি সহ একটি ম্যাসেজ পোস্ট করা হয়. ওয়েবসাইটের নীতিমালা অনুযায়ী ছবি প্রকাশকারীর নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়. অজ্ঞাত পোস্ট করি সেই ছবিতে ব্যবহারকারীদের চিত্রের মাঝেই লুকানো একটি বার্তা উন্মোচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানান. সেই মেসেজটিতে লেখা ছিল হ্যালো আমরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের খুঁজছি তাদের খোঁজার জন্য আমরা একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি । এই ছবিতে একটা মেসেজ লুকানো আছে এটাকে খুঁজে বের করো । এটাই তোমাদের আমাদের কাছে নিয়ে আসবে. আমরা সেসব স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিকে দেখার অপেক্ষায় আছি যারা এটি সম্পূর্ণ করতে পারবে. Good luck । আর নিচে ছিল একটি কোড থ্রি থ্রি জিরো ওয়ান. পুরো ইন্টারনেট দুনিয়া তোলপাড় হয়ে গেল যেন হঠাৎ করে. পৃথিবীর সেরা হ্যাকার এবং কোড সমাধানকারীরা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা প্রমানের জন্য এই পরীক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়লো আর এই রহস্যময় ধাঁধার নাম দেওয়া হলো সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান।  সিকাডা অর্থ মত বা ঘুগরি পোকা. ছবি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মাঝেই গ...

সারোগেসি কি ?

সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করা নিয়ে এখনো বহু বিতর্ক আছে. শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই এই পদ্ধতি নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই.  এটার আইনি প্রক্রিয়াও জটিল। কারণ এটি একেক রাষ্ট্রে. শারোগেসি আইন একেক রকম. নারী মা হবেন প্রাকৃতিক নিয়ম সমাজ এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত. কিন্তু কোন কারণে মা হবার ক্ষমতা না থাকলে তাকে পরিবার ও আশপাশ থেকে যে পরিমাণ কটু কথা শুনতে হয় তা সাধারণ মানুষের ধারণারও বাইরে.   সরোগেসি বিষয়টি কি? চিকিৎসা শাস্ত্রের অগ্রগতি এমন মায়েদের সামনে এনেছে যারা গর্ভ ভাড়া দিয়ে নিজে বাঁচেন অন্যদের মাতৃ সুখ দেন । একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলা হয়.সারোগেসির এই  পদ্ধতি বেশ দীর্ঘকালীন. আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়. কিন্তু এখানেও জটিলতা. কেন? সে বিষয়ে পরে আসছি. বাংলাদেশ সহ বহু দেশই এই সারোগেসি একরকম ভাবে নিষিদ্ধ. সুতরাং বিষয় টি  সংবেদনশীল. এমনকি বেশিরভাগ ধর্মেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা. চলুন কথা বলি সারোগেসি মাদার সম্পর্কে। আইভিএফ বা টেস্ট টি...

কিভাবে লিমিটলেস হওয়া যায় ? লিমিটলেস আসলে কিভাবে কাজ করে ?

এনজিটিপিল,  এটা এমন এক পিল যা আপনাকে করবে আল্ট্রা ফোকাসড. দেবে দুর্দান্ত মোটিভেশন. বের করে আনবে আপনার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা. আপনি হয়ে উঠবেন আনস্টপল. বাস্তবতা পাবে প্রতিটি স্বপ্ন. কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এমন কোন পিলের অস্তিত্ব নেই. ফলাফল আপনি আটকে আছেন একটি খাদে. সারাক্ষণ ক্লান্তি নিয়ে হয়ে উঠছেন আনপ্রোডাক্টিভ. নষ্ট হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি. সময় গড়িয়ে যায়. ঋতুর পরিবর্তন ঘটে. কিন্তু আপনি ডুবে থাকেন এক হতাশায় যাতে আপনি দিন দিন পিছিয়ে পরছেন. আপনি যা যা এতদিন অর্জন করবেন ভেবেছিলেন তা কিছুই আপনি অর্জন করতে পারেননি । নিজেকে সান্তনা দিচ্ছেন আগামীকাল হবে ভিন্ন। কিন্তু তা কখনোই হয়ে ওঠে না এখন যদি আপনাকে বলি কোনো জাদুকরী পিলের সাহায্যে নয় বাস্তবিক লিমিটলেস হয়ে ওঠা সম্ভব।  একদম প্রমাণিত পদ্ধতিতে যা একেবারে ফ্রিতে ব্যবহার করা সম্ভব.  তো আছেন তো শেষ পর্যন্ত ?  Limit less হওয়ার যাত্রায় ।  স্টেপ ওয়ান : এনার্জি--  মাত্র কয়েক মাস আগে আমি নিজেও আপনার মতো কর্মশক্তিহীন অনুভব করতাম. সামান্য কাজেই আসতো অবসন্নতা, গেয়ে ধরতো ক্লান্তি একদিন হঠাৎ টের পেলাম আমি নিজেই নিজের energy নি...

পেগাসাস স্পাইওয়ার কি ?

গত কিছুদিন ধরেই বিশ্ব রাজনীতি এবং প্রযুক্তি জগৎ এই দুই জায়গাতেই আলোচনার বিষয়বস্তু একটাই। সেটা হচ্ছে পেগাসাস স্পাইওয়ার. বিশ্বজুড়ে নানান দেশের মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আইনজীবী ও রাজনীতিকদের ফোনের নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ইজরায়েলের বেসরকারি কোম্পানি nso গ্রুপের তৈরি করা এই সফটওয়্যার নিয়ে এখন তুমুল তরজা চলছে দুনিয়া জুড়ে । চলুন কথা বলি দুনিয়া ওলট পালট করে দেওয়া স্পাইওয়ার সম্পর্কে । পেগাসাস মূলত একটি নজরদারি বিষয়ক সফটওয়্যার । ইজরাইলের সংস্থা এনএসও ই সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যা দিয়ে যে কারো মোবাইলে আড়ি পাতা যায়. এটা কিন্তু সাধারণ কোন নজরদারি নয়. আগে ফোনে আড়ি পেতে শুধু দুই প্রান্তের কথাবার্তা শোনা যেত. আর সফটওয়্যারের মাধ্যমে গোটা ফোনটারই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হ্যাকাররা. ফোনের কথাবার্তা WhatsApp এর চ্যাট, ছবি, ফোনে কি কি তথ্য আছে সবই জানা যায়. আরো ভয়ানক ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল যিনি ব্যবহার করছেন তিনি জানতেই পারেন না যে তার ফোন হ্যাক করা হয়েছে. সমস্ত তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কাছে. কিন্তু কারো ফোনে পেগাসাস software install করতে হলে তো সেই ফোনটাকে...

রেট রেস কি ?

      আপনি ঠিক কখন ইঁদুর দৌড়ে যোগ দিয়েছেন এটা হিসাব করা কঠিন. কিন্তু নিশ্চিত থাকুন আপনি এই দৌড়ে আছেন. ক্লাস eight এ পড়ার সময়ের কথা মনে আছে? সামনে বৃত্তি পরীক্ষা পাটিগণিত বীজগণিতের অংক প্যাঁচ লাগাচ্ছে বিজ্ঞানের জটিল সব সূত্র ভোরে ওঠে প্রাইভেট টিউটরের বাসায় ছোটা রাত জেগে পড়াশোনা. বয়সের তুলনায় অনেক বেশি কর্ম ব্যস্ত একটা সময় নিশ্চয়ই কাটিয়েছেন তখন? আমরা সবাই কাটিয়েছি. সেই সময় নিশ্চয়ই অভিভাবক বলেছে এই তো আর কটা দিন. বৃত্তি পরীক্ষা শেষ হলেই জীবন শান্তি আর শান্তি. জীবনের নানা এপিসোডে আপনি এই কথাগুলো শুনেছেন অনেকবার অনেকের মুখে. এসএসসি পরীক্ষাটা দাও, কলেজে উঠলেই তো স্বাধীনতা. একবার ভার্সেটিতে উঠতে পারলেই জীবন হবে আনন্দে ভরপুর. একবার জব লাইফে ঢোকো. নিজের টাকায় আয়েশ করার মজাই অন্যরকম. শুনেছেন না এসব?  বয়স ঘড়ির ত্রিশের প্রান্তে দাঁড়িয়ে হিসেবগুলো মেলাতে পারেন কি? কি মনে হয়? এই এপিসোডগুলোর কোনোটা পার হবার সময় জীবন খানিকটা হলেও সহজ হয়েছে? সুন্দর হয়েছে? হয়নি, হবেও না, মিথ্যা একটা মরীচিকার আশায় আমরা ছুটেছি ঠিকই আমাদের ছোটানো হয়েছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি ছুটত...

ডাচ ডিজিজ কি ? অর্থনীতি কিভাবে রোগে ভুগতে পারে ?

সো হোয়াট দ্য হেল দিস ডাচ ডিজিজ? ডাচ ডিজিজ শব্দটা শুনলে আপনার স্বাভাবিক ভাবেই মনে হবে এটা কোন রোগের নাম । হ্যাঁ এটা একটা রোগ. তবে মানুষের নয়. কোন প্রাণীরও নয়. তাহলে? এটা মূলত অর্থনীতির একটা সিন্ড্রোম. কিন্তু অর্থনীতির টার্মের সঙ্গে ডিজিজ কথাটা যুক্ত হল কেন? ডাচ বা নেদারল্যান্ড দেশটারই বা কি ভূমিকা এতে?  না এটা বুঝতে আপনাকে অর্থনীতির ছাত্র হতে হবে না ।কিন্তু বিষয়টা বেশ মজার দু হাজার সতেরো সালে বুকিং ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ডাচ ডিজিজ এন্ড ইকোনমিক ইলনেস ইজি টু ক্যাচ ডিফিকাল্ট টু কিওর শিরোনামের আর্টিকেলের শুরুতেই বলা হয়ে ছিল- what a persistantly low oil price, dose to oil richan prises like what a long cold winter dust to people একথার তাৎপর্য কি?  সহজ বাংলায় বুঝিয়ে বলা যায় যদি বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে তেলের দাম কমতে থাকে তখন তেল সমৃদ্ধ তেলের ওপর ভাবে নির্ভরশীল দেশগুলোর অর্থনীতি নানান সমস্যায় ভুগতে পারে. এখানে তেল একটা রূপক মাত্র. তেলের জায়গায় চাল, ডাল, লবণ, চিনি যেকোনো কিছুই হতে পারে. হতে পারে কোন শিল্প যেমন টেক্সটাইল গার্মেন্টস বা ইনফরমেশন টেকনোলজিও. মূল বিষয়টা হচ্ছে...