সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশের শিক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি কত টা সঠিক ? দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কি ধরনের পরিবর্তন আসছে?

  জীবনে এ প্লাস পাওয়াই কি সব? এবার এসএসসি পরীক্ষায় যারা এ প্লাস পাননি তাদের জীবন কি শেষ হয়ে গেলো?



 পরীক্ষাহীন একটা শিক্ষা ব্যবস্থার কথা ভাবুন তো ?  এখন পাশের বাড়ির বন্ধু SSC তে golden A plus পেয়েছে বলে খোটা শুনতে হয়(গোল্ডেন a+ বলে কিছু নেই) ।  অপেক্ষাকৃত কম গ্রেড পাওয়া ছাত্রটিকে. কিন্তু একটা সময় এমন কোন ব্যাপারই ছিল না. আসলে তখন কোন আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থাই ছিল না. ভারতীয় উপমহাদেশের কথাই ধরা যাক না কেন এই অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল অনেকটা গুরু বা শিক্ষক নির্ভর. প্রাথমিক অবস্থায় শিক্ষা ছিল মূলত পেশার সাথে সম্পর্কিত. কিন্তু আধুনিক সময়ে এসে শিক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতিতে এসেছে আমূল পরিবর্তন. শিক্ষার গতি, প্রকৃতি এবং উদ্দেশ্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়. আর আজকের আলোচনা শিক্ষাক্ষেত্রে মূল্যায়নের গুরুত্ব নিয়ে. বিশেষ করে আমরা বোঝার চেষ্টা করবো বাংলাদেশের ভ্যালুয়েশন সিস্টেম কতটা কার্যকর.



 আমাদের দেশের ক্ষেত্রে evaluation এর কথা মাথায় আসলেই পরীক্ষার ফলাফলের কথা চলে আসে. অথচ মূল্যায়ন এবং পরীক্ষার মধ্যে আছে বেশ কিছু পার্থক্য. মূল্যায়নের ক্ষেত্রে একটা সংকীর্ণ অর্থে পরীক্ষাকে ব্যবহার করা হয়. অন্যদিকে শিখন ফল ভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীরা ঠিক কতটুকু অর্জন করতে পেরেছে তা নির্ধারণের প্রক্রিয়াই হচ্ছে মূল্যায়ন. আভিধানিক অর্থে শিক্ষাগত মূল্যায়ণ হলো শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর অতীত আচরণের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে সম্পাদিত  আচরণের সাপেক্ষে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মূল্য আরোপ করা. অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে মূল্যায়ণ কেবলমাত্র একটি পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করেন না. মূল্যায়ন আরো বিস্তৃত একটা ধারণা. ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে পরীক্ষা একটা ধারণা হিসেবে প্রাচীন চীনের প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল রাজ্য পরিচালনার জন্য যোগ্যতার ভিত্তিতে লোক নির্বাচন করা। পৈতৃক সূত্রে বা জন্ম সূত্রে কেউ যেন আর বিবেচিত হতে না পারে। ব্রিটিশদের হাত ধরে সেই পরীক্ষাই এখন হয়ে উঠেছে শিক্ষায় মূল্যায়নের গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া।



 বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থায় বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরীক্ষা হয়. এর মধ্যে কয়েকটি পাবলিক পরীক্ষাও আছে. সেগুলোর ফলাফল একাডেমিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই. সামাজিকভাবেও খুব তাৎপর্যপূর্ণ. বাবা মা এমনকি শিক্ষকেরাও তাকিয়ে থাকেন দিন শেষে ওই পরীক্ষার ফলাফলের উপর. এখন প্রশ্ন হচ্ছে পরীক্ষা মূল্যায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হলেও আসলেই কি কোন একটি পরীক্ষার ফলাফল সঠিকভাবে শিক্ষার্থীর সামগ্রিক শিক্ষা জীবনকে মূল্যায়ন করতে পারে? শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি সারা বছর ধরে যা শিখলেন শিক্ষক হিসেবে যা শেখালেন, পরিবার হিসেবে আপনার সন্তানের সুশিক্ষার জন্য শারীরিক, মানসিক, আর্থিক যে ত্যাগ, দিনের পর দিন আপনি করলেন. এক্সামিনেশন নামক মাত্র একটি মানদণ্ডে তাকে মূল্যায়িত হতে পারে?




 দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের ক্ষেত্রে জিপিএ ফাইভ হয়ে গেছে শিক্ষার আল্টিমেট উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য ।আরো নির্দিষ্ট করে বললে জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তের সংখ্যা কি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় উন্নতির সূচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়. শিক্ষাক্ষেত্রে এটি কি কোনো বার্তা বহন করে? 

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কি দিনে দিনে আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে?


 ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে পৌঁছে ছিল যে প্রাথমিক পর্যায়েও পাবলিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছিলো. ছোট শিশুদেরকে মুখোমুখি করা হয়েছিল জিপিএ ফাইভ নামের এক মানদণ্ডে। অথচ আধুনিক বিশ্বের শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রসর অনেক বেশি শিশুদের জন্য কোন পরীক্ষাই নেই। উন্নত বিশ্বে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টের অংশ হিসেবে ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্টকে ব্যবহার করা হয়. কোন মার্কিং নেই, নেই কোন রাঙ্কিং. হাই স্কুলের ছাত্রদের জন্য. বছর শেষে একটি পরীক্ষা ছাড়া বেশিরভাগ উন্নত দেশে. কোন বাধ্যতামূলক পরীক্ষা নেই. সম্প্রতি শিক্ষা ক্ষেত্রে আর এক অগ্রগণ্য দেশ সিঙ্গাপুরেও প্রাথমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরীক্ষা মুক্ত করা হয়েছে. দু হাজার উনিশ সাল থেকে প্রাথমিক স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য মার্কিং ও গ্রেডিং এর বদলে আলোচনা, হোমওয়ার্ক ও কুইজ নিয়ে আসা হয়েছে. অর্থাৎ এই দুই বছর শিক্ষার্থীরা কোনরকম পরীক্ষার চাপ ছাড়াই হাসি আনন্দে শিক্ষা লাভ করতে পারবে ।  সামগ্রিকভাবেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষাকে অপেক্ষাকৃত কম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করা হয়েছে. 




আবার ফিরে আসা যাক শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যায়ন ব্যবস্থার দিকে.  বাংলাদেশের মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই বিতর্ক রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিতর্কের মাত্রা কেবলই বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিতর্ক আরো তীব্রতর হয়েছে গত তিন দশকে। বিশেষ করে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন এবং সৃজনশীল প্রশ্ন প্রবর্তনের  পর. এই দেশে সৃজনশীল প্রশ্ন প্রবর্তন করা হয়েছে কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই. অনেক শিক্ষকই যা ঠিক মতো এখনো বুঝেই উঠতে পারেননি. যার ফলে মূল্যায়ন ব্যবস্থায় নেমেছে একটা গুণগত ধস.          



আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেঞ্জামিন ব্লুম উনিশশো ছাপান্ন সালে শিখন উদ্দেশ্যকে জ্ঞানমূলক ক্ষেত্র, বিশ্বাস বা অনুভূতিমূলক ক্ষেত্র এবং মনোপ্রেসিজ ক্ষেত্রে ভাগ করেন. জ্ঞানমূলক দক্ষতা মূলত শিক্ষার্থীর জ্ঞান সম্পর্কিত যাবতীয় দক্ষতাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত । যেগুলো লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ণ করা যায়। শিখন কার্যক্রম শিক্ষার্থীর নিজের বিশ্বাস ও অনুভূতিতে কি ধরনের পরিবর্তন আনছে তা বিশ্বাস এবং অনুভূতি দক্ষতার প্রধান বিবেচ্চ্য বিষয় এবং কিছুটা লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে পরিমাপ করা গেলেও মূলত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মূল্যায়ন সবচেয়ে কার্যকর. এর অভাব বাংলাদেশ হারে হারে বুঝতে পারছে.  


 কোন কিছু শেখার পর হাতে কলমে সেটি করতে পারা মনোঃপেশীজ দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত. আমাদের দেশের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে বিশ্বাস অনুভূতি মূলক দক্ষতা, মনোপেশী যে দক্ষতা ভিত্তিক মূল্যায়ন এমন একটা গুরুত্ব কোনদিনই পাইনি. যদিও আচরণের কাঙ্খিত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই দুটি দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ. আমরা কেবল জ্ঞানমূলক দক্ষতা ভিত্তিক মূল্যায়নের ভিত্তিতেই একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাই করছি. ব্লু মস টেক্সেনমি অনুযায়ী জ্ঞানমূলক দক্ষতার ছয়টি ধাপ হচ্ছে স্মরণ,  উপলদ্ধি, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন.  



 আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকেরা ব্লুমস জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রের বারোটা বাজিয়ে ছয় স্তরের শিখন ফলককে চার স্তরে নামেয়ে এনেছেন ।


 প্রথম তিন ভাগ ঠিক রেখে শেষের তিন ধাপকে একসঙ্গে উচ্চতর দক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করেছেন । ব্লুমস সাহেব যদি জানতেন তার কগনেটিক ডোমেনের এমন বারোটা বাজিয়ে দেবে বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা তাহলে হয়তো তিনি এই তত্ত্ব দিতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতেন ।


 সৃজনশীলতার যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছিল সেটা ঠিক এই কারণেই প্রশ্নবিদ্ধ. তবে আশার কথা হচ্ছে একটু দেরিতে হলেও দু হাজার পঁচিশ সাল থেকে নতুন এক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ.  একেবারে রূপান্তর ঘটাতে হবে. এই পরিবর্তন আসছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, পাঠ্যক্রম ও বিষয়ভিত্তিক বিভাগ সবখানে এই পরিবর্তন আসবে. মূল্যায়নের ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে এবার. নতুন শিক্ষাক্রমে এখনকার সিস্টেমে আর এসএসসি ওএইচএসসি পরীক্ষা হবে না শুধু দশম শ্রেণীর পাঠ্য সূচী অনুসারে এসএসসি পরীক্ষা হবে । একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে বোর্ডের অধীনে দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে দুইটি পরীক্ষার ফলাফল সমন্বয় করে চূড়ান্তভাবে এইচএসসি ফলাফল ঘোষণা করা  হবে.




 সবচেয়ে বড় কথা. শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণী পর্যন্ত অভিন্ন সিলেবাসে পড়বে. তাদের শেখার দশটি ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়েছে. তবে প্রাক প্রাথমিকে কোন বই থাকবে না. তারা শ্রেণীকক্ষে সরাসরি শিক্ষকের কাছ থেকে শিখবে. একাদশ শ্রেণীতে গিয়ে মানবিক বিজ্ঞান ও বাণিজ্য এই তিন ভাগে ভাগ হবে.


 গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রাক প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির চেয়ে এই সময় ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে । তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রচলিত কোনো পরীক্ষা হবে না । আগামী বছর প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণীতে এই পদ্ধতি চালু হবে. দুহাজার চব্বিশ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণী, দুহাজার পঁচিশ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণী, দুহাজার ছাব্বিশ সালে একাদশ এবং দুহাজার সাতাশ সালে দ্বাদশ শ্রেণীতে নতুন এই পদ্ধতি চালু হবে. আসতে থেকে হলেও এটা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশাল পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা যায়. 



এই পুরো প্রক্রিয়াকে শিক্ষা গবেষকরা দেখছেন আমূল পরিবর্তন হিসেবে. তারা বলছেন উন্নত বিশ্ব সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সব সময়ই পরিবর্তন আনছে. তারা যেটা অনেক আগে করেছে সেটা আমরা এখন করতে যাচ্ছি. কিন্তু মাথা চুলকানোর মতো বিষয় হলো এই পরিবর্তনের সুফল পেতে হলে যা করতে হবে তা কতটা সঠিকভাবে করা হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় কিন্তু রয়েই গেল. যেহেতু প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে. তাই শিক্ষকদের এক্ষেত্রে হতে হবে অনেক বেশি যোগ্য এবং স্বাধীন. তবে তাদের যা বেতন কাঠামো তাতে ওই পর্যায়ের যোগ্য শিক্ষক পর্যাপ্ত পাওয়া যাবে কিনা সেই আশঙ্কাও কিন্তু থেকে যাচ্ছে. কারণ যোগ্য শিক্ষক ছাড়া এই পর্যায়ের মূল্যায়ন সম্ভব না। যেহেতু একজন শিক্ষককে আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ণ করতে হবে. তাই শিক্ষকদের পর্যাপ্ত ট্রেনিং এর সুব্যবস্থা করাটা কিন্তু বাধ্যতামূলক. এই নিবিড় পদ্ধতির জন্য শিক্ষকের সংখ্যা এবং যোগ্যতা দুটোই বাড়াতে হবে.   


 

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

মানসিকতার কয় টা দিক ? Personalities theory কী ?

     আপনি মানুষের সামনে খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নিল. আহ মানুষটা কি ভিল দরিয়া? মানুষটা খুব মিশুক. এক্সট্রোভার্ট।   কিন্তু আপনি আসলে ভেতরে ভেতরে উপলব্ধি করেন মানুষ আপনাকে যা ভাবে তা আপনি নন মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন।  কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয় । আপনি আসলে নিজের ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন নিজস্ব সার্কেলে । কিন্তু এমন কিন্তু এমনটা কেন? কিছু মানুষের ভেতরে দৈত সত্তা খুব বেশি কাজ করে. মনের ভেতর আর বাইরের উপস্থাপনার একটা দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে. মানুষ আপনাকে যতটা introvert ভাবে মনে করে. কি ভাব? আপনি তেমন নাও হতে পারেন । আপনিও জোৎস্ই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে এক্সপ্রেস করতে পারেন । এই যে দইতো একটা বৈচিত্র নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে এটাকে তাহলে কি বলা যাবে? এই ধরণের মানুষগুলো আসলে এক্সট্রোভার্ট  আবার পুরোপুরি ইন্ট্রোভার্ট ও না ।  তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকে. এই মানুষগুলোকে বলা হয় হ্যান্ডবিভার. মজার ব্যাপার হল প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে এক্সট্রোভার্টরা সেলস কমিউনিকেশানে খুব ভালো হয়. কিন্তু গবেষণায়...

এরিয়া ফিফটি one কি ?

এরিয়া ফিফটি ওয়ান  এটা এক অচেনা জগৎ. এখানে না আছে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক, না আছে কোনো সুইট সাইন. নেই পিচ ছাড়া রাস্তা বা প্রাণের খুব একটা স্পন্দন। এমনকি বাইরের বিশ্বের সংস্কৃতি এবং সমাজের সামান্যতম বিস্তরণও নেই এখানে। এই নিরীহ নির্মম গোপন রহস্য আসলে কি তা জানার সুযোগ হয়েছে বলা চলে খুবই কম । কখনো কখনো বলা হয় এটা এলিয়ান গবেষণাগার. ইউএফও বা আন আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্স নিয়েও নাকি প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে. অনেকে ধারণা করেন যে একবারই স্থানে ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না. বাইরের মানুষের কাছে একটা মিথ হয়ে রয়ে গেছে এই অঞ্চল. অন্তত এখনো পর্যন্ত. বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও সবচেয়ে রহস্যময় এলাকা এটি. নাম এরিয়া ফিফটি ওয়ান. শুরু থেকেই গোপনীয়তার দুর্ভেদ্য চাদরে মোড়ানো বলে এরিয়া ফিফটি ওয়ান নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে দিনকে দিন । জমাট বাঁধা এই রহস্য থেকেই কালক্রমে জন্ম নিয়েছে বেশ কিছু কন্সপিরেসি থিওরি ।  আমেরিকার নেভা স্টেটের দক্ষিণে লাস ভেগাস থেকে একশো পঞ্চাশ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পাহাড় গেরা মরুভূমির মধ্যে ঊনত্রিশ লক্ষ একর জায়গা জুড়ে আছে কুখ্যাত এবং বিদ্রুপজনক...

শিক্ষা শ্রম কি ? কিভাবে বের হতে পারা যায় এই অসুস্থ জগৎ থেকে ?

     এইতো কয়েকদিন আগের কথা. বিশ্বসেরা all rounder সাকিব আল হাসান সাংবাদিক উৎপল সুটের কাছে একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন. পঞ্চপাণ্ডব  সহ আরো কিছু বিষয় সোজাসাপ্টা মন্তব্যের কারণে সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বেশ বিতর্ক হলো কিন্তু ক্রিকেট ও আলোচনা বা বিতর্কিত আলাপের বাইরেও সাকিব সেই সাক্ষাৎকারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছিলেন যেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হয়নি । পরিবার আমেরিকাতেই স্থায়ী হবে এমন আভাস দিয়ে সাকিব বলেছিলেন বাংলাদেশে থাকার সময় স্কুলে যাওয়ার আগে আমার বড় মেয়ে অ্যালাইনা ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন কাঁদতো. অথচ আমেরিকায় এক ডাক দেওয়ার আগেই নিজে উঠে চোখ বন্ধ করে নিজে ব্রাশ করে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে যায়. এর থেকে ভালো আমার জন্য আর কি হতে পারে?  সাকিব কেন নিজেকে একমাত্র পাণ্ডব বলে দাবি করেছেন সাকিবের বক্তব্যে অন্যান্য সিনিয়র প্লেয়ারদের অসম্মান করা হয়েছে কিনা এসবের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কিন্তু এই কয়েকটা লাইনে লুকিয়ে আছে । স্কুল জায়গাটা কেন পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সের একটা বাচ্চা মেয়ের কাছে বিভীষিকার নাম হয়ে উঠবে.  এই গল্পটা শুধু এলাইনার নয়. এ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্কিল না সার্টিফিকেট? সার্টিফিকেটের দিন কি তাহলে শেষ হয়ে এল ? দেশে এত বেকার কেন ?

  একদিকে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে. অন্যদিকে চাকরিদাতারা বলছেন যোগ্য লোকের অভাব. আসলে বিষয়টা কি?  বেকার সমস্যা. বিশাল জনগোষ্ঠী, দেশ, বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুতর একটা সমস্যা. সমস্যাটা আরো গুরুতর যখন এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যাই বেশি. বিআইডিএস এর এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বেকারত্বের হার চৌত্রিশ শতাংশ এবং স্নাতক পর্যায়ে এই হার সাইত্রিশ শতাংশ যুক্ত রাজ্যের প্রভাবশালী সময় কিনা ইকোনমিস্টের কলামেও বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশের সাতচল্লিশ শতাংশ স্নাতকই বেকার. অর্থাৎ প্রতিবছর যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সহ উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সারে তিন লাখ মানুষও বের হয় তবে তাদের প্রায় অর্ধেকই থেকে যাবে কর্মহীন।   কেন এত এত বিএসসি, এমএসসি, বিবিএ, এমবিএ, বিএ, এমএস সার্টিফিকেটধারী উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণী দিন শেষে বেকার থেকে যাচ্ছে হ্যাঁ এটা সত্য যে চাকরি প্রত্যাশীদের বিপরীতে যথেষ্ট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই. কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষিতদের অনেকেই যখন বেকার তখন প্...

চীন কে ঠেকাতে আমেরিকার মহা পরিকল্পনা ? ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক কি ?

  ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক ফর পোস্ট প্রায়োরিটি বা সংক্ষেপে আইপিডিএফ অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক উদ্যোগ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পলিটিক্যাল ইকোনমিক বাজারে এই ধারণাটা খুব জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে ।  জাপানে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক নামে নতুন এই অর্থনৈতিক উয্যোগের ঘোষণার সময় জো বাইডেন খুব জোরে স্বরেই বললেন আমরা এর মাধ্যমে একুশ শতকের অর্থনীতির নতুন ধারা রচনা করতে যাচ্ছি ।  প্রশ্ন হচ্ছে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক  বিষয়টা কি?  আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া প্রয়োজন এটা খুব নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় এই অর্থনৈতিক উদ্যোগের কর্ণধার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র । তাই পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের ইন্ডো প্যাসিফিক অঞ্চল এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বুঝতে হবে.  প্রথমত বোঝা দরকার বৈশিক রাজনীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবটা কি? যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে সুপার পাওয়ার হিসেবে দেখতে চায়.  মার্কিনীরা সবসময় চেষ্টা করে তার চেয়ে শক্তিশালী দেশের উত্থ...

দেযা ভু এফেক্ট কি ?

আচ্ছা এমনটা হয়েছে যে একদম নতুন কোনো জায়গায় প্রবল বৃষ্টিতে একটা ছাউনিতে আপনি আশ্রয় নিয়েছেন অথবা ধরুন কোথাও ট্যুরে গিয়ে আপনি আয়েশ করে বসে চা হাতে নিয়ে বই পড়ছেন । হঠাৎ আপনার মনে হলো এই জায়গায় আপনি আগেও ঠিক একইভাবে আটকে ছিলেন বৃষ্টিতে বা একই জায়গায় বসে চা হাতে বই পড়ছিলেন । অথচ বাস্তবে আপনি আগে কখনো এমন কিছু করেছেন বলে কিছুতেই মনে পড়ছে না কিন্তু ঘটনাগুলো এতটাই পরিচিত যে আপনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন মনে করার জন্য। হ্যাঁ এটাই দেযা ভু এফেক্ট ।  দেযা ভু এফেক্ট আমাদের সবার সাথেই কম বেশি হরহামেশাই ঘটে থাকে । ফরাসি এই শব্দের প্রথম প্রবর্তন করেন দার্শনিক এমএল বোরাক । যার অর্থ ইতিপূর্বে ঘটে গিয়েছে । এটি এমন একটি অনুভূতি যা থেকে মনে হতে পারে বর্তমানে ঘটতে থাকা কোন ঘটনা এর আগেও একই ভাবে অতীতে ঘটেছে। গবেষকদের মতে মোট জনসংখ্যার প্রায় সত্তর শতাংশের সাথে দেযা ভু এফেক্ট নিয়মিত ঘটে। অন্যান্য বয়সের তুলনায় পনেরো থেকে পঁচিশ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে সবচেয়ে বেশি। না, এটি কোন রোগ নয় । একদম সুস্থ মানুষের সাথেও নিয়মিত এমন অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে যারা অনেক বেশি ভ্রমণ করেন...

চীন কিভাবে সুপার পাওয়ার হয়ে উঠল ? চীন কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতির জায়ান্ট হল ?

   সালটা উনিশশো আটানব্বই. বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সদস্য পদের জন্য আবেদন করে চীন।  তাদের জন্য বিষয়টা ঠিক এতটা সহজ ছিল না।  কারণ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ তখন চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়. এর অবশ্য কারণও ছিল. চীনা কোম্পানিগুলো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের রিপ্লিকা ছাড়া আর কিছুই নয় বা নকলপূর্ণ বানায় এই বদনামে ছেয়ে গেছে তখন চারিদিক. চীন সরকার এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয় না.  সেই সময় চীনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেই দেশগুলোর রাগ ভাঙিয়েছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিটন কিন্তু ক্লিটন যদি জানতেন বছর বিশেকের মধ্যেই বৈশিক অর্থনীতিতে তার দেশকে পেছনে ফেলে সুপার জায়ান্ট হবার দূরে এগিয়ে যাবে চীন। এই কাজটা হয়তো তিনি করতেন না কখনো. সেই সময় আমেরিকার অর্থনীতি ছিল নয় ট্রিলিয়ন ডলারের. আর চীনের অর্থনীতির মূল্যবান ছিল মাত্র এক ট্রিলিয়ন ডলার. নয় গুণ পিছিয়ে থাকা একটা দেশের সঙ্গে কোন প্রতিযোগিতাই নেই. এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন ক্লিটন। কিন্তু সেটা যে কত বড় ভুল ধারণা ছিল. সেটা এখন আমেরিকানরা জানে হাড়ে হাড়ে. ছোট্ট একটা ডেটা দিয়ে শুরু করা যাক. দু হাজার বিশ সা...

বাংলাদেশ কি তবে শ্রীলংকা হতে যাচ্ছে ? বাংলাদেশ কি তাহলে দেউলিয়া হবার পথে ?

শ্রীলংকার সরকার অবশেষে জানিয়ে দিয়েছে বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা তাদের নেই অর্থাৎ নিজেদের দেউলিয়া হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হলো দেশটি । এটা অবশ্য বোঝাই যাচ্ছিলো গত কয়েকদিনের প্রেক্ষাপট দেখে ধারণা করা যাচ্ছিলো দেউলিয়া ঘোষণা করা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই শ্রীলংকার সামনে । তবে শ্রীলঙ্কার এই দুরাবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেকেই বেশ চিন্তিত। বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত হওয়াটা শ্রীলংকার আজকের অবস্থার একটা বড়ো কারণ। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে বাংলাদেশকেও প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিতে হচ্ছে. এখানে দুর্নীতি আছে আছে মুদ্রাস্ফীতি , জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে. আর তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক আছে. আজ থেকে কয়েক বছর পর বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মতো হবে না তো? তার আগে আমরা ব্যাখ্যা করবো শ্রীলঙ্কার বর্তমান দুরাবস্থার কারণগুলো নিয়ে. জটিল কোনো রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক আলোচনা নয়. খুব সাদামাটা ভাবে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করবো পুরো বিষয়টি. তাহলে শুরু করা যাক.  শ্রীলঙ্কায় গত কিছুদিন ধরেই জ্বালানি তেলের সংকট চলছে দারুণভাবে. রান্নার গ্যাসের অভাব. ভ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...