Manhattan এর প্রায় তিরিশ মাইল উত্তরে অবস্থিত কুখ্যাত Indian point পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গত বছরের শুরুতে প্রবল বিক্ষোভের মুখে বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তা এবং পরিবেশ নিয়ে চিন্তিত অনেকের কাছেই কয়েক দশকের বিক্ষোভের পর এই শাটডাউন ছিল একটা বিরাট বিজয় কিন্তু শুধু আমেরিকা নই গোটা পৃথিবী জুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিচ্ছে বিশেষ করে জার্মানি, ইংল্যান্ড সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই তাদের বেশিরভাগ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তারা ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে আর কোনো নতুন কেন্দ্র স্থাপন করবে না কেন? উৎপাদন খরচ কম হওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের এই পদক্ষেপ?
প্রথম দেশ হিসেবে ইতালি তাদের পূর্বে চালু থাকা সমস্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়. দু হাজার এগারো সালের মার্চে ফুকসিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিপর্যয়ের পর জার্মানি তার সতেরোটি চুল্লির মধ্যে আটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করেছে । গত বছরের শেষ নাগাদ আরো তিনটি প্ল্যান পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে গেছে দেশটিতে । বেলজিয়াম, তাইওয়ান, জাপান, স্প্রিন এবং সুইডেন ক্রমেই সরে আসছে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে । এমনকি যেই ফ্রান্সের মোট বিদ্যুৎ চাহিদা সাতাত্তর ভাগের যোগান আসে পারমানবিক কেন্দ্র থেকে. সেই ফ্রান্সের জনগণও সরকারকে ব্যাপকভাবে চাপ দিয়েছে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য. যেখানে ফ্রান্স ভেবেছিল দুহাজার সালের মধ্যে অন্তত দুইশো পরমাণু চুল্লি স্থাপন করার কথা সেখানে বর্তমানে তাদের অ্যাক্টিভ চুল্লির সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ঊনষাটটিতে. যুক্তরাষ্ট্র গত তেত্রিশ বছরে নতুন কোন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেনি. উনিশশো-আটাত্তর সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাক্টিভ পরমাণু চুল্লির সংখ্যা ছিল সাতষট্টি. আরো একশো ছাপান্নটি তৈরীর বেশ তোড়জোড় চলছিল. পরবর্তীতে আরো প্রায় দুইশোটি চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনাও করা হয়েছিল. যাতে করে দুহাজার সালের মধ্যে চারশোটি চুল্লি স্থাপন করা যায়. উপরন্তু আগামী দশ পনেরো বছরের মধ্যে কমপক্ষে একশোটি পুরনো এবং ছোট চুল্লি বন্ধ হয়ে যাবে.
কেন? লিথুনিয়া এবং কাজাকিস্তানও তাদের একমাত্র পারমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে. সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রিয়া কখনোই তাদের প্রথম এবং একমাত্র পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ব্যবহার করেনি. ব্যবহার করেনি বললে ভুল হবে. অস্ট্রিয়ার তাদের একমাত্র পারমাণবিক কেন্দ্রটিকে ব্যবহার করেছে জাদুঘর এবং সিনেমার শুটিংয়ের কাজে.
আর্থিক রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত কারণে কিউবা, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশগুলো তাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে. কিন্তু শেষ করতে পারেনি. এছাড়াও কিছু দেশ আছে যারা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোনো অবস্থাতেই তারা পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণ করবে না. তেমনই একটি দেশ অস্ট্রেলিয়া. যদিও অস্ট্রেলিয়াতেই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান কাঁচামাল ইউরোনিয়ামের মজুদ আছে অটল. একে একে বিভিন্ন দেশ যেভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এবং পরিচালনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আক্ষরিক শব্দে একে বলা হতে পারে পারমাণবিক শক্তির ফ্রিজ আউট ।মূলত তিনটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা বিশ্বব্যাপী এই শক্তি বন্ধ করাকে প্রভাবিত করেছে । এগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থ্রী মাইল্ড দ্বীপের আংশিক বিপর্যয় চেরনোবিল বিপর্যয় এবং সর্বশেষ জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়.
বিদ্যুৎ ব্যবহারের দরুন বিংশ শতাব্দী থেকেই বদলে যেতে শুরু করে পৃথিবীর গতিপথ. ক্রমেই মানুষ বিদ্যুতের ওপর চরম মাত্রায় নির্ভরশীল হতে শুরু করে. আর বিদ্যুতের অত্যাধিক চাহিদা বাড়তেই থাকে. দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ছিল কয়লা এবং গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম । এরপরেই আসে পারমাণবিক বিদ্যুৎ এই পদ্ধতিতে তেজস্বীয় ইউরোনিয়মের নিয়ন্ত্রিত ফিসন বিক্রয় শীর্ষ তাপ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় । বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পারমাণবিক প্রযুক্তির শুরুটা হয় আজ থেকে চুয়াত্তর বছর আগে. যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে. কিন্তু গণ মানুষের কাছে পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা পৌঁছায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত ধরে. উৎপাদন খরচ কম এবং বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিধায় বিশ্বের অগ্রসর দেশগুলো তাদের অত্যাধিক বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে একের পর এক নির্মাণ করতে লাগলো পারমাণবিক চুল্লি. যদিও প্রথম পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পর থেকেই পারমানবিক দুর্ঘটনার প্রভাব কার্যত বিতর্কের একটা বিষয় হয়ে উঠেছিল. তবুও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রই ছিল উন্নত বিশ্বের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান ক্ষেত্র. কিন্তু কি এমন হলো যে মানুষ এখন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে. বন্ধ করে দিতে চাইছে কোটি কোটি ডলার ব্যায় নির্মিত সেই সব নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট.
উনিশশো ঊনআশি সালে হলিউডে মুক্তি পায় ডিজাস্টার থ্রিলার ধর্মী চলচ্চিত্র দ্যা চায়না সিনরুম. পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আসলেই যে কতটা নিরাপদ সে প্রশ্নগুলো উঠে আসে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে. দ্য চায়না সিন্ড্রোম মুক্তি পাওয়ার ঠিক বারো দিনের মাথায় পেনসিলভেনিয়ার ডাউফিন কাউন্টটিতে থ্রি মাইল আইল্যান্ড পারমাণবিক দুর্ঘটনাটি ঘটে. এই সিনেমায় দেখানো হয়েছিল কিভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং আশঙ্কার কথা সুকৌশলে গোপন রাখার চেষ্টা করা হয় । এমন ঘটনা যে বাস্তবে ঘটেনি তা কিন্তু নয়. ব্রাজিলের অ্যাংরো ওয়ান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বিকল যন্ত্রপাতি মেরামত করতে গিয়ে দু হাজার সালের মে মাসে হাজার হাজার গ্যালন তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্ল্যান্ট থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে এবং খোদ ব্রাজিলেই এই খবর চার মাস গোপন ছিল.
পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানিটি এই খবর সরকারকে জানায়নি এর ফলে ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয় বিপুল সংখ্যক মানুষ। রেকর্ড অনুযায়ী সারা বিশ্বে এখনো পর্যন্ত ছোট বড় মিলিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রায় একশোটি । তবে অন্য দুর্ঘটনায় বিপদ যেখানে অনেকাংশে কেবল দুর্ঘটনাকালীন সময়ই বিরাজ থাকে. সেখানে নিউক্লিয়ার ডিজাস্টারের ভয়াবহতা চলতে পারে যুগ যুগ ধরে. কারণ তেজস্ক্রিয় মৌলের তেজস্ক্রিয়তার অর্ধায়ুর বয়স অনেক. অনেক বছর ধরে এর থেকে ক্ষতিকারক রশ্মি নির্গত থাকবে এবং কোন উপায় তা বন্ধ করা সম্ভব নয়. অর্থাৎ নিউক্লিয়ার বিপর্যয়ের প্রভাব অনেক বেশি এবং দীর্ঘস্থায়ী. উদাহরণস্বরূপ চেরনোবিল শহরের কথা বলা যায়. সেখানে উনিশশো ছিয়াশি সালে পারমাণবিক কেন্দ্রের বিস্ফোরণের পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোন মানুষ বসবাস করে না. এমন তিনটি ঘটনার কথা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি. তিনটি বড় ঘটনা ছাড়াও বিভিন্ন সময় সংগঠিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনা সাধারণ জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চরম ভয় ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে । যার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য সে সব দেশের সাধারণ জনগণ রীতিমতো আন্দোলন করছে । পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরো একটি ভয়াবহ কুফলও কিন্তু আছে. পরমাণু reactor এর মাধ্যমে প্রতিবছর বায়ুমণ্ডলে ও পানিতে প্রচুর পরিমানে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ছড়িয়ে পরে. এসব আইসোটোপের তালিকায় আছে ক্রিপ্টন , জেনন , আর্গুনের মতো নিষ্ক্রিয় গ্যাস যেগুলো চর্বিতে দ্রবণীয় এবং রিয়েক্টরের আশেপাশে বসবাসকারী কোনো লোক তার নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে তা তার ফুসফুসের মাধ্যমে প্রজনন অঙ্গ সহ দেহের চর্বিযুক্ত টিস্যুতে সহজেই স্থানান্তরিত হতে পারে ।
তারপরেও তেজস্বীয় মৌলগুলো থেকে নিঃশরিত গামা রশ্মি ডিম্বাণু ও শুক্রাণুতে আকর্ষিক পরিবর্তন ঘটিয়ে সূচনা করতে পারে বংশানুক্রমিক বিভিন্ন রোগের. দু হাজার আট সালে জার্মান সরকার তার বাণিজ্যিক ষোলোটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে বসবাসকারী শিশুদের উপর একটা গবেষণা চালায়. এর ফলে দেখা যায় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে যতই যাওয়া যায় শিশুদের দেহে ক্যান্সার বিশেষ করে নিউকোমিয়ান আক্রান্তের ঝুঁকি ততই বাড়তে থাকে. আরো একটি সমস্যা আছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের. যেটি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা কখনোই হয় না।
আমরা জানি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল কাঁচামাল হলো ইউরোনিয়াম. কিন্তু পৃথিবীতে ইউরোনিয়ামের পরিমাণ কিন্তু খুব সামান্য. সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে হাইব্রিড ইউরেনিয়ামের মজুদ আছে প্রায় পঁয়ত্রিশ লাখ টন. বর্তমানে প্রতিবছর ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হচ্ছে প্রায় সাতষট্টি হাজার টন।
এই হারে ব্যবহার হলে বর্তমান মজুদ পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই কিন্তু শেষ হয়ে যাবে. আর যদি পৃথিবীর বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় সবটাই জোগাতে হতো পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে. তবে তা দিয়ে চালানো যেত মাত্র নয় বছর. বোঝাই যাচ্ছে ভবিষ্যতে ইউরেনিয়ামের দাম ক্রমেই বাড়তে থাকবে পাশাপাশি হু হু করে বাড়তে থাকবে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয়.
আচ্ছা এবার ধরা যাক উপরের উল্লেখিত নানাবিধ সমস্যা এবং ঝুঁকি বিবেচনা করে আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু সেই কাজটাও কি খুব সহজ? চেরনোবিল দুর্ঘটনার দিকে আবার নজর দেওয়া যাক. এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করতেই লেগেছিল প্রায় চারশো কোটি ডলার. তাছাড়া নির্মিত একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ুষ্কালও কিন্তু অনন্তকাল নয়. মাত্র তিরিশ বছরের মতো. এটি নির্মাণ করার প্রক্রিয়া যেমন জটিল, আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার পর সেটাকে পরিত্যাগ করা বা নতুন করে নির্মাণ করার প্রক্রিয়াটাও ঠিক একই রকমের জটিল এবং সেই সাথে ব্যয়বহুল. এত সমস্যা এবং জটিলতা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কিন্তু থেমে নেই. এর প্রধান কারণ হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে খুবই অল্প পরিমাণে জ্বালানির প্রয়োজন হয়. তার ফলে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বর্জ্য পদার্থের পরিমাণও হয় অনেক কম. ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে বর্তমানে একত্রিশ দেশে চারশো পঞ্চাশটিরও বেশি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে. সেই তালিকায় আছে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত ও পাকিস্তানের নামও. অতি সম্প্রতি সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের. বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত মূলত দাঁড়িয়ে আছে প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর. এই প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভর করে আছে দেশের জ্বালানি খাত। অথচ দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লার মজুত অত্যন্ত সীমিত আর যা কিছু আছে তা ঠিক মতো উত্তোলনের সক্ষমতাও কিন্তু বাংলাদেশে এখনো অর্জন করতে পারেনি। যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে আমদানি নির্ভর তরল পেট্রোলিয়ামের উপর বহুল অংশে নির্ভর করতে হয় । জনবহুল বাংলাদেশের বিশাল বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে উনিশশো একষট্টি সালের দিকে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়. সেই লক্ষ্যে পাবনা জেলার রূপপুরে পদ্মা নদীর কাছাকাছি প্রায় দুশো ষাট একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য বত্রিশ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়. এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে দু হাজার সতেরো সালের নভেম্বরে রুপপুরে রুপ পুর ওয়ান নামে প্রথম ইউনিট নিউক্লিয়ার পাওয়ার রিঅ্যাক্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয়. লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দুই হাজার তেইশ সাল থেকে এই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা রয়েছে. এখন প্রশ্ন হচ্ছে রুকপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি কোনোভাবে আমাদের দুর্দশার কারণ হয়ে উঠতে পারে?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন