হ্যাকিং !
খুব ছোট্ট একটা শব্দ কিন্তু এই তাৎপর্য এবং গুরুত্ব দুটোই অপরিসীম. একজন মানুষের জীবন ধ্বংস করার ক্ষমতা তো হ্যাকারদের আছেই. গোটা একটা জাতির অপরিসীম ক্ষতি সাধনা করা সম্ভব. শুধুমাত্র এই হ্যাকিংএর মাধ্যমে. বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনাটা কি উদাহরণ ধরতে পারেন. স্প্যাম মেল পাঠিয়ে সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি ছুটির সময়টাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশের কিছু ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিয়েছিল এই হ্যাকাররা. এর মধ্যে কিছু টাকা ফিরিয়ে আনা গেছে সত্যি কিন্তু বেশিরভাগেরই কোন হদিস পাওয়া যায় নি.
সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমায় হ্যাকিং এর দৃশ্য দেখে আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ভার্সিটি থেকে ড্রপ আউট হওয়া ক্র্যাক হেডেট কিছুর দরুন দিনরাত কম্পিউটারের সামনে বসে এসব করে ফেলছে তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন । হ্যাঁ এরকম হ্যাকার যে নেই তা নয় । ইন্ডিপেন্ডেন্ট হ্যাকার সংখ্যাও পৃথিবীতে কম নয় । কিন্তু দুনিয়া জুড়ে হ্যাকিংকে যারা শিল্পে পরিণত করেছে যারা হ্যাকার হিসেবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে হয়ে উঠেছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম । তাদের বেশিরভাগের পেছনেই আছে রাষ্ট্রীয় মদত । আর পৃথিবীতে যেই দেশগুলো হ্যাকারদের পেছনে সরকারিভাবে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে তাদের মধ্যে সবার উপরে থাকবে রাশিয়া. আর তাই রাশিয়ান হ্যাকারদের সমীহ করে চলেন খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্টও. ছোট্ট একটা তথ্য জানাই আপনাদের. দু হাজার ষোলো সালে ভোটে জিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প. তিনি নির্বাচনে হারিয়েছিলেন হিলারি কে. প্রচারণা চলাকালে সেক্স স্টেপ, ইসলামবিদ্বেষ, অভিবাসী বিরোধ, ইত্যাদি নিয়ে যখন টানা সমালোচনার মুখে। মুখ থুবড়ে পড়েছিল ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারে ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি নতুন করে মাথাচাড়া দেয় জনমত জরিপের ট্রাম্পের পারদ আবার চলে গিয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ইমেল ব্যবহার করেছিলেন হিলারি। ত্রিশ হাজার মেইল ফাঁস করে দিয়েছিল একটি হ্যাকার টিম ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে মেল গুলো ফাঁস হওয়ার মাস চারেক আগে ট্রাম রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা যেন হিলারির মেইল হ্যাক করেন । হিলারির রাজনৈতিক দল ডেমক্রেট পার্টি অভিযোগ করেছিল রাশিয়ার সরকার হিলারির মেইল হ্যাক করেছে । রাশিয়া যদিও সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি তবে দিন শেষে হিলারির হাড়ের পেছনের কারণ খুঁজতে গেলে সেই মেলস স্ক্যান্ডালকে ওপরের দিকে রাখা হয় এখনো পর্যন্ত । দুহাজার একুশ সালের জুন মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটা বৈঠক হয়েছিল। আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বরাবরই আদায় কাঁচ কলায়। ডেমোক্রেটির সঙ্গে সম্পর্ক আরো খারাপ। তবু দূরত্বের দেওয়াল ভেঙ্গে বাইডেন পুতিনকে কিছু প্রস্তাব দিয়ে ছিলেন। বলেছিলেন দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হলেও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সহিংসতার বাইরে রাখা হয়। অর্থাৎ রাশিয়া এবং আমেরিকা যদি যুদ্ধে জড়িয়েও পরে তাহলে যেন এক দেশের হ্যাকাররা অন্য দেশের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, শেয়ার বাজার বা ট্রাফিক এবং হেলথ সিস্টেমের ওপর আঘাত না করে. এমন কিছু হলে আমেরিকা চুপ থাকবে না বলেও শীতল হুমকি দিয়েছিলেন বাইডেন. পুতিন অবশ্য বাইডেনের সেই অনুরোধ রাখেন নি. তাঁর হুমকিতেও পাত্তা দেন নি. কিন্তু গোটা আলোচনার একটা বিষয় পরিষ্কার. খোদ আমেরিকাও রাশিয়ার হ্যাকারদের তাণ্ডবে উদ্বিগ্ন. বাইডেন এবং পুতিনের সেই বৈঠকের এক মাস পরেই আমেরিকান সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে সেবাদানকারী কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়. এই সাপ্লাই চেইন হ্যাকিংটা ছিল মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বড় ধরনের সাইবার আক্রমনের ধারাবাহিকতা মাত্র.
রেনসাম ওয়াইডটি আইটি সেবাদাতা কেসিয়া এবং এর ক্লায়েন্টদের আক্রমণ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল. প্রাথমিক লক্ষণগুলো ইঙ্গিত দেয় শত শত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ডেটা নয় ছয় করা হয়েছিল এই আক্রমণে. হ্যাকারদের এই আক্রমণগুলি কৌশলের দিক থেকে আলাদা ছিল. তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ মিল ছিল এদের প্রত্যেকের মধ্যে. প্রতিটি আক্রমণই উৎস খুঁজতে গেলে গিয়ে ঠেকে রাশিয়ায়. রাশিয়া ভিত্তিক সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেট আরইভিএল এই হামলার দায়ও স্বীকার করে. ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসার তথ্য পুনরুদ্ধার করতে হ্যাকাররা সাত কোটি ডলার দাবি করেছিল. গত বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় একটি জ্বালানি সরবরাহ লাইনে সাইবার হামলা করে রাশিয়ান হ্যাকাররা. দেশটির পূর্বাঞ্চলে সরবরাহকারী মোট জ্বালানি তেলের শতকরা পঁয়তাল্লিশ ভাগে এই প্রতিষ্ঠানের পাইপ লাইনের উপর নির্ভরশীল. তথ্য চুরি ঠেকাতে আমেরিকা তখন পূর্বভোকুলে যাওয়া জ্বালানির পঁয়তাল্লিশ শতাংশ সরবরাহকারী সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল দীর্ঘ লাইন বন্ধ রেখেছিল. কলোনিয়াল পাইপলাইনের কর্পোরেট কম্পিউটার নেটওয়ার্কের রেনসামওয়াইয়ের হামলা করে হ্যাকাররা. বিপুল পরিমান তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পর মুক্তিপণ না দেওয়া পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেসব তথ্য জিম্মি করে রাখে তারা. এ কারণেই গোটা সিস্টেম শাটডাউন করে রাখা হয়েছিল দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা যাবৎ.
ডার্ক সাইড নামের এক রুশ ভাষী হ্যাকার বাহিনী এই হ্যাকিং এর কাজটা করেছিল. বিবিসির গবেষণায় এই হ্যাকার দলটি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছিল তখন. এদের একটি ওয়েবসাইট আছে যেটি নাগাল সাধারণ লোকজন পাবেন না. ডার্কওয়েবে থাকা এই সাইট একেবারে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আদলে চালাচ্ছে ডার্ক সাইড. কোনো প্রতিষ্ঠানে সাইবার আক্রমণ চালানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওয়েবসাইটে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় ডার্ক সাইট. পাশাপাশি আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের কাছে একটি ইনফরমেশন প্যাক পাঠিয়ে দেয় তারা. ওই প্যাকে একটি তালিকা থাকে যেখান থেকে জানা সম্ভব কোন কোন ধরনের ফাইল চুরি করে এনক্রিপ্ট করা হয়েছে. সেগুলোর কোন কোন সাইটে পোস্ট করা হয়েছে এবং মুক্তিপণ না দিলে সেগুলো ফাঁস করে দেওয়া হবে. ডার্কসাইট একেবারে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করে. এরা ডেটা চুরি করে এবং এনক্রিপ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় টুল তৈরি করছে. এদের সঙ্গে কেউ যোগ দিতে চাইলে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়. প্রশিক্ষণের সময় দরকারি টুল কিট দেওয়া হয় যার মধ্যে থাকে হ্যাকিং এর জন্য দরকারি সফটওয়্যার । হ্যাকিং এর শিকারকে পাঠানো ইমেইলের একটি নমুনা এবং হ্যাকিং আক্রমনের নিয়মকানুন. শর্ত থাকে যে সফল হ্যাকিং এর পর অর্জিত মুক্তিপণের একটি অংশ ডার্ক সাইডকে দিতে হবে। গত বছরের জুলাই মাসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানি জেবিএস এর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সাইবার হামলা চালিয়েছিল একদল হ্যাকার। ধারণা করা হয় রাশিয়া থেকে সেই হামলা চালানো হয়েছিল বিশ্বজুড়ে দেড় লাখের বেশি কর্মী জেবিএস এ কাজ করে। আধুনিক মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রগুলোতে আইটি সিস্টেম একটি অপরিহার্য অংশ. সাইবার হামলার কারণে অস্ট্রেলিয়া কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে জেবিএস এর কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল. ফলে মাংসের সরবরাহে ঘাটতি হওয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে মাংসের দাম বেড়ে গিয়েছিল বেশ খানিকটা. বিষয়টা নিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল. পরে হ্যাকাররা সেই হ্যাক করা ওয়েবসাইট ফেরত দেয়.
এছাড়াও গত বছরের মে মাসে আর এক রাশিয়ান হ্যাকিং সংস্থা নেপোলিয়াম মার্কিন কিছু সরকারী সংস্থা কিং ট্যাংক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোকে লক্ষ্য করে সাইবার হামলা চালানো হয়. আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তত এক চতুর্থাংশ, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, মানবিক সমস্যা এবং মানবাধিকার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, এমনকি নোবেলিয়ামের হ্যাকাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, ইউএসএ আইডির একটি প্রচারণা সংশ্লিষ্ট ইমেইল একাউন্টে ঢুকতে সক্ষম হয় এবং সেখান থেকে অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের ওপর ফিশিং আক্রমণ শুরু করে. ইরানের সাথে আমেরিকার শত্রুতার ইতিহাস কেনা জানে. সেই ইরানের হ্যাকারদের সাথে চুক্তি করে তাদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন আমেরিকান প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাতেন রাশিয়ান হ্যাকাররা. রাশিয়া ভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ তুল্লা, সমঝোতার মাধ্যমে ইরানি ও হ্যাকার গ্রুপে অয়েল রিগের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল বলে জানানো হয়েছিল আমেরিকা এবং ব্রিটেনের এক যৌথ গোয়েন্দার প্রতিবেদনে. তুল্লা ইরানিদের সিস্টেমগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ডাটা সংগ্রহ করতো এবং সেগুলো ব্যবহার করে হ্যাক করত. ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা জিএইচকিউ এর তথ্য মতে তুল্লা আঠেরো মাসে পঁয়ত্রিশটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালিয়েছিল ।এর মধ্যে বিশটি হামলায় তারা সফল হয়েছে । আর এই বিশটি হামলার মধ্যে আমেরিকা, চেক প্রজাতন্ত্র, মধ্যপ্রাচ্য এবং ব্রিটেনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল সেই রিপোর্টে ।
রাশিয়ান হ্যাকাররা কেন আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশগুলোর কাছে আতংকের নাম সেটা তো বোঝা গেল. এবার আসা যাক রাশিয়ার সরকার কিভাবে এই হ্যাকারদের রাষ্ট্রীয় মদত দেয় সেই গল্পে. রাশিয়ার তেত্রিশ বছর বয়সী কম্পিউটার প্রোগ্রামার আলেকজান্ডার ভিয়ারিয়ারিয়া দিয়ে ঘটনাটা শুরু করা যাক. ভিয়ারিয়ারিয়া মনে করতেন সাইবার হামলা থেকে মানুষকে রক্ষা করাই ছিল তার কাজ. তবে তার এই ধারণার পরিবর্তন হয় যখন সরকার তাকে এর উল্টো কাজ অর্থাৎ সাইবার হামলা চালানোর অনুরোধ করে. দুহাজার-ষোলো সালে রাশিয়ায় সামরিক বাহিনীতে হঠাৎ তাকে যোগ দিতে বলা হয়. ভিআরিয়া এই প্রস্তাবে রাজি হননি আর এই কারণে যে তাকে বিপদে পড়তে হবে সেটাও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন. আর সে কারণে রাশিয়া ছেড়ে পালিয়ে ফিনল্যান্ডে চলে গিয়েছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে সেখানেই এখন তিনি বাস করছেন.
রাশিয়ার ঠেকার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসের মস্কো প্রতিনিধি এন্ড্রো ইক্রেমার একটি নিবন্ধন লিখেছিলেন. সেখানে তিনি বলেছিলেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জেনারেলরা যুদ্ধকে পুনরায় সংজ্ঞাহিত করেছেন. নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী গোলাবারুদের প্রতিযোগিতার চেয়ে যুদ্ধ আরো বেশি কিছু. ক্রিমলিনের স্বার্থে তারা সাইবার যুদ্ধকে একটি কেন্দ্রীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন. আগামী দিনগুলোতে তেল নিয়ে যুদ্ধ হবে না. সীমারেখা নিয়েও যুদ্ধ হবার সুযোগ কম. যুদ্ধের কারণ হবে তথ্য. যার কাছে যত বেশি ইনফরমেশন সে তত বেশি ক্ষমতাবান.
সেই তথ্যের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে দরকার প্রশিক্ষিত হ্যাকারদের সমন্বয় গড়া আর্মি. সেই কাজটাই করে চলেছে রাশিয়া. আমেরিকা জানে রাশিয়ার হ্যাকারদের সিরিয়াসলি না নিয়ে কোন উপায় নেই. যেভাবে রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বাধ্যতামূলকভাবে সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করতে হয়. তাদের মধ্যে যারা ডেস্ক জব করতে চান তাদের সাধারণত সাইন্স রোডে মনোনীত করা হয়। তৃণমূল থেকে হ্যাকিং এর প্রতিবাদ সেঁকে তুলে এনে রাশিয়া তাদের সেনাবাহিনীতে একটি হ্যাকিং ইউনিট গড়ে তুলেছে সেনাবাহিনীর বাইরেও সরকারের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী অনেক হ্যাকিং টিম তৈরি হয়েছে । যারা কিনা আরেকটা দেশের ইয়ার রাডার সিস্টেম থেকে রুট ট্রাফিক সিস্টেম এমনকি গ্যাস এবং তেল পরিবহন সিস্টেমও অকেজো করে দিতে পারে. তাদেরকে ভয় পেতেই হবে. রাশিয়ার পারমাণবিক বোমা ঠেকানোর উপায় হয়তো পেন্টাগনের জানা আছে. কিন্তু রাশিয়ার হ্যাকারদের তাণ্ডবের কাছে আমেরিকা এখনো পর্যন্ত অসহায়.
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সেই বাস্তবতাই তুলে ধরছে বারবার.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন