প্রতিটি মুসলিম মাত্রই জানেন যে কেয়ামতের আগে ইজরাইলি হয়ে উঠবে বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব দানকারীরা রাষ্ট্র । যাই হোক ধর্মীয় আলোচনায় আজ না যাই নিউট্রাল পয়েন্ট থেকে আমরা আজ দেখবো ইজরাইল বিশ্ব মোড়ল হওয়ার পথে ঠিক কতটুকু এগিয়েছে?
শত চরাই উতরাই রাজনীতি অপরাজনীতি যুদ্ধ, স্নায়ু যুদ্ধ অনেক কিছু পার হয়ে ইজরাইল আজ বর্তমান অবস্থান. বর্তমানে ইজরাইল এমন একটা অবস্থানে আছে যেখানে আপনি আপনার জায়গা থেকে ইসরায়েলকে করতেও পারেন অথবা নাও করতে পারেন. কিন্তু ইজরায়েলকে আপনি পাশ খাটিয়ে যেতে পারবেন না. কারণ সারা বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্র নীতি, গুপ্তচর বৃদ্ধি, মিডিয়া, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, বড় বড় টেক জায়ান্ট কোম্পানি ইজরাইল করতে যেভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তা আপনাকে ইজরাইলকে আপনারা আলোচনায় আনতে বাধ্য করবে. যীশু খ্রীষ্ট কুশবিদ্ধ হওয়ার ঠিক তিনশ বছর পর সম্রাট কনস্টান্টাইন খ্রিস্ট ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ঘোষণা দেন।
সেই তখন থেকেই ইহুদীদের অবস্থান রোমান সাম্রাজ্যে নাজুক হতে থাকে. এরপর থেকেই ইহুদীরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন স্পেন, পর্তুগাল, পোলান্ড, ইংল্যান্ড এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে. এই সময় দিন যাপন হয়ে ওঠে তাদের জন্য আরও দুর্বিসহ. যেমন এক হাজার পঁচানব্বই সালে ফার্স্ট ক্রুসেডের ঘোষণা দেন তখন জার্মানি ওয়ার্মস আর মাইন্ডসের মতো শহরে ইহুদীদের ওপর ক্রিস্টিও জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে. প্রায় সাতশো ইহুদি মারা যায় ওই আক্রমনে. এগারোশো চুয়াল্লিশ সালে ইহুদিদের বিরুদ্ধে শিশু হত্যারও অভিযোগ আনা হয়. বারোশো নব্বই সালে ইংল্যান্ড থেকে পুরো ইহুদী সমাজকেই বহিষ্কার করা হয়. রাজার চতুর্থ ফেরি ফ্রান্সেও একই কাজ করেন. দেখা যাচ্ছে মুসলমানদের আগে থেকেই ইহুদীদের সংঘাত খ্রিস্টানদের সাথে লেগেই আছে. পঞ্চদশ শতকে ইহুদী বিদ্বেষ ছিল সবচেয়ে চরমে। চোদ্দোশো একাশি সালে স্প্যানিশ রিকুইজিশনের মাধ্যমে প্রায় ত্রিশ হাজার ইহুদীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়. চোদ্দোশো বিরানব্বই সালে ইহুদিরা স্পেন থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর অটোমান সাম্রাজ্যে আশ্রয় নেয়।
তখন ব্যবসায়িক বিভিন্ন কাজগুলো ইহুদীদের হাতে আসতে শুরু করে. ইহুদিদেরকে অটোমানরা দেখতো তাদের মিত্র, কূটনীতিক ও গুপ্তচর হিসাবে. প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের পর প্রায় পনেরোশো সালের দিকে ইউরোপে ইহুদীদের অবস্থান উন্নত হতে থাকে. এই সময় টা তে স্পেন ও ফ্রান্সে তাদের কাব্বালা ও দর্শনের উন্নতি লাভ হয়. ফরাসি বিপ্লবের পর ইউরোপের শাসন এমন সংবিধান প্রণয়ন করে যেখানে জনগণ আগের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করবে যার ফলে ইহুদিদের কাজ করার স্বাধীনতা আরো বেড়ে যায় । সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইহুদীরা অর্থনৈতিকভাবে হয়ে ওঠে আরও স্বচ্ছ। আঠারোশো আশি থেকে উনিশশো চোদ্দ অর্থাৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত প্রায় বিশ লাখ ইহুদী আমেরিকায় আসে. আমেরিকায় তারা মূলত জার্নিস্ট আন্দোলনের সূচনা করে.
যাই হোক এটা বলাই যায় বিংশ শতকের শুরুর দিকে ইহুদীরা হয়ে ওঠে অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধশালী জাতি. তাদের এই অর্থনৈতিক সক্ষমতা জার্নিস্ট আন্দোলনকেও আরো বেশি ত্বরান্বিত করে এবং শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে তাদের পক্ষে কথা বলতে বাধ্য করে. উল্লেখ্য জার্নিস্ট সংঘ গড়ে তোলা হয় আঠেরোশো সাতানব্বই সালে. যাদের লক্ষ্যই ছিল ফিলিস্তিনে একটি স্বাধীন ইহুদী রাষ্ট্র গঠন করা. এর পরের দিকের ইতিহাসটা কিন্তু আমরা সবাই জানি. অপরের আলোচনা থেকে আমরা তিনটে বিষয় বুঝতে পারি.
প্রথম. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একটি ইহুদিরা তৈরির চেষ্টা হঠাৎ করেই কিন্তু আসেনি বরং ইহুদি রাষ্ট্রের চিন্তা আরো আগে থেকেই প্রচারিত হচ্ছে ।
দ্বিতীয় ইহুদীদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং ইউরোপের বাজারেই ইহুদিদের প্রভাব পশ্চিমা বিশ্ব এবং ব্রিটেনের সাথে ইহুদীদের পারস্পরিক স্বার্থের সম্পর্ক গড়ে তোলে
এবং তৃতীয় মানব ইতিহাসে পৃথিবীর অনেক দেশেই সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে. ইহুদিরাই সবচেয়ে সফল জাতি যারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের সহানুভূতিকে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে ছিল এবং এক্ষেত্রে জার্নিস্ট অ্যাক্টিভিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে.
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইজরায়েল রাষ্ট্র কিভাবে একটি অপ্রতিরোদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে. তার আগে আমাদের
প্রথমত ইজরাইল পেয়েছিল বহির্বিশ্বের স্বীকৃতি. ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পেছনে একটি ধর্মতাত্ত্বিক আলাপ থাকলেও এর পেছনে অনেকগুলো রাজনৈতিক আলাপও বিদ্যমান । তখন স্নায়ু যুদ্ধের শুরুর দিন সৌভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকা বিশ্ব আধিপত্যের লড়াইয়ের ব্যস্ত ।মধ্যপ্রাচ্য তোদের মনোযোগের বাইরে ছিল না কারণ মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন অঞ্চলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট যেখান থেকে খুব সহজেই মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়. তাই সবাই চাচ্ছিল এই এলাকাটিকে নিয়ন্ত্রণ নিতে. এর ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে.
তাই অনেকেই ইজরাইলকে প্রক্সি স্টেট বলে থাকে. আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে এটি ভূখণ্ড স্বাধীন হলেই হয় না বরং তার স্বাধীনতার অন্যান্য দেশেরও স্বীকৃতির দরকার হয়. ইসরাইল রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হওয়ার পর এর প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল বহির্বিশ্বের স্বীকৃতি অর্জন করা ।
আমরা দেখতে পাই উনিশশো আটচল্লিশ সালের চব্বিশ মে ইজরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণার মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হেভি অ্যাস্ট্রোমন ইজরায়েল কে স্বীকৃতি প্রদান করে. খুব অদ্ভুতভাবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট স্টালিন.
প্রথম দিকে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে অনেক দেশের মতানৈক্য থাকলেও বর্তমানে ইজরায়েলের সক্ষমতা ও ভুরাজনৈতিক বাস্তবতায় বিশ্বের তিরাশি শতাংশ দেশ ইজরায়েলকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে. ইজরায়েলের জাতীয় রাজনীতিতে আয়রন ওয়ার্ল্ড ফ্যাক নামে একটি পরিভাষা রয়েছে যেখানে বলা হয় ইজরাইলকে লৌহ প্রাচীরের মতোই শক্তিশালী হতে হবে যে ইজরাইলের অস্তিত্ব স্বীকার করা ছাড়া কারো কোনো দ্বিতীয় পথই থাকবে না।
দ্বিতীয়ত আরো ইসরাইল নরমালাইজেশন ইজরায়েল নামে কোনো রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হোক তা আদর্শগত জায়গা থেকে তৎকালীন সময়ের কোনো আরব রাষ্ট্রই চায় নি ।
এমনকি ইজরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন আরব রাষ্ট্রের সাথে তিনবার ইজরাইলের যুদ্ধ বাধে। প্রথমটি ঊনিশশো আটচল্লিশ ঊনপঞ্চাশ সালে দ্বিতীয়টি উনিশশো ছাপান্ন সালে এবং তৃতীয়টি উনিশশো সাতষট্টি সালে ।তিনবারই আরব রাষ্ট্র পরাজিত হয়। এসব যুদ্ধে আরবদের হয়ে নেতৃত্ব দেয় মিশর , জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন, ইরাক, সৌদি আরবের মতো দেশগুলো. আরবের দেশগুলোর মাতৃ সংগঠন আরব লীগ. আরব লীগের অন্যতম উদ্দেশ্য ইসরায়েলের সাথে কোন ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে না তোলা. বর্তমানে আরো দেশগুলো তাদের আদর্শগত জায়গায় কিন্তু নেই আরব লীগের রাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় মিশর. তারপর যথাক্রমে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি প্রদান করে জর্ডান. সংযুক্ত আরব আমিরা, বাহারাইন, সুদান এবং সর্বশেষে মরক্কো. প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক. তৃতীয়ত ইজরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং আমেরিকার রাজনীতিতে ইসরায়েলের প্রভাব. যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইসরায়েলের হস্তক্ষেপ খুব সাধারণ একটি বিষয় এবং বলা যায় এটা সবারই জানা. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ইজরাইল বা যাওয়নিস্ট বিভিন্ন লবিং গ্রুপ আছে. যারা মূলত নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রার্থীকে ফান্ডিং করে এবং প্রার্থী নির্বাচনে জিতলে ফান্ডিং করা লবির স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করে.
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রু ইজরাইল লবিং গ্রুপ হচ্ছে ক্রিশ্চান ইউনাইটেড ফর ইসরাইল এবং আরেকটি হলো আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক এফেয়র কমিটি । কেবল দুহাজার-আঠারো সালে মার্কিন নির্বাচনে ইজরাইল পন্থী ইহুদি লবিস্ট গ্রুপ পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে।
রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইজরাইলের আর্ম অফিসিয়াল সম্পর্ক বিদ্যমান. চল্লিশের দশকে আমেরিকার তিন দশমিক সাত শতাংশ জনগণ ছিল ইহুদি. করোনা মহামারীর আগে ইহুদি জনসংখ্যা দাড়ায় একাত্তর লক্ষে যা জাতীয় জনসংখ্যার দুই শতাংশ.
এটা খুবই বিস্ময়কর বিষয়. নোবেল পুরস্কার যেটা আমেরিকানদের মাঝে সাঁইত্রিশ শতাংশই কিন্তু ইহুদি. চতুর্থত ইজরায়েল রাশিয়ার সম্পর্ক. যদিও স্নায়ু যুদ্ধে রাশিয়া বিরোধী ছিল ইসরায়েল. কিন্তু এখন ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক তার খুব ভালো. যুক্তরাষ্ট্রের শত্রূর সাথে ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান রাখার প্রমাণ করে ইজরায়েলের ডিপ্লোমেটিক ক্যাপিটাল কতটা শক্তিশালী। প্রায় এক লাখ ইজরাইলি বসবাস করে রাশিয়াতে যার মধ্যে আশি হাজার থাকে মস্কোতে. রাশিয়ার প্রথম কোভিড নাইনটিন ভ্যাকসিন তৈরিতে সাহায্য করে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠান হাতাস শা.
রাশিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো থাকার কারণে এমনকি দু হাজার বাইশ সালে এসে ইউক্রেন ইজরাইল থেকে আয়রন ডোম কিনতে চাইলেও ইসরায়েলটা বিক্রি করেনি । পঞ্চমত সামরিক শক্তি ও পারমাণবিক কার্যক্রম.
ইজরাইল সামরিক দিক দিয়ে বর্তমানে অন্যতম শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র. ইজরায়েলের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা বাহিনীর নাম আইডিএফ বা ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স. তাদের মূল নীতিই হচ্ছে কোন যুদ্ধে কোন দিক ধরা যাবে না. ইজরাইলের নারী-পুরুষ সবাইকে একটা বাহিনীতে কাজ করতে হয়. সামরিক সবচেয়ে ব্যয় করা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইজরায়েল ওপরের দিকেই কিন্তু থাকবে.
দু হাজার একুশ সালে তাদের সামরিক খাতে বাজেট ছিল চব্বিশ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার. ইজরাইলের কাছে পারমানবিক অস্ত্র আছে বলে ধারণা করা হয়. আশি থেকে চারশোটি পারমাণবিক বস্ত্র বলে কথিতও আছে.
তবে ইসরায়েল তাদের সামরিক বাহিনী এবং পারমাণবিক কার্যক্রমের তথ্য কখনোই খোলাখুলি ভাবে কাউকে বলেনি। ষষ্ঠতম মিডিয়া ও নিউজ ইন্ডাস্ট্রি। মুভি ইন্ডাস্ট্রি এবং নিউজ মিডিয়ায় ইহুদিদের রয়েছে একছত্র আধিপত্য। করোনার ব্রাদারস, তারামাউন্ট, এমবিসি, সিবিএসসি ইত্যাদি সংবাদমাধ্যম সংস্থার মালিক পক্ষে রয়েছে অনেকেরই। অনেকেই মনে করেন টাইমস ওয়াশিং পোস্ট এসব পত্রিকা নিয়ন্ত্রিত হয় ইহুদিদের দ্বারাই।
সপ্তমত টেকআপ, আইবিএফ, পেপল, আমাজন, ফেসবুক, টুইটারের মতো টেক জাইনগুলোর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের কাজ করে অনেক ইহুদি। এটি ইজরাইল সিলিটন ভ্যালির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে প্রতিনিয়ত। চার হাজারের বেশি টেক ব্যান্ড কোম্পানি ইনভেনশন সবকিছু দিয়ে তেল আবিব এখন অনেক অনেক এগিয়ে। গুগলের অনেক ইনভেনশন এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইক্রোচিপ কোম্পানি ইন্টেল তার বেশিরভাগ সফলতা ইজরায়েল সাবসিডি দেখতে পেয়েছে।
অষ্টমত মোসাদ. ইজরায়েলের বৈশিক আধিপত্য বিস্তারে মোসাদের ভূমিকা অনন্য ।
নবমওত ডিজিটাল সার্ভেইল্যান্স টেকনোলজি. ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি বিস্ময়ন এই দুনিয়াতে শাসকদের প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতায় আমরা দেখতে পাচ্ছি সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে আমলে আনা হচ্ছে না। যাকে নজরদারি করা হচ্ছে সে জানেও না সে নজরদারির মধ্যেই আছে। উদার নৈতিক গণতন্ত্রের সময় এমন ডিজিটাল সার্ভে লেন্সকে অনেকেই আখ্যায়িত করেছেন সফট টোটালি টেরারিজম নামে. বিগ ডেটা অ্যানালাইসিস মাইক্রো টার্গেটিং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে নজরদারি করার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে ইসরায়েল.
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি দেশের জনগণই নয় সারা বিশ্ব শাসন করা সম্ভব ইসরায়েলের এনওসও এসব প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। বহুল আলোচিত পেগসাস সফটওয়্যার তৈরি তাদেরই হাতে। ধারণা করা হয় পঁয়তাল্লিশটি দেশের কিছু রাষ্ট্রপ্রধান গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি মানবাধিকার কর্মীর ওপর এর ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি মরক্কো ইউরোপের খুব কাছে হওয়ায় মরক্কো বসেই ইউরোপ সবগুলো রাষ্ট্রকে নজরদারিতে রাখে ইসরাইল. এমনটাই কিন্তু মনে করা হয়. শেষ করতে যাচ্ছি তাহলে কি বুঝলেন? ইজরাইল বিশ্বের মরুর হতে যাচ্ছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি এক কথায় বলাটা আসলেই কঠিন বর্তমানে বহুমেরু বিশ্ব ব্যবস্থায় একটি দেশ মোড়ল বলা মোটেও সহজ কাজ নয় বরং এটা বলা যায় একাধিক শক্তিশালী রাষ্ট্রের মধ্যে ইজরাইল অন্যতম. আর এটা নিশ্চিত ইজরাইল, চীন, রাশিয়া, আমেরিকার মতো খোলাখুলি হবে বিশ্বের বড় হওয়ার লড়াইতে নামবে না. কারণ মোড়লদের পরিচালনা করার সক্ষমতা ইতিমধ্যে তাদের আছে. ইজরায়েল রাষ্ট্র গঠন যেহেতু একটা সংখ্যালঘু নির্যাতনের ফলাফল এবং সংখ্যালঘু শব্দটা ব্যবহার করে যেহেতু রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করা যায় । তাই বিশ্ব মরলের তকমা নিয়ে ইসরাইল কখনোই চাইবে না রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়তে ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন