সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

চায়না কি আসলেই যুদ্ধ চায় না ? তাইওয়ান তাহলে কার ? তাইওয়ান কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকার এবং চায়নার জন্য ?

  চীন বিপদ নিয়ে খেলছে. চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে দ্বীপটি রক্ষার জন্য আমেরিকার সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে. তেইশে মে টোকিওতে কোয়ার্ড নেতাদের সাথে বৈঠক কালে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন. চীন ও কিন্তু বসে নেই. বেজিং এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন জোর দিয়ে বলেছেন তাইওয়ান, চীনের মূল ভূখণ্ডের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ. সেখানে কোনরকম আপস বা ছারের কোন সুযোগ নেই. তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে উৎসাহ দেওয়াটা হবে আগুন নিয়ে খেলারই নামান্তর। দু হাজার একুশ সালে এমনটাই বলেছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং। বিষয়টা যদি এইরকম বাক যুদ্ধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর তেমন কিছুই থাকতো না চাইনা সংবিধানে অ্যান্টি অ্যাসোসিয়েশন ল নামে তাইওয়ানকে নিয়ে একটি আইনও রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে তাইওয়ান যদি চীনের সাথে একত্রিত না হয় তাহলে সাংবিধানিকভাবে চীন তাইওয়ানে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য । অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মনে করেন যদি আগামীতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের  মধ্যে কোনো যুদ্ধ বেঁধে যায় তাহলে তাইওয়ান হবে সেই যুদ্ধের ফ্ল্যাশ পয়েন্ট । প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাইওয়ান হঠাৎ এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো কেন ? কেনই বা যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন তাইওয়ান প্রশ্নে এক চুলও আপস করতে রাজি নয়? 



 চলুন একটু আগে থেকে শুরু করি সময়টা ঊনিশশো বারো সালের ফেব্রুয়ারি মাস চীনে চলমান দীর্ঘ দুই হাজার বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে দেশটি আত্মপ্রকাশ করে চীন প্রজাতন্ত্র বা রিপাবলিক অফ চায়না হিসেবে । উনিশশো-উনিশ সালের প্রতিষ্ঠাতা পায় চাইনিজ ন্যাশনাল পার্টি নামে চীনের প্রথম রাজনৈতিক দল. এই দলটির প্রধান ছিলেন জেনারেল সিয়াঙ্কাই শেখ. উনিশশো-একুশ সালের প্রতিষ্ঠা পায় চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি যার প্রধান ছিলেন মাও সেতুং। উনিশশো সাতাশ সাল থেকে শুরু হয় খেলা. ন্যাশনালিস্ট পার্টির জিয়াঙ্কাই শেখ কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে. ন্যাশনালাইজ পার্টিকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র. অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টিকে সহায়তা করে সোভিয়েত ইউনিয়ন. শুরু হয় গৃহযুদ্ধ. উনিশশো সাঁইত্রিশ সালে চীনের চলমান অরাজকতার সুযোগে জাপান চীনকে আক্রমণ করে বসে.


 জাপানকে মোকাবিলা করতে দুই পার্টি সাময়িক দ্বন্দ্ব ভুলে একত্রিত হয়. উনিশশো পঁয়তাল্লিশ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর পনেরোই আগস্ট চীন, জাপান যুদ্ধ শেষ হয়. যুদ্ধ শেষে সোভিয়েত রাশিয়ার নেতা স্টালিনের সহায়তায় মাও সেতুং। ও তার কমিউনিস্ট দল শক্তিশালী হয়ে ওঠে চিয়াং কাইশের ন্যাশনালিস্ট দলের উপর চলে দমন, পীড়ন, আরো অনেক কিছু. ফলশ্রুতিতে উনিশশো ঊনপঞ্চাশ সালে চিয়াঙ্কাইশেতা দলের বিপুল সংখ্যক নেতা চীনের মূল ভূখণ্ড ছেড়ে তাইওয়ানে আশ্রয় নেন.


 চিয়াঙ্কাই শেখের নেতৃত্বে তাইওয়ান আত্মপ্রকাশ করে রিপাবলিক অফ চায়না নামের একটি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে. অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টি দখল করে নিয়েছিল চায়নার মূল ভূখণ্ড যার নাম দেওয়া হয় দা পিপল  রিপাবলিক অফ চায়না.


 অর্থাৎ উনিশশো ঊনপঞ্চাশ সালে চীন বলে দুটো রাষ্ট্রের উত্থান হয়. আপনি শুনলে আশ্চর্য হবেন একটা সময় জাতিসঙ্গে চীন বলতে. তাইওয়ানকেই বোঝানো হতো. যেহেতু প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল তাইওয়ানের দিকে।


 কিন্তু উনিশশো একাত্তর সালে the peoples republic of China জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য লাভের পর সদস্য হিসেবে তাইওয়ান তার সদস্য পদ হারায়. এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাইবান ইস্যুতে তাইবান চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা আসলে কি?



 যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি. যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে. এখন যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে চীন যেন তাইওয়ানকে একা ছেড়ে দেয়. আমেরিকায় একটি আইনও রয়েছে যে আইনে তাইওয়ানকে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমাদের দেওয়ার বিধান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এটা খুব স্পষ্ট. যুক্তরাষ্ট্র একদিকে তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিও দিচ্ছে না. আবার তাইওয়ানে চীনের হস্তক্ষেপও মেনে নিচ্ছে না. তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে আখ্যায়িত করা হয় strategic ambiguity বা কৌশলগত ধোঁয়াশা হিসেবে.



 কৌশলগত ধোঁয়াশার প্রধান তাৎপর্যটি হচ্ছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষার ব্যাপারে আমেরিকা কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না কিন্তু তারা যে তা করবে না তাও তারা বলছে না. এর একটা উদ্দেশ্য হলো চীনকে অনুমান নির্ভর করে রাখা. আশির দশকে তাইওয়ান প্রশ্নে চীন উদগ্রীব থাকলেও নব্বইয়ের দশকে এসে এই ইস্যুতে তারা কিন্তু চুপচাপই ছিল বলা যায়  । কারণ ততদিনে এক মেরুর বিশ্বব্যাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে তাছাড়া ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কাল থেকেই তাইবান প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্র এয়ারক্রাফট কেরিয়ার গাইডেড মিসাইল ক্রুজারের মতো ভারী  সরঞ্জাম দিয়ে মহড়া চালিয়ে আসছিল। কিন্তু চীন এখন আর আশি বা নব্বইয়ের দশকের সেই চীন নেই। চীন এখন সি জিনপিংয়ের তৃতীয় বিপ্লব যুগে প্রবেশ করেছে। চীন হয়ে উঠেছে বর্তমান ভূরাজনৈতিক সমীকরণের গেম changer। বর্তমানে অর্থনীতির দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। উনিশ শতক থেকে আজ পর্যন্ত চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র একবারও হয়নি। তাছাড়া চায়না রয়েছে বিশাল সেনাবাহিনী যেখানে সব সময় কর্মরত থাকে নয় লক্ষ পনেরো হাজার সৈনিক।


 তা ছাড়া রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির missile, tank, helicopter, সাবমেরিন, যুদ্ধ জাহাজ. যার মাধ্যমে চীন, যে কারো সাথেই চোখ গরম করার সক্ষমতা রাখে. তাইওয়ান ইস্যুতে চায়না এখন আগের চেয়ে আরো বেশি কঠোর. অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকের মতে তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করায় চীনের প্রধান স্ট্র্যাটেজিক প্রায়োরিটি আর মাত্র সাতাশ বছর অর্থাৎ দুহাজার ঊনপঞ্চাশ সালে চীনের শতবর্ষ পূরণ হবে তার আগেই তাইওয়ানকে চীনের সাথে একিভূত করতে চায় সিজন পিং।


 তাই আর কি মাদারল্যান্ডের সাথে একিভুত করার পরিকল্পনাকে বলা হচ্ছে চীনের নেশনস রিজিউবিনেশন. বর্তমান প্রেক্ষাপটে আলোচিত চীনতায়ওয়ান, অস্থিরতা, নতুন মাত্রা পায় দু হাজার একুশ সালের প্রথম দিকে. তখন থেকেই চায়নার এয়ারক্রাফট নিয়মিত বিরতিতে কোন ধরনের অনুমতি ছায়ারাই তাইওয়ানের আকাশ সীমা  বা এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন অতিক্রম করতে থাকে. দিনে এক থেকে দুইবার নয়. বরং বারো থেকে চোদ্দ বারেরও বেশি. দু হাজার একুশ সালের অক্টোবরে সংখ্যাটি দাঁড়ায় দিনে নব্বই বারেরও বেশি. এর মাধ্যমে তাইওয়ানকে চীন এটাই বোঝাতে চেয়েছে. ইউ উইল বি আওয়ার্স. তার প্রতি উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রেও তাইওয়ান প্রণালীতে গাইড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করে যা এই অঞ্চলের অস্থিরতাকে আরো বাড়িয়ে তোলে. 



তাহলে এবার আসা যাক পরের প্রশ্নে. বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে. তাইওয়ান কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?  প্রথমে দেখা যাক ভৌগোলিক বাস্তবতা পিত সাগর, পূর্ব চীন সাগর এবং দক্ষিণ চীন সাগরের অববাহিকা ঘেঁষে রয়েছে চায়নার চোদ্দ হাজার পাঁচশো কিলোমিটারের সমুদ্রসীমা. এই সমুদ্রসীমা ধরে গড়ে উঠেছে হংকং, সেনসিং, নিংপো, সাংহাই , থিনচিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র. দল চায়নার রপ্তানিমুখী অর্থনীতি এবং গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন কে সম্মুনত রাখার জন্য এই সমুদ্র বন্দরগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম.



এই সমুদ্র বন্দরগুলোর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে চায়না কখনোই চাইবে না. এখানে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য কোনোভাবেই বৃদ্ধি পান. প্রশান্ত মহাসাগর থেকে পিঠ সাগর, পূর্ব চীন সাগর এবং দক্ষিণ চীন সাগরকে আলাদা করে রয়েছে অনেকগুলো ছোট, বড়, উপদীপ এবং দ্বীপ এই দ্বীপ শৃঙ্খলের মধ্যে জাপানিস দীপপুঞ্জ, রিও কিউ দ্বীপপুঞ্জ, তাইওয়ার, সিলিপিন, বর্ণীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জ অন্যতম চীনের দুর্ভাগ্য যে এই সবগুলো দ্বীপই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র এবং প্রভাব বলয়ের মধ্যে. এই দিকগুলো ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, প্রশান্ত মহাসাগরের ওপার থেকেও তাদের শক্তিমত্তা দেখাতে পারে. ভবিষ্যতে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে আমেরিকার নৌবাহিনী চাইলেই প্রণালী গুলো ব্লক করে দিতে পারে. যার ফলে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে চীন. যা হতে পারে চায়নার অর্থনীতির জন্য একটা বিরাট হুমকি. তাই চায়না যদি তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তাহলে পুরো প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল তাদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে. তাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দায়ওয়ান একটি গুরুত্বপূর্ণ তা ছাড়া চীনের মূল বাণিজ্য যেহেতু দক্ষিণ চীন সাগর ও মালাকা প্রণালীকে কেন্দ্র করে এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প শুরু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে তাই যুক্তরাষ্ট্র চাইবে এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার চোখ রাখি অর্থনৈতিক গুরুত্বগুলোর দিকে। তাইওয়ানের আর একটি বিষয় হচ্ছে তার বিশাল আকারের অর্থনীতি, তাইওয়ান হচ্ছে একুশ শতকের সবচেয়ে ধনী দ্বীপ, যার জিডিপি প্রায় সাতশো-পঁচাশি বিলিয়ন ডলার। মাইক্রোচিপ বা সেমি কন্ডাক্টর টেকনোলজির উৎপাদনে তাইওয়ান বিশ্বের প্রথম.


 বিশ্বের প্রায় বিরানব্বই শতাংশ মাইক্রোচিপ. তাইওয়ান উৎপাদন করে. যা মোটামুটি বেশিরভাগ দেশের স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার যুদ্ধ সমরাষ্ট্র এয়ারক্রাফট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়. তাদের উৎপাদিত মাইক্রোচিপে নির্ভর করতে হয় চায়না এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেক কোম্পানিগুলোকে. ইন্টেল, অ্যাপেল , এমডি কোম্পানিগুলো তাইওয়ানে উৎপাদিত মাইক্রোচিপের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল. তাইওয়ানে মাইক্রো চিপ বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে তাইওয়ান সেমি কন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নামে একটা প্রতিষ্ঠান. যার ব্যবসার আকার পাঁচশো চল্লিশ বিলিয়ন ডলার. যা অনেক দেশের জিডিপির তুলনায় অনেক বেশি. চীন তাইওয়ান দখল করলে চিপ উৎপাদন চীনের দখলে চলে যাবে যা যুক্তরাষ্ট্র কখনোই হতে দিতে চাইবে না. এখন আসি আজকের শেষ প্রশ্নে. যদি তাই মানে চীন সামরিক হস্তক্ষেপ করে তাহলে আমেরিকাও সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে নাকি ইউক্রেন ইস্যুর মতো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বসে থাকবে.

 যুক্তরাষ্ট্র পুরো বিশ্বের রাজনীতি দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করে. প্রথমটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল বা সরাসরি হস্তক্ষেপ আর দ্বিতীয়টি পেরিফেরাল কন্ট্রোল বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপ. যেমন এখন যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি পরোক্ষভাবে ও প্রতিনিধির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে. ওই প্রতিনিধিরাই সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ হাসিল করে. যেমন আফ্রিকায় তাদের প্রতিনিধি মিশর ও মরোক্কো আর মধ্যপ্রাচ্যে ইজরাইল. যুক্তরাষ্ট্রের এখন প্রধান প্রতিযোগী যেহেতু চীন. তাই যুক্তরাষ্ট্রের আগামী কয়েক দশকের রাজনীতি চীন তথা এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে এটা বলাই যায়. সেই জন্য যুক্তরাষ্ট্র মনোযোগ এখন এই অঞ্চলে. যেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশগ্রহণ করবে সেই ক্ষেত্রে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আসলেই সিরিয়াস. এটা বলার কিন্তু কোনই অপেক্ষা রাখে না. ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও তাইওয়ানের বেলায় সেই সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর আর একটি বিশ্বযুদ্ধ দেখবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। একুশ শতকে এসেও সামরিক হস্তক্ষেপ অস্বাভাবিক কিছু নয় তা আমরা রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধে দেখতে পেয়েছি।  যুদ্ধে যে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে এটা সকলেই নিশ্চিত. যুদ্ধের পর কোন ধরনের বিশ্ব ব্যবস্থা আমরা দেখব, সেই আলোচনা না হয় আরেকদিন হবে.   

 

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

মানসিকতার কয় টা দিক ? Personalities theory কী ?

     আপনি মানুষের সামনে খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নিল. আহ মানুষটা কি ভিল দরিয়া? মানুষটা খুব মিশুক. এক্সট্রোভার্ট।   কিন্তু আপনি আসলে ভেতরে ভেতরে উপলব্ধি করেন মানুষ আপনাকে যা ভাবে তা আপনি নন মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন।  কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয় । আপনি আসলে নিজের ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন নিজস্ব সার্কেলে । কিন্তু এমন কিন্তু এমনটা কেন? কিছু মানুষের ভেতরে দৈত সত্তা খুব বেশি কাজ করে. মনের ভেতর আর বাইরের উপস্থাপনার একটা দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে. মানুষ আপনাকে যতটা introvert ভাবে মনে করে. কি ভাব? আপনি তেমন নাও হতে পারেন । আপনিও জোৎস্ই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে এক্সপ্রেস করতে পারেন । এই যে দইতো একটা বৈচিত্র নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে এটাকে তাহলে কি বলা যাবে? এই ধরণের মানুষগুলো আসলে এক্সট্রোভার্ট  আবার পুরোপুরি ইন্ট্রোভার্ট ও না ।  তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকে. এই মানুষগুলোকে বলা হয় হ্যান্ডবিভার. মজার ব্যাপার হল প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে এক্সট্রোভার্টরা সেলস কমিউনিকেশানে খুব ভালো হয়. কিন্তু গবেষণায়...

এরিয়া ফিফটি one কি ?

এরিয়া ফিফটি ওয়ান  এটা এক অচেনা জগৎ. এখানে না আছে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক, না আছে কোনো সুইট সাইন. নেই পিচ ছাড়া রাস্তা বা প্রাণের খুব একটা স্পন্দন। এমনকি বাইরের বিশ্বের সংস্কৃতি এবং সমাজের সামান্যতম বিস্তরণও নেই এখানে। এই নিরীহ নির্মম গোপন রহস্য আসলে কি তা জানার সুযোগ হয়েছে বলা চলে খুবই কম । কখনো কখনো বলা হয় এটা এলিয়ান গবেষণাগার. ইউএফও বা আন আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্স নিয়েও নাকি প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে. অনেকে ধারণা করেন যে একবারই স্থানে ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না. বাইরের মানুষের কাছে একটা মিথ হয়ে রয়ে গেছে এই অঞ্চল. অন্তত এখনো পর্যন্ত. বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও সবচেয়ে রহস্যময় এলাকা এটি. নাম এরিয়া ফিফটি ওয়ান. শুরু থেকেই গোপনীয়তার দুর্ভেদ্য চাদরে মোড়ানো বলে এরিয়া ফিফটি ওয়ান নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে দিনকে দিন । জমাট বাঁধা এই রহস্য থেকেই কালক্রমে জন্ম নিয়েছে বেশ কিছু কন্সপিরেসি থিওরি ।  আমেরিকার নেভা স্টেটের দক্ষিণে লাস ভেগাস থেকে একশো পঞ্চাশ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পাহাড় গেরা মরুভূমির মধ্যে ঊনত্রিশ লক্ষ একর জায়গা জুড়ে আছে কুখ্যাত এবং বিদ্রুপজনক...

শিক্ষা শ্রম কি ? কিভাবে বের হতে পারা যায় এই অসুস্থ জগৎ থেকে ?

     এইতো কয়েকদিন আগের কথা. বিশ্বসেরা all rounder সাকিব আল হাসান সাংবাদিক উৎপল সুটের কাছে একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন. পঞ্চপাণ্ডব  সহ আরো কিছু বিষয় সোজাসাপ্টা মন্তব্যের কারণে সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বেশ বিতর্ক হলো কিন্তু ক্রিকেট ও আলোচনা বা বিতর্কিত আলাপের বাইরেও সাকিব সেই সাক্ষাৎকারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছিলেন যেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হয়নি । পরিবার আমেরিকাতেই স্থায়ী হবে এমন আভাস দিয়ে সাকিব বলেছিলেন বাংলাদেশে থাকার সময় স্কুলে যাওয়ার আগে আমার বড় মেয়ে অ্যালাইনা ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন কাঁদতো. অথচ আমেরিকায় এক ডাক দেওয়ার আগেই নিজে উঠে চোখ বন্ধ করে নিজে ব্রাশ করে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে যায়. এর থেকে ভালো আমার জন্য আর কি হতে পারে?  সাকিব কেন নিজেকে একমাত্র পাণ্ডব বলে দাবি করেছেন সাকিবের বক্তব্যে অন্যান্য সিনিয়র প্লেয়ারদের অসম্মান করা হয়েছে কিনা এসবের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কিন্তু এই কয়েকটা লাইনে লুকিয়ে আছে । স্কুল জায়গাটা কেন পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সের একটা বাচ্চা মেয়ের কাছে বিভীষিকার নাম হয়ে উঠবে.  এই গল্পটা শুধু এলাইনার নয়. এ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্কিল না সার্টিফিকেট? সার্টিফিকেটের দিন কি তাহলে শেষ হয়ে এল ? দেশে এত বেকার কেন ?

  একদিকে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে. অন্যদিকে চাকরিদাতারা বলছেন যোগ্য লোকের অভাব. আসলে বিষয়টা কি?  বেকার সমস্যা. বিশাল জনগোষ্ঠী, দেশ, বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুতর একটা সমস্যা. সমস্যাটা আরো গুরুতর যখন এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যাই বেশি. বিআইডিএস এর এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বেকারত্বের হার চৌত্রিশ শতাংশ এবং স্নাতক পর্যায়ে এই হার সাইত্রিশ শতাংশ যুক্ত রাজ্যের প্রভাবশালী সময় কিনা ইকোনমিস্টের কলামেও বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশের সাতচল্লিশ শতাংশ স্নাতকই বেকার. অর্থাৎ প্রতিবছর যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সহ উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সারে তিন লাখ মানুষও বের হয় তবে তাদের প্রায় অর্ধেকই থেকে যাবে কর্মহীন।   কেন এত এত বিএসসি, এমএসসি, বিবিএ, এমবিএ, বিএ, এমএস সার্টিফিকেটধারী উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণী দিন শেষে বেকার থেকে যাচ্ছে হ্যাঁ এটা সত্য যে চাকরি প্রত্যাশীদের বিপরীতে যথেষ্ট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই. কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষিতদের অনেকেই যখন বেকার তখন প্...

চীন কে ঠেকাতে আমেরিকার মহা পরিকল্পনা ? ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক কি ?

  ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক ফর পোস্ট প্রায়োরিটি বা সংক্ষেপে আইপিডিএফ অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক উদ্যোগ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পলিটিক্যাল ইকোনমিক বাজারে এই ধারণাটা খুব জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে ।  জাপানে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক নামে নতুন এই অর্থনৈতিক উয্যোগের ঘোষণার সময় জো বাইডেন খুব জোরে স্বরেই বললেন আমরা এর মাধ্যমে একুশ শতকের অর্থনীতির নতুন ধারা রচনা করতে যাচ্ছি ।  প্রশ্ন হচ্ছে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক  বিষয়টা কি?  আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া প্রয়োজন এটা খুব নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় এই অর্থনৈতিক উদ্যোগের কর্ণধার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র । তাই পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের ইন্ডো প্যাসিফিক অঞ্চল এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বুঝতে হবে.  প্রথমত বোঝা দরকার বৈশিক রাজনীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবটা কি? যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে সুপার পাওয়ার হিসেবে দেখতে চায়.  মার্কিনীরা সবসময় চেষ্টা করে তার চেয়ে শক্তিশালী দেশের উত্থ...

দেযা ভু এফেক্ট কি ?

আচ্ছা এমনটা হয়েছে যে একদম নতুন কোনো জায়গায় প্রবল বৃষ্টিতে একটা ছাউনিতে আপনি আশ্রয় নিয়েছেন অথবা ধরুন কোথাও ট্যুরে গিয়ে আপনি আয়েশ করে বসে চা হাতে নিয়ে বই পড়ছেন । হঠাৎ আপনার মনে হলো এই জায়গায় আপনি আগেও ঠিক একইভাবে আটকে ছিলেন বৃষ্টিতে বা একই জায়গায় বসে চা হাতে বই পড়ছিলেন । অথচ বাস্তবে আপনি আগে কখনো এমন কিছু করেছেন বলে কিছুতেই মনে পড়ছে না কিন্তু ঘটনাগুলো এতটাই পরিচিত যে আপনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন মনে করার জন্য। হ্যাঁ এটাই দেযা ভু এফেক্ট ।  দেযা ভু এফেক্ট আমাদের সবার সাথেই কম বেশি হরহামেশাই ঘটে থাকে । ফরাসি এই শব্দের প্রথম প্রবর্তন করেন দার্শনিক এমএল বোরাক । যার অর্থ ইতিপূর্বে ঘটে গিয়েছে । এটি এমন একটি অনুভূতি যা থেকে মনে হতে পারে বর্তমানে ঘটতে থাকা কোন ঘটনা এর আগেও একই ভাবে অতীতে ঘটেছে। গবেষকদের মতে মোট জনসংখ্যার প্রায় সত্তর শতাংশের সাথে দেযা ভু এফেক্ট নিয়মিত ঘটে। অন্যান্য বয়সের তুলনায় পনেরো থেকে পঁচিশ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে সবচেয়ে বেশি। না, এটি কোন রোগ নয় । একদম সুস্থ মানুষের সাথেও নিয়মিত এমন অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে যারা অনেক বেশি ভ্রমণ করেন...

চীন কিভাবে সুপার পাওয়ার হয়ে উঠল ? চীন কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতির জায়ান্ট হল ?

   সালটা উনিশশো আটানব্বই. বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সদস্য পদের জন্য আবেদন করে চীন।  তাদের জন্য বিষয়টা ঠিক এতটা সহজ ছিল না।  কারণ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ তখন চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়. এর অবশ্য কারণও ছিল. চীনা কোম্পানিগুলো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের রিপ্লিকা ছাড়া আর কিছুই নয় বা নকলপূর্ণ বানায় এই বদনামে ছেয়ে গেছে তখন চারিদিক. চীন সরকার এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয় না.  সেই সময় চীনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেই দেশগুলোর রাগ ভাঙিয়েছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিটন কিন্তু ক্লিটন যদি জানতেন বছর বিশেকের মধ্যেই বৈশিক অর্থনীতিতে তার দেশকে পেছনে ফেলে সুপার জায়ান্ট হবার দূরে এগিয়ে যাবে চীন। এই কাজটা হয়তো তিনি করতেন না কখনো. সেই সময় আমেরিকার অর্থনীতি ছিল নয় ট্রিলিয়ন ডলারের. আর চীনের অর্থনীতির মূল্যবান ছিল মাত্র এক ট্রিলিয়ন ডলার. নয় গুণ পিছিয়ে থাকা একটা দেশের সঙ্গে কোন প্রতিযোগিতাই নেই. এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন ক্লিটন। কিন্তু সেটা যে কত বড় ভুল ধারণা ছিল. সেটা এখন আমেরিকানরা জানে হাড়ে হাড়ে. ছোট্ট একটা ডেটা দিয়ে শুরু করা যাক. দু হাজার বিশ সা...

বাংলাদেশ কি তবে শ্রীলংকা হতে যাচ্ছে ? বাংলাদেশ কি তাহলে দেউলিয়া হবার পথে ?

শ্রীলংকার সরকার অবশেষে জানিয়ে দিয়েছে বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা তাদের নেই অর্থাৎ নিজেদের দেউলিয়া হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হলো দেশটি । এটা অবশ্য বোঝাই যাচ্ছিলো গত কয়েকদিনের প্রেক্ষাপট দেখে ধারণা করা যাচ্ছিলো দেউলিয়া ঘোষণা করা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই শ্রীলংকার সামনে । তবে শ্রীলঙ্কার এই দুরাবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেকেই বেশ চিন্তিত। বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত হওয়াটা শ্রীলংকার আজকের অবস্থার একটা বড়ো কারণ। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে বাংলাদেশকেও প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিতে হচ্ছে. এখানে দুর্নীতি আছে আছে মুদ্রাস্ফীতি , জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে. আর তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক আছে. আজ থেকে কয়েক বছর পর বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মতো হবে না তো? তার আগে আমরা ব্যাখ্যা করবো শ্রীলঙ্কার বর্তমান দুরাবস্থার কারণগুলো নিয়ে. জটিল কোনো রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক আলোচনা নয়. খুব সাদামাটা ভাবে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করবো পুরো বিষয়টি. তাহলে শুরু করা যাক.  শ্রীলঙ্কায় গত কিছুদিন ধরেই জ্বালানি তেলের সংকট চলছে দারুণভাবে. রান্নার গ্যাসের অভাব. ভ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...