সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রুশ মার্কিন মহাকাশ বিবাদ ।

  . স্পেস স্টেশন ! মহাশূন্যের ওপরে অদ্ভুত এক দুনিয়া পত্র পত্রিকা বা টেলিভিশনের খবরে এই বস্তুর খবর শুনে বা পড়ে থাকলেও মহাকাশ স্টেশন সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই. তবে একটা আলাপ হয়তো ইদানিং অনেকের কানেই এসেছে. ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে স্পেস স্টেশনের বাকি অংশীদার দেশগুলোর বিশেষ করে আমেরিকার দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে.


 রাশিয়া ইতিমধ্যেই এই স্পেস স্টেশন প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে নিজেদের আলাদা স্পেস স্টেশন বানানোর কথা ভাবছে. কাজেই শঙ্কায় পড়েছে বর্তমান স্পেস স্টেশনের ভবিষ্যৎ. পৃথিবীর বাইরের মানুষের নির্মিত সবচেয়ে বড় স্থাপনাটির ভাগ্যে. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অনুসন্ধান, গবেষণা বা অন্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে মহাকাশে space craft বা মহাকাশযান পাঠায়. সেগুলো নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করে আবার ফিরে আসে পৃথিবীর মাটিতে. স্পেস স্টেশন হচ্ছে পৃথিবী থেকে দুশো পঞ্চাশ মাইল উপরে অবস্থিত বিশাল আকারে মহাকাশযান. এটি প্রতিদিন প্রায় ষোলোবার পৃথিবীর চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে চলেছে. এই স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হলো মহাকাশ বিষয়ক গবেষণাকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করা. ভবিষ্যতে মহাকাশে মানুষের অভিযান, মাইক্রো গ্রাভিটি, মহাকাশে জীবের টিকে থাকা ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করা হয় এখানে. আর এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন বা সংক্ষেপে. আইএসএস।





 বিশ্বের ষোলটি দেশের বাঘা বাঘা পাঁচটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যৌথভাবে এই সমন্বিত প্রকল্পটি তৈরি করে. এই পাঁচটি সংস্থা হচ্ছে রাশিয়ার রুশ মহাকাশ সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা, জাপানের মহাকাশ অনুসন্ধান সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এবং কানাডার কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি. দু হাজার সাল থেকে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আইএসএস এ কাজ করছেন. এদের অধিকাংশই মার্কিন এবং রুশ বিজ্ঞানী. বিগত দশ বছর ধরে রাশিয়ার স্পেস ক্যাপসুল এই স্টেশনে বিজ্ঞানীদের এবং রসদ আনা নেওয়ার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে. এছাড়া মহাকাশে আইএসএসের অবস্থান এবং দিক নির্দেশনা ঠিক রাখতে রাশিয়ার উপর নির্ভর করেন নাসা. এটা থেকে প্রমাণিত হয় যে পৃথিবীতে অন্যকে থোড়াই care করলেও অন্তত মহাকাশে পরশক্তি গুলো বিশেষ করে রাশিয় ও আমেরিকা একে অন্যের উপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল। মহাকাশ থেকে এবার মর্তে ফিরে আসি চব্বিশ ফেব্রুয়ারী দু হাজার বাইশ ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ভোরবেলা রুশবাহিনী ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করে. ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্র দেশগুলো. পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার ওপর আরোপিত সাম্প্রতিক অবরোধ নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পে অংশ নেওয়া দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দেয় রাশিয়া. এখন রাশিয়া যদি তাদের নভোচারীদের ফিরিয়ে নিয়ে এসে নিজেদের স্পেস ক্র্যাপ সৈয়সকে অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখে. তাদের হয়তো বা তেমন কোনো ক্ষতি নেই. কিন্তু এর ফলে নিঃসন্দেহে অন্যান্য দেশের নভোচারীদের জীবন ও গবেষণায়  নেতিবাচক প্রভাব পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে. Iss প্রকল্পের সঙ্গে রাশিয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করার তারিখ খুব শিগগিরই ঘোষণার কথা জানিয়েছে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান দিবেন্দ্র রুবি সিং. এছাড়া রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছাড়া মহাকাশ স্টেশনটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি. রাশিয়া যদি সহযোগিতা বন্ধ করে দেয় তাহলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ভবিষ্যৎ কি এটা নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন.




 একটা সময় ছিল যখন মহাকাশ স্টেশনের কথা সাইন্স ফিকশনের গল্পে ঠাঁই পেত কিন্তু সেটি বাস্তবে পরিণত হয় বিংশ শতকের একেবারে শেষ ভাগে এসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আলোচনা করতে গেলে যেই মানুষটার নাম সবার আগে উঠে আসে তিনি হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুনাল রিগান। উনিশশো চুরাশি সালের পঁচিশ জানুয়ারি তিনি নাসাকে বিভিন্ন দেশের সহযোগিতায় এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দশ বছরের মধ্যে একটি স্পেস স্টেশন নির্মাণ করার নির্দেশ দেন. উনিশশো ছিয়াশি সালে আমেরিকার স্পেস শার্টাল চ্যালেঞ্জের দুর্ঘটনায় সাত নভোচারীর মৃত্যু হয়. এই দুর্ঘটনার প্রায় সতেরো বছর পর আবারো নাসার সেই স্পেস সার্টেল প্রোগ্রামেরই মহাকাশযান কলম্বিয়ায় বিধ্বস্ত হয় দু-হাজার-তিন সালে. এই মহাকাশযানে থাকা সাতজন ক্রু মেম্বারই মৃত্যুবরণ করেন. এরপরই নাসা শুরু করে ঘটনার তদন্ত. দুই বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় স্পেস সার্টেল পাঠানো আর তখন থেকে এখন পর্যন্ত আইএসএসের রসদ ও ক্রু পাঠানোর একমাত্র মাধ্যম রাশিয়ার সৈউস।  দুহাজার সাল পর্যন্ত আইএসএস নভোচারীদের বসবাসের উপযোগী ছিল না । দুহাজার সাল পর্যন্ত জীবনধারণের নানা সুযোগ সুবিধা যুক্ত করে একে নবচারীদের বাসযোগ্য করা হয়েছে। দু হাজার সালের নভেম্বরের পর থেকে মহাকাশচারীরা নিয়মিতভাবে এখানে বসবাস করছেন। এই স্টেশনে সার্বক্ষণিকভাবে ছয় থেকে সাতজন নভোচারী অবস্থান করেন, তাদেরকে এখানে রাখার প্রধান উদ্দেশ্য হলো এমন সব গবেষণা করা যেগুলো শুধুমাত্র মহাশূন্যে বসেই করা সম্ভব।



 এই স্টেশনে কর্মরত প্রত্যেক মহাকাশচারি অবস্থানের সময়সীমা থাকে কমপক্ষে ছয় মাস কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে কাউকে প্রায় বছর খানেকও এখানে থাকতে হয়।      





 রুশ মহাকাশ সংস্থা এর চিফ এক ট্যুইট বার্তায় লেখেন যেহেতু আমেরিকা আমাদের স্পেস ইন্ডাস্ট্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাই তাদের উচিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার জন্য ট্রাম্প পোলিং ব্যবহার করা । পরবর্তীতে নাসা ঘোষণা দেয় যে তারা ক্রিমিয়া সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বাদে অন্য সব ক্ষেত্রে রাশিয়ার সাথে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ রাখবে। রুশ মহাকাশ সংস্থার চিফের টুইট বার্তাকে তৎকালীন নাসা চিফ খুব একটা সিরিয়াসলি নেননি। তার মতে তারা পৃথিবীর কোনো দ্বন্দ্বকে মহাকাশে নিয়ে যেতে রাজি নন ।তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তারা দু দেশের মধ্যকার স্পেস ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন কন্টিনিউ করবেন যা তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বকে নির্দেশ করে । সাম্প্রতিক ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে রুশ মার্কিন সম্পর্ক প্রায় তলানিতে পৌঁছেছে স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগে কখনোই এতটা খারাপ হইনি। কিন্তু এত কিছুর পরেও দুই পক্ষের মহাকাশে যে সহযোগিতা সম্পর্ক তা বজায় রয়েছে এখনো পর্যন্ত. রাশিয়া মার্কিন মহাকাশচারীদের মহাকাশে রেখে আসেনি. বরং সুইজে করে তাদেরকে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছে. এমনকি সম্প্রতি রাশিয়া মহাকাশে নতুন একদল রুশ নভোচারী পাঠিয়েছে. এ থেকে প্রমাণিত হয় যে এখনো পর্যন্ত সকল দেশের সহায়তায় আইএসএস ভালোভাবেই চলছে । পৃথিবীর ভূরাজনৈতিক যে সমস্যা তা এখনো পর্যন্ত অন্তত মহাকাশে পৌঁছায়নি.




 গত এক দশকে মহাকাশে নানান অজানা দিক জানানোর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছে । কিন্তু এটা সত্য যে এই স্টেশনটি এখন বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। এই স্টেশনে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতার যে চুক্তি রয়েছে তার মেয়াদ শেষ হবে দু হাজার চব্বিশ সালে । যদিও আমেরিকায় এটাকে দু হাজার ত্রিশ সাল পর্যন্ত বাড়াতে চায় । রাশিয়া এখনো এই ব্যাপারে কোনো সম্মতি দেয়নি এবং চুক্তিও স্বাক্ষর করেনি । যদি দুই দেশের চুক্তি স্বাক্ষর হয় ভবিষ্যতে স্পেস প্রোগ্রাম নিয়ে তাদের ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো আগামী দিনে নিজেদের মালিকানাধীন স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছে. এদিকে নাসা ও এইসব বেসরকারি স্পেস স্টেশনের ওপর নির্ভর করে কাজ করতে চায়. নাসা চাইছে অন্যান্য দেশের সহযোগিতায় আর্টিমিস প্রোগ্রাম তৈরি করতে. যেটার মাধ্যমে তারা আবারও চাঁদে মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারবে.


 পর তারা ধীরে ধীরে মঙ্গল গ্রহের জয়ের দিকে যাত্রা করতে চায়। কিন্তু আমেরিকার এই উদ্দেশ্যের সাথে দুটি দেশ এখনো একমত হয়নি ।কারণ তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে রাশিয়া বর্তমানে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরীর পরিকল্পনা করছে অন্যদিকে চীন এবছরের মধ্যেই তাদের নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে চায়. আমেরিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চাঁদের পৃষ্ঠে নিজেদের পতাকা স্থাপন করেছে চীন. যা অবশ্যই তাদের মহাকাশ জয়ের পথে নতুন এক মাইল ফলক.


 যদি দুহাজার-চব্বিশ সালের পর রাশিয়া আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অংশগ্রহণ না করে তখন নেভিগেশনসহ আইএসএসের যে সকল বিষয় বর্তমানে রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে তা হয়তো আমেরিকার ডিজাইন করতে হতে পারে আর এই কাজে আমেরিকাকে হয়তো এলন মাস্কের স্পেস এক্সের এর মত বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সহায়তা নিতেই হবে। স্পেস এক্সের তৈরি প্রথম ফ্যালকন ওয়ান নামক রকেট প্রথম চেষ্টায় অরবিটে পৌঁছতে সক্ষম হয়. এ যাবৎ স্পেস এক্স পরিচালিত মোট সাতাশিটি স্পেস মিশনের মধ্যে পঁচাশিটি মিশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে. দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটি নিজস্ব রকেটে মহাকাশে স্যাটেলাইট যাত্রী এবং কার্গো পরিবহনের কাজ সফলভাবে করে আসছে। দু হাজার বিশ সালে তাদের সফলভাবে সম্পন্ন করা মিশন রাশিয়ার সুইজের ওপরে নির্ভরশীলতা কমিয়েছে অনেকটাই। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সহযোগিতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন.



 ইউক্রেন সংকট হয়তো বা এই স্টেশনে সহযোগিতার পথ বন্ধ করে দেবে. কিংবা এই স্টেশনটি হয়তো বা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে. কিন্তু এটা আসলে পূর্বেই অনুমিত ছিল. এখন হয়তো এই সংকটের কারণে বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়াটা আগের চেয়ে একটু দ্রুততর হবে. কিন্তু মূল চিন্তার বিষয় এটা নয় যে আইএসএস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা বন্ধ হয়ে যাবে যেটা চিন্তার বিষয় তা হলো ভবিষ্যতে মহাকাশে বিভিন্ন দেশের মধ্যকার সহযোগিতার লক্ষ্যে আর কোনো কমন গ্রাউন্ড বা প্ল্যাটফর্ম হয়তো থাকবে না। সবাই আলাদা আলাদা ভাবে মহাকাশে নিজ নিজ খুঁটি গেড়ে বসতে চাইবে। পৃথিবী এখনো পর্যন্ত অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ দেখেছে. ভবিষ্যতে হয়তো মহাশূন্যর সাক্ষী হবে যুদ্ধ বা বিশ্বযুদ্ধের.   

মন্তব্যসমূহ

Blog Posts

মানসিকতার কয় টা দিক ? Personalities theory কী ?

     আপনি মানুষের সামনে খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নিল. আহ মানুষটা কি ভিল দরিয়া? মানুষটা খুব মিশুক. এক্সট্রোভার্ট।   কিন্তু আপনি আসলে ভেতরে ভেতরে উপলব্ধি করেন মানুষ আপনাকে যা ভাবে তা আপনি নন মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন।  কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয় । আপনি আসলে নিজের ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন নিজস্ব সার্কেলে । কিন্তু এমন কিন্তু এমনটা কেন? কিছু মানুষের ভেতরে দৈত সত্তা খুব বেশি কাজ করে. মনের ভেতর আর বাইরের উপস্থাপনার একটা দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে. মানুষ আপনাকে যতটা introvert ভাবে মনে করে. কি ভাব? আপনি তেমন নাও হতে পারেন । আপনিও জোৎস্ই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে এক্সপ্রেস করতে পারেন । এই যে দইতো একটা বৈচিত্র নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে এটাকে তাহলে কি বলা যাবে? এই ধরণের মানুষগুলো আসলে এক্সট্রোভার্ট  আবার পুরোপুরি ইন্ট্রোভার্ট ও না ।  তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকে. এই মানুষগুলোকে বলা হয় হ্যান্ডবিভার. মজার ব্যাপার হল প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে এক্সট্রোভার্টরা সেলস কমিউনিকেশানে খুব ভালো হয়. কিন্তু গবেষণায়...

এরিয়া ফিফটি one কি ?

এরিয়া ফিফটি ওয়ান  এটা এক অচেনা জগৎ. এখানে না আছে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক, না আছে কোনো সুইট সাইন. নেই পিচ ছাড়া রাস্তা বা প্রাণের খুব একটা স্পন্দন। এমনকি বাইরের বিশ্বের সংস্কৃতি এবং সমাজের সামান্যতম বিস্তরণও নেই এখানে। এই নিরীহ নির্মম গোপন রহস্য আসলে কি তা জানার সুযোগ হয়েছে বলা চলে খুবই কম । কখনো কখনো বলা হয় এটা এলিয়ান গবেষণাগার. ইউএফও বা আন আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্স নিয়েও নাকি প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে. অনেকে ধারণা করেন যে একবারই স্থানে ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না. বাইরের মানুষের কাছে একটা মিথ হয়ে রয়ে গেছে এই অঞ্চল. অন্তত এখনো পর্যন্ত. বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও সবচেয়ে রহস্যময় এলাকা এটি. নাম এরিয়া ফিফটি ওয়ান. শুরু থেকেই গোপনীয়তার দুর্ভেদ্য চাদরে মোড়ানো বলে এরিয়া ফিফটি ওয়ান নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে দিনকে দিন । জমাট বাঁধা এই রহস্য থেকেই কালক্রমে জন্ম নিয়েছে বেশ কিছু কন্সপিরেসি থিওরি ।  আমেরিকার নেভা স্টেটের দক্ষিণে লাস ভেগাস থেকে একশো পঞ্চাশ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পাহাড় গেরা মরুভূমির মধ্যে ঊনত্রিশ লক্ষ একর জায়গা জুড়ে আছে কুখ্যাত এবং বিদ্রুপজনক...

শিক্ষা শ্রম কি ? কিভাবে বের হতে পারা যায় এই অসুস্থ জগৎ থেকে ?

     এইতো কয়েকদিন আগের কথা. বিশ্বসেরা all rounder সাকিব আল হাসান সাংবাদিক উৎপল সুটের কাছে একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন. পঞ্চপাণ্ডব  সহ আরো কিছু বিষয় সোজাসাপ্টা মন্তব্যের কারণে সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বেশ বিতর্ক হলো কিন্তু ক্রিকেট ও আলোচনা বা বিতর্কিত আলাপের বাইরেও সাকিব সেই সাক্ষাৎকারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছিলেন যেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হয়নি । পরিবার আমেরিকাতেই স্থায়ী হবে এমন আভাস দিয়ে সাকিব বলেছিলেন বাংলাদেশে থাকার সময় স্কুলে যাওয়ার আগে আমার বড় মেয়ে অ্যালাইনা ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন কাঁদতো. অথচ আমেরিকায় এক ডাক দেওয়ার আগেই নিজে উঠে চোখ বন্ধ করে নিজে ব্রাশ করে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে যায়. এর থেকে ভালো আমার জন্য আর কি হতে পারে?  সাকিব কেন নিজেকে একমাত্র পাণ্ডব বলে দাবি করেছেন সাকিবের বক্তব্যে অন্যান্য সিনিয়র প্লেয়ারদের অসম্মান করা হয়েছে কিনা এসবের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কিন্তু এই কয়েকটা লাইনে লুকিয়ে আছে । স্কুল জায়গাটা কেন পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সের একটা বাচ্চা মেয়ের কাছে বিভীষিকার নাম হয়ে উঠবে.  এই গল্পটা শুধু এলাইনার নয়. এ...

ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে কাজ করে ?

  যদি বলি আপনার চোখ দেখতে পারে না এমন গভীর ও প্রায় অনাবিষ্কৃত একটা পৃথিবী আছে. হয়তো বলতে পারেন যে মহাবিশ্বে কত গ্রহই তো আছে? সব খোঁজ কি আমরা পেয়েছি? কিন্তু যদি বলি আমাদের এই পৃথিবীর ভেতরে আরো একটি জগত আছে এবং যে জগৎ ছড়িয়ে আছে আমাদের গোটা বিশ্ব জুড়ে. এইবার হয়তো নড়েচড়ে বসবেন. হ্যাঁ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. এটাকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বিশ্ব. এই অণুবীক্ষণই বিশ্ব প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেওয়ার মতো. কি কি ঘটছে এখানে তা আমার আপনার কল্পনারও বাইরে. এটা যেন কোনো ভিন গ্রহ বাসীদের রাজ্য. সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই অণুবীক্ষণিক বা nano বিশ্বে.  ন্যানো কি ন্যানো হলো পরিমাপের একক। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। আর ন্যানো টেকনোলজি হলো বিজ্ঞানের এই অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরী করা আসলে শুধু তৈরি করা না. ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্তন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে. অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যেকোনো বিষয়ে বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যে...

স্কিল না সার্টিফিকেট? সার্টিফিকেটের দিন কি তাহলে শেষ হয়ে এল ? দেশে এত বেকার কেন ?

  একদিকে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে. অন্যদিকে চাকরিদাতারা বলছেন যোগ্য লোকের অভাব. আসলে বিষয়টা কি?  বেকার সমস্যা. বিশাল জনগোষ্ঠী, দেশ, বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুতর একটা সমস্যা. সমস্যাটা আরো গুরুতর যখন এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যাই বেশি. বিআইডিএস এর এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বেকারত্বের হার চৌত্রিশ শতাংশ এবং স্নাতক পর্যায়ে এই হার সাইত্রিশ শতাংশ যুক্ত রাজ্যের প্রভাবশালী সময় কিনা ইকোনমিস্টের কলামেও বলা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশের সাতচল্লিশ শতাংশ স্নাতকই বেকার. অর্থাৎ প্রতিবছর যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সহ উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সারে তিন লাখ মানুষও বের হয় তবে তাদের প্রায় অর্ধেকই থেকে যাবে কর্মহীন।   কেন এত এত বিএসসি, এমএসসি, বিবিএ, এমবিএ, বিএ, এমএস সার্টিফিকেটধারী উচ্চশিক্ষিত তরুণ তরুণী দিন শেষে বেকার থেকে যাচ্ছে হ্যাঁ এটা সত্য যে চাকরি প্রত্যাশীদের বিপরীতে যথেষ্ট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই. কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষিতদের অনেকেই যখন বেকার তখন প্...

চীন কে ঠেকাতে আমেরিকার মহা পরিকল্পনা ? ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক কি ?

  ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমোওয়ার্ক ফর পোস্ট প্রায়োরিটি বা সংক্ষেপে আইপিডিএফ অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক উদ্যোগ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পলিটিক্যাল ইকোনমিক বাজারে এই ধারণাটা খুব জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে ।  জাপানে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক নামে নতুন এই অর্থনৈতিক উয্যোগের ঘোষণার সময় জো বাইডেন খুব জোরে স্বরেই বললেন আমরা এর মাধ্যমে একুশ শতকের অর্থনীতির নতুন ধারা রচনা করতে যাচ্ছি ।  প্রশ্ন হচ্ছে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেম ওয়ার্ক  বিষয়টা কি?  আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া প্রয়োজন এটা খুব নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় এই অর্থনৈতিক উদ্যোগের কর্ণধার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র । তাই পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের ইন্ডো প্যাসিফিক অঞ্চল এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বুঝতে হবে.  প্রথমত বোঝা দরকার বৈশিক রাজনীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবটা কি? যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে সুপার পাওয়ার হিসেবে দেখতে চায়.  মার্কিনীরা সবসময় চেষ্টা করে তার চেয়ে শক্তিশালী দেশের উত্থ...

দেযা ভু এফেক্ট কি ?

আচ্ছা এমনটা হয়েছে যে একদম নতুন কোনো জায়গায় প্রবল বৃষ্টিতে একটা ছাউনিতে আপনি আশ্রয় নিয়েছেন অথবা ধরুন কোথাও ট্যুরে গিয়ে আপনি আয়েশ করে বসে চা হাতে নিয়ে বই পড়ছেন । হঠাৎ আপনার মনে হলো এই জায়গায় আপনি আগেও ঠিক একইভাবে আটকে ছিলেন বৃষ্টিতে বা একই জায়গায় বসে চা হাতে বই পড়ছিলেন । অথচ বাস্তবে আপনি আগে কখনো এমন কিছু করেছেন বলে কিছুতেই মনে পড়ছে না কিন্তু ঘটনাগুলো এতটাই পরিচিত যে আপনি প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন মনে করার জন্য। হ্যাঁ এটাই দেযা ভু এফেক্ট ।  দেযা ভু এফেক্ট আমাদের সবার সাথেই কম বেশি হরহামেশাই ঘটে থাকে । ফরাসি এই শব্দের প্রথম প্রবর্তন করেন দার্শনিক এমএল বোরাক । যার অর্থ ইতিপূর্বে ঘটে গিয়েছে । এটি এমন একটি অনুভূতি যা থেকে মনে হতে পারে বর্তমানে ঘটতে থাকা কোন ঘটনা এর আগেও একই ভাবে অতীতে ঘটেছে। গবেষকদের মতে মোট জনসংখ্যার প্রায় সত্তর শতাংশের সাথে দেযা ভু এফেক্ট নিয়মিত ঘটে। অন্যান্য বয়সের তুলনায় পনেরো থেকে পঁচিশ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে সবচেয়ে বেশি। না, এটি কোন রোগ নয় । একদম সুস্থ মানুষের সাথেও নিয়মিত এমন অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে যারা অনেক বেশি ভ্রমণ করেন...

চীন কিভাবে সুপার পাওয়ার হয়ে উঠল ? চীন কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতির জায়ান্ট হল ?

   সালটা উনিশশো আটানব্বই. বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সদস্য পদের জন্য আবেদন করে চীন।  তাদের জন্য বিষয়টা ঠিক এতটা সহজ ছিল না।  কারণ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ তখন চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়. এর অবশ্য কারণও ছিল. চীনা কোম্পানিগুলো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের রিপ্লিকা ছাড়া আর কিছুই নয় বা নকলপূর্ণ বানায় এই বদনামে ছেয়ে গেছে তখন চারিদিক. চীন সরকার এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয় না.  সেই সময় চীনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেই দেশগুলোর রাগ ভাঙিয়েছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিটন কিন্তু ক্লিটন যদি জানতেন বছর বিশেকের মধ্যেই বৈশিক অর্থনীতিতে তার দেশকে পেছনে ফেলে সুপার জায়ান্ট হবার দূরে এগিয়ে যাবে চীন। এই কাজটা হয়তো তিনি করতেন না কখনো. সেই সময় আমেরিকার অর্থনীতি ছিল নয় ট্রিলিয়ন ডলারের. আর চীনের অর্থনীতির মূল্যবান ছিল মাত্র এক ট্রিলিয়ন ডলার. নয় গুণ পিছিয়ে থাকা একটা দেশের সঙ্গে কোন প্রতিযোগিতাই নেই. এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন ক্লিটন। কিন্তু সেটা যে কত বড় ভুল ধারণা ছিল. সেটা এখন আমেরিকানরা জানে হাড়ে হাড়ে. ছোট্ট একটা ডেটা দিয়ে শুরু করা যাক. দু হাজার বিশ সা...

বাংলাদেশ কি তবে শ্রীলংকা হতে যাচ্ছে ? বাংলাদেশ কি তাহলে দেউলিয়া হবার পথে ?

শ্রীলংকার সরকার অবশেষে জানিয়ে দিয়েছে বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা তাদের নেই অর্থাৎ নিজেদের দেউলিয়া হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হলো দেশটি । এটা অবশ্য বোঝাই যাচ্ছিলো গত কয়েকদিনের প্রেক্ষাপট দেখে ধারণা করা যাচ্ছিলো দেউলিয়া ঘোষণা করা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই শ্রীলংকার সামনে । তবে শ্রীলঙ্কার এই দুরাবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের অনেকেই বেশ চিন্তিত। বিপুল পরিমান বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত হওয়াটা শ্রীলংকার আজকের অবস্থার একটা বড়ো কারণ। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে বাংলাদেশকেও প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিতে হচ্ছে. এখানে দুর্নীতি আছে আছে মুদ্রাস্ফীতি , জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে. আর তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক আছে. আজ থেকে কয়েক বছর পর বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মতো হবে না তো? তার আগে আমরা ব্যাখ্যা করবো শ্রীলঙ্কার বর্তমান দুরাবস্থার কারণগুলো নিয়ে. জটিল কোনো রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক আলোচনা নয়. খুব সাদামাটা ভাবে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করবো পুরো বিষয়টি. তাহলে শুরু করা যাক.  শ্রীলঙ্কায় গত কিছুদিন ধরেই জ্বালানি তেলের সংকট চলছে দারুণভাবে. রান্নার গ্যাসের অভাব. ভ...

মিনিমালিজম কি ? কিভাবে মিনিমালিস্ট হওয়া যায় ?

মিনিমামলিজম এই ধারণাটি বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর যথেষ্ট কারণও আছে. এই পুরো ব্যাপারটা কি? সেটাকে সঙ্গায়িত করা যায় এভাবে যে,  মিনিমালিজম হচ্ছে যা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সেগুলোকে ধারণ করা এবং বাকি সব কিছু যা আমাদের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয় সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করা।   অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন জিনিসগুলোকে আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা এবং বাকি সব ত্যাগ  করে দেয়. সেগুলো নিয়েই জীবন ধারণ করা. কিন্তু এমন সংজ্ঞায়ন সত্ত্বেও minimalism কোন ধরাবাধা জীবন ব্যবস্থা নয় বা মিনিমালিস্ট হতে হলে কোন নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হবে এরকমটিও কিন্তু নয়. মিনিমালিস্ট লাইফ স্টাইল এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হচ্ছে সত্যিকার অর্থে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী জীবন ধারণ করা. প্রিয় দর্শক চলুন দেখি মিনিমালিজম কিভাবে আপনার জীবনধারা বদলে দিতে পারে।  মিনিমালিস্ট জীবন অবশ...