চায়না কি আসলেই যুদ্ধ চায় না ? তাইওয়ান তাহলে কার ? তাইওয়ান কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকার এবং চায়নার জন্য ?
চীন বিপদ নিয়ে খেলছে. চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে দ্বীপটি রক্ষার জন্য আমেরিকার সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে. তেইশে মে টোকিওতে কোয়ার্ড নেতাদের সাথে বৈঠক কালে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন. চীন ও কিন্তু বসে নেই. বেজিং এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন জোর দিয়ে বলেছেন তাইওয়ান, চীনের মূল ভূখণ্ডের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ. সেখানে কোনরকম আপস বা ছারের কোন সুযোগ নেই. তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে উৎসাহ দেওয়াটা হবে আগুন নিয়ে খেলারই নামান্তর। দু হাজার একুশ সালে এমনটাই বলেছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং। বিষয়টা যদি এইরকম বাক যুদ্ধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর তেমন কিছুই থাকতো না চাইনা সংবিধানে অ্যান্টি অ্যাসোসিয়েশন ল নামে তাইওয়ানকে নিয়ে একটি আইনও রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে তাইওয়ান যদি চীনের সাথে একত্রিত না হয় তাহলে সাংবিধানিকভাবে চীন তাইওয়ানে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য । অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মনে করেন যদি আগামীতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো যুদ্ধ বেঁধে যায় তাহলে তাইওয়ান হবে সেই যুদ্ধের ফ্ল্যাশ পয়েন্ট । প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাইওয়ান হঠাৎ এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো কেন ? কেনই বা যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন তাইওয়ান প্রশ্নে এক চুলও আপস করতে রাজি নয়?
চলুন একটু আগে থেকে শুরু করি সময়টা ঊনিশশো বারো সালের ফেব্রুয়ারি মাস চীনে চলমান দীর্ঘ দুই হাজার বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে দেশটি আত্মপ্রকাশ করে চীন প্রজাতন্ত্র বা রিপাবলিক অফ চায়না হিসেবে । উনিশশো-উনিশ সালের প্রতিষ্ঠাতা পায় চাইনিজ ন্যাশনাল পার্টি নামে চীনের প্রথম রাজনৈতিক দল. এই দলটির প্রধান ছিলেন জেনারেল সিয়াঙ্কাই শেখ. উনিশশো-একুশ সালের প্রতিষ্ঠা পায় চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি যার প্রধান ছিলেন মাও সেতুং। উনিশশো সাতাশ সাল থেকে শুরু হয় খেলা. ন্যাশনালিস্ট পার্টির জিয়াঙ্কাই শেখ কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে. ন্যাশনালাইজ পার্টিকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র. অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টিকে সহায়তা করে সোভিয়েত ইউনিয়ন. শুরু হয় গৃহযুদ্ধ. উনিশশো সাঁইত্রিশ সালে চীনের চলমান অরাজকতার সুযোগে জাপান চীনকে আক্রমণ করে বসে.
জাপানকে মোকাবিলা করতে দুই পার্টি সাময়িক দ্বন্দ্ব ভুলে একত্রিত হয়. উনিশশো পঁয়তাল্লিশ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর পনেরোই আগস্ট চীন, জাপান যুদ্ধ শেষ হয়. যুদ্ধ শেষে সোভিয়েত রাশিয়ার নেতা স্টালিনের সহায়তায় মাও সেতুং। ও তার কমিউনিস্ট দল শক্তিশালী হয়ে ওঠে চিয়াং কাইশের ন্যাশনালিস্ট দলের উপর চলে দমন, পীড়ন, আরো অনেক কিছু. ফলশ্রুতিতে উনিশশো ঊনপঞ্চাশ সালে চিয়াঙ্কাইশেতা দলের বিপুল সংখ্যক নেতা চীনের মূল ভূখণ্ড ছেড়ে তাইওয়ানে আশ্রয় নেন.
চিয়াঙ্কাই শেখের নেতৃত্বে তাইওয়ান আত্মপ্রকাশ করে রিপাবলিক অফ চায়না নামের একটি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে. অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টি দখল করে নিয়েছিল চায়নার মূল ভূখণ্ড যার নাম দেওয়া হয় দা পিপল রিপাবলিক অফ চায়না.
অর্থাৎ উনিশশো ঊনপঞ্চাশ সালে চীন বলে দুটো রাষ্ট্রের উত্থান হয়. আপনি শুনলে আশ্চর্য হবেন একটা সময় জাতিসঙ্গে চীন বলতে. তাইওয়ানকেই বোঝানো হতো. যেহেতু প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল তাইওয়ানের দিকে।
কিন্তু উনিশশো একাত্তর সালে the peoples republic of China জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য লাভের পর সদস্য হিসেবে তাইওয়ান তার সদস্য পদ হারায়. এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাইবান ইস্যুতে তাইবান চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা আসলে কি?
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি. যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে. এখন যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে চীন যেন তাইওয়ানকে একা ছেড়ে দেয়. আমেরিকায় একটি আইনও রয়েছে যে আইনে তাইওয়ানকে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমাদের দেওয়ার বিধান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এটা খুব স্পষ্ট. যুক্তরাষ্ট্র একদিকে তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিও দিচ্ছে না. আবার তাইওয়ানে চীনের হস্তক্ষেপও মেনে নিচ্ছে না. তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে আখ্যায়িত করা হয় strategic ambiguity বা কৌশলগত ধোঁয়াশা হিসেবে.
কৌশলগত ধোঁয়াশার প্রধান তাৎপর্যটি হচ্ছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষার ব্যাপারে আমেরিকা কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না কিন্তু তারা যে তা করবে না তাও তারা বলছে না. এর একটা উদ্দেশ্য হলো চীনকে অনুমান নির্ভর করে রাখা. আশির দশকে তাইওয়ান প্রশ্নে চীন উদগ্রীব থাকলেও নব্বইয়ের দশকে এসে এই ইস্যুতে তারা কিন্তু চুপচাপই ছিল বলা যায় । কারণ ততদিনে এক মেরুর বিশ্বব্যাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে তাছাড়া ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কাল থেকেই তাইবান প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্র এয়ারক্রাফট কেরিয়ার গাইডেড মিসাইল ক্রুজারের মতো ভারী সরঞ্জাম দিয়ে মহড়া চালিয়ে আসছিল। কিন্তু চীন এখন আর আশি বা নব্বইয়ের দশকের সেই চীন নেই। চীন এখন সি জিনপিংয়ের তৃতীয় বিপ্লব যুগে প্রবেশ করেছে। চীন হয়ে উঠেছে বর্তমান ভূরাজনৈতিক সমীকরণের গেম changer। বর্তমানে অর্থনীতির দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। উনিশ শতক থেকে আজ পর্যন্ত চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র একবারও হয়নি। তাছাড়া চায়না রয়েছে বিশাল সেনাবাহিনী যেখানে সব সময় কর্মরত থাকে নয় লক্ষ পনেরো হাজার সৈনিক।
তা ছাড়া রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির missile, tank, helicopter, সাবমেরিন, যুদ্ধ জাহাজ. যার মাধ্যমে চীন, যে কারো সাথেই চোখ গরম করার সক্ষমতা রাখে. তাইওয়ান ইস্যুতে চায়না এখন আগের চেয়ে আরো বেশি কঠোর. অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকের মতে তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করায় চীনের প্রধান স্ট্র্যাটেজিক প্রায়োরিটি আর মাত্র সাতাশ বছর অর্থাৎ দুহাজার ঊনপঞ্চাশ সালে চীনের শতবর্ষ পূরণ হবে তার আগেই তাইওয়ানকে চীনের সাথে একিভূত করতে চায় সিজন পিং।
তাই আর কি মাদারল্যান্ডের সাথে একিভুত করার পরিকল্পনাকে বলা হচ্ছে চীনের নেশনস রিজিউবিনেশন. বর্তমান প্রেক্ষাপটে আলোচিত চীনতায়ওয়ান, অস্থিরতা, নতুন মাত্রা পায় দু হাজার একুশ সালের প্রথম দিকে. তখন থেকেই চায়নার এয়ারক্রাফট নিয়মিত বিরতিতে কোন ধরনের অনুমতি ছায়ারাই তাইওয়ানের আকাশ সীমা বা এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন অতিক্রম করতে থাকে. দিনে এক থেকে দুইবার নয়. বরং বারো থেকে চোদ্দ বারেরও বেশি. দু হাজার একুশ সালের অক্টোবরে সংখ্যাটি দাঁড়ায় দিনে নব্বই বারেরও বেশি. এর মাধ্যমে তাইওয়ানকে চীন এটাই বোঝাতে চেয়েছে. ইউ উইল বি আওয়ার্স. তার প্রতি উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রেও তাইওয়ান প্রণালীতে গাইড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করে যা এই অঞ্চলের অস্থিরতাকে আরো বাড়িয়ে তোলে.
তাহলে এবার আসা যাক পরের প্রশ্নে. বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে. তাইওয়ান কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? প্রথমে দেখা যাক ভৌগোলিক বাস্তবতা পিত সাগর, পূর্ব চীন সাগর এবং দক্ষিণ চীন সাগরের অববাহিকা ঘেঁষে রয়েছে চায়নার চোদ্দ হাজার পাঁচশো কিলোমিটারের সমুদ্রসীমা. এই সমুদ্রসীমা ধরে গড়ে উঠেছে হংকং, সেনসিং, নিংপো, সাংহাই , থিনচিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র. দল চায়নার রপ্তানিমুখী অর্থনীতি এবং গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন কে সম্মুনত রাখার জন্য এই সমুদ্র বন্দরগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম.
এই সমুদ্র বন্দরগুলোর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে চায়না কখনোই চাইবে না. এখানে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য কোনোভাবেই বৃদ্ধি পান. প্রশান্ত মহাসাগর থেকে পিঠ সাগর, পূর্ব চীন সাগর এবং দক্ষিণ চীন সাগরকে আলাদা করে রয়েছে অনেকগুলো ছোট, বড়, উপদীপ এবং দ্বীপ এই দ্বীপ শৃঙ্খলের মধ্যে জাপানিস দীপপুঞ্জ, রিও কিউ দ্বীপপুঞ্জ, তাইওয়ার, সিলিপিন, বর্ণীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জ অন্যতম চীনের দুর্ভাগ্য যে এই সবগুলো দ্বীপই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র এবং প্রভাব বলয়ের মধ্যে. এই দিকগুলো ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, প্রশান্ত মহাসাগরের ওপার থেকেও তাদের শক্তিমত্তা দেখাতে পারে. ভবিষ্যতে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে আমেরিকার নৌবাহিনী চাইলেই প্রণালী গুলো ব্লক করে দিতে পারে. যার ফলে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে চীন. যা হতে পারে চায়নার অর্থনীতির জন্য একটা বিরাট হুমকি. তাই চায়না যদি তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তাহলে পুরো প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল তাদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে. তাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দায়ওয়ান একটি গুরুত্বপূর্ণ তা ছাড়া চীনের মূল বাণিজ্য যেহেতু দক্ষিণ চীন সাগর ও মালাকা প্রণালীকে কেন্দ্র করে এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প শুরু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে তাই যুক্তরাষ্ট্র চাইবে এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার চোখ রাখি অর্থনৈতিক গুরুত্বগুলোর দিকে। তাইওয়ানের আর একটি বিষয় হচ্ছে তার বিশাল আকারের অর্থনীতি, তাইওয়ান হচ্ছে একুশ শতকের সবচেয়ে ধনী দ্বীপ, যার জিডিপি প্রায় সাতশো-পঁচাশি বিলিয়ন ডলার। মাইক্রোচিপ বা সেমি কন্ডাক্টর টেকনোলজির উৎপাদনে তাইওয়ান বিশ্বের প্রথম.
বিশ্বের প্রায় বিরানব্বই শতাংশ মাইক্রোচিপ. তাইওয়ান উৎপাদন করে. যা মোটামুটি বেশিরভাগ দেশের স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার যুদ্ধ সমরাষ্ট্র এয়ারক্রাফট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়. তাদের উৎপাদিত মাইক্রোচিপে নির্ভর করতে হয় চায়না এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেক কোম্পানিগুলোকে. ইন্টেল, অ্যাপেল , এমডি কোম্পানিগুলো তাইওয়ানে উৎপাদিত মাইক্রোচিপের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল. তাইওয়ানে মাইক্রো চিপ বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে তাইওয়ান সেমি কন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নামে একটা প্রতিষ্ঠান. যার ব্যবসার আকার পাঁচশো চল্লিশ বিলিয়ন ডলার. যা অনেক দেশের জিডিপির তুলনায় অনেক বেশি. চীন তাইওয়ান দখল করলে চিপ উৎপাদন চীনের দখলে চলে যাবে যা যুক্তরাষ্ট্র কখনোই হতে দিতে চাইবে না. এখন আসি আজকের শেষ প্রশ্নে. যদি তাই মানে চীন সামরিক হস্তক্ষেপ করে তাহলে আমেরিকাও সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে নাকি ইউক্রেন ইস্যুর মতো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বসে থাকবে.
যুক্তরাষ্ট্র পুরো বিশ্বের রাজনীতি দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করে. প্রথমটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল বা সরাসরি হস্তক্ষেপ আর দ্বিতীয়টি পেরিফেরাল কন্ট্রোল বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপ. যেমন এখন যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি পরোক্ষভাবে ও প্রতিনিধির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে. ওই প্রতিনিধিরাই সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ হাসিল করে. যেমন আফ্রিকায় তাদের প্রতিনিধি মিশর ও মরোক্কো আর মধ্যপ্রাচ্যে ইজরাইল. যুক্তরাষ্ট্রের এখন প্রধান প্রতিযোগী যেহেতু চীন. তাই যুক্তরাষ্ট্রের আগামী কয়েক দশকের রাজনীতি চীন তথা এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে এটা বলাই যায়. সেই জন্য যুক্তরাষ্ট্র মনোযোগ এখন এই অঞ্চলে. যেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশগ্রহণ করবে সেই ক্ষেত্রে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আসলেই সিরিয়াস. এটা বলার কিন্তু কোনই অপেক্ষা রাখে না. ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও তাইওয়ানের বেলায় সেই সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর আর একটি বিশ্বযুদ্ধ দেখবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। একুশ শতকে এসেও সামরিক হস্তক্ষেপ অস্বাভাবিক কিছু নয় তা আমরা রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধে দেখতে পেয়েছি। যুদ্ধে যে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে এটা সকলেই নিশ্চিত. যুদ্ধের পর কোন ধরনের বিশ্ব ব্যবস্থা আমরা দেখব, সেই আলোচনা না হয় আরেকদিন হবে.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন