সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পদ্মা সেতুর টোল নিয়ে এত কানাকানি হানাহানি কেন নেটিজেনদের মাঝে ? পদ্মা সেতু আদ্য কী বদলে দিতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ জীবন ?

  সম্প্রতি বাংলাদেশের টক অফ দা টাউন পদ্মা সেতুর টোল. ট্রলের জোয়ারে ভাসছে টুল. কিন্তু কেন? 



পদ্মা সেতুর টোলের প্রজ্ঞাপনে দেখানো হয় সর্বনিম্ন টোল একশো টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ছয় হাজার টাকারও বেশি. ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয় মোটরবাইকের জন্য টোল গুনতে হবে একশো টাকা. যা আগে ফেলতে পারাপারের ক্ষেত্রে. ছিল সত্তর টাকা. প্রাইভেট কারের জন্য সাতশো পঞ্চাশ টাকা যা ফেরির ক্ষেত্রে ছিল পাঁচশো টাকা. আর মিনিবাসের ক্ষেত্রে চোদ্দোশো টাকা যা ফেরিতে ছিল নশো পঞ্চাশ টাকা. এভাবে সাধারণ বাস, মাইক্রো বাস, বড় বাস, ট্রাক ইত্যাদি যানবাহন ভেদে টোলের হার বেড়েছে ফেরির তুলনায় প্রায় দেড় গুন আর এই নিয়েই দুনিয়ার আলোচনা সমালোচনা । কেউ বলে ঠিকই আছে টুলের হার তো আর কেউ বলছে কি এটা মগের মূলক  নাকি?  পদ্মা সেতুর টোল জনসাধারণের স্বার্থের বাইরে চলে গেল কি? কিংবা পদ্মা সেতু থেকে প্রাপ্ত সেবার বিপরীতে নির্ধারিত টোল ঠিক কতটা যুক্তিসঙ্গত? নির্ধারিত টোল যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণে কতটা প্রভাব ফেলবে? বাংলাদেশ তো নিজস্ব অর্থায়নেই অর্থাৎ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু প্রস্তুত করেছে. তাহলে জনগণের ওপর থেকেই তো আবার এত টোল ধার্য করা হচ্ছে কেন ? এমন নানাবিধ প্রশ্ন চারিদিকে প্রশ্ন ওঠাটাই কিন্তু স্বাভাবিক কারণ পদ্মা সেতুই বাংলাদেশের একমাত্র উন্নয়ন প্রকল্প যেখানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। পদ্মা সেতুর বিস্তারিত নকশা প্রাক্কদল এ বলা হয়েছে প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় চুয়াল্লিশ হাজার বর্গ কিলোমিটার বা বাংলাদেশের মোট আয়তনের ঊনত্রিশ শতাংশ অঞ্চলের তিন কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হবে. ফলে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এই উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন আসবে? এটাই তো স্বাভাবিক. বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় নির্ধারিত পদ্মা সেতুর টোল কতটা যুক্তিসঙ্গত? আপনি হয়তো আপনার মতো করে একটা উপসংহারে পৌঁছবেন. হয়তো আপনি একটা একরৈখিক উত্তর দেবেন. যে নির্ধারিত টোল আপনার কাছে যুক্তিসঙ্গত অথবা না. পদ্মা সেতুর নির্ধারিত টোল আসলে কতটা যুক্তিসঙ্গত এবং কতটা জনগণের সাধ্যের মধ্যে সেটা বুঝতে হলে আমাদের কিছু প্রেক্ষাপট পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন. এছাড়া যান চলাচল শুরুর পর এই রুটে অর্থনৈতিক সুশাসন নিশ্চিতে সরকার ব্যবসায়ী, বাস মালিক সমিতি, পরিবহন মালিক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্নীতির ওপর কতটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে তার উপরও নির্ভর করবে টোল নির্ধারণের দূরদর্শিতা। ব্রিজ টুল এই ব্যাপারটা আসলেই কি ? 


 কোনো একটি সেতু নির্মাণের বিনিয়োগ পুনরুদ্ধার এবং নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির সাথে ঋণ পরিশোধ রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নির্বাহের লক্ষ্যে সরকার যখন প্রদত্ত সেবার বিনিময়ে একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ যানবাহনের উপর ধার্য করে. তাকে বলা হয় ব্রিজ টোল. টোল সংগ্রহের ইতিহাস কিন্তু অনেকপুরোনো।  তবে বর্তমানের সাথে টুল সংগ্রহ প্রক্রিয়ার তেমন কোন পার্থক্য নেই বললেই চলে. পৃথিবীর প্রথম টুল ধার্য করা হয় বারোশো নয় সালে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া ওল্ড লন্ডন ব্রিজের উপর যা ঐতিহাসিক টেমস নদীর উপর নির্মিত হয়েছিল. পদ্মাসেতুর টোল সংগ্রহ ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণের কাজেও দুইটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়. একটি হলো কোরিয়ার এক্সপ্রেস কর্পোরেশন কেইসি আর একটি হলো চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এমবিএসসি. এখন দেখা যাক টোল নির্ধারণের ক্ষেত্রে কি কি মানদণ্ডটাও বিবেচনা করা হয়.



 প্রথমত ফেরতের হার বা রেট অফ রিটার্ন। একটি মেগা প্রজেক্টে বা বড় উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিলে ওই প্রকল্পের প্রাক সম্ভাব্যতা এবং সম্ভাব্যতা অধ্যায়ন করতে হয়. তার ওপর ভিত্তি করে একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষা তৈরি করতে হয়. অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা হয় রাষ্ট্র নির্দিষ্ট প্রকল্পের পেছনে যে টাকা খরচ করবে তার বিপরীতে ওই নির্দিষ্ট প্রকল্প থেকে জনগণ কি পরিমান সুবিধা পেতে পারে? একটি বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত তখনই সঠিক হবে যখন ফেরতের হার কমপক্ষে বারো শতাংশ হবে । অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী পদ্মা সেতুর ফেরতের হার উনিশ শতাংশ অর্থাৎ একজন নাগরিকের পদ্মাসেতুর জন্য একশো টাকা খরচ করলে সে তার বিনিময়ে একশো উনিশ টাকা সুবিধা ফেরত পাবে । দ্বিতীয়ত হচ্ছে শ্রম ঘন্টা 

 একটি মৌলিক প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি। এই মানব সভ্যতার প্রতিটি সৃষ্টি বা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি? সহজ কথায় আমাদের জনজীবনের দক্ষতা বৃদ্ধি করা. আমরা কত সময় ব্যয় করে কত বেশি পরিমাণ কাজ করতে পারি দক্ষতা তারই একটি সূচক. পদ্মা সেতুর সকল সুফলকে যদি এক অর্থে ব্যাখ্যা করতে চাই তাহলে বলতে হবে পদ্মা সেতু আমাদের জীবনে দক্ষতা বৃদ্ধি করবে । পদ্মা সেতু না থাকাকালীন একজন ব্যক্তির ঢাকা থেকে খুলনা যেতে হয়তো সাত থেকে দশ ঘন্টা পর্যন্ত সময় দরকার হতো । কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হলে হইতো চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই চলে যেতে পারবে. এই যে বেঁচে যাওয়া সময়কে কাজে লাগিয়ে একজনের পক্ষে আরো শ্রম উৎপাদন করা সম্ভব. যার মাধ্যমে হয়তো তার আয় হবে অনেক বেশি. পদ্মা সেতু থেকে সেবা গ্রহণের ফলে আমাদের কি পরিমান শ্রমঘণটা বেঁচে যাবে সেটাও টোল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করে।



 তৃতীয়ত প্রাথমিকভাবে দৈনিক যানবাহন চলাচলের সংখ্যা বা ইনিশিয়াল ডেইলি ট্রাফিক এবং যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ট্রাফিক গ্রোথ। বর্তমানে মাওয়া জাজিরা ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষ যানবাহন এবং দুই কোটি দশ লক্ষ মানুষ চলাচল করে । যেখানে দৈনিক যাত্রী চলাচল করে প্রায় আটান্ন হাজার । জাইকার মতে সেতু চালু হবার পর দশ বছরের যানবাহন চলাচল পূর্বাভাস বা ট্রাফিক ডিমান্ড ফোর ক্যাস্ট বিবেচনা করে বলা হয় পদ্মা  সেতু দিয়ে প্রতিদিন যানবাহন চলাচল করবে একচল্লিশ হাজার পাঁচশো পঞ্চাশটি. অর্থাৎ পদ্মা সেতু শুরু হলে বর্তমানের তুলনায় নয় গুণ বেশি যান চলাচল করবে এই রুটে. তারমানে একটি গাড়ি সর্বোচ্চ আগের চেয়ে আট বার বেশি চলাচল করতে পারবে. তার মানে টোলের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে সে প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন করতে পারবে. 



চতুর্থত ঋণের পরিমান. সুদের হার ঋণ পরিশোধের ব্যাপ্তি. বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সাথে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী সেতু বিভাগকে ত্রিশ হাজার একশো তিরানব্বই দশমিক উনচল্লিশ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার. যা এক শতাংশ সুদ হারে পঁয়ত্রিশ বছরের মধ্যে পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ. এই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখেই সেতু কর্তৃপক্ষ টোল নির্ধারণ করেছে. এবার আসা যাক পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণের সীমাবদ্ধতা নিয়ে ।  নির্ধারিত টোল বর্তমানে চলমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জনগণের ক্রয় ক্ষমতার সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক. যেহেতু দিন শেষে এটা ব্যবহার করবে জনগণ. তাই তাদের এই মূল্যে সেবা গ্রহণের অভিপ্রায় বা উইলিং ইনস্টিটিউটিক সার্ভিস কতটা নিরীক্ষণের বিষয়ে গবেষণার দরকার ছিল বলে অনেকেই মনে করেন. একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রথমেই পূর্ণদমে হয় না. একটা প্রকল্প মিনিমাম লেভেলে উৎপাদনশীল হতেও কিছুটা সময় নেয়। 



 অর্থাৎ একটি প্রকল্প থেকে ব্যয়ের চেয়ে বেশি সুবিধা একটি নির্দিষ্ট সময় পরে আসতে থাকে. এই ব্যয় সুবিধা, অনুপাত সমান বা বেশি হওয়ার আগ পর্যন্ত জনগণের জন্য অতিরিক্ত চাপ যে পড়বে এটা কিন্তু বলাই যায়. এটা ঠিক পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের পণ্য ঢাকায় খুব সহজে চলে আসবে এবং ঠিক তেমনি পচনশীল পণ্য পরিবহনের ঝুঁকিও কমবে. কিন্তু এর ফলে আরেকটা সমস্যার সৃষ্টি হবে. সমস্যাটি হল দক্ষিণাঞ্চলের সমজাতীয় পণ্য যখন অন্য জেলা থেকেও আসবে তখন দুই অঞ্চলের পণ্যের দামের  তারতম্য দেখা দেবে. এই দামের তারতম্য সরকার কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেটা কিন্তু একটা দেখার বিষয়. 




ঢাকা থেকে সড়ক পথে খুলনার দূরত্ব প্রায় দুশো পঞ্চান্ন কিলোমিটার. কিন্তু পদ্মাসেতু দিয়ে যাতায়াত করলে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে একশো নব্বই কিলোমিটার । পঁয়ষট্টি কিলোমিটার পথ কমে আসবে. এতে জ্বালানি খরচ কমবে. সাধারণত বেশিরভাগ বাস চলে ডিজেলে. এক লিটার ডিজেলের দাম পঁচাশি টাকা।  পঁয়ষট্টি কিলোমিটার পথ কমে যাওয়ায় ঢাকা খুলনা বাসে জ্বালানি খরচ কমবে প্রায় এক হাজার সাতশো পঁচাশি টাকা. ট্রাকে জ্বালানির খরচ কমবে এক হাজার একশো সত্তর টাকা. ট্রলারে দু হাজার সাতশো তেষট্টি টাকা. মাইক্রো বাসও ব্যক্তিগত গাড়িতে পাঁচশো ঊনআশি টাকা এবং মোটরসাইকেলের জ্বালানির খরচ কমবে একশো চৌত্রিশ টাকা। পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যশোরের দূরত্ব বর্তমানে দুশো বারো কিলোমিটার থেকে প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার কমে যাবে। এতে বাসে জ্বালানি বাঁচবে প্রায় সতেরো লিটার। অর্থাৎ টোল খরচ বাড়লেও যানবাহনগুলোর জ্বালানি খরচ কমে যাচ্ছে। সেকথা বিবেচনায় রেখে কতটা ভারসাম্যপূর্ণ ভাড়া নির্ধারণ হয় সেটাও কিন্তু দেখার বিষয় । ভারসাম্যপূর্ণ ভাড়া যদি নির্ধারিত না হয় তাহলে জনগণকে দুর্ভোগে পড়তে হবে. মানুষের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের সময় তখন যখন সে তার স্বপ্নের বাস্তবায়নকে একটু একটু করে দেখতে পাই. আমরা এমনই সময় পার করছি. স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতার দাঁড় প্রান্তে.  পদ্মা সেতুর ব্যবহারে আমরা কতটুকু স্বচ্ছতা এবং অর্থনৈতিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারি. তাই বলে দেবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু থেকে আমরা কতটুকু উপকৃত হব? 


 

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

মানসিকতার কয় টা দিক ? Personalities theory কী ?

     আপনি মানুষের সামনে খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নিল. আহ মানুষটা কি ভিল দরিয়া? মানুষটা খুব মিশুক. এক্সট্রোভার্ট।   কিন্তু আপনি আসলে ভেতরে ভেতরে উপলব্ধি করেন মানুষ আপনাকে যা ভাবে তা আপনি নন মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন।  কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয় । আপনি আসলে নিজের ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন নিজস্ব সার্কেলে । কিন্তু এমন কিন্তু এমনটা কেন? কিছু মানুষের ভেতরে দৈত সত্তা খুব বেশি কাজ করে. মনের ভেতর আর বাইরের উপস্থাপনার একটা দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে. মানুষ আপনাকে যতটা introvert ভাবে মনে করে. কি ভাব? আপনি তেমন নাও হতে পারেন । আপনিও জোৎস্ই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে এক্সপ্রেস করতে পারেন । এই যে দইতো একটা বৈচিত্র নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে এটাকে তাহলে কি বলা যাবে? এই ধরণের মানুষগুলো আসলে এক্সট্রোভার্ট  আবার পুরোপুরি ইন্ট্রোভার্ট ও না ।  তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকে. এই মানুষগুলোকে বলা হয় হ্যান্ডবিভার. মজার ব্যাপার হল প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে এক্সট্রোভার্টরা সেলস কমিউনিকেশানে খুব ভালো হয়. কিন্তু গবেষণায়...

এরিয়া ফিফটি one কি ?

এরিয়া ফিফটি ওয়ান  এটা এক অচেনা জগৎ. এখানে না আছে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক, না আছে কোনো সুইট সাইন. নেই পিচ ছাড়া রাস্তা বা প্রাণের খুব একটা স্পন্দন। এমনকি বাইরের বিশ্বের সংস্কৃতি এবং সমাজের সামান্যতম বিস্তরণও নেই এখানে। এই নিরীহ নির্মম গোপন রহস্য আসলে কি তা জানার সুযোগ হয়েছে বলা চলে খুবই কম । কখনো কখনো বলা হয় এটা এলিয়ান গবেষণাগার. ইউএফও বা আন আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্স নিয়েও নাকি প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে. অনেকে ধারণা করেন যে একবারই স্থানে ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না. বাইরের মানুষের কাছে একটা মিথ হয়ে রয়ে গেছে এই অঞ্চল. অন্তত এখনো পর্যন্ত. বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও সবচেয়ে রহস্যময় এলাকা এটি. নাম এরিয়া ফিফটি ওয়ান. শুরু থেকেই গোপনীয়তার দুর্ভেদ্য চাদরে মোড়ানো বলে এরিয়া ফিফটি ওয়ান নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে দিনকে দিন । জমাট বাঁধা এই রহস্য থেকেই কালক্রমে জন্ম নিয়েছে বেশ কিছু কন্সপিরেসি থিওরি ।  আমেরিকার নেভা স্টেটের দক্ষিণে লাস ভেগাস থেকে একশো পঞ্চাশ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পাহাড় গেরা মরুভূমির মধ্যে ঊনত্রিশ লক্ষ একর জায়গা জুড়ে আছে কুখ্যাত এবং বিদ্রুপজনক...

শিক্ষা শ্রম কি ? কিভাবে বের হতে পারা যায় এই অসুস্থ জগৎ থেকে ?

     এইতো কয়েকদিন আগের কথা. বিশ্বসেরা all rounder সাকিব আল হাসান সাংবাদিক উৎপল সুটের কাছে একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন. পঞ্চপাণ্ডব  সহ আরো কিছু বিষয় সোজাসাপ্টা মন্তব্যের কারণে সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বেশ বিতর্ক হলো কিন্তু ক্রিকেট ও আলোচনা বা বিতর্কিত আলাপের বাইরেও সাকিব সেই সাক্ষাৎকারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছিলেন যেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হয়নি । পরিবার আমেরিকাতেই স্থায়ী হবে এমন আভাস দিয়ে সাকিব বলেছিলেন বাংলাদেশে থাকার সময় স্কুলে যাওয়ার আগে আমার বড় মেয়ে অ্যালাইনা ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন কাঁদতো. অথচ আমেরিকায় এক ডাক দেওয়ার আগেই নিজে উঠে চোখ বন্ধ করে নিজে ব্রাশ করে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে যায়. এর থেকে ভালো আমার জন্য আর কি হতে পারে?  সাকিব কেন নিজেকে একমাত্র পাণ্ডব বলে দাবি করেছেন সাকিবের বক্তব্যে অন্যান্য সিনিয়র প্লেয়ারদের অসম্মান করা হয়েছে কিনা এসবের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কিন্তু এই কয়েকটা লাইনে লুকিয়ে আছে । স্কুল জায়গাটা কেন পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সের একটা বাচ্চা মেয়ের কাছে বিভীষিকার নাম হয়ে উঠবে.  এই গল্পটা শুধু এলাইনার নয়. এ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্কিল না সার্টিফিকেট? সার্টিফিকেটের দিন কি তাহলে শেষ হয়ে এল ? দেশে এত বেকার কেন ?

  একদিকে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে. অন্যদিকে চাকরিদাতারা বলছেন যোগ্য লোকের অভাব. আসলে বিষয়টা কি?  বেকার সমস্যা. বিশাল জনগোষ্ঠী, দেশ, বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুতর একটা সমস্যা. সমস্যাটা আরো গুরুতর যখন এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যাই বেশি. বিআইডিএস এর এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বেকারত্বের হার চৌত্রিশ শতাংশ এবং স্নাতক পর্যায়ে এই হার সাইত্রিশ শতাংশ যুক্ত রাজ্যের প্রভাবশালী সময় কিনা ইকোনমিস্টের কলামেও বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশের সাতচল্লিশ শতাংশ স্নাতকই বেকার. অর্থাৎ প্রতিবছর যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সহ উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সারে তিন লাখ মানুষও বের হয় তবে তাদের প্রায় অর্ধেকই থেকে যাবে কর্মহীন।   কেন এত এত বিএসসি, এমএসসি, বিবিএ, এমবিএ, বিএ, এমএস সার্টিফিকেটধারী উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণী দিন শেষে বেকার থেকে যাচ্ছে হ্যাঁ এটা সত্য যে চাকরি প্রত্যাশীদের বিপরীতে যথেষ্ট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই. কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষিতদের অনেকেই যখন বেকার তখন প্...

চীন কে ঠেকাতে আমেরিকার মহা পরিকল্পনা ? ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক কি ?

  ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক ফর পোস্ট প্রায়োরিটি বা সংক্ষেপে আইপিডিএফ অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক উদ্যোগ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পলিটিক্যাল ইকোনমিক বাজারে এই ধারণাটা খুব জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে ।  জাপানে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক নামে নতুন এই অর্থনৈতিক উয্যোগের ঘোষণার সময় জো বাইডেন খুব জোরে স্বরেই বললেন আমরা এর মাধ্যমে একুশ শতকের অর্থনীতির নতুন ধারা রচনা করতে যাচ্ছি ।  প্রশ্ন হচ্ছে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক  বিষয়টা কি?  আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া প্রয়োজন এটা খুব নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় এই অর্থনৈতিক উদ্যোগের কর্ণধার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র । তাই পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের ইন্ডো প্যাসিফিক অঞ্চল এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বুঝতে হবে.  প্রথমত বোঝা দরকার বৈশিক রাজনীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবটা কি? যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে সুপার পাওয়ার হিসেবে দেখতে চায়.  মার্কিনীরা সবসময় চেষ্টা করে তার চেয়ে শক্তিশালী দেশের উত্থ...

দেযা ভু এফেক্ট কি ?

আচ্ছা এমনটা হয়েছে যে একদম নতুন কোনো জায়গায় প্রবল বৃষ্টিতে একটা ছাউনিতে আপনি আশ্রয় নিয়েছেন অথবা ধরুন কোথাও ট্যুরে গিয়ে আপনি আয়েশ করে বসে চা হাতে নিয়ে বই পড়ছেন । হঠাৎ আপনার মনে হলো এই জায়গায় আপনি আগেও ঠিক একইভাবে আটকে ছিলেন বৃষ্টিতে বা একই জায়গায় বসে চা হাতে বই পড়ছিলেন । অথচ বাস্তবে আপনি আগে কখনো এমন কিছু করেছেন বলে কিছুতেই মনে পড়ছে না কিন্তু ঘটনাগুলো এতটাই পরিচিত যে আপনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন মনে করার জন্য। হ্যাঁ এটাই দেযা ভু এফেক্ট ।  দেযা ভু এফেক্ট আমাদের সবার সাথেই কম বেশি হরহামেশাই ঘটে থাকে । ফরাসি এই শব্দের প্রথম প্রবর্তন করেন দার্শনিক এমএল বোরাক । যার অর্থ ইতিপূর্বে ঘটে গিয়েছে । এটি এমন একটি অনুভূতি যা থেকে মনে হতে পারে বর্তমানে ঘটতে থাকা কোন ঘটনা এর আগেও একই ভাবে অতীতে ঘটেছে। গবেষকদের মতে মোট জনসংখ্যার প্রায় সত্তর শতাংশের সাথে দেযা ভু এফেক্ট নিয়মিত ঘটে। অন্যান্য বয়সের তুলনায় পনেরো থেকে পঁচিশ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে সবচেয়ে বেশি। না, এটি কোন রোগ নয় । একদম সুস্থ মানুষের সাথেও নিয়মিত এমন অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে যারা অনেক বেশি ভ্রমণ করেন...

চীন কিভাবে সুপার পাওয়ার হয়ে উঠল ? চীন কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতির জায়ান্ট হল ?

   সালটা উনিশশো আটানব্বই. বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সদস্য পদের জন্য আবেদন করে চীন।  তাদের জন্য বিষয়টা ঠিক এতটা সহজ ছিল না।  কারণ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ তখন চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়. এর অবশ্য কারণও ছিল. চীনা কোম্পানিগুলো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের রিপ্লিকা ছাড়া আর কিছুই নয় বা নকলপূর্ণ বানায় এই বদনামে ছেয়ে গেছে তখন চারিদিক. চীন সরকার এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয় না.  সেই সময় চীনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেই দেশগুলোর রাগ ভাঙিয়েছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিটন কিন্তু ক্লিটন যদি জানতেন বছর বিশেকের মধ্যেই বৈশিক অর্থনীতিতে তার দেশকে পেছনে ফেলে সুপার জায়ান্ট হবার দূরে এগিয়ে যাবে চীন। এই কাজটা হয়তো তিনি করতেন না কখনো. সেই সময় আমেরিকার অর্থনীতি ছিল নয় ট্রিলিয়ন ডলারের. আর চীনের অর্থনীতির মূল্যবান ছিল মাত্র এক ট্রিলিয়ন ডলার. নয় গুণ পিছিয়ে থাকা একটা দেশের সঙ্গে কোন প্রতিযোগিতাই নেই. এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন ক্লিটন। কিন্তু সেটা যে কত বড় ভুল ধারণা ছিল. সেটা এখন আমেরিকানরা জানে হাড়ে হাড়ে. ছোট্ট একটা ডেটা দিয়ে শুরু করা যাক. দু হাজার বিশ সা...

বাংলাদেশ কি তবে শ্রীলংকা হতে যাচ্ছে ? বাংলাদেশ কি তাহলে দেউলিয়া হবার পথে ?

শ্রীলংকার সরকার অবশেষে জানিয়ে দিয়েছে বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা তাদের নেই অর্থাৎ নিজেদের দেউলিয়া হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হলো দেশটি । এটা অবশ্য বোঝাই যাচ্ছিলো গত কয়েকদিনের প্রেক্ষাপট দেখে ধারণা করা যাচ্ছিলো দেউলিয়া ঘোষণা করা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই শ্রীলংকার সামনে । তবে শ্রীলঙ্কার এই দুরাবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেকেই বেশ চিন্তিত। বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত হওয়াটা শ্রীলংকার আজকের অবস্থার একটা বড়ো কারণ। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে বাংলাদেশকেও প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিতে হচ্ছে. এখানে দুর্নীতি আছে আছে মুদ্রাস্ফীতি , জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে. আর তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক আছে. আজ থেকে কয়েক বছর পর বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মতো হবে না তো? তার আগে আমরা ব্যাখ্যা করবো শ্রীলঙ্কার বর্তমান দুরাবস্থার কারণগুলো নিয়ে. জটিল কোনো রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক আলোচনা নয়. খুব সাদামাটা ভাবে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করবো পুরো বিষয়টি. তাহলে শুরু করা যাক.  শ্রীলঙ্কায় গত কিছুদিন ধরেই জ্বালানি তেলের সংকট চলছে দারুণভাবে. রান্নার গ্যাসের অভাব. ভ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...