সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বায়ো ওপেন্স কি ? বায়ো ওপেন্স কতটা বিপদ্জনক?

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস. অর্থাৎ রাশিয়া এবং ইউক্রেন যখন থেকে সংঘাতে জড়িয়েছে সেই সময় থেকেই একটা শব্দ ঘুরে ফিরে বারবার উচ্চারিত হচ্ছে মিডিয়াতে. কেউ বলছেন রাসায়নিক অস্ত্র. কেউ বলছেন জৈব অস্ত্র. বলা হচ্ছে অবস্থা বেগতিক দেখলেই নাকি রাশিয়া এই অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে. ঘটতে পারে হিরোশিমা নাগাসাকির চেয়েও কয়েকগুণ বিধ্বংসী প্রলয়. ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর একটা অংশের মানব সভ্যতাও. কিন্তু এই জৈব অস্ত্র বা বায়ু ওপেনের কেন এত ভয়. কেন এটিকে মানব সভ্যতার সবচেয়ে বিধ্বংসী আবিষ্কার বলা হয় ?  

হিরোশিমা নাগাসাকিতে আমেরিকার পারমানবিক বোমার হামলার ধ্বংস যজ্ঞ দেখেছে পৃথিবী. এর চেয়েও কয়েকগুন বেশি ক্ষয়ক্ষতি যে অস্ত্রের মাধ্যমে করা সম্ভব সেটাকে হেলাফেলা করার কোন উপায় নেই. একে অন্যের সাথে লড়াই করতো ঢাল তলোয়ার দিয়ে সেখান থেকে গোলা বারুদ, কামান থেকে বর্তমানের উন্নত যত অস্ত্রশস্ত্র, পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে সুপারসনিক, আলট্রাসুপারসনিক. মিসাইলের মত তুখড় সব অস্ত্র এখন মানুষের কব্জায়। কিন্তু আজ যে অস্ত্রটি নিয়ে কথা হবে সেটিকে জীবন্ত অস্ত্র বললেও বেশি বলা হবে না. বায়ো ওপেনস যাকে দুনিয়ার সমস্ত সমরাস্ত্রের চেয়ে মারাত্মক শক্তিশালী হিসেবে ধরা হয়। নীরবে হাজার হাজার জনগোষ্ঠী শেষ করে দিতে পারে. আর যার প্রভাব থাকতে পারে কয়েক দশক পর্যন্ত । এক কথায় বললে এটি একপ্রকার ভাইরাসবাহী এজেন্ট অথবা বিষক্রিয়া ছড়ানোর মাধ্যম খুব দ্রুত গতিতে বিস্তারে সক্ষম । এসবে সব এজেন্টের মধ্যে পড়ে ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ছত্রাক এবং কীটপতঙ্গ. শত্রুদের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহারের চল সেই অতীত থেকেই এবং এই জৈব অস্ত্রের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে সাধারণ যেকোনো যুদ্ধের তুলনায়. ধ্বংসাত্মক সমগ্র রাষ্ট্রের তালিকায় বায়ু ওপেনকে রাখা হয় না কারণ এটির মধ্যে সাধারণত কোনো স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেবার সক্ষমতা থাকে না।  

কলকারখানা, বাড়িঘর কিংবা জিনিসপত্রেরও তেমন একটা ক্ষতি করে না এই অস্ত্র কিন্তু মানব জীবনের ধ্বংস করে অহরহ । এবং এর নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব. আর যার প্রভাবে এপিডেমিক প্যানডেমিক পর্যন্ত গড়াতে বেশি সময় নেয় না. আর যে কারণে দু হাজার তেরো সাল পর্যন্ত প্রায় একশো আশিটি দেশ এটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে. তবুও কিছু দেশ গোপনে বায়োপেন্স নিয়ে গবেষণা করছে. একবার ভাবুন. যদি কখনো এটি কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে পড়ে তার পরিণতি কি হতে পারে. ভাবলে গা শিউরে উঠবে. দু হাজার বারো সালে প্রকাশিত এক ফিল্মে দেখানো হয়:  কলকাতা শহরে চলন্ত মেট্রোর ভেতরে ঘটে যাওয়া একটা দুর্ঘটনা দেখানো হয়েছিল আস্ত একটা ট্রেনের ভেতর যার যার সিটে বসে ছিলেন শত শত মানুষ কেউ বা মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন কারোর কারো দেহে প্রাণ ছিল না. এর ঠিক আগেই দেখানো হয় এক মহিলার হাত থেকে একটা দুধের বোতল পরে ফেটে যায়. আর ভেতরে থাকা তরল পদার্থগুলো ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে. আদতে সেটি ছিল বায়ু ওয়েপেন বা কেমিক্যাল ওয়েপেন ব্যবহারের একটা নমুনা. জেনে অবাক হবেন. ফিল্মে  দেখানো এই দৃশ্যটি কিন্তু পরিচালকের কল্পনা নই. পঁচানব্বই সালে জাপানের আওম শিম  সম্প্রদায়ের একটি উগ্র গোষ্ঠী টোকিও শহরের পাতার রেলে সারিন গ্যাস ব্যবহার করেছিল. এতে ট্রেনের বারো জন যাত্রী নিহত এবং পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়ে ছিল. biological weapon বা জৈব অস্ত্রকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়. বিশেষ করে organism type কতটা প্রাণনাশক ইনক্রিভিশন পিরিয়ড কতটা সময় স্থায়ী থাকবে. বর্তমানে উপস্থিত ভ্যাকসিন দিয়ে প্রতিরোধ করা যাবে কিনা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে এর প্রকারভেদগুলো. 


বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর একটা মতবাদ খুব প্রচার পেয়েছিল পশ্চিমা মিডিয়ায় যে করোনা আসলে চীনের তৈরী একটা  বায়ু ওপেন। ইউরোপ এবং আমেরিকাকে পেছনে ফেলার জন্য এই  বায়ু ওপেন  ব্যবহার করেছে চীন এমন অভিযোগ করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প. পশ্চিমাদের যুক্তি ছিল করোনার উৎপাদন চীনে হলেও সেখানে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি এই ভাইরাস. বরং ইউরোপ আমেরিকায় চালিয়েছে ধ্বংস যজ্ঞ । অন্যদিকে চীন ঠিকই এই দুই বছরে নিজেদেরকে পৃথিবীর সবচেয় ধনী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে. এসব কারণে অনেকে এই মতবাদে বিশ্বাসও করেছিলেন. দুশো-পঁয়ষট্টি সাল নাগাদ রোমানু পারজিয়নদের মধ্যকার যুদ্ধে সর্বপ্রথম রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার দেখা যায়. ওই সময় পারজিয়ান সৈন্যরা একপ্রকার প্রাণঘাতী গ্যাসের ব্যবহার করে যুদ্ধের মাঠে পৌঁছানোর আগেই অনেক রুমান সৈন্যকে হত্যা করেছিল. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মানি, ল্যান্ডেস্টাইন প্রোগ্রাম নামে একটা পদক্ষেপ নেয় যার লক্ষ্য ছিল মিত্র পক্ষের ঘোড়া ও গবাদি পশুদের সংক্রামিত করা. শুধু তাই নয় বলা হয় উনিশশো পনেরো সালে জার্মানরা রাশিয়ার সেন পিচার্স বার্গে প্লেগ ছড়াতে চেষ্টা করেছিল ।রাশিয়ার শক্তিকে পর্যদুস্ত করার লক্ষ্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ রূপ চাক্ষুষ করে সব পক্ষই ছিল ভীতসন্ত্রস্ত। 


সে কারণে বেশিরভাগ দেশ উনিশশো-পঁচিশ সালের জেনেভা প্রটোকলে যুদ্ধে সর্বপ্রকার জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারে ইতি টানে. কিন্তু জাপান সর্বপ্রথম জেনেভা প্রটোকলের নিয়ম ভঙ্গ করে এবং পূর্ণ মাত্রায় বায়ো ওপেন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোডাকশন এবং টেস্টিংয়ে মনোনিবেশ করে. শুধু তাই নয় উনিশশো সাঁইত্রিশ সাল থেকে উনিশশো পঁয়তাল্লিশের মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে বায়ো ওপেন্স প্রয়োগ করে আবার যুদ্ধবন্দী তিন হাজারেরও বেশি মানুষের উপর বায়ুপেন্সের পরীক্ষা চালায় এবং এই মানুষগুলোর হয় বীভৎস মৃত্যু. জাপানীরা যেসব ইনফেকশনস এজেন্ট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছিল তাদের মধ্যে বি বর্নি প্লেগ, অ্যানট্রাক্স, ইয়েলো ফিভার ছিল অন্যতম। বায়ো ওপেন্স এর  কথা বলতে গেলে বায়োটেরিজম শব্দটা আসবে বারবার। সহজ ভাবে বললে বায়ো ওপেন্স নির্ভর যেকোনো জঙ্গিবাদী বা হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকেই বায়োটেরোরিজম বলা যায়। কোন স্বৈরাচারী সরকারের মদতে বায়ো ওপেন্স যদি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে পড়ে সেখান থেকে বায়োটেরিজমের আশঙ্কা সবসময়ই থাকবে । সাম্প্রতিককালের কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা যার প্রমাণ বহন করে. গোপনে কোনো রাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্ট বিভাগ অন্য রাষ্ট্রে জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করতে চাইলে তা খুব সহজেই করতে পারবে. ব্যাগে ভাইরাস ভর্তি টিউব থাকলে তাই এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ডিটেক্টরে সহজে ধরা পড়বে না. স্ক্যানিং মেশিনের পর্দায় ভাইরাস দেখাও যাবে না. এ কারণে এটি বহন করা খুবই সহজ. হামলা করা তার চেয়েও সহজ. ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিতর্কিত ধর্মগুরু রাজমিস প্রচুর বিদেশী ভক্ত জুটিয়ে ছিলেন এক কালে. যুক্তরাষ্ট্রের হরিগনের ওয়াস্কো কাউন্টি এলাকায় রজনীশের ভক্তবৃন্দরা টাইফয়েডের জীবাণু দিয়ে সাতশো পঞ্চাশ জন লোককে অসুস্থ করে তোলে। 

এসব কিছুই বায়োটেরোরিজমের ভয়ঙ্কর রূপ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। উনিশশো সাতানব্বই সালে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন আইন দ্বারা রাসায়নিক অস্ত্র এবং জৈব অস্ত্র ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ । এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ দ্বারা স্বাক্ষরিত। রাসায়নিক অস্ত্রের গ্লোবাল ওয়াচ টপ রয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগে  । যা ওপিসিডব্লিউ নামে পরিচিত । এই অস্ত্র নিষিদ্ধকারী সংস্থা রাসায়নিক  অস্ত্রগুলোর বেআইনি ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে এবং অস্ত্রের ব্যবহার যেন না হয় সেদিকেও নজর রাখে. রাশিয়া বলেছে তারা দু হাজার সতেরো সালে তাদের রাসায়নিক অস্ত্রের শেষ মজুত ধ্বংস করেছে । 


কিন্তু তারপরেও মস্কোর ওপর অন্তত দুটি রাসায়নিক হামলার অভিযোগ রয়েছে। প্রথম অভিযোগ ছিল দুহাজার-আঠারো সালের মার্চে যুক্তরাজ্যের সেলিজ valley আক্রমণ। সেখানে একজন সাবেক কে কেজিবি অফিসার এবং ডিফেক্টর সেইগেইজ ক্রিপাল ও তার মেয়ের ওপর নার্ভ এজেন্ট নবীচাপ বিষ প্রয়োগ করা হয় । যদিও রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে । তবে তদন্তকারীদের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাশিয়ার জিআরইউ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার দুই কর্মকর্তা এতে ছিলেন সরাসরি জড়িত। ফলে একশো-আঠাশ জন রুশ গুপ্তচর এবং কূটনীতিককে বিভিন্ন দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়. আরেকটি অভিযোগ হচ্ছে দু হাজার বিশ সালের আগস্টে রাশিয়া বিরোধী বিশিষ্ট কর্মী অ্যালেক্সি নাবালনি কেও  নিবিচক বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল. তবে অল্পের জন্য তিনি মৃত্যুর দ্বার থেকে ফিরে আসেন.         এটি একেবারে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে মানব নিধনের যত অস্ত্র আমাদের কবলে রয়েছে তার মধ্যে জৈবিক অস্ত্র সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করতে পারে। 

শুধুই যে এপিডেমিকের জন্ম দেয় এমন নয়। তার সাথে পরিবেশের যাবতীয় উপাদান পানি, বাতাস, মাটির ক্ষয়ক্ষতিতেও রাখে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। যার আচর গিয়ে পড়ে খাদ্যশস্য এ ও।  বায়ো ওপেন্সের নানা বহুমুখী অপকারিতার কারণ এটি তুলনামূলকভাবে কম খরচে উৎপাদন করা সম্ভব. দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে প্রকৃতিতে. আর এটা বহন করা খুবই সহজ. বায়ো ওপেন্স সরাসরি প্রাকৃতিক সম্পদের বিপুল ক্ষতি করে. কখনো বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে খুব সহজে।উদ্ভিদের  উপর আক্রমণ করে. খাবারের মাধ্যমে অতি সহজে প্রবেশ করতে পারে মানবদেহে. আর পানির মাধ্যমে বেশ কিছু ভাইরাসবাহী কোনো ঘটক চলাচল করতে পারে. এরা আরো ভয়ানক. বলা হয় দশ গ্রাম পরিমান বায়ো ওপেন্স পানিতে ছুরি দিয়ে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে আশি মিলিয়ন মানুষকে মেরে ফেলা সম্ভব। ক্যানাইন ডিস্ট্যাম্পার একটি সাধারণ সংক্রামক রোগ। যা মূলত বন্য কুকুর এবং ওই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত অন্য বন্য প্রাণীদের আক্রমণ করে। এই ক্যানাইন ডিস্ট্যাম্পার গবেষণাগারেও তৈরি করা যায়। গত কয়েক দশক ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই রোগে উত্তর আমেরিকার বহু সংখ্যক বন্যপ্রাণী লুপ্তপ্রায় হতে চলেছে তানজানিয়ার এক তৃতীয়াংশ সিংহের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পেছনেও এই রোগের রয়ছে সরাসরি হাত। আঠেরোশো সাতাশি সাল নাগাদ ইউরোপিয়ান সৈন্যরা গোটা আফ্রিকা জুড়ে রাইন্ডার পেস্ট ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় ।যা আফ্রিকার সিংহভাগ গবাদি পশুর হত্যার কারণ।

ছোট ছোট অথবা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাশীল দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করে অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে বায়ো ওপেন্স নিয়ে গবেষণা হয়তো রুখে দেওয়া সম্ভব । কিন্তু যারা বিশ্বে পাওয়ার হাউস হিসেবে পরিচিত তাদের বেলায় কি এই একই চিত্র আমরা দেখতে পাবো? মনে হয় না রাশিয়া, ইউক্রেন সংকটের সময় তো সামনে এসেছে যে ইউক্রেনে অত্যাধুনিক জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সহায়তা করছিল । যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানী যৌথভাবে জৈব অস্ত্র নিয়ে গবেষণার জন্য ইউক্রেনে কমপক্ষে তিরিশটি জৈব গবেষণাগারের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছিল. একথা স্বীকার করেছে খোদ হোয়াইট হাউস. পারমানবিক বোমা এখন backdated. সেই জায়গা দখল করেছে জৈব অস্ত্র. কারণ পারমানবিক বোমার সারা শব্দ অনেক বেশি. অন্যদিকে এমন নিঃশব্দে শত্রুপক্ষকে নিঃশেষ করে দেওয়া যায় বায়ো ওপেন্স ব্যবহার করে. পরাশক্তি গুলো তাদের ক্ষমতার মনোপুলি রক্ষা করতে বায়ুপেন্সে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করে চলেছে. আর তা বরাবরই থাকে সব কিছুর অন্তরালে. বায়ো ওপেন্সের না আছে কোনো গন্ধ, না আছে কোনো বিশেষ রঙ যার ফলে এটি সনাক্ত করা দুঃসাধ্য একটা ব্যাপার. এরা যেসব রোগের জন্ম দেয় তাদের সিমটমসের সাথে সাধারণ রোগের সিমটমসের তফাৎ করা খুবই মুশকিল। যা বায়ো ওপেন্স কে কয়েকশো গুণ বেশি ভয়ঙ্কর করে তোলে । মানুষ যেমন মানুষের ক্ষতির কারণ তেমনি মানুষই পারে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে. তাই সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ একজোট না হলে জৈব অস্ত্রের হুমকি থেকে পৃথিবীকে কখনোই বাঁচানো সম্ভব নয়.   



মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

লুসিড ড্রিম কাকে বলে ? লুসিড ড্রিম কিভাবে দেখতে হয় ?

 স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভেবেছেন কখনো? নিশ্চয়ই ভাবছেন জেগে জেগে দিবাস্বপ্ন দেখার কথা বলছি না তো? কিন্তু না, রীতিমতো ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নও নিয়ন্ত্রণের কথাই বলছি, আপনার ইচ্ছামত স্বপ্ন দেখবেন। ইচ্ছা মতো নিয়ন্ত্রণ করবেন। আর পছন্দ না হলে অর্থাৎ দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলে সেটার গতিপথ পাল্টে দেবেন একেবারে নিমেষে। আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় এটা খুবই সম্ভব একে বলা হয় লুসিভ ড্রিম। লুসিড ড্রিমিং এর সাথে আপনারা অনেকেই হয়তো পরিচিত আছেন। অনেকে পরিচিত থাকলেও হয়তো এটা কেন হচ্ছে বা কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে এসবেরই উত্তর মিলবে আজকের এই লিখাতে।   লুসিড ড্রিম অর্থ কি? সহজ বাংলায় অনুবাদ করতে গেলে বলা যায় লুসিড অর্থ পরিষ্কার. অর্থাৎ স্পষ্ট আর dream মানে তো আমরা সবাই জানি যে স্বপ্ন। লুসিড ডিম হলো সেই স্বপ্ন যে আমাদের স্পষ্ট ভাবে মনে থাকে এবং স্বপ্ন চলাকালীন সময়েও আমরা এ উপলব্ধি করতে পারি যে এটি বাস্তব নয় বরং এটি স্বপ্ন কিন্তু শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থ দিয়ে লুসিড ড্রিম ব্যাখ্যা করলে ভুল হবে একটু অন্যভাবে বলা যাক ।  মনে করুন স্বপ্নে আপনি কি পাহাড়ের উপর থেকে দ্রুত গ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্টকহোম সিন্ড্রম কি ? স্টকহোম সিন্ড্রম কেন হয় ?

ধরুন আপনাকে কেউ অপহরণ করল. আটকে রাখল অজানা কোন জায়গায়. কিংবা জিম্মি করল কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য. হয়তো আপনাকে মেরে ফেলাটাই অপহরণকারীদের লক্ষ্য. পুলিশ আপনার খোঁজ পাচ্ছে না. এদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় অস্থির হয়ে আছে আপনার স্বজনরা. এক পা দুই সপ্তাহ পার হয়ে হয়তো আপনাকে উদ্ধার করা হল. এই কয়েকটা দিন আপনি সূর্যের আলো দেখেননি. বন্দি অবস্থায় এক একটা ঘন্টাকেই আপনার কাছে মনে হয়েছে এক একটা মাসের মতো লম্বা. মুক্তির পর অপহরণকারীদের প্রতি কেমন অনুভূতি কাজ করবে আপনার? হাতের কাছে পেলেই তাদেরকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে তাই না? কিন্তু সেটা না করে বাড়ি ফেরার পর আপনি যদি সেই অপহরণকারীদের প্রশংসা শুরু করেন? তাহলে লোকজন আপনার দিকে কুঁচকে তাকাবে বৈকি? আপনি যদি অপরাধের তদন্তে পুলিশকে ঠিকমতো সাহায্য না করেন, আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই কিন্তু স্বাভাবিক. তার চেয়েও অবাক করার মতো ব্যাপার. কখন ঘটবে জানেন? যখন আদালতে গিয়ে আপনি বলবেন. আপনাকে যারা অপহরণ করেছিল তাদের প্রতি আসলে আপনার কোন অভিযোগ নেই. আপনি তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করতে চান. কি ভাবছেন? এমন পাগলামি আপনি কেন করবেন? পাগলামি বলুন আর যাই বলুন. ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান কি ?

সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান দু হাজার বারো সালের চৌঠা জানুয়ারি। ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট ফোর চ্যান ডট কম নামের ওয়েবসাইটের বুলেটিন বোর্ডে ছবি সহ একটি ম্যাসেজ পোস্ট করা হয়. ওয়েবসাইটের নীতিমালা অনুযায়ী ছবি প্রকাশকারীর নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়. অজ্ঞাত পোস্ট করি সেই ছবিতে ব্যবহারকারীদের চিত্রের মাঝেই লুকানো একটি বার্তা উন্মোচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানান. সেই মেসেজটিতে লেখা ছিল হ্যালো আমরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের খুঁজছি তাদের খোঁজার জন্য আমরা একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি । এই ছবিতে একটা মেসেজ লুকানো আছে এটাকে খুঁজে বের করো । এটাই তোমাদের আমাদের কাছে নিয়ে আসবে. আমরা সেসব স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিকে দেখার অপেক্ষায় আছি যারা এটি সম্পূর্ণ করতে পারবে. Good luck । আর নিচে ছিল একটি কোড থ্রি থ্রি জিরো ওয়ান. পুরো ইন্টারনেট দুনিয়া তোলপাড় হয়ে গেল যেন হঠাৎ করে. পৃথিবীর সেরা হ্যাকার এবং কোড সমাধানকারীরা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা প্রমানের জন্য এই পরীক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়লো আর এই রহস্যময় ধাঁধার নাম দেওয়া হলো সিকাডা থ্রী থ্রী জিরো ওয়ান।  সিকাডা অর্থ মত বা ঘুগরি পোকা. ছবি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মাঝেই গ...

সারোগেসি কি ?

সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করা নিয়ে এখনো বহু বিতর্ক আছে. শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই এই পদ্ধতি নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই.  এটার আইনি প্রক্রিয়াও জটিল। কারণ এটি একেক রাষ্ট্রে. শারোগেসি আইন একেক রকম. নারী মা হবেন প্রাকৃতিক নিয়ম সমাজ এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত. কিন্তু কোন কারণে মা হবার ক্ষমতা না থাকলে তাকে পরিবার ও আশপাশ থেকে যে পরিমাণ কটু কথা শুনতে হয় তা সাধারণ মানুষের ধারণারও বাইরে.   সরোগেসি বিষয়টি কি? চিকিৎসা শাস্ত্রের অগ্রগতি এমন মায়েদের সামনে এনেছে যারা গর্ভ ভাড়া দিয়ে নিজে বাঁচেন অন্যদের মাতৃ সুখ দেন । একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলা হয়.সারোগেসির এই  পদ্ধতি বেশ দীর্ঘকালীন. আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়. কিন্তু এখানেও জটিলতা. কেন? সে বিষয়ে পরে আসছি. বাংলাদেশ সহ বহু দেশই এই সারোগেসি একরকম ভাবে নিষিদ্ধ. সুতরাং বিষয় টি  সংবেদনশীল. এমনকি বেশিরভাগ ধর্মেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা. চলুন কথা বলি সারোগেসি মাদার সম্পর্কে। আইভিএফ বা টেস্ট টি...

কিভাবে লিমিটলেস হওয়া যায় ? লিমিটলেস আসলে কিভাবে কাজ করে ?

এনজিটিপিল,  এটা এমন এক পিল যা আপনাকে করবে আল্ট্রা ফোকাসড. দেবে দুর্দান্ত মোটিভেশন. বের করে আনবে আপনার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা. আপনি হয়ে উঠবেন আনস্টপল. বাস্তবতা পাবে প্রতিটি স্বপ্ন. কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এমন কোন পিলের অস্তিত্ব নেই. ফলাফল আপনি আটকে আছেন একটি খাদে. সারাক্ষণ ক্লান্তি নিয়ে হয়ে উঠছেন আনপ্রোডাক্টিভ. নষ্ট হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি. সময় গড়িয়ে যায়. ঋতুর পরিবর্তন ঘটে. কিন্তু আপনি ডুবে থাকেন এক হতাশায় যাতে আপনি দিন দিন পিছিয়ে পরছেন. আপনি যা যা এতদিন অর্জন করবেন ভেবেছিলেন তা কিছুই আপনি অর্জন করতে পারেননি । নিজেকে সান্তনা দিচ্ছেন আগামীকাল হবে ভিন্ন। কিন্তু তা কখনোই হয়ে ওঠে না এখন যদি আপনাকে বলি কোনো জাদুকরী পিলের সাহায্যে নয় বাস্তবিক লিমিটলেস হয়ে ওঠা সম্ভব।  একদম প্রমাণিত পদ্ধতিতে যা একেবারে ফ্রিতে ব্যবহার করা সম্ভব.  তো আছেন তো শেষ পর্যন্ত ?  Limit less হওয়ার যাত্রায় ।  স্টেপ ওয়ান : এনার্জি--  মাত্র কয়েক মাস আগে আমি নিজেও আপনার মতো কর্মশক্তিহীন অনুভব করতাম. সামান্য কাজেই আসতো অবসন্নতা, গেয়ে ধরতো ক্লান্তি একদিন হঠাৎ টের পেলাম আমি নিজেই নিজের energy নি...

পেগাসাস স্পাইওয়ার কি ?

গত কিছুদিন ধরেই বিশ্ব রাজনীতি এবং প্রযুক্তি জগৎ এই দুই জায়গাতেই আলোচনার বিষয়বস্তু একটাই। সেটা হচ্ছে পেগাসাস স্পাইওয়ার. বিশ্বজুড়ে নানান দেশের মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আইনজীবী ও রাজনীতিকদের ফোনের নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ইজরায়েলের বেসরকারি কোম্পানি nso গ্রুপের তৈরি করা এই সফটওয়্যার নিয়ে এখন তুমুল তরজা চলছে দুনিয়া জুড়ে । চলুন কথা বলি দুনিয়া ওলট পালট করে দেওয়া স্পাইওয়ার সম্পর্কে । পেগাসাস মূলত একটি নজরদারি বিষয়ক সফটওয়্যার । ইজরাইলের সংস্থা এনএসও ই সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যা দিয়ে যে কারো মোবাইলে আড়ি পাতা যায়. এটা কিন্তু সাধারণ কোন নজরদারি নয়. আগে ফোনে আড়ি পেতে শুধু দুই প্রান্তের কথাবার্তা শোনা যেত. আর সফটওয়্যারের মাধ্যমে গোটা ফোনটারই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হ্যাকাররা. ফোনের কথাবার্তা WhatsApp এর চ্যাট, ছবি, ফোনে কি কি তথ্য আছে সবই জানা যায়. আরো ভয়ানক ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল যিনি ব্যবহার করছেন তিনি জানতেই পারেন না যে তার ফোন হ্যাক করা হয়েছে. সমস্ত তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কাছে. কিন্তু কারো ফোনে পেগাসাস software install করতে হলে তো সেই ফোনটাকে...

রেট রেস কি ?

      আপনি ঠিক কখন ইঁদুর দৌড়ে যোগ দিয়েছেন এটা হিসাব করা কঠিন. কিন্তু নিশ্চিত থাকুন আপনি এই দৌড়ে আছেন. ক্লাস eight এ পড়ার সময়ের কথা মনে আছে? সামনে বৃত্তি পরীক্ষা পাটিগণিত বীজগণিতের অংক প্যাঁচ লাগাচ্ছে বিজ্ঞানের জটিল সব সূত্র ভোরে ওঠে প্রাইভেট টিউটরের বাসায় ছোটা রাত জেগে পড়াশোনা. বয়সের তুলনায় অনেক বেশি কর্ম ব্যস্ত একটা সময় নিশ্চয়ই কাটিয়েছেন তখন? আমরা সবাই কাটিয়েছি. সেই সময় নিশ্চয়ই অভিভাবক বলেছে এই তো আর কটা দিন. বৃত্তি পরীক্ষা শেষ হলেই জীবন শান্তি আর শান্তি. জীবনের নানা এপিসোডে আপনি এই কথাগুলো শুনেছেন অনেকবার অনেকের মুখে. এসএসসি পরীক্ষাটা দাও, কলেজে উঠলেই তো স্বাধীনতা. একবার ভার্সেটিতে উঠতে পারলেই জীবন হবে আনন্দে ভরপুর. একবার জব লাইফে ঢোকো. নিজের টাকায় আয়েশ করার মজাই অন্যরকম. শুনেছেন না এসব?  বয়স ঘড়ির ত্রিশের প্রান্তে দাঁড়িয়ে হিসেবগুলো মেলাতে পারেন কি? কি মনে হয়? এই এপিসোডগুলোর কোনোটা পার হবার সময় জীবন খানিকটা হলেও সহজ হয়েছে? সুন্দর হয়েছে? হয়নি, হবেও না, মিথ্যা একটা মরীচিকার আশায় আমরা ছুটেছি ঠিকই আমাদের ছোটানো হয়েছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি ছুটত...

ডাচ ডিজিজ কি ? অর্থনীতি কিভাবে রোগে ভুগতে পারে ?

সো হোয়াট দ্য হেল দিস ডাচ ডিজিজ? ডাচ ডিজিজ শব্দটা শুনলে আপনার স্বাভাবিক ভাবেই মনে হবে এটা কোন রোগের নাম । হ্যাঁ এটা একটা রোগ. তবে মানুষের নয়. কোন প্রাণীরও নয়. তাহলে? এটা মূলত অর্থনীতির একটা সিন্ড্রোম. কিন্তু অর্থনীতির টার্মের সঙ্গে ডিজিজ কথাটা যুক্ত হল কেন? ডাচ বা নেদারল্যান্ড দেশটারই বা কি ভূমিকা এতে?  না এটা বুঝতে আপনাকে অর্থনীতির ছাত্র হতে হবে না ।কিন্তু বিষয়টা বেশ মজার দু হাজার সতেরো সালে বুকিং ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ডাচ ডিজিজ এন্ড ইকোনমিক ইলনেস ইজি টু ক্যাচ ডিফিকাল্ট টু কিওর শিরোনামের আর্টিকেলের শুরুতেই বলা হয়ে ছিল- what a persistantly low oil price, dose to oil richan prises like what a long cold winter dust to people একথার তাৎপর্য কি?  সহজ বাংলায় বুঝিয়ে বলা যায় যদি বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে তেলের দাম কমতে থাকে তখন তেল সমৃদ্ধ তেলের ওপর ভাবে নির্ভরশীল দেশগুলোর অর্থনীতি নানান সমস্যায় ভুগতে পারে. এখানে তেল একটা রূপক মাত্র. তেলের জায়গায় চাল, ডাল, লবণ, চিনি যেকোনো কিছুই হতে পারে. হতে পারে কোন শিল্প যেমন টেক্সটাইল গার্মেন্টস বা ইনফরমেশন টেকনোলজিও. মূল বিষয়টা হচ্ছে...