এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস. অর্থাৎ রাশিয়া এবং ইউক্রেন যখন থেকে সংঘাতে জড়িয়েছে সেই সময় থেকেই একটা শব্দ ঘুরে ফিরে বারবার উচ্চারিত হচ্ছে মিডিয়াতে. কেউ বলছেন রাসায়নিক অস্ত্র. কেউ বলছেন জৈব অস্ত্র. বলা হচ্ছে অবস্থা বেগতিক দেখলেই নাকি রাশিয়া এই অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে. ঘটতে পারে হিরোশিমা নাগাসাকির চেয়েও কয়েকগুণ বিধ্বংসী প্রলয়. ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর একটা অংশের মানব সভ্যতাও. কিন্তু এই জৈব অস্ত্র বা বায়ু ওপেনের কেন এত ভয়. কেন এটিকে মানব সভ্যতার সবচেয়ে বিধ্বংসী আবিষ্কার বলা হয় ?
হিরোশিমা নাগাসাকিতে আমেরিকার পারমানবিক বোমার হামলার ধ্বংস যজ্ঞ দেখেছে পৃথিবী. এর চেয়েও কয়েকগুন বেশি ক্ষয়ক্ষতি যে অস্ত্রের মাধ্যমে করা সম্ভব সেটাকে হেলাফেলা করার কোন উপায় নেই. একে অন্যের সাথে লড়াই করতো ঢাল তলোয়ার দিয়ে সেখান থেকে গোলা বারুদ, কামান থেকে বর্তমানের উন্নত যত অস্ত্রশস্ত্র, পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে সুপারসনিক, আলট্রাসুপারসনিক. মিসাইলের মত তুখড় সব অস্ত্র এখন মানুষের কব্জায়। কিন্তু আজ যে অস্ত্রটি নিয়ে কথা হবে সেটিকে জীবন্ত অস্ত্র বললেও বেশি বলা হবে না. বায়ো ওপেনস যাকে দুনিয়ার সমস্ত সমরাস্ত্রের চেয়ে মারাত্মক শক্তিশালী হিসেবে ধরা হয়। নীরবে হাজার হাজার জনগোষ্ঠী শেষ করে দিতে পারে. আর যার প্রভাব থাকতে পারে কয়েক দশক পর্যন্ত । এক কথায় বললে এটি একপ্রকার ভাইরাসবাহী এজেন্ট অথবা বিষক্রিয়া ছড়ানোর মাধ্যম খুব দ্রুত গতিতে বিস্তারে সক্ষম । এসবে সব এজেন্টের মধ্যে পড়ে ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ছত্রাক এবং কীটপতঙ্গ. শত্রুদের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহারের চল সেই অতীত থেকেই এবং এই জৈব অস্ত্রের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে সাধারণ যেকোনো যুদ্ধের তুলনায়. ধ্বংসাত্মক সমগ্র রাষ্ট্রের তালিকায় বায়ু ওপেনকে রাখা হয় না কারণ এটির মধ্যে সাধারণত কোনো স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেবার সক্ষমতা থাকে না।
কলকারখানা, বাড়িঘর কিংবা জিনিসপত্রেরও তেমন একটা ক্ষতি করে না এই অস্ত্র কিন্তু মানব জীবনের ধ্বংস করে অহরহ । এবং এর নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব. আর যার প্রভাবে এপিডেমিক প্যানডেমিক পর্যন্ত গড়াতে বেশি সময় নেয় না. আর যে কারণে দু হাজার তেরো সাল পর্যন্ত প্রায় একশো আশিটি দেশ এটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে. তবুও কিছু দেশ গোপনে বায়োপেন্স নিয়ে গবেষণা করছে. একবার ভাবুন. যদি কখনো এটি কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে পড়ে তার পরিণতি কি হতে পারে. ভাবলে গা শিউরে উঠবে. দু হাজার বারো সালে প্রকাশিত এক ফিল্মে দেখানো হয়: কলকাতা শহরে চলন্ত মেট্রোর ভেতরে ঘটে যাওয়া একটা দুর্ঘটনা দেখানো হয়েছিল আস্ত একটা ট্রেনের ভেতর যার যার সিটে বসে ছিলেন শত শত মানুষ কেউ বা মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন কারোর কারো দেহে প্রাণ ছিল না. এর ঠিক আগেই দেখানো হয় এক মহিলার হাত থেকে একটা দুধের বোতল পরে ফেটে যায়. আর ভেতরে থাকা তরল পদার্থগুলো ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে. আদতে সেটি ছিল বায়ু ওয়েপেন বা কেমিক্যাল ওয়েপেন ব্যবহারের একটা নমুনা. জেনে অবাক হবেন. ফিল্মে দেখানো এই দৃশ্যটি কিন্তু পরিচালকের কল্পনা নই. পঁচানব্বই সালে জাপানের আওম শিম সম্প্রদায়ের একটি উগ্র গোষ্ঠী টোকিও শহরের পাতার রেলে সারিন গ্যাস ব্যবহার করেছিল. এতে ট্রেনের বারো জন যাত্রী নিহত এবং পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়ে ছিল. biological weapon বা জৈব অস্ত্রকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়. বিশেষ করে organism type কতটা প্রাণনাশক ইনক্রিভিশন পিরিয়ড কতটা সময় স্থায়ী থাকবে. বর্তমানে উপস্থিত ভ্যাকসিন দিয়ে প্রতিরোধ করা যাবে কিনা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে এর প্রকারভেদগুলো.
বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর একটা মতবাদ খুব প্রচার পেয়েছিল পশ্চিমা মিডিয়ায় যে করোনা আসলে চীনের তৈরী একটা বায়ু ওপেন। ইউরোপ এবং আমেরিকাকে পেছনে ফেলার জন্য এই বায়ু ওপেন ব্যবহার করেছে চীন এমন অভিযোগ করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প. পশ্চিমাদের যুক্তি ছিল করোনার উৎপাদন চীনে হলেও সেখানে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি এই ভাইরাস. বরং ইউরোপ আমেরিকায় চালিয়েছে ধ্বংস যজ্ঞ । অন্যদিকে চীন ঠিকই এই দুই বছরে নিজেদেরকে পৃথিবীর সবচেয় ধনী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে. এসব কারণে অনেকে এই মতবাদে বিশ্বাসও করেছিলেন. দুশো-পঁয়ষট্টি সাল নাগাদ রোমানু পারজিয়নদের মধ্যকার যুদ্ধে সর্বপ্রথম রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার দেখা যায়. ওই সময় পারজিয়ান সৈন্যরা একপ্রকার প্রাণঘাতী গ্যাসের ব্যবহার করে যুদ্ধের মাঠে পৌঁছানোর আগেই অনেক রুমান সৈন্যকে হত্যা করেছিল. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মানি, ল্যান্ডেস্টাইন প্রোগ্রাম নামে একটা পদক্ষেপ নেয় যার লক্ষ্য ছিল মিত্র পক্ষের ঘোড়া ও গবাদি পশুদের সংক্রামিত করা. শুধু তাই নয় বলা হয় উনিশশো পনেরো সালে জার্মানরা রাশিয়ার সেন পিচার্স বার্গে প্লেগ ছড়াতে চেষ্টা করেছিল ।রাশিয়ার শক্তিকে পর্যদুস্ত করার লক্ষ্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ রূপ চাক্ষুষ করে সব পক্ষই ছিল ভীতসন্ত্রস্ত।
সে কারণে বেশিরভাগ দেশ উনিশশো-পঁচিশ সালের জেনেভা প্রটোকলে যুদ্ধে সর্বপ্রকার জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারে ইতি টানে. কিন্তু জাপান সর্বপ্রথম জেনেভা প্রটোকলের নিয়ম ভঙ্গ করে এবং পূর্ণ মাত্রায় বায়ো ওপেন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোডাকশন এবং টেস্টিংয়ে মনোনিবেশ করে. শুধু তাই নয় উনিশশো সাঁইত্রিশ সাল থেকে উনিশশো পঁয়তাল্লিশের মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে বায়ো ওপেন্স প্রয়োগ করে আবার যুদ্ধবন্দী তিন হাজারেরও বেশি মানুষের উপর বায়ুপেন্সের পরীক্ষা চালায় এবং এই মানুষগুলোর হয় বীভৎস মৃত্যু. জাপানীরা যেসব ইনফেকশনস এজেন্ট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছিল তাদের মধ্যে বি বর্নি প্লেগ, অ্যানট্রাক্স, ইয়েলো ফিভার ছিল অন্যতম। বায়ো ওপেন্স এর কথা বলতে গেলে বায়োটেরিজম শব্দটা আসবে বারবার। সহজ ভাবে বললে বায়ো ওপেন্স নির্ভর যেকোনো জঙ্গিবাদী বা হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকেই বায়োটেরোরিজম বলা যায়। কোন স্বৈরাচারী সরকারের মদতে বায়ো ওপেন্স যদি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে পড়ে সেখান থেকে বায়োটেরিজমের আশঙ্কা সবসময়ই থাকবে । সাম্প্রতিককালের কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা যার প্রমাণ বহন করে. গোপনে কোনো রাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্ট বিভাগ অন্য রাষ্ট্রে জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করতে চাইলে তা খুব সহজেই করতে পারবে. ব্যাগে ভাইরাস ভর্তি টিউব থাকলে তাই এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ডিটেক্টরে সহজে ধরা পড়বে না. স্ক্যানিং মেশিনের পর্দায় ভাইরাস দেখাও যাবে না. এ কারণে এটি বহন করা খুবই সহজ. হামলা করা তার চেয়েও সহজ. ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিতর্কিত ধর্মগুরু রাজমিস প্রচুর বিদেশী ভক্ত জুটিয়ে ছিলেন এক কালে. যুক্তরাষ্ট্রের হরিগনের ওয়াস্কো কাউন্টি এলাকায় রজনীশের ভক্তবৃন্দরা টাইফয়েডের জীবাণু দিয়ে সাতশো পঞ্চাশ জন লোককে অসুস্থ করে তোলে।
এসব কিছুই বায়োটেরোরিজমের ভয়ঙ্কর রূপ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। উনিশশো সাতানব্বই সালে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন আইন দ্বারা রাসায়নিক অস্ত্র এবং জৈব অস্ত্র ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ । এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ দ্বারা স্বাক্ষরিত। রাসায়নিক অস্ত্রের গ্লোবাল ওয়াচ টপ রয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগে । যা ওপিসিডব্লিউ নামে পরিচিত । এই অস্ত্র নিষিদ্ধকারী সংস্থা রাসায়নিক অস্ত্রগুলোর বেআইনি ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে এবং অস্ত্রের ব্যবহার যেন না হয় সেদিকেও নজর রাখে. রাশিয়া বলেছে তারা দু হাজার সতেরো সালে তাদের রাসায়নিক অস্ত্রের শেষ মজুত ধ্বংস করেছে ।
কিন্তু তারপরেও মস্কোর ওপর অন্তত দুটি রাসায়নিক হামলার অভিযোগ রয়েছে। প্রথম অভিযোগ ছিল দুহাজার-আঠারো সালের মার্চে যুক্তরাজ্যের সেলিজ valley আক্রমণ। সেখানে একজন সাবেক কে কেজিবি অফিসার এবং ডিফেক্টর সেইগেইজ ক্রিপাল ও তার মেয়ের ওপর নার্ভ এজেন্ট নবীচাপ বিষ প্রয়োগ করা হয় । যদিও রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে । তবে তদন্তকারীদের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাশিয়ার জিআরইউ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার দুই কর্মকর্তা এতে ছিলেন সরাসরি জড়িত। ফলে একশো-আঠাশ জন রুশ গুপ্তচর এবং কূটনীতিককে বিভিন্ন দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়. আরেকটি অভিযোগ হচ্ছে দু হাজার বিশ সালের আগস্টে রাশিয়া বিরোধী বিশিষ্ট কর্মী অ্যালেক্সি নাবালনি কেও নিবিচক বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল. তবে অল্পের জন্য তিনি মৃত্যুর দ্বার থেকে ফিরে আসেন. এটি একেবারে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে মানব নিধনের যত অস্ত্র আমাদের কবলে রয়েছে তার মধ্যে জৈবিক অস্ত্র সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করতে পারে।
শুধুই যে এপিডেমিকের জন্ম দেয় এমন নয়। তার সাথে পরিবেশের যাবতীয় উপাদান পানি, বাতাস, মাটির ক্ষয়ক্ষতিতেও রাখে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। যার আচর গিয়ে পড়ে খাদ্যশস্য এ ও। বায়ো ওপেন্সের নানা বহুমুখী অপকারিতার কারণ এটি তুলনামূলকভাবে কম খরচে উৎপাদন করা সম্ভব. দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে প্রকৃতিতে. আর এটা বহন করা খুবই সহজ. বায়ো ওপেন্স সরাসরি প্রাকৃতিক সম্পদের বিপুল ক্ষতি করে. কখনো বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে খুব সহজে।উদ্ভিদের উপর আক্রমণ করে. খাবারের মাধ্যমে অতি সহজে প্রবেশ করতে পারে মানবদেহে. আর পানির মাধ্যমে বেশ কিছু ভাইরাসবাহী কোনো ঘটক চলাচল করতে পারে. এরা আরো ভয়ানক. বলা হয় দশ গ্রাম পরিমান বায়ো ওপেন্স পানিতে ছুরি দিয়ে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে আশি মিলিয়ন মানুষকে মেরে ফেলা সম্ভব। ক্যানাইন ডিস্ট্যাম্পার একটি সাধারণ সংক্রামক রোগ। যা মূলত বন্য কুকুর এবং ওই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত অন্য বন্য প্রাণীদের আক্রমণ করে। এই ক্যানাইন ডিস্ট্যাম্পার গবেষণাগারেও তৈরি করা যায়। গত কয়েক দশক ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই রোগে উত্তর আমেরিকার বহু সংখ্যক বন্যপ্রাণী লুপ্তপ্রায় হতে চলেছে তানজানিয়ার এক তৃতীয়াংশ সিংহের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পেছনেও এই রোগের রয়ছে সরাসরি হাত। আঠেরোশো সাতাশি সাল নাগাদ ইউরোপিয়ান সৈন্যরা গোটা আফ্রিকা জুড়ে রাইন্ডার পেস্ট ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় ।যা আফ্রিকার সিংহভাগ গবাদি পশুর হত্যার কারণ।
ছোট ছোট অথবা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাশীল দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করে অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে বায়ো ওপেন্স নিয়ে গবেষণা হয়তো রুখে দেওয়া সম্ভব । কিন্তু যারা বিশ্বে পাওয়ার হাউস হিসেবে পরিচিত তাদের বেলায় কি এই একই চিত্র আমরা দেখতে পাবো? মনে হয় না রাশিয়া, ইউক্রেন সংকটের সময় তো সামনে এসেছে যে ইউক্রেনে অত্যাধুনিক জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সহায়তা করছিল । যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানী যৌথভাবে জৈব অস্ত্র নিয়ে গবেষণার জন্য ইউক্রেনে কমপক্ষে তিরিশটি জৈব গবেষণাগারের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছিল. একথা স্বীকার করেছে খোদ হোয়াইট হাউস. পারমানবিক বোমা এখন backdated. সেই জায়গা দখল করেছে জৈব অস্ত্র. কারণ পারমানবিক বোমার সারা শব্দ অনেক বেশি. অন্যদিকে এমন নিঃশব্দে শত্রুপক্ষকে নিঃশেষ করে দেওয়া যায় বায়ো ওপেন্স ব্যবহার করে. পরাশক্তি গুলো তাদের ক্ষমতার মনোপুলি রক্ষা করতে বায়ুপেন্সে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করে চলেছে. আর তা বরাবরই থাকে সব কিছুর অন্তরালে. বায়ো ওপেন্সের না আছে কোনো গন্ধ, না আছে কোনো বিশেষ রঙ যার ফলে এটি সনাক্ত করা দুঃসাধ্য একটা ব্যাপার. এরা যেসব রোগের জন্ম দেয় তাদের সিমটমসের সাথে সাধারণ রোগের সিমটমসের তফাৎ করা খুবই মুশকিল। যা বায়ো ওপেন্স কে কয়েকশো গুণ বেশি ভয়ঙ্কর করে তোলে । মানুষ যেমন মানুষের ক্ষতির কারণ তেমনি মানুষই পারে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে. তাই সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ একজোট না হলে জৈব অস্ত্রের হুমকি থেকে পৃথিবীকে কখনোই বাঁচানো সম্ভব নয়.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন