সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিশ্ব জুড়ে পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্ট কেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ?

  Manhattan এর প্রায় তিরিশ মাইল উত্তরে অবস্থিত কুখ্যাত Indian point পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গত বছরের শুরুতে প্রবল বিক্ষোভের মুখে বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তা এবং পরিবেশ নিয়ে চিন্তিত অনেকের কাছেই কয়েক দশকের বিক্ষোভের পর এই শাটডাউন ছিল একটা বিরাট বিজয় কিন্তু শুধু আমেরিকা নই গোটা পৃথিবী জুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিচ্ছে বিশেষ করে জার্মানি, ইংল্যান্ড সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই তাদের বেশিরভাগ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তারা ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে আর কোনো নতুন কেন্দ্র স্থাপন করবে না কেন? উৎপাদন খরচ কম হওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের এই পদক্ষেপ? 



প্রথম দেশ হিসেবে ইতালি তাদের পূর্বে চালু থাকা সমস্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়. দু হাজার এগারো সালের মার্চে ফুকসিমা  পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিপর্যয়ের পর জার্মানি তার সতেরোটি চুল্লির মধ্যে আটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করেছে । গত বছরের শেষ নাগাদ আরো তিনটি প্ল্যান পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে গেছে দেশটিতে । বেলজিয়াম, তাইওয়ান, জাপান, স্প্রিন এবং সুইডেন ক্রমেই সরে আসছে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে । এমনকি যেই ফ্রান্সের মোট বিদ্যুৎ চাহিদা সাতাত্তর ভাগের যোগান আসে পারমানবিক কেন্দ্র থেকে. সেই ফ্রান্সের জনগণও সরকারকে ব্যাপকভাবে চাপ দিয়েছে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য. যেখানে ফ্রান্স ভেবেছিল দুহাজার সালের মধ্যে অন্তত দুইশো পরমাণু  চুল্লি স্থাপন করার কথা সেখানে বর্তমানে তাদের অ্যাক্টিভ চুল্লির সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ঊনষাটটিতে. যুক্তরাষ্ট্র গত তেত্রিশ বছরে নতুন কোন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেনি. উনিশশো-আটাত্তর সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাক্টিভ পরমাণু চুল্লির সংখ্যা ছিল সাতষট্টি. আরো একশো ছাপান্নটি তৈরীর বেশ তোড়জোড় চলছিল. পরবর্তীতে আরো প্রায় দুইশোটি চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনাও করা হয়েছিল. যাতে করে দুহাজার সালের মধ্যে চারশোটি চুল্লি স্থাপন করা যায়. উপরন্তু আগামী দশ পনেরো বছরের মধ্যে কমপক্ষে একশোটি পুরনো এবং ছোট চুল্লি বন্ধ হয়ে যাবে. 



কেন?           লিথুনিয়া এবং কাজাকিস্তানও তাদের একমাত্র পারমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে. সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রিয়া কখনোই তাদের প্রথম এবং একমাত্র পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ব্যবহার করেনি. ব্যবহার করেনি বললে ভুল হবে. অস্ট্রিয়ার তাদের একমাত্র পারমাণবিক কেন্দ্রটিকে ব্যবহার করেছে জাদুঘর এবং সিনেমার শুটিংয়ের কাজে.



 আর্থিক রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত কারণে কিউবা, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশগুলো তাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে. কিন্তু শেষ করতে পারেনি. এছাড়াও কিছু দেশ আছে যারা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনো অবস্থাতেই তারা পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণ করবে না. তেমনই একটি দেশ অস্ট্রেলিয়া. যদিও অস্ট্রেলিয়াতেই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান কাঁচামাল ইউরোনিয়ামের মজুদ আছে অটল. একে একে বিভিন্ন দেশ যেভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এবং পরিচালনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আক্ষরিক শব্দে একে বলা হতে পারে পারমাণবিক শক্তির ফ্রিজ আউট ।মূলত তিনটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা বিশ্বব্যাপী এই শক্তি বন্ধ করাকে প্রভাবিত করেছে । এগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থ্রী মাইল্ড দ্বীপের আংশিক বিপর্যয় চেরনোবিল বিপর্যয় এবং সর্বশেষ জাপানের   ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়.


 বিদ্যুৎ ব্যবহারের দরুন বিংশ শতাব্দী থেকেই বদলে যেতে শুরু করে পৃথিবীর গতিপথ. ক্রমেই মানুষ বিদ্যুতের ওপর চরম মাত্রায় নির্ভরশীল হতে শুরু করে. আর বিদ্যুতের অত্যাধিক চাহিদা বাড়তেই থাকে. দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ছিল কয়লা এবং গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম । এরপরেই আসে পারমাণবিক বিদ্যুৎ এই পদ্ধতিতে তেজস্বীয় ইউরোনিয়মের নিয়ন্ত্রিত ফিসন বিক্রয় শীর্ষ তাপ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় । বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পারমাণবিক প্রযুক্তির শুরুটা হয় আজ থেকে চুয়াত্তর বছর আগে. যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে. কিন্তু গণ মানুষের কাছে পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা পৌঁছায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত ধরে. উৎপাদন  খরচ কম এবং বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিধায় বিশ্বের অগ্রসর দেশগুলো তাদের অত্যাধিক বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে একের পর এক নির্মাণ করতে লাগলো পারমাণবিক চুল্লি. যদিও প্রথম পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পর থেকেই পারমানবিক দুর্ঘটনার প্রভাব কার্যত বিতর্কের একটা বিষয় হয়ে উঠেছিল. তবুও  পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রই ছিল উন্নত বিশ্বের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান ক্ষেত্র. কিন্তু কি এমন হলো যে মানুষ এখন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে. বন্ধ করে দিতে চাইছে কোটি কোটি ডলার ব্যায় নির্মিত সেই সব নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট.




 উনিশশো ঊনআশি সালে হলিউডে মুক্তি পায় ডিজাস্টার থ্রিলার ধর্মী চলচ্চিত্র দ্যা চায়না সিনরুম. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আসলেই যে কতটা নিরাপদ সে প্রশ্নগুলো উঠে আসে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে. দ্য চায়না সিন্ড্রোম মুক্তি পাওয়ার ঠিক বারো দিনের মাথায় পেনসিলভেনিয়ার ডাউফিন কাউন্টটিতে থ্রি মাইল আইল্যান্ড পারমাণবিক দুর্ঘটনাটি ঘটে. এই সিনেমায় দেখানো হয়েছিল কিভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং আশঙ্কার কথা সুকৌশলে গোপন রাখার চেষ্টা করা হয় । এমন ঘটনা যে বাস্তবে ঘটেনি তা কিন্তু নয়. ব্রাজিলের অ্যাংরো ওয়ান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বিকল যন্ত্রপাতি মেরামত করতে গিয়ে দু হাজার সালের মে মাসে হাজার হাজার গ্যালন তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্ল্যান্ট থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে এবং খোদ ব্রাজিলেই এই খবর চার মাস গোপন ছিল.



 পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানিটি এই খবর সরকারকে জানায়নি এর ফলে ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয় বিপুল সংখ্যক মানুষ। রেকর্ড অনুযায়ী সারা বিশ্বে এখনো পর্যন্ত ছোট বড় মিলিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রায় একশোটি । তবে অন্য দুর্ঘটনায় বিপদ যেখানে অনেকাংশে কেবল দুর্ঘটনাকালীন সময়ই বিরাজ থাকে. সেখানে নিউক্লিয়ার ডিজাস্টারের ভয়াবহতা চলতে পারে যুগ যুগ ধরে. কারণ তেজস্ক্রিয় মৌলের তেজস্ক্রিয়তার অর্ধায়ুর বয়স অনেক. অনেক বছর ধরে এর থেকে ক্ষতিকারক রশ্মি নির্গত থাকবে এবং কোন উপায় তা বন্ধ করা সম্ভব নয়. অর্থাৎ নিউক্লিয়ার বিপর্যয়ের প্রভাব অনেক বেশি এবং দীর্ঘস্থায়ী.  উদাহরণস্বরূপ চেরনোবিল শহরের কথা বলা যায়. সেখানে উনিশশো ছিয়াশি সালে পারমাণবিক কেন্দ্রের বিস্ফোরণের পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোন মানুষ বসবাস করে না. এমন তিনটি ঘটনার কথা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি. তিনটি বড় ঘটনা ছাড়াও বিভিন্ন সময় সংগঠিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনা সাধারণ জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চরম ভয় ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে । যার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য সে সব দেশের সাধারণ জনগণ রীতিমতো আন্দোলন করছে । পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরো একটি ভয়াবহ কুফলও কিন্তু আছে. পরমাণু reactor এর মাধ্যমে প্রতিবছর বায়ুমণ্ডলে ও পানিতে প্রচুর পরিমানে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ছড়িয়ে পরে. এসব আইসোটোপের তালিকায় আছে ক্রিপ্টন , জেনন , আর্গুনের মতো নিষ্ক্রিয় গ্যাস যেগুলো চর্বিতে দ্রবণীয় এবং রিয়েক্টরের আশেপাশে বসবাসকারী কোনো লোক তার নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে তা তার ফুসফুসের মাধ্যমে প্রজনন অঙ্গ সহ দেহের চর্বিযুক্ত টিস্যুতে সহজেই স্থানান্তরিত হতে পারে ।


 তারপরেও তেজস্বীয় মৌলগুলো থেকে নিঃশরিত গামা রশ্মি ডিম্বাণু ও শুক্রাণুতে আকর্ষিক পরিবর্তন ঘটিয়ে সূচনা করতে পারে বংশানুক্রমিক বিভিন্ন রোগের. দু হাজার আট সালে জার্মান সরকার তার বাণিজ্যিক ষোলোটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে বসবাসকারী শিশুদের উপর একটা গবেষণা চালায়. এর ফলে দেখা যায় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে যতই যাওয়া যায় শিশুদের দেহে ক্যান্সার বিশেষ করে নিউকোমিয়ান আক্রান্তের ঝুঁকি ততই বাড়তে থাকে. আরো একটি সমস্যা আছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের. যেটি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা কখনোই হয় না।


 আমরা জানি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল কাঁচামাল হলো ইউরোনিয়াম. কিন্তু পৃথিবীতে ইউরোনিয়ামের পরিমাণ কিন্তু খুব সামান্য. সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে হাইব্রিড ইউরেনিয়ামের মজুদ আছে প্রায় পঁয়ত্রিশ লাখ টন. বর্তমানে প্রতিবছর ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হচ্ছে প্রায় সাতষট্টি হাজার টন।


 এই হারে ব্যবহার হলে বর্তমান মজুদ পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই কিন্তু শেষ হয়ে যাবে. আর যদি পৃথিবীর বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় সবটাই জোগাতে হতো পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে. তবে তা দিয়ে চালানো যেত মাত্র নয় বছর. বোঝাই যাচ্ছে ভবিষ্যতে ইউরেনিয়ামের দাম ক্রমেই বাড়তে থাকবে পাশাপাশি হু হু করে বাড়তে থাকবে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয়. 




আচ্ছা এবার ধরা যাক উপরের উল্লেখিত নানাবিধ সমস্যা এবং ঝুঁকি বিবেচনা করে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেন।  কিন্তু সেই কাজটাও কি খুব সহজ? চেরনোবিল দুর্ঘটনার দিকে আবার নজর দেওয়া যাক. এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করতেই লেগেছিল প্রায় চারশো কোটি ডলার. তাছাড়া নির্মিত একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ুষ্কালও কিন্তু অনন্তকাল নয়. মাত্র তিরিশ বছরের মতো. এটি নির্মাণ করার প্রক্রিয়া যেমন জটিল, আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার পর সেটাকে পরিত্যাগ করা বা নতুন করে নির্মাণ করার প্রক্রিয়াটাও ঠিক একই রকমের জটিল এবং সেই সাথে ব্যয়বহুল. এত সমস্যা এবং জটিলতা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কিন্তু থেমে নেই. এর প্রধান কারণ হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে খুবই অল্প পরিমাণে জ্বালানির প্রয়োজন হয়. তার ফলে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বর্জ্য পদার্থের পরিমাণও হয় অনেক কম. ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে বর্তমানে একত্রিশ দেশে চারশো পঞ্চাশটিরও বেশি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে. সেই তালিকায় আছে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ও পাকিস্তানের নামও. অতি সম্প্রতি সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের. বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত মূলত দাঁড়িয়ে আছে প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর. এই প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভর করে আছে দেশের জ্বালানি খাত। অথচ দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লার মজুত অত্যন্ত সীমিত আর যা কিছু আছে তা ঠিক মতো উত্তোলনের সক্ষমতাও কিন্তু বাংলাদেশে এখনো অর্জন করতে পারেনি। যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে আমদানি নির্ভর তরল পেট্রোলিয়ামের উপর বহুল অংশে নির্ভর করতে হয় । জনবহুল বাংলাদেশের বিশাল বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে উনিশশো একষট্টি সালের দিকে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়. সেই লক্ষ্যে পাবনা জেলার রূপপুরে পদ্মা নদীর কাছাকাছি প্রায় দুশো ষাট একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য বত্রিশ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়. এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে দু হাজার সতেরো সালের নভেম্বরে রুপপুরে রুপ পুর ওয়ান নামে প্রথম ইউনিট নিউক্লিয়ার পাওয়ার রিঅ্যাক্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয়. লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দুই হাজার তেইশ সাল থেকে এই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা রয়েছে. এখন প্রশ্ন হচ্ছে রুকপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি কোনোভাবে আমাদের দুর্দশার কারণ হয়ে উঠতে পারে? 


      

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

মানসিকতার কয় টা দিক ? Personalities theory কী ?

     আপনি মানুষের সামনে খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নিল. আহ মানুষটা কি ভিল দরিয়া? মানুষটা খুব মিশুক. এক্সট্রোভার্ট।   কিন্তু আপনি আসলে ভেতরে ভেতরে উপলব্ধি করেন মানুষ আপনাকে যা ভাবে তা আপনি নন মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন।  কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয় । আপনি আসলে নিজের ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন নিজস্ব সার্কেলে । কিন্তু এমন কিন্তু এমনটা কেন? কিছু মানুষের ভেতরে দৈত সত্তা খুব বেশি কাজ করে. মনের ভেতর আর বাইরের উপস্থাপনার একটা দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে. মানুষ আপনাকে যতটা introvert ভাবে মনে করে. কি ভাব? আপনি তেমন নাও হতে পারেন । আপনিও জোৎস্ই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে এক্সপ্রেস করতে পারেন । এই যে দইতো একটা বৈচিত্র নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে এটাকে তাহলে কি বলা যাবে? এই ধরণের মানুষগুলো আসলে এক্সট্রোভার্ট  আবার পুরোপুরি ইন্ট্রোভার্ট ও না ।  তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকে. এই মানুষগুলোকে বলা হয় হ্যান্ডবিভার. মজার ব্যাপার হল প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে এক্সট্রোভার্টরা সেলস কমিউনিকেশানে খুব ভালো হয়. কিন্তু গবেষণায়...

এরিয়া ফিফটি one কি ?

এরিয়া ফিফটি ওয়ান  এটা এক অচেনা জগৎ. এখানে না আছে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক, না আছে কোনো সুইট সাইন. নেই পিচ ছাড়া রাস্তা বা প্রাণের খুব একটা স্পন্দন। এমনকি বাইরের বিশ্বের সংস্কৃতি এবং সমাজের সামান্যতম বিস্তরণও নেই এখানে। এই নিরীহ নির্মম গোপন রহস্য আসলে কি তা জানার সুযোগ হয়েছে বলা চলে খুবই কম । কখনো কখনো বলা হয় এটা এলিয়ান গবেষণাগার. ইউএফও বা আন আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্স নিয়েও নাকি প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে. অনেকে ধারণা করেন যে একবারই স্থানে ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না. বাইরের মানুষের কাছে একটা মিথ হয়ে রয়ে গেছে এই অঞ্চল. অন্তত এখনো পর্যন্ত. বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও সবচেয়ে রহস্যময় এলাকা এটি. নাম এরিয়া ফিফটি ওয়ান. শুরু থেকেই গোপনীয়তার দুর্ভেদ্য চাদরে মোড়ানো বলে এরিয়া ফিফটি ওয়ান নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে দিনকে দিন । জমাট বাঁধা এই রহস্য থেকেই কালক্রমে জন্ম নিয়েছে বেশ কিছু কন্সপিরেসি থিওরি ।  আমেরিকার নেভা স্টেটের দক্ষিণে লাস ভেগাস থেকে একশো পঞ্চাশ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পাহাড় গেরা মরুভূমির মধ্যে ঊনত্রিশ লক্ষ একর জায়গা জুড়ে আছে কুখ্যাত এবং বিদ্রুপজনক...

শিক্ষা শ্রম কি ? কিভাবে বের হতে পারা যায় এই অসুস্থ জগৎ থেকে ?

     এইতো কয়েকদিন আগের কথা. বিশ্বসেরা all rounder সাকিব আল হাসান সাংবাদিক উৎপল সুটের কাছে একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন. পঞ্চপাণ্ডব  সহ আরো কিছু বিষয় সোজাসাপ্টা মন্তব্যের কারণে সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বেশ বিতর্ক হলো কিন্তু ক্রিকেট ও আলোচনা বা বিতর্কিত আলাপের বাইরেও সাকিব সেই সাক্ষাৎকারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছিলেন যেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হয়নি । পরিবার আমেরিকাতেই স্থায়ী হবে এমন আভাস দিয়ে সাকিব বলেছিলেন বাংলাদেশে থাকার সময় স্কুলে যাওয়ার আগে আমার বড় মেয়ে অ্যালাইনা ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন কাঁদতো. অথচ আমেরিকায় এক ডাক দেওয়ার আগেই নিজে উঠে চোখ বন্ধ করে নিজে ব্রাশ করে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে যায়. এর থেকে ভালো আমার জন্য আর কি হতে পারে?  সাকিব কেন নিজেকে একমাত্র পাণ্ডব বলে দাবি করেছেন সাকিবের বক্তব্যে অন্যান্য সিনিয়র প্লেয়ারদের অসম্মান করা হয়েছে কিনা এসবের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কিন্তু এই কয়েকটা লাইনে লুকিয়ে আছে । স্কুল জায়গাটা কেন পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সের একটা বাচ্চা মেয়ের কাছে বিভীষিকার নাম হয়ে উঠবে.  এই গল্পটা শুধু এলাইনার নয়. এ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্কিল না সার্টিফিকেট? সার্টিফিকেটের দিন কি তাহলে শেষ হয়ে এল ? দেশে এত বেকার কেন ?

  একদিকে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে. অন্যদিকে চাকরিদাতারা বলছেন যোগ্য লোকের অভাব. আসলে বিষয়টা কি?  বেকার সমস্যা. বিশাল জনগোষ্ঠী, দেশ, বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুতর একটা সমস্যা. সমস্যাটা আরো গুরুতর যখন এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যাই বেশি. বিআইডিএস এর এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বেকারত্বের হার চৌত্রিশ শতাংশ এবং স্নাতক পর্যায়ে এই হার সাইত্রিশ শতাংশ যুক্ত রাজ্যের প্রভাবশালী সময় কিনা ইকোনমিস্টের কলামেও বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশের সাতচল্লিশ শতাংশ স্নাতকই বেকার. অর্থাৎ প্রতিবছর যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সহ উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সারে তিন লাখ মানুষও বের হয় তবে তাদের প্রায় অর্ধেকই থেকে যাবে কর্মহীন।   কেন এত এত বিএসসি, এমএসসি, বিবিএ, এমবিএ, বিএ, এমএস সার্টিফিকেটধারী উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণী দিন শেষে বেকার থেকে যাচ্ছে হ্যাঁ এটা সত্য যে চাকরি প্রত্যাশীদের বিপরীতে যথেষ্ট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই. কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষিতদের অনেকেই যখন বেকার তখন প্...

চীন কে ঠেকাতে আমেরিকার মহা পরিকল্পনা ? ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক কি ?

  ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক ফর পোস্ট প্রায়োরিটি বা সংক্ষেপে আইপিডিএফ অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক উদ্যোগ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পলিটিক্যাল ইকোনমিক বাজারে এই ধারণাটা খুব জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে ।  জাপানে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক নামে নতুন এই অর্থনৈতিক উয্যোগের ঘোষণার সময় জো বাইডেন খুব জোরে স্বরেই বললেন আমরা এর মাধ্যমে একুশ শতকের অর্থনীতির নতুন ধারা রচনা করতে যাচ্ছি ।  প্রশ্ন হচ্ছে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক  বিষয়টা কি?  আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া প্রয়োজন এটা খুব নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় এই অর্থনৈতিক উদ্যোগের কর্ণধার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র । তাই পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের ইন্ডো প্যাসিফিক অঞ্চল এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বুঝতে হবে.  প্রথমত বোঝা দরকার বৈশিক রাজনীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবটা কি? যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে সুপার পাওয়ার হিসেবে দেখতে চায়.  মার্কিনীরা সবসময় চেষ্টা করে তার চেয়ে শক্তিশালী দেশের উত্থ...

দেযা ভু এফেক্ট কি ?

আচ্ছা এমনটা হয়েছে যে একদম নতুন কোনো জায়গায় প্রবল বৃষ্টিতে একটা ছাউনিতে আপনি আশ্রয় নিয়েছেন অথবা ধরুন কোথাও ট্যুরে গিয়ে আপনি আয়েশ করে বসে চা হাতে নিয়ে বই পড়ছেন । হঠাৎ আপনার মনে হলো এই জায়গায় আপনি আগেও ঠিক একইভাবে আটকে ছিলেন বৃষ্টিতে বা একই জায়গায় বসে চা হাতে বই পড়ছিলেন । অথচ বাস্তবে আপনি আগে কখনো এমন কিছু করেছেন বলে কিছুতেই মনে পড়ছে না কিন্তু ঘটনাগুলো এতটাই পরিচিত যে আপনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন মনে করার জন্য। হ্যাঁ এটাই দেযা ভু এফেক্ট ।  দেযা ভু এফেক্ট আমাদের সবার সাথেই কম বেশি হরহামেশাই ঘটে থাকে । ফরাসি এই শব্দের প্রথম প্রবর্তন করেন দার্শনিক এমএল বোরাক । যার অর্থ ইতিপূর্বে ঘটে গিয়েছে । এটি এমন একটি অনুভূতি যা থেকে মনে হতে পারে বর্তমানে ঘটতে থাকা কোন ঘটনা এর আগেও একই ভাবে অতীতে ঘটেছে। গবেষকদের মতে মোট জনসংখ্যার প্রায় সত্তর শতাংশের সাথে দেযা ভু এফেক্ট নিয়মিত ঘটে। অন্যান্য বয়সের তুলনায় পনেরো থেকে পঁচিশ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে সবচেয়ে বেশি। না, এটি কোন রোগ নয় । একদম সুস্থ মানুষের সাথেও নিয়মিত এমন অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে যারা অনেক বেশি ভ্রমণ করেন...

চীন কিভাবে সুপার পাওয়ার হয়ে উঠল ? চীন কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতির জায়ান্ট হল ?

   সালটা উনিশশো আটানব্বই. বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সদস্য পদের জন্য আবেদন করে চীন।  তাদের জন্য বিষয়টা ঠিক এতটা সহজ ছিল না।  কারণ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ তখন চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়. এর অবশ্য কারণও ছিল. চীনা কোম্পানিগুলো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের রিপ্লিকা ছাড়া আর কিছুই নয় বা নকলপূর্ণ বানায় এই বদনামে ছেয়ে গেছে তখন চারিদিক. চীন সরকার এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয় না.  সেই সময় চীনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেই দেশগুলোর রাগ ভাঙিয়েছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিটন কিন্তু ক্লিটন যদি জানতেন বছর বিশেকের মধ্যেই বৈশিক অর্থনীতিতে তার দেশকে পেছনে ফেলে সুপার জায়ান্ট হবার দূরে এগিয়ে যাবে চীন। এই কাজটা হয়তো তিনি করতেন না কখনো. সেই সময় আমেরিকার অর্থনীতি ছিল নয় ট্রিলিয়ন ডলারের. আর চীনের অর্থনীতির মূল্যবান ছিল মাত্র এক ট্রিলিয়ন ডলার. নয় গুণ পিছিয়ে থাকা একটা দেশের সঙ্গে কোন প্রতিযোগিতাই নেই. এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন ক্লিটন। কিন্তু সেটা যে কত বড় ভুল ধারণা ছিল. সেটা এখন আমেরিকানরা জানে হাড়ে হাড়ে. ছোট্ট একটা ডেটা দিয়ে শুরু করা যাক. দু হাজার বিশ সা...

বাংলাদেশ কি তবে শ্রীলংকা হতে যাচ্ছে ? বাংলাদেশ কি তাহলে দেউলিয়া হবার পথে ?

শ্রীলংকার সরকার অবশেষে জানিয়ে দিয়েছে বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা তাদের নেই অর্থাৎ নিজেদের দেউলিয়া হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হলো দেশটি । এটা অবশ্য বোঝাই যাচ্ছিলো গত কয়েকদিনের প্রেক্ষাপট দেখে ধারণা করা যাচ্ছিলো দেউলিয়া ঘোষণা করা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই শ্রীলংকার সামনে । তবে শ্রীলঙ্কার এই দুরাবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেকেই বেশ চিন্তিত। বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত হওয়াটা শ্রীলংকার আজকের অবস্থার একটা বড়ো কারণ। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে বাংলাদেশকেও প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিতে হচ্ছে. এখানে দুর্নীতি আছে আছে মুদ্রাস্ফীতি , জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে. আর তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক আছে. আজ থেকে কয়েক বছর পর বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মতো হবে না তো? তার আগে আমরা ব্যাখ্যা করবো শ্রীলঙ্কার বর্তমান দুরাবস্থার কারণগুলো নিয়ে. জটিল কোনো রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক আলোচনা নয়. খুব সাদামাটা ভাবে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করবো পুরো বিষয়টি. তাহলে শুরু করা যাক.  শ্রীলঙ্কায় গত কিছুদিন ধরেই জ্বালানি তেলের সংকট চলছে দারুণভাবে. রান্নার গ্যাসের অভাব. ভ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...