সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কিভাবে মার্কিন ডলার বিশ্ব জুড়ে আধিপত্য কায়েম করল??

   বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুদ্রা হলো মার্কিন ডলার. সারা বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার ব্যবহার করা হয়. বিশ্বের মোট অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রায় নব্বই শতাংশ হয়ে থাকে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য মার্কিন ডলার প্রায় অপরিহার্য. আমেরিকান ডলারের বিকল্প বা সমকক্ষ আর কোনো মুদ্রা নেই বললেই চলে. বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মার্কিন ডলারের এতো দাপট কিভাবে তৈরি হলো সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে ? 

  কারেন্সি বা মুদ্রাকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়. কমোডিটি কারেন্সি , রিপ্রেজেন্টেটিভ কারেন্সি এবং ফিয়াট কারেন্সি. কমোডিটি কারেন্সি হল সেই ধরনের অর্থ যার কোন অন্তর্নিহিত মূল্য আছে. যেমন স্বর্ণ বা রৌপ্যের নিজস্ব মূল্য আছে. প্রাচীনকাল থেকে স্বর্ণ ও রৌপ্যকে সরাসরি বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হতো. স্বর্ণমুদ্রা বা রৌপ্যমুদ্রাকে গলিয়ে ফেললেও এর মূল্য হ্রাস পায় না. এজন্য স্বর্ণমুদ্রা বা রৌপ্যমুদ্রা এগুলো হলো কমোডিটি মানি. মানব ইতিহাসের বড় একটি সময় জুড়ে অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য সোনা রুপা, তামা বা তামাক পাতা, কমোডিটি কারেন্সি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে. কিন্তু পরবর্তীতে প্রকৃত মূল্যবান বস্তুর বিকল্প হিসাবে representative currency এর যাত্রা শুরু হয়.

 কাগজে মুদ্রার কোনো অন্তর্নিহিত মূল্য নেই. কার্যত এগুলো কাগজের টুকরো ছাড়া আর কিছুই নয়. কিন্তু এই কাগজে মুদ্রা গুলো কোনো মূল্যবান ধাতু বিশেষ করে স্বর্ণের সাথে সম্পর্কিত. কাগজে মুদ্রার মান কোনো রাষ্ট্রের স্বর্ণ মজুদের উপর নির্ভর করে. সর্বপ্রথম চীনে কাগজে নোটের প্রচলন হয়ে ছিল. কিন্তু ইউরোপে কাগজে মুদ্রার প্রচলন ঘটার পর থেকে তা ক্রমশ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে. ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত রাষ্ট্র স্বর্ণমান বা গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড গ্রহণ করে. এই ব্যবস্থায় স্বর্ণের মুল্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এবং যেকোনো সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ কাগজে মুদ্রার পরিবর্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ পাওয়া যেত. তখনো পর্যন্ত টাকার মান নিয়ে কোনো সমস্যা ছিল না. কিন্তু ঝামেলা তৈরী হয় যখন ফিয়াট কারেন্সির আবির্ভাব ঘটে. এই মুদ্রাও কাগজে নোটের মাধ্যমে প্রচলিত. 

কিন্তু এই নোটের সাথে বাস্তবে কোনো মূল্যবান ধাতু বা স্বর্ণের কোনো সম্পর্ক নেই. ফিয়াট মানির ক্ষেত্রে কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তাদের চাহিদা মতো টাকা ছাপিয়ে অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে. বর্তমান কালের অধিকাংশ আধুনিক মুদ্রাই ফিয়ার্ড কারেন্সি. এমনকি বহুল আলোচিত এই আমেরিকান ডলার থেকে শুরু করে বাংলাদেশি টাকাসহ প্রায় সবই ফিয়েট কারেন্সি. উনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটেন ছিল বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক পরা শক্তি. তাদের স্বর্ণের মজুদ ছিল সবচেয়ে বেশি এবং লন্ডন ছিল বিশ্ব banking এর কেন্দ্র. এই জন্য ব্রিটিশ মুদ্রা pound starling ছিল সে সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা. তাই বিশ্ব বানিজ্যের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ pound ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হতো. আঠারোশো সত্তরের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়. এরপর বিংশ শতাব্দীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলো যুদ্ধের খরচ মেটানোর জন্য ইচ্ছামতো টাকা ছাপাতে শুরু করে.


 তাদের স্বর্ণের মজুদের ভিত্তিতে যে পরিমান মুদ্রা ছাপানো সম্ভব ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে তারা নোট ছাপাচ্ছিল. অন্যদিকে যুদ্ধের প্রথম তিন বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে. সেই সময় তারা ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে অস্ত্র ও যুদ্ধের রসদ বিক্রি করে আমেরিকার অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করে তোলে. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ব্রিটেন সহ অধিকাংশ দেশ তাদের স্বর্ণমান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়. কারণ তখন তাদের টাকার মান দেশের মজুদ স্বর্ণমানের উপর নির্ভরশীল ছিল না. এই পরিস্থিতিতে দেশগুলোর মুদ্রা ব্যবস্থা চাহিদা ও যোগানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে. আর তখন থেকেই ফিয়াট কারেন্সি বা প্রকৃত মূল্যহীন কারেন্সি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পরে. ইউরোপের অর্থব্যবস্থায় পরিবর্তন আসলেও মার্কিন ডলার তখনও ফিয়াট কারেন্সিতে পরিণত হয়নি. তখনো পর্যন্ত আমেরিকান ডলার স্বর্ণমানের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ ছিল. যেসব দেশ ফিয়াট মানের প্রচলন ঘটিয়ে ছিল. তারা তাদের স্বর্ণের মজুদ বৃদ্ধি করে মুদ্রার প্রকৃতমান ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়. অন্যদিকে তখনকার দিনে আমেরিকা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশ. এবং মার্কিন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ছিল সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য.


 সে কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পাউন্ডের বদলে মার্কিন ডলার অগ্রাধিকার পেতে থাকে. মার্কিন ডলারকে অধিক নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে বিভিন্ন দেশ তাদের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবেও ডলার সঞ্চয় করতে থাকে. এক পর্যায়ে অধিক ব্যবহারের ফলে মার্কিন ডলার গ্লোবাল কারেন্সি বা বৈশ্বিক মুদ্রা হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়. এর প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বর্ণের মজুদ বৃদ্ধি করতে শুরু করে. যুক্তরাষ্ট্র তখন তাদের রপ্তানি করা জিনিসপত্রের বিনিময়ে স্বর্ণ ছাড়া অন্য কোন কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাই. এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণের মজুদ বাড়তে থাকে. বিপরীতে অন্য রাষ্ট্রগুলোর স্বর্ণের মজুদ কমতে থাকে. এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে অনেকটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে. প্রথম আড়াই বছর যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল. এবং যুদ্ধরত দেশগুলোর কাছে প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে. যথারীতি এই সময়েও যুক্তরাষ্ট্র তার রপ্তানিকৃত পণ্যের বিনিময়ে স্বর্ণ ছাড়া অন্য কোন কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাই. এই নীতির কারণে তাদের স্বর্ণমজুদ ফুলে-ফেঁপে ওঠে. এমনকি উনিশশো-সাতচল্লিশ সালে বিশ্বের মোট মজুদকৃত স্বর্ণের সত্তর ভাগই ছিল আমেরিকার কাছে.     





    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমেরিকার জন্য এক ধরনের আশীর্বাদ হয়ে আসে. এই বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীতে আমেরিকার অবস্থান চিরদিনের মতো বদলে দেয়. যুদ্ধের পরে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মতো পরাশক্তি গুলো অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যায়. কারণ তাদের উপার্জনের প্রধান উৎস তাদের উপনিবেশ গুলো একে একে স্বাধীন হয়ে যাচ্ছিল. তখন শুধুমাত্র আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায়. বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই অন্যান্য রাষ্ট্র অনুধাবন করতে পেরেছিল যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র একছত্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে. যুদ্ধ পরবর্তী অর্থনীতি যাতে স্থিতিশীল থাকে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য উনিশশো চুয়াল্লিশ সালে মিত্র পক্ষের চুয়াল্লিশটি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যামসা রঙ্গরাজ্যের বিটোন উডস  নামক অবকাশ যাপন কেন্দ্রে আলোচনার জন্য সমবেত হয়. দেশগুলোর প্রতিনিধিরা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে. যা বিটোন উডস চুক্তি নামে পরিচিত. এই চুক্তি বিশ্ব অর্থনীতির মেরুদন্ডে পরিণত হয়.বিটোন উডস  চুক্তির মাধ্যমেই স্বর্ণকে পাশ কাটিয়ে মার্কিন ডলারকে আনুষ্ঠানিকভাবে রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে গ্রহণ করা হয়. এই সময় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে মার্কিন ডলারের সঙ্গে যে সংযোগ ছিল সেটি বজায় থাকবে এবং আগের মতোই বিনা বাধায় মার্কিন ডলারকে ইচ্ছামতো স্বর্ণে রূপান্তর করা যাবে. বিটোন উডস চুক্তির ফসল হিসেবেই বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা IMF প্রতিষ্ঠিত হয়. এই আন্তর্জাতিক সংস্থা দুটি বিশ্বব্যাপী আমেরিকার প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতে প্রধান ভূমিকা পালন করে. উনিশশো পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো এবং জাপান বিশ্বযুদ্ধের দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়. তখন তারা তাদের মজুদকৃত মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আবারও স্বর্ণ কিনতে শুরু করে. এর ফলে মার্কিন স্বর্ণ মজুদ ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে. সেই সময় ভিয়েতনাম যুদ্ধের পেছনেও আমেরিকার অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়. সেই সাথে উনিশশো পঁয়ষট্টি সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি লিন্ডন জনসন গ্রেট সোসাইটি নামে এক বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করে. যার উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার শিক্ষা, নাগরিক অধিকার, স্বাস্থ্য খাত এবং অনুন্নত অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করা. এই প্রকল্পের ব্যয় মেটানোর জন্য মার্কিন সরকার বিপুল পরিমাণে টাকা ছাপাতে শুরু করে. এর ফলে মার্কিন ডলারের সঙ্গে স্বর্ণের সামঞ্জস্য রাখা আর সম্ভব হয় না. উনিশশো একাত্তর সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিকসন বিশ্ব অর্থনীতিকে এক বিশাল ধাক্কা দেন. যেটি নিকসন শক নামে পরিচিত. তিনি ঘোষণা করেন যে এখন থেকে আর মার্কিন ডলারের সঙ্গে স্বর্ণের কোনো সংযোগ নেই. অর্থাৎ এখন থেকে কোনো দেশ চাইলেই মার্কিন ডলারের বিনিময়ে স্বর্ণ কিনতে পারবে না. তার মানে মার্কিন ডলারও তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুদ্রাগুলোর মতো ফিয়াট কারেন্সিতে পরিনত হয়.  মার্কিন ডলার যখন ফিয়াট কারেন্সিতে পরিণত হলো তখন অন্য দেশগুলো কেন মার্কিন ডলারকে ত্যাগ করলো না? এখনো পর্যন্ত কেন ডলারকে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে? এর কারণ হলো মার্কিন ডলারকে ত্যাগ করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য নতুন একটি রিজার্ভ মুদ্রার প্রয়োজন হতো. কিন্তু যখন নিকশন শক কার্যকর হয় তখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিশ্বের প্রধান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তি. তখন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার মতো অন্য কোনো দেশ ছিল না. ফলে মার্কিন ডলারের মানের পতন ঘটলেও তাদের আধিপত্য কে কোনো বাধারই সম্মুখীন হতে হয় নি. তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর বিরুদ্ধে ডলারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে. বিভিন্ন সময়ে ইরান, চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র. এর ফলে দেশগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করা অনেক কঠিন হয়েছে. আমেরিকার এই একাধিপত্য বন্ধ করতে অনেকেই ত্রিপ্ট কারেন্সিকে বৈশিক মুদ্রা হিসাবে গ্রহণের প্রস্তাব করছেন. তৃপ্ত কারেন্সি হল এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা. যা কোনো দেশের সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না.     

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

লুসিড ড্রিম কাকে বলে ? লুসিড ড্রিম কিভাবে দেখতে হয় ?

 স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভেবেছেন কখনো? নিশ্চয়ই ভাবছেন জেগে জেগে দিবাস্বপ্ন দেখার কথা বলছি না তো? কিন্তু না, রীতিমতো ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নও নিয়ন্ত্রণের কথাই বলছি, আপনার ইচ্ছামত স্বপ্ন দেখবেন। ইচ্ছা মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন। আর পছন্দ না হলে অর্থাৎ দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলে সেটার গতিপথ পাল্টে দেবেন একেবারে নিমেষে। আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় এটা খুবই সম্ভব একে বলা হয় লুসিভ ড্রিম। লুসিড ড্রিমিং এর সাথে আপনারা অনেকেই হয়তো পরিচিত আছেন। অনেকে পরিচিত থাকলেও হয়তো এটা কেন হচ্ছে বা কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে এসবেরই উত্তর মিলবে আজকের এই লিখাতে।   লুসিড ড্রিম অর্থ কি? সহজ বাংলায় অনুবাদ করতে গেলে বলা যায় লুসিড অর্থ পরিষ্কার. অর্থাৎ স্পষ্ট আর dream মানে তো আমরা সবাই জানি যে স্বপ্ন। লুসিড ডিম হলো সেই স্বপ্ন যে আমাদের স্পষ্ট ভাবে মনে থাকে এবং স্বপ্ন চলাকালীন সময়েও আমরা এ উপলব্ধি করতে পারি যে এটি বাস্তব নয় বরং এটি স্বপ্ন কিন্তু শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থ দিয়ে লুসিড ড্রিম ব্যাখ্যা করলে ভুল হবে একটু অন্যভাবে বলা যাক ।  মনে করুন স্বপ্নে আপনি কি পাহাড়ের উপর থেকে দ্রুত গ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্টকহোম সিন্ড্রম কি ? স্টকহোম সিন্ড্রম কেন হয় ?

ধরুন আপনাকে কেউ অপহরণ করল. আটকে রাখল অজানা কোন জায়গায়. কিংবা জিম্মি করল কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য. হয়তো আপনাকে মেরে ফেলাটাই অপহরণকারীদের লক্ষ্য. পুলিশ আপনার খোঁজ পাচ্ছে না. এদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় অস্থির হয়ে আছে আপনার স্বজনরা. এক পা দুই সপ্তাহ পার হয়ে হয়তো আপনাকে উদ্ধার করা হল. এই কয়েকটা দিন আপনি সূর্যের আলো দেখেননি. বন্দি অবস্থায় এক একটা ঘন্টাকেই আপনার কাছে মনে হয়েছে এক একটা মাসের মতো লম্বা. মুক্তির পর অপহরণকারীদের প্রতি কেমন অনুভূতি কাজ করবে আপনার? হাতের কাছে পেলেই তাদেরকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে তাই না? কিন্তু সেটা না করে বাড়ি ফেরার পর আপনি যদি সেই অপহরণকারীদের প্রশংসা শুরু করেন? তাহলে লোকজন আপনার দিকে কুঁচকে তাকাবে বৈকি? আপনি যদি অপরাধের তদন্তে পুলিশকে ঠিকমতো সাহায্য না করেন, আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই কিন্তু স্বাভাবিক. তার চেয়েও অবাক করার মতো ব্যাপার. কখন ঘটবে জানেন? যখন আদালতে গিয়ে আপনি বলবেন. আপনাকে যারা অপহরণ করেছিল তাদের প্রতি আসলে আপনার কোন অভিযোগ নেই. আপনি তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করতে চান. কি ভাবছেন? এমন পাগলামি আপনি কেন করবেন? পাগলামি বলুন আর যাই বলুন. ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান কি ?

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান দু হাজার বারো সালের চৌঠা জানুয়ারি। ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট ফোর চ্যান ডট কম নামের ওয়েবসাইটের বুলেটিন বোর্ডে ছবি সহ একটি ম্যাসেজ পোস্ট করা হয়. ওয়েবসাইটের নীতিমালা অনুযায়ী ছবি প্রকাশকারীর নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়. অজ্ঞাত পোস্ট করি সেই ছবিতে ব্যবহারকারীদের চিত্রের মাঝেই লুকানো একটি বার্তা উন্মোচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানান. সেই মেসেজটিতে লেখা ছিল হ্যালো আমরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের খুঁজছি তাদের খোঁজার জন্য আমরা একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি । এই ছবিতে একটা মেসেজ লুকানো আছে এটাকে খুঁজে বের করো । এটাই তোমাদের আমাদের কাছে নিয়ে আসবে. আমরা সেসব স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিকে দেখার অপেক্ষায় আছি যারা এটি সম্পূর্ণ করতে পারবে. Good luck । আর নিচে ছিল একটি কোড থ্রি থ্রি জিরো ওয়ান. পুরো ইন্টারনেট দুনিয়া তোলপাড় হয়ে গেল যেন হঠাৎ করে. পৃথিবীর সেরা হ্যাকার এবং কোড সমাধানকারীরা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা প্রমানের জন্য এই পরীক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়লো আর এই রহস্যময় ধাঁধার নাম দেওয়া হলো সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান।  সিকাডা অর্থ মত বা ঘুগরি পোকা. ছবি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মাঝেই গ...

সারোগেসি কি ?

সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করা নিয়ে এখনো বহু বিতর্ক আছে. শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই এই পদ্ধতি নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই.  এটার আইনি প্রক্রিয়াও জটিল। কারণ এটি একেক রাষ্ট্রে. শারোগেসি আইন একেক রকম. নারী মা হবেন প্রাকৃতিক নিয়ম সমাজ এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত. কিন্তু কোন কারণে মা হবার ক্ষমতা না থাকলে তাকে পরিবার ও আশপাশ থেকে যে পরিমাণ কটু কথা শুনতে হয় তা সাধারণ মানুষের ধারণারও বাইরে.   সরোগেসি বিষয়টি কি? চিকিৎসা শাস্ত্রের অগ্রগতি এমন মায়েদের সামনে এনেছে যারা গর্ভ ভাড়া দিয়ে নিজে বাঁচেন অন্যদের মাতৃ সুখ দেন । একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলা হয়.সারোগেসির এই  পদ্ধতি বেশ দীর্ঘকালীন. আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়. কিন্তু এখানেও জটিলতা. কেন? সে বিষয়ে পরে আসছি. বাংলাদেশ সহ বহু দেশই এই সারোগেসি একরকম ভাবে নিষিদ্ধ. সুতরাং বিষয় টি  সংবেদনশীল. এমনকি বেশিরভাগ ধর্মেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা. চলুন কথা বলি সারোগেসি মাদার সম্পর্কে। আইভিএফ বা টেস্ট টি...

কিভাবে লিমিটলেস হওয়া যায় ? লিমিটলেস আসলে কিভাবে কাজ করে ?

এনজিটিপিল,  এটা এমন এক পিল যা আপনাকে করবে আল্ট্রা ফোকাসড. দেবে দুর্দান্ত মোটিভেশন. বের করে আনবে আপনার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা. আপনি হয়ে উঠবেন আনস্টপল. বাস্তবতা পাবে প্রতিটি স্বপ্ন. কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এমন কোন পিলের অস্তিত্ব নেই. ফলাফল আপনি আটকে আছেন একটি খাদে. সারাক্ষণ ক্লান্তি নিয়ে হয়ে উঠছেন আনপ্রোডাক্টিভ. নষ্ট হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি. সময় গড়িয়ে যায়. ঋতুর পরিবর্তন ঘটে. কিন্তু আপনি ডুবে থাকেন এক হতাশায় যাতে আপনি দিন দিন পিছিয়ে পরছেন. আপনি যা যা এতদিন অর্জন করবেন ভেবেছিলেন তা কিছুই আপনি অর্জন করতে পারেননি । নিজেকে সান্তনা দিচ্ছেন আগামীকাল হবে ভিন্ন। কিন্তু তা কখনোই হয়ে ওঠে না এখন যদি আপনাকে বলি কোনো জাদুকরী পিলের সাহায্যে নয় বাস্তবিক লিমিটলেস হয়ে ওঠা সম্ভব।  একদম প্রমাণিত পদ্ধতিতে যা একেবারে ফ্রিতে ব্যবহার করা সম্ভব.  তো আছেন তো শেষ পর্যন্ত ?  Limit less হওয়ার যাত্রায় ।  স্টেপ ওয়ান : এনার্জি--  মাত্র কয়েক মাস আগে আমি নিজেও আপনার মতো কর্মশক্তিহীন অনুভব করতাম. সামান্য কাজেই আসতো অবসন্নতা, গেয়ে ধরতো ক্লান্তি একদিন হঠাৎ টের পেলাম আমি নিজেই নিজের energy নি...

পেগাসাস স্পাইওয়ার কি ?

গত কিছুদিন ধরেই বিশ্ব রাজনীতি এবং প্রযুক্তি জগৎ এই দুই জায়গাতেই আলোচনার বিষয়বস্তু একটাই। সেটা হচ্ছে পেগাসাস স্পাইওয়ার. বিশ্বজুড়ে নানান দেশের মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আইনজীবী ও রাজনীতিকদের ফোনের নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ইজরায়েলের বেসরকারি কোম্পানি nso গ্রুপের তৈরি করা এই সফটওয়্যার নিয়ে এখন তুমুল তরজা চলছে দুনিয়া জুড়ে । চলুন কথা বলি দুনিয়া ওলট পালট করে দেওয়া স্পাইওয়ার সম্পর্কে । পেগাসাস মূলত একটি নজরদারি বিষয়ক সফটওয়্যার । ইজরাইলের সংস্থা এনএসও ই সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যা দিয়ে যে কারো মোবাইলে আড়ি পাতা যায়. এটা কিন্তু সাধারণ কোন নজরদারি নয়. আগে ফোনে আড়ি পেতে শুধু দুই প্রান্তের কথাবার্তা শোনা যেত. আর সফটওয়্যারের মাধ্যমে গোটা ফোনটারই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হ্যাকাররা. ফোনের কথাবার্তা WhatsApp এর চ্যাট, ছবি, ফোনে কি কি তথ্য আছে সবই জানা যায়. আরো ভয়ানক ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল যিনি ব্যবহার করছেন তিনি জানতেই পারেন না যে তার ফোন হ্যাক করা হয়েছে. সমস্ত তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কাছে. কিন্তু কারো ফোনে পেগাসাস software install করতে হলে তো সেই ফোনটাকে...

রেট রেস কি ?

      আপনি ঠিক কখন ইঁদুর দৌড়ে যোগ দিয়েছেন এটা হিসাব করা কঠিন. কিন্তু নিশ্চিত থাকুন আপনি এই দৌড়ে আছেন. ক্লাস eight এ পড়ার সময়ের কথা মনে আছে? সামনে বৃত্তি পরীক্ষা পাটিগণিত বীজগণিতের অংক প্যাঁচ লাগাচ্ছে বিজ্ঞানের জটিল সব সূত্র ভোরে ওঠে প্রাইভেট টিউটরের বাসায় ছোটা রাত জেগে পড়াশোনা. বয়সের তুলনায় অনেক বেশি কর্ম ব্যস্ত একটা সময় নিশ্চয়ই কাটিয়েছেন তখন? আমরা সবাই কাটিয়েছি. সেই সময় নিশ্চয়ই অভিভাবক বলেছে এই তো আর কটা দিন. বৃত্তি পরীক্ষা শেষ হলেই জীবন শান্তি আর শান্তি. জীবনের নানা এপিসোডে আপনি এই কথাগুলো শুনেছেন অনেকবার অনেকের মুখে. এসএসসি পরীক্ষাটা দাও, কলেজে উঠলেই তো স্বাধীনতা. একবার ভার্সেটিতে উঠতে পারলেই জীবন হবে আনন্দে ভরপুর. একবার জব লাইফে ঢোকো. নিজের টাকায় আয়েশ করার মজাই অন্যরকম. শুনেছেন না এসব?  বয়স ঘড়ির ত্রিশের প্রান্তে দাঁড়িয়ে হিসেবগুলো মেলাতে পারেন কি? কি মনে হয়? এই এপিসোডগুলোর কোনোটা পার হবার সময় জীবন খানিকটা হলেও সহজ হয়েছে? সুন্দর হয়েছে? হয়নি, হবেও না, মিথ্যা একটা মরীচিকার আশায় আমরা ছুটেছি ঠিকই আমাদের ছোটানো হয়েছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি ছুটত...

ডাচ ডিজিজ কি ? অর্থনীতি কিভাবে রোগে ভুগতে পারে ?

সো হোয়াট দ্য হেল দিস ডাচ ডিজিজ? ডাচ ডিজিজ শব্দটা শুনলে আপনার স্বাভাবিক ভাবেই মনে হবে এটা কোন রোগের নাম । হ্যাঁ এটা একটা রোগ. তবে মানুষের নয়. কোন প্রাণীরও নয়. তাহলে? এটা মূলত অর্থনীতির একটা সিন্ড্রোম. কিন্তু অর্থনীতির টার্মের সঙ্গে ডিজিজ কথাটা যুক্ত হল কেন? ডাচ বা নেদারল্যান্ড দেশটারই বা কি ভূমিকা এতে?  না এটা বুঝতে আপনাকে অর্থনীতির ছাত্র হতে হবে না ।কিন্তু বিষয়টা বেশ মজার দু হাজার সতেরো সালে বুকিং ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ডাচ ডিজিজ এন্ড ইকোনমিক ইলনেস ইজি টু ক্যাচ ডিফিকাল্ট টু কিওর শিরোনামের আর্টিকেলের শুরুতেই বলা হয়ে ছিল- what a persistantly low oil price, dose to oil richan prises like what a long cold winter dust to people একথার তাৎপর্য কি?  সহজ বাংলায় বুঝিয়ে বলা যায় যদি বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে তেলের দাম কমতে থাকে তখন তেল সমৃদ্ধ তেলের ওপর ভাবে নির্ভরশীল দেশগুলোর অর্থনীতি নানান সমস্যায় ভুগতে পারে. এখানে তেল একটা রূপক মাত্র. তেলের জায়গায় চাল, ডাল, লবণ, চিনি যেকোনো কিছুই হতে পারে. হতে পারে কোন শিল্প যেমন টেক্সটাইল গার্মেন্টস বা ইনফরমেশন টেকনোলজিও. মূল বিষয়টা হচ্ছে...